বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শিক্ষাব্যবস্থার সংকট ও উত্তরণের উপায় (প্রথম পর্ব)

শিক্ষার্থীদের নিষ্ঠা থাকলে তিন বছরের কাজ এক বছরেই করা যাবে

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, দেশের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান সংকটসহ সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সম্প্রতি তার সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের। সেখানে তিনি এ থেকে উত্তরণের পথও তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শেহনাজ পূর্ণা। আজ প্রকাশিত হলো বিশেষ সাক্ষাৎকারটির প্রথম পর্ব

করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে আপনার মন্তব্য কি এবং এর দায় কার?

করোনাভাইরাস নিঃসন্দেহে মরণঘাতি, যা সারা বিশ্বের মতো দক্ষিণ এশিয়ায়ও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশে এর অভিঘাত বেশি হওয়ার কারণ–দেশটি খুব ঘনবসতিপূর্ণ। প্রথমদিকে সবারই ধারণা ছিল এটি বেশিদিন থাকবে না। করোনাভাইরাস চলে যাবে এমন ভাবনা থেকেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল। এ নিয়ে এখন কোনো অভিযোগ আনার কারণ নেই। শিক্ষাব্যবস্থাকেও দোষ দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করার আগে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে স্কুল খোলা রাখা বিপজ্জনকই ছিল। যেসব দেশ দ্রুত টিকা দিয়েছে, তারা দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পেরেছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের তেমন কিছু করার ছিল না। যা হয়ে গেছে বা যে সময় চলে গেছে, তা নিয়ে হতাশ না হয়ে–কী করা যেত, কতটা করা যেত এসব আলোচনায় না গিয়ে সম্মিলিতভাবে সে ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে হবে।

দুই বছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে আপনার মতামত জানতে চাই।

৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা নেই। ইউনিসেফ বলছে যতকিছুর বিনিময়ে হোক সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হোক। আমরা ভেবেছিলাম ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে এবং এরপর আর বন্ধ হবে না। এখন দেখা যাচ্ছে, সেই তারিখ পিছিয়ে ২০-২২ ফেব্রুয়ারি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমার মনে হয়, এটি না করে ১৩ তারিখ থেকে সেগুলো খুলে ফেলা হোক। যেসব শিক্ষার্থী-শিক্ষক টিকা পায়নি অতিদ্রুত তাদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা হোক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এখন আর খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না। আর সমস্যা হলেও কোভিডের বর্তমান ধরন তো খুব একটা ভয়ংকর না। আক্রান্ত হলে বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নিতে পারছেন অনেকেই। তারপরও যদি কোনো জায়গায় বেশি সংক্রমণ হয়, সেখানে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের ব্যবস্থাপনায় সপ্তাহে দুয়েকদিন সীমিত পরিসরে শিক্ষাঙ্গন খোলা রাখা যেতে পারে। তবে দুয়েক জায়গার কারণে সারা দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া মোটেও ঠিক হবে না। বর্তমানে যেসব জায়গায় আক্রান্তের হার ৭-১০ শতাংশ, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা ঠিক হবে না।

করোনাকালীন ক্ষতি নিয়ে আপনার পরামর্শ কি?

ক্ষতিটা অনেকভাবে পুষিয়ে নেওয়া যায়। যেমন–অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে, ছুটির দিন কমিয়ে দিয়ে, অনলাইলে ক্লাস নিয়ে, সামনে রমজানে সারা মাস বন্ধ না রেখে প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা ক্লাস নেওয়া যেতে পারে এবং শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যেটা বুঝবে না, তা রাতের বেলা অনলাইন ক্লাস নিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এভাবে আমরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারি। তবে এর জন্য শিক্ষকদের প্রণোদনা দিতে হবে। প্রয়োজনে খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

করোনায় শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হয়েছে। মাত্র ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাস করতে পেরেছে, যারা বঞ্চিত হয়েছে তাদের বড় অংশ গ্রামাঞ্চলের। বৈষম্য নিরসনে আপনার মতামত কী?

বৈষম্য নিরসনে প্রথমে একটা দেশভিত্তিক জরিপ করতে হবে। কারা অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদের পারিবারিক অবস্থা যাচাই করতে হবে। তাদের তালিকাভুক্ত করে সরকারের উচিত হবে তাদের হাতে ইন্টারনেট সংযোগসহ ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোনের মত ডিভাইস পৌঁছে দেওয়া। তাতে হাজার কোটি টাকা ব্যয় হলেও তা করতে হবে। সারা দেশে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প, অসংখ্য মেগা প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে। ডিভাইস বিতরণটাকেও মেগা প্রজেক্ট হিসেবে ধরে কাজ করতে হবে। এটা হলে বৈষম্য অনেকটাই কেটে যাবে।

করোনায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে। এটা আমাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে আপনি মনে করেন কি?

আসলে যা হয়ে গেছে, তা নিয়ে ভাবা উচিত না; বরং কীভাবে ক্ষতি পুষিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। কোভিডে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে, ভবিষ্যতে এর প্রভাব বিরূপ হবে, শুধু এ রকম ভাবলে আমরা সামনে অন্ধকার দেখব। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আমাদের একবছর হারিয়ে গেছে; কিন্তু আমরা তো সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছি। বর্তমান সমস্যাও কাটিয়ে উঠব। তবে এ জন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও গতিশীল ও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। তবেই শিক্ষার্থীরা সক্রিয় থাকবে। ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্ছ্বাস থাকলে, উদ্যম এবং নিষ্ঠা থাকলে তিন বছরের কাজ এক বছরেই করা যাবে। এর আগে আমরা তার প্রমাণ পেয়েছি। শিক্ষকরা যদি আন্তরিক হোন, তাদের যথেষ্ট প্রণোদনা দিয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা যায়, শিক্ষার্থীরা গ্রুপ ওয়ার্ক করতে পারে, নিজেদের ল্যাপটপে ইন্টারনেট ঘুরে পাঠ্য বিষয়বস্তু আরও ভালোভাবে যেন নিতে পারে, তাহলে দ্রুতই সমস্যা কেটে যাবে। শিক্ষার্থীরা অদম্য। নিজেদের মতো করে কাজে লাগাতে পারলে তারা খুব ভালো করবে।

(চলবে)

এসএ/

শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত