সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৩ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৩ বছর বন্ধ শাহজালালের কনকোর্স হল, দুর্ভোগে যাত্রী ও স্বজনরা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ কনকোর্স হল বন্ধ ৩ বছর ধরে। করোনার কারণে বন্ধ হওয়া কনকোর্স হল করোনা কেটে গেলেও খুলে দেওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তাই সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও স্বজনরা।

বিদেশগামী ও আগমনী যাত্রীর স্বজনদের জন্য ৩০০ টাকার বিনিময়ে কনকোর্স হল থেকে তাদের স্বজনদের অভ্যর্থনা ও বিদায় জানানোর সুযোগ থাকলেও গত প্রায় তিন বছর এটি বন্ধ রয়েছে। অথচ প্রতিদিন এ বিমানবন্দর দিয়ে অন্তত ২০ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। আর যাত্রীর সঙ্গে সর্বনিম্ন অন্তত ২/৩ জন স্বজন থাকেন। সেক্ষেত্রে বিমানবন্দরে প্রায় ৪০/৫০ হাজার লোকের সমাগম ঘটে।

কনকোর্স চালু থাকলে যাত্রীর স্বজনরা তাদের নির্ধারিত ব্যক্তিদের সহজেই রিসিভ করে বাইরে আনতে পারতেন। আর এটি বন্ধ থাকার কারণে খুঁজে স্বজনদের পাওয়াই কষ্টকর হয়ে যায়। এছাড়াও ঘন্টার পর ঘন্টা যাত্রীর স্বজনদের অপেক্ষা করতে হয় বাইরে প্রখর রোদে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, কনকোর্স হল খুলে দেওয়ার এখনো পরিকল্পনা হয়নি। পরিকল্পনা হলে জানতে পারবেন।

কামরুল ইসলাম আরও বলেন, এই মুহূর্তে দর্শনার্থীদের জন্য বিমানবন্দরের হলটি খোলার কোনো পরিকল্পনা নেই। বিভিন্ন জেলা থেকে বিমানবন্দরে যাত্রীদের অভ্যর্থনা জানাতে আসা স্বজনদের বসার জন্য বিকল্প পরিকল্পনা রয়েছে। বিমানবন্দরের সামনে ছোট পরিসরে কয়েকটি ছাউনি তৈরি করা হবে।

কামরুল ইসলাম আরও জানান, যাত্রী ও স্বজনদের সুবিধার্থে বিমানবন্দরের কাছেই নিরাপদ ও মনোরম পরিবেশে একটি আবাসিক হোস্টেল নির্মাণ করেছে ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ড। সেখানে একজন যাত্রী মাত্র ২০০ টাকার বিনিময়ে নিরাপদে রাত্রীযাপন থাকতে পারবেন। যাত্রীরা সময়মতো ফ্লাইট ধরতে আগের দিন এসে এখানে অবস্থান করতে পারবেন।

বিমানবন্দরে দায়িত্বপালনকারী এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক পলাশ বলেন, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ যদি কনকোর্স হল খুলে দেয় সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার কোন সংকট হবেনা বলে মনে করি। আমরা শতভাগ নিরাপত্তা বিধানে প্রস্তুত রয়েছি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বন্ধ করে দেওয়া হয় দর্শনার্থী সম্মেলনের কনকোর্স হল। এরপর প্রায় তিন বছর হতে চললেও এখনও খোলা হয়নি হলটি। যাত্রীর বা স্বজনদের জন্য বিমানবন্দরে করা হয়নি কোনো বসার ব্যবস্থাও।

যাত্রীর স্বজনরা জানান, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলেও যাত্রীর স্বজনদের জন্য বসার ব্যবস্থা নেই। এতে রোদ-বৃষ্টি কিংবা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।

তাদের দাবি, বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখলেও প্রবাসী কিংবা তাদের স্বজনদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। বিমানবন্দরে বসার জায়গাও নেই। নানাভাবে হয়রানির অভিযোগও তাদের।

প্রবাসী মোতালেব জানান, তিনি দুবাইয়ের একটি বাগানে কাজ করেন। গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলায়। দুই মাসের ছুটি শেষে কাজের জন্য আবার দুবাই রওনা হয়েছেন। বিমানবন্দর বহির্গমন কনকোর্স হল পর্যন্ত এসে তাকে বিদায় জানান স্বজনরা। কিন্তু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল পর্যন্ত যেতেই গেটে আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের বাধা। প্রিয়জনকে বিদায় জানাতে টার্মিনালের গেট কিংবা টিকিট কেটে কনকোর্স হলে যেতে পারেননি স্বজনেরা।

বিমানবন্দরে আসা এক যাত্রীর স্বজন জরিনা বেগম জানান, মালয়েশিয়া থেকে তার ছেলে আসবেন। গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায়। সকাল সাড়ে ১১টায় মালয়েশিয়ার একটি ফ্লাইটে বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা। সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ছেলের দেখা পাননি।

দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরছেন টাঙ্গাইলের রোকেয়া খাতুনের স্বামী প্রবাসী আওলাদ হোসেন। তার জন্য রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন রোকেয়াসহ কয়েক স্বজন। কিন্তু কোথাও বসার জায়গা নেই। তাই প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে তারা অবস্থান নেন বিমানবন্দরের গাড়ি পার্কিং এলাকার একটি বটগাছের নিচে।

শুধু আওলাদের স্বজনরাই নন, নিত্যদিন এমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিমানবন্দরে আসা প্রবাসীদের স্বজনরা।

বিমানবন্দরে যাত্রী নিতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, তিনি তার এক ভাইকে রিসিভ করতে এসেছেন। তার ভাই সৌদি আরব থেকে ৫ বছর পর দেশে আসছেন। সে কোন গেট দিয়ে বেরুবে তা তিনি বুঝতে পারছেন না।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, যদি আগমনীর ক্যানোপিতে দর্শনার্থী প্রবেশ উন্মুক্ত থাকতো তাহলে তিনি ভেতরে যেতে পারতেন। তার ভাইকে সহজেই নিয়ে আসতে পারতেন। কিন্তু বন্ধ থাকার ফলে তারা গ্রাম থেকে ২ জন এসেছেন। তিনি রয়েছেন টার্মিনাল-১ এ আর তার আরেক আত্নীয় রয়েছেন টার্মিনাল-২ এ। পরে টার্মিনাল-১ থেকে তাদের ভাইকে পেয়ে বাসায় নিয়ে যান।

যাত্রীর স্বজনদের অভিযোগ, অনেক স্বল্প-শিক্ষিত ব্যক্তি বিদেশ যাচ্ছেন কিংবা বহু বছর পর দেশে আসছেন। তারা কিভাবে যাবেন, কোন দিক দিয়ে আসবেন এসব কিছু ভালোভাবে বুঝতে পারেন না। এ কারণে ভেতরে প্রবেশের যে সুবিধা সেটি পুনরায় চালু করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। দেশি যাত্রীদের পাশাপাশি যারা বিদেশি যাত্রী রয়েছেন তারাও পড়ছেন নানা সমস্যায়। কনকর্স হল খোলা থাকলে বিভিন্ন হোটেলের প্রতিনিধিরা বিদেশি অতিথিদের নামের কাগজ নিয়ে গ্রিন চ্যানেলের বাইরে থাকতেন। নাম দেখে ওই যাত্রী নির্দিষ্ট লোকের সঙ্গে দেখা করে তার ঠিকানায় চলে আসতে পারতেন। কিন্তু বর্তমানে এই সুবিধা না থাকায় তারাও পড়ছেন নানা সমস্যায়।

এতো গেলো দেশের বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের সমস্যা। বহির্গমনের ক্ষেত্রেও নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। দেখা যাচ্ছে অনেক বয়স্ক যাত্রী তাদের লাগেজ নিয়ে কাউন্টার পর্যন্ত যেতে পারছেন না। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসার মতও কেউ নেই। অথচ বহির্গমন কনকর্স হল খোলা থাকলে বৃদ্ধ ও রোগীদের সাহায্যার্থে আসা ব্যক্তি ক্যানোপি পর্যন্ত যেতে পারতেন। বর্তমানে এই সুবিধাও বন্ধ।

যাত্রী ও তাদের স্বজনরা বলছেন, এমনিতেই তারা বিমানবন্দরে আসছেন। ক্যানোপির বাইরে অবস্থান করছেন। এক্ষেত্রে যদি নিরাপত্তার সমস্যা না হয় তবে ক্যানোপির ভেতরে কি সমস্যা। যখন একটি লোক ক্যানোপির ভেতরে প্রবেশ করবেন তাকে যথাযথ তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করালে সমস্যা কোথায়। দেশের বাইরে অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোতে এই সমস্যা নেই। অথচ আমাদের বিমানবন্দরে এই সমস্যা। তারা দ্রুত কনকর্স হলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

স্বজনরা জানান, বর্তমানে করোনা সংকট কেটে গেছে। এছাড়াও ভেতরে প্রবেশের সময় শতভাগ চেকিং এমনকি আর্চওয়ে গেট পার হয়েই ভেতরে যেতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি যে রয়েছে সেটিও শতভাগ সম্পন্ন হচ্ছে। পাশাপশি ভেতরে ঢুকতে টাকাও পাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আয়েরও একটি ব্যবস্থা হচ্ছে। তাই দ্রুত খুলে দেয়ার দাবি তাদের।

এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক পলাশ বলেন, এটি সম্পূর্ণ সিভিল এভিয়েশনের এখতিয়ার। তারা যা ভালো মনে করবেন সেটিই করবেন। আমাদের নিরাপত্তার যে বিষয়টি আছে আমরা সেটি শতভাগ পালন করছি।

আরইউ/এএস

Header Ad
Header Ad

পুলিশের শতকরা ৮০ জনের হৃদয়ে ছাত্রলীগ: আসিফ নজরুল

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, বর্তমান পুলিশের শতকরা ৮০ জনই আওয়ামী আমলের, যাদের হৃদয়ে ছাত্রলীগ। তারাই এ সরকারের জন্য কাজ করছে না।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে চারটি বইয়ে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, বিপ্লব পরবর্তী কিছু সমস্যা থাকে। তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে সরকার। গণঅভ্যুত্থান নিয়ে সকলের মধ্যে যে ঐক্য ছিল, সেই ঐক্য আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন আসিফ নজরুল।

এর আগে, সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে বিএনপির সঙ্গে গণঅভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের কোনো দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝি কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেন আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের কোনো দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝি কাম্য নয়। এটি গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তাদের দোসরদের কতটা উৎসাহিত এবং বেপরোয়া করে তুলতে পারে তার কিছুটা প্রমাণ আমরা গত কয়েক দিনে পেয়েছি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, তিনি যতটা জানেন এবং বিশ্বাস করেন— বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত নয় এবং তারা ১/১১ ধরনের কিছু করতে চাচ্ছে না, ছাত্রনেতারা সরকারের অংশ হিসেবে কোনো নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছে না বা এতে যোগ দিচ্ছে না, জুলাই ঘোষণাপত্র একটি রাজনৈতিক দলিল হবে এবং ছাত্রনেতারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তির মতামত সঠিকভাবে প্রতিফলিত করার জন্য চেষ্টা করছেন এবং বিএনপি এবং ছাত্রনেতারা এমনকি নির্বাচন কেন্দ্রিক বৃহত্তর সমঝোতার ব্যাপারে আগ্রহী, তবে সেটি আলোচনা সাপেক্ষে। এর অর্থ হলো, বিরোধের কোনো কারণ নেই, বরং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আসিফ নজরুল আরও বলেন, গণহত্যায় জড়িতদের হাতে রয়েছে লুটপাট করা বিপুল পরিমাণ টাকা, অনেক সুবিধাবাদী গোষ্ঠী, শক্তিশালী প্রচারণা নেটওয়ার্ক এবং শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সমর্থন। তাদের বিরুদ্ধে যদি কিছু করতে হয়, তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্রদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের মধ্যে ভিন্নমত থাকবে, তবে তা যেন দেশের শত্রুদের জন্য উৎসাহের কারণ না হয়।

Header Ad
Header Ad

৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদের পদত্যাগ এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) শেষ রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের সংগঠক আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, বিচারের আগে কোনো ধরনের পরীক্ষা হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বৈরাচারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ৭ কলেজকে ঢাবির অধিভুক্তি থেকে বাতিল করে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলাম।

তিনি বলেন, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি ছিল আমাদের। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তা করেনি। উল্টো ধারণক্ষমতার চেয়েও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এসব নিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি। সবশেষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-ভিসি (শিক্ষা) আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন। এর প্রতিবাদে গণতন্ত্র ও মুক্তি তোরণের নিচে অবস্থানকালে ঢাবি শিক্ষার্থী ও পুলিশ সম্মিলিতভাবে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।

৭ কলেজকে নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করতে হবে, এমন দাবি জানিয়ে আব্দুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-ভিসি মামুন আহমেদের বিচার করতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার সকাল ৯টা থেকে ঢাকা শহর অবরোধ করা হবে। সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাস এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করবেন।

Header Ad
Header Ad

ছাদের কার্নিসে ঝুলে থাকা শিক্ষার্থীকে গুলি, সেই এসআই চঞ্চল গ্রেপ্তার

শিক্ষার্থীকে গুলি করা পুলিশের সেই উপপরিদর্শক (এসআই) চঞ্চল সরকার। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় ছাদের কার্নিসে ঝুলে থাকা শিক্ষার্থীকে গুলি করা পুলিশের সেই উপপরিদর্শক (এসআই) চঞ্চল সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের হোতাকে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা থেকে আসা পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তানভীর হাসান জোহার নেতৃত্বে একটি টিম দীঘিনালায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

দীঘিনালা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া এসআই চঞ্চল সরকারকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি করেছেন। তিনি জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে দীঘিনালা থানা থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ তাকে আটক করে। আটকের পর রাতেই তাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জুলাই আন্দোলনে মৃত্যুর ভয়ে ৪ তলার কার্নিশে ঝুলে থাকা কিশোরকে ঠাণ্ডা মাথায় খুব কাছ থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে হত্যা করে দুই পুলিশ।

রামপুরা-বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজারে অবস্থিত রামপুরা থানার পার্শ্ববর্তী নির্মাণাধীন বিল্ডিং-এ পুলিশের গুলিতে টিকতে না পেরে কিশোর ছেলেটি থানার পাশেই মেইনরোড সংলগ্ন একটি নির্মাণাধীন ৪তলা ভবনে উঠে যায়। সবাই চলে যেতে পারলেও এই কিশোর ওই ভবনে আটকা পড়ে যায়। ৪ তলার ছাদের সাইড দিয়ে নেমে সে নিজেকে লুকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাকে দেখেই দুই পুলিশ রিভলভার দিয়ে পর পর ছয় রাউন্ড গুলি করে ওই কিশোরের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর গত ৭ নভেম্বর এসআই চঞ্চল সরকার দীঘিনালা থানায় যোগদান করেন। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পুলিশের শতকরা ৮০ জনের হৃদয়ে ছাত্রলীগ: আসিফ নজরুল
৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি
ছাদের কার্নিসে ঝুলে থাকা শিক্ষার্থীকে গুলি, সেই এসআই চঞ্চল গ্রেপ্তার
সাত কলেজের সব পরীক্ষা স্থগিত
আজ পবিত্র শবে মেরাজ
মধ্যরাতে ঢাবি ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ৮
সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান গ্রেপ্তার
রয়্যাল এনফিল্ড কিনে না দেয়ায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ কিশোরের!
রংপুরের টানা দ্বিতীয় হার, রাজশাহীর নাটকীয় জয়
সায়েন্সল্যাব ও টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করেছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা
আসাদুজ্জামান খান কামাল বাংলাদেশের কসাই: প্রেস সচিব
পুলিশের সংখ্যা পর্যাপ্ত, কিন্তু মনোবলের ঘাটতি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশে আসছে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড যাচ্ছেন বাংলাদেশি রোগীরা, কলকাতার হাসপাতাল ব্যবসায় ধস
২৫ দিনে এলো ২০৪৪৭ কোটি টাকার প্রবাসী আয়
বেতন-ভাতায় না পোষালে অন্য পেশায় চলে যান: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
অ্যাডভোকেট তপন বিহারী নাগ ট্রাস্ট বৃত্তি পেলেন কুবির ৩০ শিক্ষার্থী
নির্বাচনের কথা বললে উপদেষ্টাদের মুখ কালো হয়ে যায়: মেজর হাফিজ
পদ্মশ্রী পাচ্ছেন সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিং
‘মাকে খুশি করতে’ শিক্ষার্থী সেজে রাবিতে ক্লাস, চার মাস পর আটক