শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শিক্ষাব্যবস্থার সংকট ও উত্তরণের উপায় (শেষ পর্ব)

শিক্ষাকে কর্মমুখী করার কোনো বিকল্প নেই

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, দেশের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান সংকটসহ সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সম্প্রতি তার সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের। সেখানে তিনি এ থেকে উত্তরণের পথও তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শেহনাজ পূর্ণা। আজ প্রকাশিত হলো বিশেষ সাক্ষাৎকারটির শেষ পর্ব

প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাইডের ছড়াছড়ি, এ নিয়ে আপনার মতামত কী?

এই গাইড বই, নোট বই যারা শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেন, তারা একটা শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন, যাদের এখন অনেক ক্ষমতা। তারা এই ব্যবসা করে কোটিপতি হয়েছেন এবং হচ্ছেন। আমরা তো ছাত্রজীবনে গাইড বই ইত্যাদি কখনো দেখিওনি; কিন্তু আমরা তো ঠিকই পড়াশোনা করেছি, ভালো ফলও করেছি। আমরা একে-অপরকে সাহায্য করতাম। আমি আমার এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে অঙ্কটা বুঝে নিতাম, কারণ অঙ্কে সে ছিল ছোটখাটো যাদব ঘোষ। তার বাড়ি যেতে হতো নদী পার হয়ে। সে আবার আমার কাছে আসত ইংরেজিটা দেখে নিতে। এতে আমাদের পরীক্ষার ফলে ভালো প্রভাব পড়ত।

আরেকটা কথা, আমাদের সময় শিক্ষকরাই যা পড়াবার পড়াতেন। এখন অনেকেই কোচিং করেন। তারা গাইড বই পড়ায় উৎসাহ দেন। অথচ শিশুরা পাঠ্যপুস্তক থেকে জ্ঞান আহরণ করতে সক্ষম। তবে তাদের জন্য সহায়ক হিসেবে শিক্ষকদের এবং পরিবারের একটা ভূমিকা থাকতে হবে। তাদের জন্য রিডিং ক্লাব করা যেতে পারে। অর্থাৎ সব পড়া স্কুলে পড়ে নিতে হবে। আর গাইড বই ও নোট বই পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। এসব শিক্ষার্থীদরে নিজ থেকে চিন্তাভাবনা করার সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। সব পর্যায়ের শিক্ষকদের গাইড বই-নোট বই লেখা বন্ধ করতে হবে। এসব আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

শিক্ষার্থীদের আত্মপ্রত্যয়ী করে গড়ে তুলতে সরকারের কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?

বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী দুজনের সঙ্গেই আমার কথা হয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে চান। তারা সৃজনশীল পদ্ধতির ব্যাপকতার মধ্য দিয়ে শিক্ষার মান বাড়াতে চান। তবে একদিনে তো আর সেটি সম্ভব না। এখন সরকার যা করতে পারে, তা হলো–শিক্ষায় বাজেট বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করা, শিক্ষকদের বেতন ভাতা বাড়ানো, স্কুলের মান উন্নত করা, দিনের সব পড়া স্কুলেই শেষ করা, মুখস্থ শিক্ষা থেকে বেরিয়ে এসে সৃজনশীল শিক্ষার দিকে যাওয়া, শির্ক্ষাথীদের নিজেদের সক্ষমতা আবিষ্কারের পথ খুলে দেওয়া এবং কোচিং প্রথা ও গাইড বইয়ের সিন্ডিকেট ব্যবসা বন্ধ করা। সরকার চাইলে তা সম্ভব।

শিক্ষকরা অনেকাংশে প্রাইভেট বা কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?

আমি যে কোনো বিষয়ের উৎসমূলের দিকে তাকানোর চেষ্টা করি। আপনি দেখবেন আমাদের শিক্ষকদের বেতন এখনও অপ্রতুল, যা দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করা সম্ভব নয়। তাই অনেকাংশে শিক্ষকরা প্রাইভেট কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। আর আমাদের ক্লাসগুলোতে শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় সব শিক্ষার্থী ক্লাসের পড়া ক্লাসে বুঝে নিতে পারে না। এজন্যও প্রাইভেট কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। শিক্ষকদের ভালো বেতন-ভাতা দিলে, সকল পড়া স্কুলে শেষ করার বাধ্যবাধকতা থাকলে, পড়ানোর পদ্ধতি ও পাঠ্যবই আকর্ষণীয় হলে তেমন কোনো সমস্যা থাকবে না। তাই শিক্ষকদের জন্য উপযুক্ত প্রণোদনার ব্যবস্থা করা উচিত।

শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে আপনার পরামর্শ কী?

শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার আলোর বিচ্ছুরণ ঘটাতে হবে। তারা যখন শিখার আনন্দ পেয়ে যাবে তখন আর প্রযুক্তির অপব্যবহার করবে না। এজন্য তাদেরকে নিয়মিত অ্যাসাইন্টমেন্টের আওতায় রাখা উচিত। তাদেরকে যদি আমরা ইতিহাস, ভূগোল, সাহিত্য, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন ইত্যাদি বিষয়ে গ্রুপভিত্তিক কাজ করতে দেই, তাহলে তারা এতে খুবই আকৃষ্ট হবে। প্রতিযোগিতায় ও আনন্দে তারা পড়া শেষ করে ফেলবে।

শিক্ষার মান বাড়াতে পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত?

এই প্রসঙ্গে পাঁচ-ছয়টি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে চাই। যদি সংক্ষেপে বলি–প্রথমত, শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো (যাতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই পেশায় আগ্রহী হয়), প্রয়োজনে তাদের আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, গাইড বই নোট বই নিষিদ্ধ করা। তৃতীয়ত, পাঠ্যপুস্তক আকষণীয় করা ও শক্ষিাদান এবং শিখন পদ্ধতির পরিবর্তন করা। চতুর্থত, শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা। পঞ্চমত, পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করা। বার্ষিক অর্ধবার্ষিক না নিয়ে মাসিক বা দ্বিমাসিক ভাগ করে পরীক্ষা নেয়া যায়। এতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান বুঝতে পারবে। নিজেদের আপডেটেড রাখবে। ষষ্ঠত, পাঠ্য পুস্তকের বাইরের জগত সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। এতে ইন্টারনেটকে কাজে লাগাতে হবে।

শিক্ষার মান বাড়াতে শিক্ষকদের মান কেমন হওয়া উচিত?

রাষ্ট্র গড়ার কারিগর শিক্ষক; কিন্তু আফসোস যে, আমাদের দেশের শিক্ষকদের অনেকেই একে প্রথম পছন্দ হিসেবে নেননি, অনেকের যোগ্যতারও অভাব আছে। মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসতে চান না। তার কারণ, এখানে বেতন-ভাতা কম। বিসিএস সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্তরা প্রশাসন, কাস্টমস, ফরেন ক্যাডার হতে চান। শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতন দিলে তারা শিক্ষাকেই পেশা হিসেবে প্রথমে বেছে নিতেন। তাই ভালোমানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য, শিক্ষকদের মান বাড়ানোর জন্য আমাদের কার্যকর পরিকল্পনা থাকা ও তার বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

আউট কাম বেইজড এডুকেশন নিয়ে আপনার বক্তব্য কী?

শিক্ষাকে কর্মমুখী করার কোনো বিকল্প নেই। দেশের বেকারদের বড় অংশ সনদধারী। এখন দেখা যায়, প্রায় সকল বিষয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকার সময় থেকেই বিসিএসের জন্য পড়াশোনা করে; কিন্তু বিসিএসের আসন সংখ্যা খুবই সীমিত। যার ফলে বেকার সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে সাধারণ বিসিএসমুখী নিয়োগ না দিয়ে সাবজেক্ট ভিত্তিক জ্ঞান ও দক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া দরকার। যেমন–কৃষি, অর্থনীতি, পরিকল্পনা, চিকিৎসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে শুধু যারা এসব বিষয় পড়েন, তাদেরই নেওয়া হবে, তাহলে শিক্ষার্থীরা তাদরে বিষয়ে পড়ায় মনোযোগী হবে। যদি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ ফলিত বিষয়গুলোতে চাকরির সম্প্রসারণ হয়, বাজার ও অন্যান্য ক্ষেত্রের ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়, তাহলে পড়াশোনায় গতি আসবে এবং দেশের শিক্ষার মান বাড়বে।

এসএ/

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে ‘নারী’ বলতে রাজি নন মৎস্য উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার তার কঠোর বক্তব্য তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, “যিনি ফ্যাসিবাদী, অত্যাচারী এবং মানুষ খুন করেছেন তাকে আমি ‘নারী’ বলতে রাজি নই। ‘নারী’ হওয়ার বৈশিষ্ট্যগুলো তার মধ্যে নেই।”

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সেন্টার অব ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ (সিআইবি) এবং উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট এনহেন্সমেন্ট নেটওয়ার্কের (উইন) উদ্যোগে আয়োজিত ‘24 গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নারী ও গণক্ষমতায়ন: সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, “১৯৯১ সালে এরশাদকে হটিয়ে আমরা নারী প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ছিলাম। কিন্তু খুব দুঃখজনক হলো, গত ১৫ বছর আমরা এক ফ্যাসিবাদীর অধীনে ছিলাম। আমি তাকে ‘নারী’ বলতে পারি না। ‘নারী’ হওয়ার বৈশিষ্ট্যগুলো তার মধ্যে ছিল না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা কেবল নারীর অধিকার চাই না, পুরুষের অধিকারও চাই না। আমরা চাই মানুষ হিসেবে সবার সমান অধিকার। নারীরা কান্না করে মনের কষ্ট প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু পুরুষরা সেই সুযোগটিও পায় না। এটা খুবই দুঃখজনক।”

সভায় বক্তারা বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। সমাজ ও রাষ্ট্রে তাদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং সমাজে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে হবে। তারা ন্যায়ের ভিত্তিতে কাজ করার আহ্বান জানান।

বক্তারা আরও বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং সহিংসতা রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা দরকার।

সেন্টার অব ইনক্লুসিভ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মেজবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব ম আ কাশেম মাসুদ, রাজনৈতিক গবেষক প্রকৌশলী লোকমান লিমন, নারী উচ্চারণ ও খেদমত ই-কমার্স প্রেসিডেন্ট সামিয়া রহমান, যুব সংগঠক পিংকি কণিকা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর কামরুল ইসলাম জুয়েল, এশিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, স্বদেশী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আল আমিন রাজু এবং এশিয়ান সাইন্টিস্ট ও মডেল লাইভস্টক অ্যাডভান্সমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. সালমা সুলতানা।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে নারীর ক্ষমতায়ন এবং সমতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তারা সমাজে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করে নারীদের মর্যাদা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

Header Ad
Header Ad

সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান

ছবি: সংগৃহীত

নাসার পার্কার সোলার প্রোভ মহাকাশযান সূর্যের সবচেয়ে কাছে পৌঁছে সক্রিয় অবস্থায় থেকে ইতিহাস গড়েছে। সূর্যের চরম তাপ ও বিকিরণ সহ্য করে মহাকাশযানটি তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময়) এটি সূর্যের কাছাকাছি অবস্থান থেকে সংকেত পাঠিয়েছে।

সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৩৮ লাখ মাইল দূরত্বে পৌঁছেছে পার্কার সোলার প্রোভ। তুলনামূলকভাবে পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব প্রায় ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল। নাসা জানিয়েছে, এই মহাকাশযানটি সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে এবং এটি নিরাপদ রয়েছে।

সূর্যের কার্যপদ্ধতি, সৌরঝড়, এবং সূর্যের শক্তিকণা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য। সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল ‘করোনা’ কেন এত উত্তপ্ত, তা জানার জন্য বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালাচ্ছেন।

মহাকাশযানটি ১,৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৯৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রা সহ্য করেছে। এটি বিশেষ কার্বন ঢাল (১১.৫ সেন্টিমিটার) এবং তাপ সহনশীল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি। দ্রুত গতির জন্য এটি মহাকর্ষ বলকে কাজে লাগিয়ে তার গতি বাড়ায়। পার্কার সোলার প্রোভ এত দ্রুত চলে যে লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যেতে এর সময় লাগবে মাত্র ৩০ সেকেন্ড।

নাসার বিজ্ঞান গবেষণার প্রধান ড. নিকোল ফক্স বলেন, “সূর্যের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ না করলে এর প্রকৃতি ও কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে পুরোপুরি বোঝা সম্ভব নয়।” মহাকাশযানটি ইতিমধ্যেই সূর্যকে ২১ বার প্রদক্ষিণ করেছে এবং প্রতিবার আরও কাছে পৌঁছাচ্ছে।

বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য মহাকাশযানটিকে সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল ‘করোনা’-তে পাঠানো। করোনার উচ্চ তাপমাত্রার কারণ এবং সূর্যঝড়ের বিষয়ে নতুন তথ্য উদঘাটন করার প্রত্যাশা করছেন তারা।

ড. জেনিফার মিলার্ড বলেন, “করোনা এত উত্তপ্ত কেন তা আমরা এখনও পুরোপুরি জানি না। আশা করি, এই মিশন রহস্যের জট খুলে দেবে।”

সূর্য এবং তার কার্যক্রম সম্পর্কে নতুন তথ্য সংগ্রহে পার্কার সোলার প্রোভ যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে। এটি বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের গবেষণাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

