বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

শিক্ষাব্যবস্থার সংকট ও উত্তরণের উপায় (শেষ পর্ব)

শিক্ষাকে কর্মমুখী করার কোনো বিকল্প নেই

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, দেশের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান সংকটসহ সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সম্প্রতি তার সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের। সেখানে তিনি এ থেকে উত্তরণের পথও তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শেহনাজ পূর্ণা। আজ প্রকাশিত হলো বিশেষ সাক্ষাৎকারটির শেষ পর্ব

প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাইডের ছড়াছড়ি, এ নিয়ে আপনার মতামত কী?

এই গাইড বই, নোট বই যারা শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেন, তারা একটা শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন, যাদের এখন অনেক ক্ষমতা। তারা এই ব্যবসা করে কোটিপতি হয়েছেন এবং হচ্ছেন। আমরা তো ছাত্রজীবনে গাইড বই ইত্যাদি কখনো দেখিওনি; কিন্তু আমরা তো ঠিকই পড়াশোনা করেছি, ভালো ফলও করেছি। আমরা একে-অপরকে সাহায্য করতাম। আমি আমার এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে অঙ্কটা বুঝে নিতাম, কারণ অঙ্কে সে ছিল ছোটখাটো যাদব ঘোষ। তার বাড়ি যেতে হতো নদী পার হয়ে। সে আবার আমার কাছে আসত ইংরেজিটা দেখে নিতে। এতে আমাদের পরীক্ষার ফলে ভালো প্রভাব পড়ত।

আরেকটা কথা, আমাদের সময় শিক্ষকরাই যা পড়াবার পড়াতেন। এখন অনেকেই কোচিং করেন। তারা গাইড বই পড়ায় উৎসাহ দেন। অথচ শিশুরা পাঠ্যপুস্তক থেকে জ্ঞান আহরণ করতে সক্ষম। তবে তাদের জন্য সহায়ক হিসেবে শিক্ষকদের এবং পরিবারের একটা ভূমিকা থাকতে হবে। তাদের জন্য রিডিং ক্লাব করা যেতে পারে। অর্থাৎ সব পড়া স্কুলে পড়ে নিতে হবে। আর গাইড বই ও নোট বই পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। এসব শিক্ষার্থীদরে নিজ থেকে চিন্তাভাবনা করার সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। সব পর্যায়ের শিক্ষকদের গাইড বই-নোট বই লেখা বন্ধ করতে হবে। এসব আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

শিক্ষার্থীদের আত্মপ্রত্যয়ী করে গড়ে তুলতে সরকারের কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?

বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী দুজনের সঙ্গেই আমার কথা হয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে চান। তারা সৃজনশীল পদ্ধতির ব্যাপকতার মধ্য দিয়ে শিক্ষার মান বাড়াতে চান। তবে একদিনে তো আর সেটি সম্ভব না। এখন সরকার যা করতে পারে, তা হলো–শিক্ষায় বাজেট বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করা, শিক্ষকদের বেতন ভাতা বাড়ানো, স্কুলের মান উন্নত করা, দিনের সব পড়া স্কুলেই শেষ করা, মুখস্থ শিক্ষা থেকে বেরিয়ে এসে সৃজনশীল শিক্ষার দিকে যাওয়া, শির্ক্ষাথীদের নিজেদের সক্ষমতা আবিষ্কারের পথ খুলে দেওয়া এবং কোচিং প্রথা ও গাইড বইয়ের সিন্ডিকেট ব্যবসা বন্ধ করা। সরকার চাইলে তা সম্ভব।

শিক্ষকরা অনেকাংশে প্রাইভেট বা কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?

আমি যে কোনো বিষয়ের উৎসমূলের দিকে তাকানোর চেষ্টা করি। আপনি দেখবেন আমাদের শিক্ষকদের বেতন এখনও অপ্রতুল, যা দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করা সম্ভব নয়। তাই অনেকাংশে শিক্ষকরা প্রাইভেট কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। আর আমাদের ক্লাসগুলোতে শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় সব শিক্ষার্থী ক্লাসের পড়া ক্লাসে বুঝে নিতে পারে না। এজন্যও প্রাইভেট কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। শিক্ষকদের ভালো বেতন-ভাতা দিলে, সকল পড়া স্কুলে শেষ করার বাধ্যবাধকতা থাকলে, পড়ানোর পদ্ধতি ও পাঠ্যবই আকর্ষণীয় হলে তেমন কোনো সমস্যা থাকবে না। তাই শিক্ষকদের জন্য উপযুক্ত প্রণোদনার ব্যবস্থা করা উচিত।

শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে আপনার পরামর্শ কী?

শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার আলোর বিচ্ছুরণ ঘটাতে হবে। তারা যখন শিখার আনন্দ পেয়ে যাবে তখন আর প্রযুক্তির অপব্যবহার করবে না। এজন্য তাদেরকে নিয়মিত অ্যাসাইন্টমেন্টের আওতায় রাখা উচিত। তাদেরকে যদি আমরা ইতিহাস, ভূগোল, সাহিত্য, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন ইত্যাদি বিষয়ে গ্রুপভিত্তিক কাজ করতে দেই, তাহলে তারা এতে খুবই আকৃষ্ট হবে। প্রতিযোগিতায় ও আনন্দে তারা পড়া শেষ করে ফেলবে।

শিক্ষার মান বাড়াতে পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত?

এই প্রসঙ্গে পাঁচ-ছয়টি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে চাই। যদি সংক্ষেপে বলি–প্রথমত, শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো (যাতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই পেশায় আগ্রহী হয়), প্রয়োজনে তাদের আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, গাইড বই নোট বই নিষিদ্ধ করা। তৃতীয়ত, পাঠ্যপুস্তক আকষণীয় করা ও শক্ষিাদান এবং শিখন পদ্ধতির পরিবর্তন করা। চতুর্থত, শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা। পঞ্চমত, পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করা। বার্ষিক অর্ধবার্ষিক না নিয়ে মাসিক বা দ্বিমাসিক ভাগ করে পরীক্ষা নেয়া যায়। এতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান বুঝতে পারবে। নিজেদের আপডেটেড রাখবে। ষষ্ঠত, পাঠ্য পুস্তকের বাইরের জগত সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। এতে ইন্টারনেটকে কাজে লাগাতে হবে।

শিক্ষার মান বাড়াতে শিক্ষকদের মান কেমন হওয়া উচিত?

রাষ্ট্র গড়ার কারিগর শিক্ষক; কিন্তু আফসোস যে, আমাদের দেশের শিক্ষকদের অনেকেই একে প্রথম পছন্দ হিসেবে নেননি, অনেকের যোগ্যতারও অভাব আছে। মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসতে চান না। তার কারণ, এখানে বেতন-ভাতা কম। বিসিএস সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্তরা প্রশাসন, কাস্টমস, ফরেন ক্যাডার হতে চান। শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতন দিলে তারা শিক্ষাকেই পেশা হিসেবে প্রথমে বেছে নিতেন। তাই ভালোমানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য, শিক্ষকদের মান বাড়ানোর জন্য আমাদের কার্যকর পরিকল্পনা থাকা ও তার বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

আউট কাম বেইজড এডুকেশন নিয়ে আপনার বক্তব্য কী?

শিক্ষাকে কর্মমুখী করার কোনো বিকল্প নেই। দেশের বেকারদের বড় অংশ সনদধারী। এখন দেখা যায়, প্রায় সকল বিষয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকার সময় থেকেই বিসিএসের জন্য পড়াশোনা করে; কিন্তু বিসিএসের আসন সংখ্যা খুবই সীমিত। যার ফলে বেকার সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে সাধারণ বিসিএসমুখী নিয়োগ না দিয়ে সাবজেক্ট ভিত্তিক জ্ঞান ও দক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া দরকার। যেমন–কৃষি, অর্থনীতি, পরিকল্পনা, চিকিৎসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে শুধু যারা এসব বিষয় পড়েন, তাদেরই নেওয়া হবে, তাহলে শিক্ষার্থীরা তাদরে বিষয়ে পড়ায় মনোযোগী হবে। যদি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ ফলিত বিষয়গুলোতে চাকরির সম্প্রসারণ হয়, বাজার ও অন্যান্য ক্ষেত্রের ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়, তাহলে পড়াশোনায় গতি আসবে এবং দেশের শিক্ষার মান বাড়বে।

এসএ/

Header Ad
Header Ad

এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  

ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর। ছবিঃ সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর আদাবর থানায় দায়েরকৃত রুবেল হত্যা মামলায় ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ আজহারুল ইসলামের আদালত গ্রেফতার দেখানোর এ আদেশ দেন।

এদিন সকালে আসামিদের আদালতে হাজির করে উক্ত মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে সে আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।। সোয়া ৯ টার পর তাদের এজলাসে তোলা হয়। তিন জনের মধ্যে সামনে ছিলেন শাহজাহান ওমর।

এই সময় সাংবাদিকরা তাদের ছবি তুলতে গেলে। তখন শাহজাহান ওমর বলেন, ‘এই ফটো তোলোস কেন?’ পরে তাদের এজলাসে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে অনেকটাই স্বাভাবিক ছিলেন শাহজাহান ওমর। আইনজীবী-পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সময় পার করেন। কখনও হেসেছেন। আইনজীবীদের কাছে মামলার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। জানতে চান তিনি এজাহারনামীয় আসামি কি না।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা সকাল ১১টার দিকে আদাবর থানাধীন রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।

Header Ad
Header Ad

মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  

প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবিঃ সংগৃহীত

মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক এবং গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, সংবাদ মাধ্যমটি (বিবিসি বাংলা) যখন শেখ হাসিনার বিষয়ে লেখে, তখন তার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পটভূটি বাদ দেয়। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর উনি ভারতে চলে গেছেন এমন শব্দ ব্যবহার করতে তারা অধিকতর পছন্দ করে। বাস্তবতা হচ্ছে শেখ হাসিনা অসংখ্য শিশু হত্যা, নজিরবিহীন সহিংসতা, লুণ্ঠন, দুর্নীতি, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং তিন হাজারের বেশি মানুষকে গুম করে ভারতে পালিয়ে গেছেন।

তিনি লেখেন, গত সপ্তাহে শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সংস্থাটি বলছে, শেখ হাসিনা তার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে হত্যা এবং গুমের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে এই গুরুত্বপূর্ণ অংশের কিছুই উল্লেখ ছিল না। তারা বিপ্লবের পরে গণগ্রেপ্তার নিয়ে কথা বলতে বেশি পছন্দ করে।

শফিকুল আলম লেখেন, কোনো গণগ্রেপ্তার হয়েছে? কতজনকে গত ছয় মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? আমরা জানতাম যে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর পুলিশ বিএনপির সমাবেশকে জোরপূর্বক ছত্রভঙ্গ করেছিল। তারপর কমপক্ষে ২৫ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছিল।

প্রেস সচিব আরও লিখেছেন, মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে একটি নিখুঁত প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। গতকাল তারা একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা বলেছে যে, হাসিনা নয়াদিল্লি থেকে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রকৃতপক্ষে, এটি ‘বাংলার কসাইয়ের’ জন্য একটি নিখুঁত প্ল্যাটফর্ম! এটি কি কখনো নির্বাসিত বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে একই রকম প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে? হাসিনার স্বৈরশাসনের আমলে তারেক রহমান লন্ডনে কীভাবে সময় কাটাচ্ছিলেন সে সম্পর্কে লিখেছিল? এটি কি তার সাক্ষাৎকার নিয়েছিল?

Header Ad
Header Ad

কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন ও

পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  

বাংলাভিশন টেলিভিশনের সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরন। ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাভিশন টেলিভিশনের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি ও কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরনকে বেধড়ক কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে।

মিরনের শরীরে অসংখ্য কোপের চিহ্ন রয়েছে। তার এক হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে, অন্য হাতের কব্জি ঝুলে গেছে। মাথা, কপাল ও পেটে গুরুতর আঘাতের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুয়াকাটা পৌরসভায় নিজ বাসার সামনে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়।

মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য মিরনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। মিরনের পরিবার জানায়, তিনি ঢাকা থেকে রাতে কুয়াকাটা ফিরেছিলেন। কুয়াকাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসায় ফেরার পথে বাসার সামনে পৌঁছামাত্র দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে জখম করে। চিৎকার দিয়ে মিরন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন।

মিরনের শরীরে অসংখ্য কোপের চিহ্ন রয়েছে। এক হাতে রগ কেটে দেয়া হয়েছে, অন্য হাতের কব্জি ঝুলে গেছে। মাথা, কপাল ও পেটে গুরুতর আঘাতের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ  
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর  
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ    
সুইডেনে স্কুলে বন্দুক হামলা নিহত ১০ জন  
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত গ্রেফতার  
জাবিতে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের ঘোষণা  
মুসলিম লীগ যেমন বিলুপ্ত হয়েছে, আওয়ামী লীগও বিলুপ্ত হবে : সলিমুল্লাহ খান
ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৮ বুয়েট শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার  
জীবননগর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি যুবক আটক
নগদের সাবেক চেয়ারম্যান-এমডিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা জালিয়াতির মামলা
৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে নতুন মার্কিন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
ক্যাম্পাসের মসজিদে কোরআন পুড়িয়েছে রাবি ছাত্র, জানা গেল পরিচয়
মার্কিন ভিসার জন্য প্রার্থনা করতে মন্দিরে ভিড় ভারতীয়দের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন আটক
পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়ন
বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে ২১ কোম্পানির বাস চলবে টিকিট-কাউন্টার ভিত্তিতে