মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রশ্নফাঁসের দুই মামলায় আরও একাধিক ব্যক্তির সন্ধানে গোয়েন্দারা

প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের অধীন ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের অডিটর পদে নিয়োগের প্রশ্ন ফাঁসের মূলহোতা সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দীকি। গত ৮ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন সরকারি প্রশ্নফাঁসে জড়িত ছিলেন। সেই ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দিয়ে তার নিকট আত্মীয়-স্বজদের চাকরিরও ব্যবস্থা করিয়েছেন। আবার বিক্রি করে উপার্জন করেছেন কাড়িকাড়ি টাকা। করেছেন বাড়ি-গাড়ি।

এই চক্রে রয়েছেন শিক্ষক-জনপ্রতিনিধিসহ একাধিক রাঘববোয়াল। এ ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলার তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে আরও একাধিক ব্যাক্তির সন্ধানে নেমেছে গোয়েন্দারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড সাবেক সেনা ওয়ারেন্ট অফিসার নোমান সিদ্দীকি। তিনি এক সময় র‌্যাবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৪ সালে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর প্রশ্ন ফাঁসে জড়িয়ে পড়েন। সেখান থেকে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জন করেছেন। একই সাথে তার আত্মীয় স্বজনদেরও চাকরির ব্যবস্থা করেছেন ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দিয়ে। তদবির বানিজ্য করেও কামিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। সম্প্রতি তিনি তার চক্রে আরও একাধিক সদস্যকে যুক্ত করেন। এরমধ্যে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত একজন শিক্ষকও রয়েছেন।

তিনি জানান, ৮ বছরে নোমান একাধিক ব্যাক্তিকে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। তাদের একটি তালিকা পাওয়া গেছে। এছাড়া তিনি আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টদের মতে, এ ঘটনায় পলাতক এনটিআরসিএ-তে শিক্ষক হিসাবে নিবন্ধন পাওয়া ফারুকের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় ছিলো মাহবুবা নাসরীন রুপার। তিনি বগুড়ার ধুপচাঁচিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান। একই সাথে ইডেন কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী। বিভিন্ন সময়ে রাজনীতিতে সময় পার করে দেওয়ার কারনে তার সরকারী চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছিলো। সম্প্রতি তিনি সরকারি চাকরির জন্য বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। এক পর্যায়ে ফারুকের মাধ্যেমে পরিচয় হয় নোমান সিদ্দীকির সাথে। সেই সূত্রধরে আরও কিছু পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করেন রুপা। ওইসব পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে নেওয়া হয় ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা। সর্বমোট ১৮জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে নেওয়া টাকা বিকাশ ও রকেটে লেনদেনের বিষয়টি অস্বাভাবিক হওয়ায় নজরে আসে গোয়েন্দাদের। এরপর তারা নজরদারী শুরু করলে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

এরপর গত ২১ জানুয়ারী কাফরুল থানার শেনপাড়া পর্বতার ৪৯৮/৪ ভবনের এ/২ ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়। এসময় সেখান থেকে নোমান সিদ্দীকিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার বাসা ও দেহ তল্লাশি করে ৪টি মোবাইল ফোন সেট ও একটি ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। পরে সেখান থেকে ৬ পাতা অডিটর নিয়োগ পরীক্ষার ২০২২ এর পার্ট-১ এর এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের ফটোকপি পাওয়া যায়। একই সাথে একই পরীক্ষার ৮জন প্রার্থীর নামের তালিকা উদ্ধার করা হয়। ওই প্রার্থীরা হচ্ছেন- ফারদিন ইসলাম, লুৎফর রহমান, আমিনুল ইসলাম, সেলিম মাতবর, আহাদ খান, পারুল বালা, আকলিমা খাতুন ও মোরশেদ। একই সময় গ্রেপ্তার মাহমুদুল হাসান আজাদের দেহ তল্লাশি করে মফিজুর রহমান, পল্লব কুমার, হাসিবুল হাসান, সুরুজ আহম্মেদ নামে আরও ৪ জনের প্রবেশপত্র ও হাতে লেখা উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়।

একই অভিযানে গ্রেপ্তার নাইমুর রহমান তানজীর ও শহিদুল্লাহর কাছ থেকেও ফাঁস হওয়া প্রশ্নের উত্তরপত্র ও বিপুল পরিমান টাকা উদ্ধার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থাকা একাধিক বিকাশ ও রকেটের নাম্বারে লাখ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের সম্ভাবনা থেকেই পুলিশ নজরদারী বৃদ্ধি করে। এছাড়া প্রশ্ন ফাঁস হবে এমন তথ্যও ছিলো গোয়েন্দাদের হাতে। এ ধরনের আশঙ্কা থেকেই চক্রের সদস্যরা পুলিশের ফাঁদে পা দেয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার সাবেক সেনা সদস্য নোমানসহ কয়েকজনের নামে কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার চক্রের প্রধান আসামি নোমানের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার চর আলগিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মো. আবু তাহের মিয়া। প্রশ্ন ফাঁসের টাকায় তিনি ঢাকায় ও তার গ্রামের বাড়িতে অঢেল সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন। এ বিষয় গুলোও তদন্তে তুলে ধরা হবে। এ ঘটনার তার সাথে ছাপাখানার কেউ জড়িত আছে কি-না তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকেও কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

জানা গেছে, নোমান সিদ্দীকির বাসায় অভিযান শেষে পুলিশ বিজিপ্রেস স্কুলে অভিযান চালায়। সেখান থেকে পরীক্ষারত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান রুপাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের ম্যাসেঞ্জার থেকে হিরণ খান নামে এক ব্যাক্তির সঙ্গে কথপোকথনের প্রমান পাওয়া যায়। সেখানে প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়। এমনকি ফাঁস হওয়া প্রশ্নের কিছু উত্তরও পাওয়া যায়।

এরপর পুলিশ রুপার দেওয়া তথ্যমতে রমনা থানাধীন ৫৫/১ নিউ শাহীন হোটেলের ২৪ নাম্বার রুমে অভিযান চালায়। এরপর সেখান থেকে মো. আল আমিন আজাদ রনি, মো. রাকিবুল হাসান, মো. হাসিবুল হাসান ও নাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। এসময় ডিভাইসের মাধ্যেমে পরীক্ষা কেন্দ্রে অবস্থান করা পরীক্ষার্থীদের কাছে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সমাধান পাঠানো হচ্ছিলো। একই সাথে তাদের কাছ থেকেও একাধিক বিকাশ ও রকেটের সিম উদ্ধার করা হয়। ওইসব সিম দিয়েও মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, রমনার হোটেল থেকে গ্রেপ্তারকৃতদের নামে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় আসামি ৫জন। এছাড়া পলাতক হিসাবে আরও একাধিক ব্যাক্তির নামে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এসব বিষয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে এ মামলায় প্রশ্নফাঁসের রাঘব-বোয়ালদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

এরআগে, গত ২১ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও রমনার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গুলশান জোনের গোয়েন্দা বিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬ টি ইয়ার ডিভাইস, ৬ টি মাস্টার কার্ড মোবাইল সিম হোল্ডার, ৫ টি ব্যাংকের চেক, ৭ টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ১০ টি স্মার্ট ফোন, ৬ টি ফিচার মোবাইল ফোন, ১৮ টি প্রবেশপত্র ও চলমান পরীক্ষার ফাঁস হওয়া ৩ সেট প্রশ্নপত্র জব্দ করা হয়।

এনএইচ/এএস

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২

দুর্ঘটনা কবলিত ইজিবাইক। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সায়েম ইসলাম (১৬) নামে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীসহ দুই জন নিহত হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিরামপুর পৌর শহরের বিছকিনি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলার সাঁকোপাড়া গ্রামের মজিবরের ছেলে ইজিবাইক চালক নুরুজ্জামান হোসেন (৩৫) এবং একই উপজেলার সোনাকানি গ্রামের আনোয়ারের ছেলে ইফতেখার রহমান সায়েম ইসলাম (১৬) ও বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বিরামপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. মাজেদ আলী জানায়, বিকেলে কোচিং শেষে ইজিবাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার পৌর শহরের বিছকিনি এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থী সায়েম নিহত হন এবং আহত অবস্থায় ইজিবাইকের চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ঘাতক কাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে যায়।আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে ইউএসএআইডির মাধ্যমে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের দাবি করেছেন। তবে, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছে।

সোমবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২৯ মি‌লিয়ন নি‌য়ে ট্রাম্পের এ অ‌ভিযোগ সত্য নয় বলে দা‌বি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প 'স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রকল্পটি নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন যা নিয়ে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করেছে।

অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইউএসএআইডি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালকে (ডিআই) নির্বাচিত করে। প্রকল্প প্রস্তাবনা আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়ে ইউএসএআইডি সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে। ২০১৭ সালের মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিআই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। পরে প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় এবং এর অর্থ আসে ধাপে ধাপে।

শুরুতে এসপিএল প্রকল্পটি ছিল ৫ বছর মেয়াদি এবং বাজেট ১৪ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনায় ছিল ইউএসএআইডি এবং অর্থায়নে ছিল ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি (বর্তমানে এফসিডিও)। এই প্রকল্পে ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।

এসপিএল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল-রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করে শান্তি ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি, দলগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার উন্নয়ন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্বের বিকাশে উৎসাহ প্রদান। প্রকল্পের অধীনে ডিআই বাংলাদেশে জরিপ কার্যক্রমও পরিচালনা করে।

উল্লেখ্য, ইউএসএআইডির প্রকল্পের ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি অনুসরণ করাটা বাধ্যতামূলক। এতে আর্থিক নিরীক্ষার প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার কয়েক বছর পরও এ-সংক্রান্ত নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়। প্রয়োজনে পুনর্নিরীক্ষা করা হয়।

অনুসন্ধান থেকে দেখা যায় যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে এসপিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। তাই এটি বাংলাদেশের দুইজন ব্যক্তির মালিকানাধীন কোনো সংস্থাকে প্রদান করার অভিযোগটি সত্য নয়। বস্তুত এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের কোনো কিছু করার ক্ষমতা থাকে না।

Header Ad
Header Ad

অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১১৭ ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৭ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বদলি করা কর্মকর্তাদের ১৯ মার্চের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। না হলে পরদিন থেকে তাদের তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) হিসেবে গণ্য করা হবে।

সরকার পতনের পর পুলিশ বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় এর আগেও কয়েক দফায় বড় রদবদল হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ২০ নভেম্বর আগের পুলিশ প্রধান মো. ময়নুল ইসলামকে সরিয়ে নতুন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব দেয় বাহারুল আলমকে।

নতুন আইজিপি দায়িত্বে আসার পর বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় আরেকটি আদেশ এলো।

এসব কর্মকর্তাকে ডিএমপি, এসবি, সিআইডি, র‌্যাব, জেলা পুলিশ, পুলিশ সদর দপ্তর, পিবিআই, এপিবিএন ও ট্যুরিস্ট পুলিশে বদলি করা হয়েছে।

বদলি কর্মকর্তাদের নামের তালিকা ১ ও তালিকা ২ দেখতে ক্লিক করুন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি
সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা
ছয় মাসে ১০ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক
জাতিসংঘকে শাপলা চত্বর ও সাঈদীর রায়কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করার অনুরোধ
নুর ভাই নিজেই তার দল বিলুপ্ত করে আমাদের সাথে যুক্ত হতে আগ্রহী: হান্নান মাসউদ
দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় ছয়জন গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে সালিশি বৈঠকে সংঘর্ষ, ৭০ দোকান ভাঙচুর, থমথমে পরিস্থিতি
শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নতুন নাম ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড
২০৩০ দশকে এআই মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করতে পারে: ইলন মাস্ক
দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত, আক্রান্ত ৫
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নতুন নাম বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১
দল না পাওয়া সেই আজিঙ্কা রাহানে কেকেআরের নতুন অধিনায়ক
ওএসডি হলেন দেশের ২৯ সিভিল সার্জন
উপদেষ্টা হিসেবে ফারুকী ঠিক আছেন: প্রিন্স মাহমুদ
খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে: প্রেস সচিব
প্রাথমিকের ৬৫৩১ শিক্ষক নিয়োগে কোনো বাধা নেই: আপিল বিভাগ
ভোক্তা পর্যায়ে কমলো এলপি গ্যাসের দাম