ফাইনালের বিভাজনে বিদেশিদেরই অবদান
এবারের বিপিএলে দেশি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স ছিল ঈর্ষণীয়। এর অন্যতম কারণ ছিল ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার না থাকা। তবে মানসম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটারদের শূন্যতা পূরণ করেছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। তাদের অবদান একটি দলে কত বেশি ছিল তা বোঝা গেছে তারা চলে যাওয়ার পর প্লে-অফ রাউন্ডে।
পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা চলে যাওয়ার পর তাদের শূন্যস্থান পূরণে প্লে-অফের তিনটি দলই সফল হতে পারেনি। এখানে এগিয়ে ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শেষ পর্যন্ত তারাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে দলকে ফাইনালে তুলতে যেমন ভূমিকা রেখেছিলেন ৪ বিদেশি তেমনি দলকে চ্যাম্পিয়ন করার পেছনেও ফাইনালে মূল ভূমিকায় ছিলেন সেই ৪ বিদেশি। উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিপক্ষ ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। দুইবারই সিলেটের বিদেশিরা ভূমিকা রাখতে পারেননি। যে কারণে কুমিল্লা ৪ বিদেশির ক্ষেত্রে ফাইনালে কোনো পরিবর্তন না করলেও সিলেট প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারের পর দুইটি পরিবর্তন এনেছিল।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সিলেটের জয় ৪ বিদেশিরই কমবেশি অবদান ছিল। কিন্তু ফাইনালে তারাই ব্যর্থ হন। যার প্রভাব পড়ে দলে। ১৬ ওভার পর্যন্ত নিজেদের গ্রিপে থাকা ম্যাচ শেষ পর্যন্ত বেরিয়ে যায় সিলেটের কাছ থেকে। এই বের হয়ে যাওয়ার কাজটি কিন্তু করেন কুমিল্লার দুই বিদেশি জনসন চার্লস ও মঈন আলী।
সিলেট ৭ উইকেটে যে ১৭৫ রান করেছিল, সেখানে বিদেশিদের অবদান ছিল মাত্র ২২। রায়ান বার্ল ১৩, জর্জ লিন্ডে ৯ ও থিসারা পেরেরা ০। লুক উড ব্যাট করতে নামেননি। বল হাতে শুধু জর্জ লিন্ডেই যা একটু সফল ছিলেন। ৪ ওভারে ভীতি ছড়িয়ে ১৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। এ ছাড়া লুক উড ৪ ওভারে ৩৮, থিসারা পেরেরা ১ ওভারে ১২ ও রায়ান বার্ল ২ ওভারে ১৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। সেখানে ব্যাট হাতে কুমিল্লার বিদেশিরা যেমন সফল ছিলেন তেমনি বল হাতেও।
সিলেটের ১৭৫ রান তাড়া করতে গিয়ে সুনীল নারিন ৫ বলে একটি করে চার ও ছয় মেরে ১০, মঈন আলী ১৭ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে অপরাজিত ২৫ ও জনসন চার্লস ৫২ বলে ৫ ছক্কা ও ৭ চারে ম্যাচসেরা অপরাজিত ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন। ১০৪ রানে তৃতীয় উইকেটের পতনের পর জনসন ও মঈন আলী চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৬.৪ ওভারে অবিচ্ছিন্ন ৭২ রান যোগ করে সিলেটের মুখের খাবার কেড়ে নেন।
বল হাতে আন্দ্রে রাসেল ৩ ওভারে ৩১, সুনীল নারিন ৪ ওভারে ৩৩ রান ও মঈন আলী ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে একটি করে উইকেট নেন।
এমপি/এসজি