বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শিক্ষাব্যবস্থার সংকট ও উত্তরণের উপায় (শেষ পর্ব)

শিক্ষাকে কর্মমুখী করার কোনো বিকল্প নেই

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, দেশের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান সংকটসহ সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সম্প্রতি তার সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের। সেখানে তিনি এ থেকে উত্তরণের পথও তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শেহনাজ পূর্ণা। আজ প্রকাশিত হলো বিশেষ সাক্ষাৎকারটির শেষ পর্ব

প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাইডের ছড়াছড়ি, এ নিয়ে আপনার মতামত কী?

এই গাইড বই, নোট বই যারা শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেন, তারা একটা শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন, যাদের এখন অনেক ক্ষমতা। তারা এই ব্যবসা করে কোটিপতি হয়েছেন এবং হচ্ছেন। আমরা তো ছাত্রজীবনে গাইড বই ইত্যাদি কখনো দেখিওনি; কিন্তু আমরা তো ঠিকই পড়াশোনা করেছি, ভালো ফলও করেছি। আমরা একে-অপরকে সাহায্য করতাম। আমি আমার এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে অঙ্কটা বুঝে নিতাম, কারণ অঙ্কে সে ছিল ছোটখাটো যাদব ঘোষ। তার বাড়ি যেতে হতো নদী পার হয়ে। সে আবার আমার কাছে আসত ইংরেজিটা দেখে নিতে। এতে আমাদের পরীক্ষার ফলে ভালো প্রভাব পড়ত।

আরেকটা কথা, আমাদের সময় শিক্ষকরাই যা পড়াবার পড়াতেন। এখন অনেকেই কোচিং করেন। তারা গাইড বই পড়ায় উৎসাহ দেন। অথচ শিশুরা পাঠ্যপুস্তক থেকে জ্ঞান আহরণ করতে সক্ষম। তবে তাদের জন্য সহায়ক হিসেবে শিক্ষকদের এবং পরিবারের একটা ভূমিকা থাকতে হবে। তাদের জন্য রিডিং ক্লাব করা যেতে পারে। অর্থাৎ সব পড়া স্কুলে পড়ে নিতে হবে। আর গাইড বই ও নোট বই পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। এসব শিক্ষার্থীদরে নিজ থেকে চিন্তাভাবনা করার সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। সব পর্যায়ের শিক্ষকদের গাইড বই-নোট বই লেখা বন্ধ করতে হবে। এসব আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

শিক্ষার্থীদের আত্মপ্রত্যয়ী করে গড়ে তুলতে সরকারের কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?

বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী দুজনের সঙ্গেই আমার কথা হয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে চান। তারা সৃজনশীল পদ্ধতির ব্যাপকতার মধ্য দিয়ে শিক্ষার মান বাড়াতে চান। তবে একদিনে তো আর সেটি সম্ভব না। এখন সরকার যা করতে পারে, তা হলো–শিক্ষায় বাজেট বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করা, শিক্ষকদের বেতন ভাতা বাড়ানো, স্কুলের মান উন্নত করা, দিনের সব পড়া স্কুলেই শেষ করা, মুখস্থ শিক্ষা থেকে বেরিয়ে এসে সৃজনশীল শিক্ষার দিকে যাওয়া, শির্ক্ষাথীদের নিজেদের সক্ষমতা আবিষ্কারের পথ খুলে দেওয়া এবং কোচিং প্রথা ও গাইড বইয়ের সিন্ডিকেট ব্যবসা বন্ধ করা। সরকার চাইলে তা সম্ভব।

শিক্ষকরা অনেকাংশে প্রাইভেট বা কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?

আমি যে কোনো বিষয়ের উৎসমূলের দিকে তাকানোর চেষ্টা করি। আপনি দেখবেন আমাদের শিক্ষকদের বেতন এখনও অপ্রতুল, যা দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করা সম্ভব নয়। তাই অনেকাংশে শিক্ষকরা প্রাইভেট কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। আর আমাদের ক্লাসগুলোতে শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় সব শিক্ষার্থী ক্লাসের পড়া ক্লাসে বুঝে নিতে পারে না। এজন্যও প্রাইভেট কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। শিক্ষকদের ভালো বেতন-ভাতা দিলে, সকল পড়া স্কুলে শেষ করার বাধ্যবাধকতা থাকলে, পড়ানোর পদ্ধতি ও পাঠ্যবই আকর্ষণীয় হলে তেমন কোনো সমস্যা থাকবে না। তাই শিক্ষকদের জন্য উপযুক্ত প্রণোদনার ব্যবস্থা করা উচিত।

শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে আপনার পরামর্শ কী?

শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার আলোর বিচ্ছুরণ ঘটাতে হবে। তারা যখন শিখার আনন্দ পেয়ে যাবে তখন আর প্রযুক্তির অপব্যবহার করবে না। এজন্য তাদেরকে নিয়মিত অ্যাসাইন্টমেন্টের আওতায় রাখা উচিত। তাদেরকে যদি আমরা ইতিহাস, ভূগোল, সাহিত্য, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন ইত্যাদি বিষয়ে গ্রুপভিত্তিক কাজ করতে দেই, তাহলে তারা এতে খুবই আকৃষ্ট হবে। প্রতিযোগিতায় ও আনন্দে তারা পড়া শেষ করে ফেলবে।

শিক্ষার মান বাড়াতে পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত?

এই প্রসঙ্গে পাঁচ-ছয়টি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে চাই। যদি সংক্ষেপে বলি–প্রথমত, শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো (যাতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই পেশায় আগ্রহী হয়), প্রয়োজনে তাদের আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, গাইড বই নোট বই নিষিদ্ধ করা। তৃতীয়ত, পাঠ্যপুস্তক আকষণীয় করা ও শক্ষিাদান এবং শিখন পদ্ধতির পরিবর্তন করা। চতুর্থত, শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা। পঞ্চমত, পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করা। বার্ষিক অর্ধবার্ষিক না নিয়ে মাসিক বা দ্বিমাসিক ভাগ করে পরীক্ষা নেয়া যায়। এতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান বুঝতে পারবে। নিজেদের আপডেটেড রাখবে। ষষ্ঠত, পাঠ্য পুস্তকের বাইরের জগত সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। এতে ইন্টারনেটকে কাজে লাগাতে হবে।

শিক্ষার মান বাড়াতে শিক্ষকদের মান কেমন হওয়া উচিত?

রাষ্ট্র গড়ার কারিগর শিক্ষক; কিন্তু আফসোস যে, আমাদের দেশের শিক্ষকদের অনেকেই একে প্রথম পছন্দ হিসেবে নেননি, অনেকের যোগ্যতারও অভাব আছে। মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসতে চান না। তার কারণ, এখানে বেতন-ভাতা কম। বিসিএস সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্তরা প্রশাসন, কাস্টমস, ফরেন ক্যাডার হতে চান। শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতন দিলে তারা শিক্ষাকেই পেশা হিসেবে প্রথমে বেছে নিতেন। তাই ভালোমানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য, শিক্ষকদের মান বাড়ানোর জন্য আমাদের কার্যকর পরিকল্পনা থাকা ও তার বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

আউট কাম বেইজড এডুকেশন নিয়ে আপনার বক্তব্য কী?

শিক্ষাকে কর্মমুখী করার কোনো বিকল্প নেই। দেশের বেকারদের বড় অংশ সনদধারী। এখন দেখা যায়, প্রায় সকল বিষয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকার সময় থেকেই বিসিএসের জন্য পড়াশোনা করে; কিন্তু বিসিএসের আসন সংখ্যা খুবই সীমিত। যার ফলে বেকার সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে সাধারণ বিসিএসমুখী নিয়োগ না দিয়ে সাবজেক্ট ভিত্তিক জ্ঞান ও দক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া দরকার। যেমন–কৃষি, অর্থনীতি, পরিকল্পনা, চিকিৎসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে শুধু যারা এসব বিষয় পড়েন, তাদেরই নেওয়া হবে, তাহলে শিক্ষার্থীরা তাদরে বিষয়ে পড়ায় মনোযোগী হবে। যদি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ ফলিত বিষয়গুলোতে চাকরির সম্প্রসারণ হয়, বাজার ও অন্যান্য ক্ষেত্রের ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়, তাহলে পড়াশোনায় গতি আসবে এবং দেশের শিক্ষার মান বাড়বে।

এসএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত