শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শিক্ষাব্যবস্থার সংকট ও উত্তরণের উপায় (প্রথম পর্ব)

শিক্ষার্থীদের নিষ্ঠা থাকলে তিন বছরের কাজ এক বছরেই করা যাবে

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, দেশের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান সংকটসহ সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সম্প্রতি তার সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের। সেখানে তিনি এ থেকে উত্তরণের পথও তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শেহনাজ পূর্ণা। আজ প্রকাশিত হলো বিশেষ সাক্ষাৎকারটির প্রথম পর্ব

করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে আপনার মন্তব্য কি এবং এর দায় কার?

করোনাভাইরাস নিঃসন্দেহে মরণঘাতি, যা সারা বিশ্বের মতো দক্ষিণ এশিয়ায়ও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশে এর অভিঘাত বেশি হওয়ার কারণ–দেশটি খুব ঘনবসতিপূর্ণ। প্রথমদিকে সবারই ধারণা ছিল এটি বেশিদিন থাকবে না। করোনাভাইরাস চলে যাবে এমন ভাবনা থেকেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল। এ নিয়ে এখন কোনো অভিযোগ আনার কারণ নেই। শিক্ষাব্যবস্থাকেও দোষ দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করার আগে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে স্কুল খোলা রাখা বিপজ্জনকই ছিল। যেসব দেশ দ্রুত টিকা দিয়েছে, তারা দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পেরেছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের তেমন কিছু করার ছিল না। যা হয়ে গেছে বা যে সময় চলে গেছে, তা নিয়ে হতাশ না হয়ে–কী করা যেত, কতটা করা যেত এসব আলোচনায় না গিয়ে সম্মিলিতভাবে সে ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে হবে।

দুই বছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে আপনার মতামত জানতে চাই।

৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা নেই। ইউনিসেফ বলছে যতকিছুর বিনিময়ে হোক সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হোক। আমরা ভেবেছিলাম ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে এবং এরপর আর বন্ধ হবে না। এখন দেখা যাচ্ছে, সেই তারিখ পিছিয়ে ২০-২২ ফেব্রুয়ারি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমার মনে হয়, এটি না করে ১৩ তারিখ থেকে সেগুলো খুলে ফেলা হোক। যেসব শিক্ষার্থী-শিক্ষক টিকা পায়নি অতিদ্রুত তাদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা হোক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এখন আর খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না। আর সমস্যা হলেও কোভিডের বর্তমান ধরন তো খুব একটা ভয়ংকর না। আক্রান্ত হলে বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নিতে পারছেন অনেকেই। তারপরও যদি কোনো জায়গায় বেশি সংক্রমণ হয়, সেখানে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের ব্যবস্থাপনায় সপ্তাহে দুয়েকদিন সীমিত পরিসরে শিক্ষাঙ্গন খোলা রাখা যেতে পারে। তবে দুয়েক জায়গার কারণে সারা দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া মোটেও ঠিক হবে না। বর্তমানে যেসব জায়গায় আক্রান্তের হার ৭-১০ শতাংশ, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা ঠিক হবে না।

করোনাকালীন ক্ষতি নিয়ে আপনার পরামর্শ কি?

ক্ষতিটা অনেকভাবে পুষিয়ে নেওয়া যায়। যেমন–অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে, ছুটির দিন কমিয়ে দিয়ে, অনলাইলে ক্লাস নিয়ে, সামনে রমজানে সারা মাস বন্ধ না রেখে প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা ক্লাস নেওয়া যেতে পারে এবং শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যেটা বুঝবে না, তা রাতের বেলা অনলাইন ক্লাস নিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এভাবে আমরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারি। তবে এর জন্য শিক্ষকদের প্রণোদনা দিতে হবে। প্রয়োজনে খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

করোনায় শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হয়েছে। মাত্র ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাস করতে পেরেছে, যারা বঞ্চিত হয়েছে তাদের বড় অংশ গ্রামাঞ্চলের। বৈষম্য নিরসনে আপনার মতামত কী?

বৈষম্য নিরসনে প্রথমে একটা দেশভিত্তিক জরিপ করতে হবে। কারা অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদের পারিবারিক অবস্থা যাচাই করতে হবে। তাদের তালিকাভুক্ত করে সরকারের উচিত হবে তাদের হাতে ইন্টারনেট সংযোগসহ ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোনের মত ডিভাইস পৌঁছে দেওয়া। তাতে হাজার কোটি টাকা ব্যয় হলেও তা করতে হবে। সারা দেশে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প, অসংখ্য মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে। ডিভাইস বিতরণটাকেও মেগা প্রজেক্ট হিসেবে ধরে কাজ করতে হবে। এটা হলে বৈষম্য অনেকটাই কেটে যাবে।

করোনায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে। এটা আমাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে আপনি মনে করেন কি?

আসলে যা হয়ে গেছে, তা নিয়ে ভাবা উচিত না; বরং কীভাবে ক্ষতি পুষিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। কোভিডে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে, ভবিষ্যতে এর প্রভাব বিরূপ হবে, শুধু এ রকম ভাবলে আমরা সামনে অন্ধকার দেখব। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আমাদের একবছর হারিয়ে গেছে; কিন্তু আমরা তো সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছি। বর্তমান সমস্যাও কাটিয়ে উঠব। তবে এ জন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও গতিশীল ও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। তবেই শিক্ষার্থীরা সক্রিয় থাকবে। ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্ছ্বাস থাকলে, উদ্যম এবং নিষ্ঠা থাকলে তিন বছরের কাজ এক বছরেই করা যাবে। এর আগে আমরা তার প্রমাণ পেয়েছি। শিক্ষকরা যদি আন্তরিক হোন, তাদের যথেষ্ট প্রণোদনা দিয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা যায়, শিক্ষার্থীরা গ্রুপ ওয়ার্ক করতে পারে, নিজেদের ল্যাপটপে ইন্টারনেট ঘুরে পাঠ্য বিষয়বস্তু আরও ভালোভাবে যেন নিতে পারে, তাহলে দ্রুতই সমস্যা কেটে যাবে। শিক্ষার্থীরা অদম্য। নিজেদের মতো করে কাজে লাগাতে পারলে তারা খুব ভালো করবে।

(চলবে)

এসএ/

শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Header Ad
Header Ad

সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান

ছবি: সংগৃহীত

নাসার পার্কার সোলার প্রোভ মহাকাশযান সূর্যের সবচেয়ে কাছে পৌঁছে সক্রিয় অবস্থায় থেকে ইতিহাস গড়েছে। সূর্যের চরম তাপ ও বিকিরণ সহ্য করে মহাকাশযানটি তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময়) এটি সূর্যের কাছাকাছি অবস্থান থেকে সংকেত পাঠিয়েছে।

সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৩৮ লাখ মাইল দূরত্বে পৌঁছেছে পার্কার সোলার প্রোভ। তুলনামূলকভাবে পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব প্রায় ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল। নাসা জানিয়েছে, এই মহাকাশযানটি সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে এবং এটি নিরাপদ রয়েছে।

সূর্যের কার্যপদ্ধতি, সৌরঝড়, এবং সূর্যের শক্তিকণা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য। সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল ‘করোনা’ কেন এত উত্তপ্ত, তা জানার জন্য বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালাচ্ছেন।

মহাকাশযানটি ১,৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৯৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রা সহ্য করেছে। এটি বিশেষ কার্বন ঢাল (১১.৫ সেন্টিমিটার) এবং তাপ সহনশীল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি। দ্রুত গতির জন্য এটি মহাকর্ষ বলকে কাজে লাগিয়ে তার গতি বাড়ায়। পার্কার সোলার প্রোভ এত দ্রুত চলে যে লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যেতে এর সময় লাগবে মাত্র ৩০ সেকেন্ড।