Header Ad
Header Ad

বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‌‘বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়িয়েছে। একইসাথে ব্যাংক সেক্টরও আস্তে আস্তে সচল করছে। কিন্তু জাতির প্রত্যাশা আরও অনেক বেশি।’ তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির চাকাকে আরও গতিশীল করতে সরকারকে আরও বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় যশোর ঈদগাহ ময়দানে যশোর জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক ও মাওলানা আজীজুর রহমান, জামায়াতের ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও নড়াইল জেলা শাখার আমিরসহ যশোর জেলা জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘দেশকে নাকি তারা উন্নয়নের মহাসড়কে উঠিয়ে রোল মডেল বানিয়েছিল। অথচ এখন চারদিকে হাহাকার। মিল, ফ্যাক্টরি, ইন্ডাস্ট্রির মালিকরা তাদের কর্মচারিদের বেতন দিতে পারছে না। সরকারি ইন্ডাস্ট্রি সব লেআউট হয়ে পড়ে আছে। সৎ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা লাটে ওঠার উপক্রম। ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদের পুঁজি দিতে পারছে না। সমস্ত ব্যাংক ফোকলা করে পেট খালি করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে।’

প্রধান অতিথি বর্তমান সরকারের রিজার্ভ বাড়ানো ও ব্যাংক সেক্টরকে সচল করার প্রশংসা করলেও নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্য ও সিন্ডিকেট বিদ্যমান থাকার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘বাজারে এখন আগুন, মানুষ পেট ভরছে আগুন দিয়ে’। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আগের সিন্ডিকেটগুলো এখনও ভাঙতে পারেনি সরকার। ক্ষেত্রবিশেষে সিন্ডিকেটের হাত বদল হয়েছে। একজন চাঁদাবাজি করে পেট ভরে পালিয়ে গেছে। আবার কেউ এসে চাঁদাবাজিতে লেগে যাক সেটা আমরা চাই না। কিন্তু দেশ এখনও চাঁদাবাজমুক্ত, দখলদারমুক্ত, জুলুমমুক্ত হয়নি।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘নাগরিকদের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান নয়, সমতা নয়, ভারসাম্যপূর্ণ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে জামায়াত।’ তিনি বলেন, ‘অধিকারের জন্য কাউকে হাহাকার করতে হবে না। বিচার বিভাগের মেরুদণ্ড সোজা করে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকেও দ্বিতীয় কোন চোখে দেখবে না সেই বিচারবিভাগ। ইনসাফ কায়েম করতে পারলে কাউকে অধিকার চাইতে হবে না। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হবে খুঁজে খুঁজে যার যার দায়িত্ব তার তার কাছে পৌঁছে দেওয়া।’

দেশের ভেঙে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে শিক্ষা ব্যবস্থার। মাস্টার্স পাশের সার্টিফিকেট নিয়ে যুবক-যুবতীরা দ্বারে দ্বারে চাকরির জন্য ঘুরছে, কিন্তু চাকরি পাচ্ছে না। শিক্ষার যে নৈতিক মান হওয়া, তা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে একেবারে বিদায় নিয়েছে।’

স্বৈরাচার হটানো আন্দোলনে সকল দলের শহীদ, পঙ্গু হয়ে যাওয়া, জেল খাটা ও মামলার শিকার হওয়া সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের দুই হাজারেরও বেশি সন্তান বুকের তাজা রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে আমাদের উন্মুক্ত পরিবেশ দিয়ে গেছে। তাদের রক্তের সাথে যেন আমরা বেইমানী, বিশ্বাসঘাতকতা, গাদ্দারি না করি। তারা বৈষম্য, দুঃশাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ দিয়েছে। এখন যদি একই কাজ কেউ করেন, নিঃসন্দেহে তারা ঘৃণিত ও নিন্দিত হবে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনাকে ‘নারী’ বলতে রাজি নন মৎস্য উপদেষ্টা
সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান
বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল
সংবিধান সংস্কারে রাজনৈতিক দলের সংকল্প জরুরি: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত সবাই একই পরিবারের
ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬৩ বাংলাদেশি: অপরাধীদের ধরতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল
মাহফিলে আজহারী উঠবেন রাতে, দুপুরেই ভরে গেছে ময়দান
ইসরায়েলি হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ডব্লিউএইচও প্রধান
থাইল্যান্ডে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশিকে পাওয়া গেল থাই নারীর সঙ্গে হোটেলে  
হাসিনার দোসররা সচিবালয়ে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিকাণ্ড করেছে: শাকিল উজ্জামান
ভারতে ইসকন মন্দিরে চিন্ময়ের আইনজীবীর বৈঠক
ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: ড. মুহাম্মদ ইউনূস  
নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়ার আইনগত কোনো বাধা নাই
বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেল প্রাইভেটকার, নিহত ৫  
পাঁচ সাংবাদিক বরখাস্তের জন্য সরকার দায়ী নয়: প্রেস সচিব শফিকুল আলম
জাহাজে ছেলে খুন, পুত্রশোকে বাবার মৃত্যু