বোলিংয়ে সবাইকে টেক্কা দিলেন তানভীর
প্রথম ওভারেই সিলেটের রান ১৯। ফাইনাল খেলায় যদি এমন শুরু হয়, তাহলে প্রতিপক্ষের জন্য বিপজ্জনক। কিন্তু সিলেটের সেই শুরুটাকে আর চলমান থাকতে দেয়নি কুমিল্লা। আসলে দেননি তানভীর ইসলাম। এই বাঁহাতি স্পিনার তার ওভারের (ইনিংসের দ্বিতীয়) প্রথম বলেই তৌহিদ হৃদয়কে ফিরিয়ে দেন। এই উইকেট সিলেটের উড়ন্ত সূচনাকে আটকে দেয়।
তানভীর পরে আর কোনো উইকেট না পেলেও কাজের কাজটি তিনি ঠিকই করে দিয়ে যান। এই একটি উইকেটই তানভীরকে এবারের জমজমাট বিপিএলের সর্বাধিক উইকেট শিকারি বানিয়ে দেয়। তার উইকেট সংখ্যা ১৭টি। সমান উইকেট রংপুরের হাসান মাহমুদেরও। কিন্তু গড় রানে তানভীর এগিয়ে। তার গড় ১৭.৫৮, হাসানের গড় ২৪.৮২। তানভীরের সেরা বোলিং ৩৩ রানে ৪টি। হাসানের ১২ রানে ৩টি।
ব্যাটিংয়ে দেশি ব্যাটসম্যানদের দাপট থাকলেও বোলিংয়ে সেরকম দাপট নেই। শীর্ষ দশে চারজন বিদেশি। ব্যাটিংয়ে বিদেশিদের অবস্থান আটে। সেখানে বোলিংয়ে চারে আছেন ১৫ উইকেট নিয়ে রংপুরের আফগান বোলার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তার সেরা বোলিং ছিল ১৭ রানে ৩ উইকেট। তিনে আছেন ১৬ উইকেট নিয়ে ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন। সেরা বোলিং ২০ রানে ৪ উইকেট। ১৪ উইকেট নিয়ে পাঁচে আছেন সিলেটের রুবেল হোসেন।৩৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট প্রাপ্তি ছিল তার সেরা বোলিং। সমান উইকেট নিয়ে গড় রানে ছয়ে সিলেটের আরেক বোলার পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির। ৭ রানে ২ উইকেট তার সেরা বোলিং। ১৩ উইকেট নিয়ে সাতে খুলনার ওয়াব রিয়াজ। ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে তিনি করেছিলেন সেরা বোলিং।
একই উইকেট সিলেটের রেজাউর রহমান রাজার।গড় রানে তিনে আটে। তার সেরা বোলিং ১৪ রানে ৪টি। চট্টগ্রামের নাহিদুজ্জামান ১২ উইকেট নিয়ে আছেন নয়ে ।১৭ রানে ৪ উইকেট তার সেরা বোলিং। ১২ উইকেট করে নিয়ে দশে সিলেটের ইমাদ ওয়াসিম। ২০ রানে তিনি নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। এটি ছিল তার সোর বোলিং। এ ছাড়া ঢাকার আল আমিন এগার, সিলেটের মাশরাফি বার ও খুলনার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১৩ নম্বরে আছেন।
এমপি/এসএন