নাসার বিজ্ঞান গবেষণার প্রধান ড. নিকোল ফক্স বলেন, “সূর্যের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ না করলে এর প্রকৃতি ও কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে পুরোপুরি বোঝা সম্ভব নয়।” মহাকাশযানটি ইতিমধ্যেই সূর্যকে ২১ বার প্রদক্ষিণ করেছে এবং প্রতিবার আরও কাছে পৌঁছাচ্ছে।

বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য মহাকাশযানটিকে সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল ‘করোনা’-তে পাঠানো। করোনার উচ্চ তাপমাত্রার কারণ এবং সূর্যঝড়ের বিষয়ে নতুন তথ্য উদঘাটন করার প্রত্যাশা করছেন তারা।

ড. জেনিফার মিলার্ড বলেন, “করোনা এত উত্তপ্ত কেন তা আমরা এখনও পুরোপুরি জানি না। আশা করি, এই মিশন রহস্যের জট খুলে দেবে।”

সূর্য এবং তার কার্যক্রম সম্পর্কে নতুন তথ্য সংগ্রহে পার্কার সোলার প্রোভ যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে। এটি বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের গবেষণাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

Header Ad
Header Ad

বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‌‘বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়িয়েছে। একইসাথে ব্যাংক সেক্টরও আস্তে আস্তে সচল করছে। কিন্তু জাতির প্রত্যাশা আরও অনেক বেশি।’ তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির চাকাকে আরও গতিশীল করতে সরকারকে আরও বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় যশোর ঈদগাহ ময়দানে যশোর জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক ও মাওলানা আজীজুর রহমান, জামায়াতের ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও নড়াইল জেলা শাখার আমিরসহ যশোর জেলা জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘দেশকে নাকি তারা উন্নয়নের মহাসড়কে উঠিয়ে রোল মডেল বানিয়েছিল। অথচ এখন চারদিকে হাহাকার। মিল, ফ্যাক্টরি, ইন্ডাস্ট্রির মালিকরা তাদের কর্মচারিদের বেতন দিতে পারছে না। সরকারি ইন্ডাস্ট্রি সব লেআউট হয়ে পড়ে আছে। সৎ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা লাটে ওঠার উপক্রম। ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদের পুঁজি দিতে পারছে না। সমস্ত ব্যাংক ফোকলা করে পেট খালি করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে।’

প্রধান অতিথি বর্তমান সরকারের রিজার্ভ বাড়ানো ও ব্যাংক সেক্টরকে সচল করার প্রশংসা করলেও নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্য ও সিন্ডিকেট বিদ্যমান থাকার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘বাজারে এখন আগুন, মানুষ পেট ভরছে আগুন দিয়ে’। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আগের সিন্ডিকেটগুলো এখনও ভাঙতে পারেনি সরকার। ক্ষেত্রবিশেষে সিন্ডিকেটের হাত বদল হয়েছে। একজন চাঁদাবাজি করে পেট ভরে পালিয়ে গেছে। আবার কেউ এসে চাঁদাবাজিতে লেগে যাক সেটা আমরা চাই না। কিন্তু দেশ এখনও চাঁদাবাজমুক্ত, দখলদারমুক্ত, জুলুমমুক্ত হয়নি।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘নাগরিকদের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান নয়, সমতা নয়, ভারসাম্যপূর্ণ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে জামায়াত।’ তিনি বলেন, ‘অধিকারের জন্য কাউকে হাহাকার করতে হবে না। বিচার বিভাগের মেরুদণ্ড সোজা করে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকেও দ্বিতীয় কোন চোখে দেখবে না সেই বিচারবিভাগ। ইনসাফ কায়েম করতে পারলে কাউকে অধিকার চাইতে হবে না। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হবে খুঁজে খুঁজে যার যার দায়িত্ব তার তার কাছে পৌঁছে দেওয়া।’

দেশের ভেঙে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে শিক্ষা ব্যবস্থার। মাস্টার্স পাশের সার্টিফিকেট নিয়ে যুবক-যুবতীরা দ্বারে দ্বারে চাকরির জন্য ঘুরছে, কিন্তু চাকরি পাচ্ছে না। শিক্ষার যে নৈতিক মান হওয়া, তা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে একেবারে বিদায় নিয়েছে।’

স্বৈরাচার হটানো আন্দোলনে সকল দলের শহীদ, পঙ্গু হয়ে যাওয়া, জেল খাটা ও মামলার শিকার হওয়া সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের দুই হাজারেরও বেশি সন্তান বুকের তাজা রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে আমাদের উন্মুক্ত পরিবেশ দিয়ে গেছে। তাদের রক্তের সাথে যেন আমরা বেইমানী, বিশ্বাসঘাতকতা, গাদ্দারি না করি। তারা বৈষম্য, দুঃশাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ দিয়েছে। এখন যদি একই কাজ কেউ করেন, নিঃসন্দেহে তারা ঘৃণিত ও নিন্দিত হবে।’

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে এক জটিল রাজনৈতিক সময় পার করছে। এই সময়ে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণে রাজনৈতিক কাঠামো এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণতন্ত্রের উপযোগী করতে হবে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষি ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন, জাতীয় সংলাপ ২০২৪’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় আমাদের বারবার বলতে হচ্ছে, ‘এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে।’ কারণ, গণতন্ত্র চর্চা ছাড়া গড়ে ওঠে না। ১৯৭১ সালের সংগ্রাম এবং পরবর্তী গণতান্ত্রিক লড়াইগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগোতে হবে।”

তিনি অভিযোগ করেন, “২০১২ সাল থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামে বিএনপি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। আমাদের হাজারো নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন, গুম হয়েছেন এবং হত্যা করা হয়েছে। তবুও আমরা থেমে নেই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমরা এখনও সোচ্চার।”

সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই সংস্কারের পক্ষে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয় যে ‘বিএনপি সংস্কার চায় না,’ তা সম্পূর্ণ ভুল। আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার চাই এবং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনই হচ্ছে মূল দরজা। ১৯৯৬ সালের কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তারই উদাহরণ।”

তৃণমূল থেকে রাজনীতিতে উঠে আসার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক তাত্ত্বিক নই। আমি মাঠ পর্যায়ে কাজ করে তৃণমূলের মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করেছি। জনগণকে বাদ দিয়ে কোনো উন্নয়ন বা পরিবর্তন সম্ভব নয়।”

অতীতের সংগ্রামের গুরুত্ব তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং তারপরে গণতান্ত্রিক লড়াইগুলোর আত্মত্যাগের কথা ভুলে গেলে চলবে না। সেই ঐতিহাসিক আন্দোলনের চেতনা ধারণ করেই আমাদের ভবিষ্যতের পথ রচনা করতে হবে।”

তিনি জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের সঙ্গেই সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। জনগণই সব পরিবর্তনের মূল শক্তি।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান
বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল
সংবিধান সংস্কারে রাজনৈতিক দলের সংকল্প জরুরি: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত সবাই একই পরিবারের
ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬৩ বাংলাদেশি: অপরাধীদের ধরতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল
মাহফিলে আজহারী উঠবেন রাতে, দুপুরেই ভরে গেছে ময়দান
ইসরায়েলি হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ডব্লিউএইচও প্রধান
থাইল্যান্ডে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশিকে পাওয়া গেল থাই নারীর সঙ্গে হোটেলে  
হাসিনার দোসররা সচিবালয়ে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিকাণ্ড করেছে: শাকিল উজ্জামান
ভারতে ইসকন মন্দিরে চিন্ময়ের আইনজীবীর বৈঠক
ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: ড. মুহাম্মদ ইউনূস  
নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়ার আইনগত কোনো বাধা নাই
বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেল প্রাইভেটকার, নিহত ৫  
পাঁচ সাংবাদিক বরখাস্তের জন্য সরকার দায়ী নয়: প্রেস সচিব শফিকুল আলম
জাহাজে ছেলে খুন, পুত্রশোকে বাবার মৃত্যু
ক্রীড়া উপদেষ্টা আপাতত ক্রীড়া পরিষদে অস্থায়ী অফিস করবেন