সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

৩ বছর বন্ধ শাহজালালের কনকোর্স হল, দুর্ভোগে যাত্রী ও স্বজনরা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ কনকোর্স হল বন্ধ ৩ বছর ধরে। করোনার কারণে বন্ধ হওয়া কনকোর্স হল করোনা কেটে গেলেও খুলে দেওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তাই সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও স্বজনরা।

বিদেশগামী ও আগমনী যাত্রীর স্বজনদের জন্য ৩০০ টাকার বিনিময়ে কনকোর্স হল থেকে তাদের স্বজনদের অভ্যর্থনা ও বিদায় জানানোর সুযোগ থাকলেও গত প্রায় তিন বছর এটি বন্ধ রয়েছে। অথচ প্রতিদিন এ বিমানবন্দর দিয়ে অন্তত ২০ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। আর যাত্রীর সঙ্গে সর্বনিম্ন অন্তত ২/৩ জন স্বজন থাকেন। সেক্ষেত্রে বিমানবন্দরে প্রায় ৪০/৫০ হাজার লোকের সমাগম ঘটে।

কনকোর্স চালু থাকলে যাত্রীর স্বজনরা তাদের নির্ধারিত ব্যক্তিদের সহজেই রিসিভ করে বাইরে আনতে পারতেন। আর এটি বন্ধ থাকার কারণে খুঁজে স্বজনদের পাওয়াই কষ্টকর হয়ে যায়। এছাড়াও ঘন্টার পর ঘন্টা যাত্রীর স্বজনদের অপেক্ষা করতে হয় বাইরে প্রখর রোদে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, কনকোর্স হল খুলে দেওয়ার এখনো পরিকল্পনা হয়নি। পরিকল্পনা হলে জানতে পারবেন।

কামরুল ইসলাম আরও বলেন, এই মুহূর্তে দর্শনার্থীদের জন্য বিমানবন্দরের হলটি খোলার কোনো পরিকল্পনা নেই। বিভিন্ন জেলা থেকে বিমানবন্দরে যাত্রীদের অভ্যর্থনা জানাতে আসা স্বজনদের বসার জন্য বিকল্প পরিকল্পনা রয়েছে। বিমানবন্দরের সামনে ছোট পরিসরে কয়েকটি ছাউনি তৈরি করা হবে।

কামরুল ইসলাম আরও জানান, যাত্রী ও স্বজনদের সুবিধার্থে বিমানবন্দরের কাছেই নিরাপদ ও মনোরম পরিবেশে একটি আবাসিক হোস্টেল নির্মাণ করেছে ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ড। সেখানে একজন যাত্রী মাত্র ২০০ টাকার বিনিময়ে নিরাপদে রাত্রীযাপন থাকতে পারবেন। যাত্রীরা সময়মতো ফ্লাইট ধরতে আগের দিন এসে এখানে অবস্থান করতে পারবেন।

বিমানবন্দরে দায়িত্বপালনকারী এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক পলাশ বলেন, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ যদি কনকোর্স হল খুলে দেয় সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার কোন সংকট হবেনা বলে মনে করি। আমরা শতভাগ নিরাপত্তা বিধানে প্রস্তুত রয়েছি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বন্ধ করে দেওয়া হয় দর্শনার্থী সম্মেলনের কনকোর্স হল। এরপর প্রায় তিন বছর হতে চললেও এখনও খোলা হয়নি হলটি। যাত্রীর বা স্বজনদের জন্য বিমানবন্দরে করা হয়নি কোনো বসার ব্যবস্থাও।

যাত্রীর স্বজনরা জানান, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলেও যাত্রীর স্বজনদের জন্য বসার ব্যবস্থা নেই। এতে রোদ-বৃষ্টি কিংবা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।

তাদের দাবি, বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখলেও প্রবাসী কিংবা তাদের স্বজনদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। বিমানবন্দরে বসার জায়গাও নেই। নানাভাবে হয়রানির অভিযোগও তাদের।

প্রবাসী মোতালেব জানান, তিনি দুবাইয়ের একটি বাগানে কাজ করেন। গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলায়। দুই মাসের ছুটি শেষে কাজের জন্য আবার দুবাই রওনা হয়েছেন। বিমানবন্দর বহির্গমন কনকোর্স হল পর্যন্ত এসে তাকে বিদায় জানান স্বজনরা। কিন্তু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল পর্যন্ত যেতেই গেটে আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের বাধা। প্রিয়জনকে বিদায় জানাতে টার্মিনালের গেট কিংবা টিকিট কেটে কনকোর্স হলে যেতে পারেননি স্বজনেরা।

বিমানবন্দরে আসা এক যাত্রীর স্বজন জরিনা বেগম জানান, মালয়েশিয়া থেকে তার ছেলে আসবেন। গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায়। সকাল সাড়ে ১১টায় মালয়েশিয়ার একটি ফ্লাইটে বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা। সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ছেলের দেখা পাননি।

দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরছেন টাঙ্গাইলের রোকেয়া খাতুনের স্বামী প্রবাসী আওলাদ হোসেন। তার জন্য রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন রোকেয়াসহ কয়েক স্বজন। কিন্তু কোথাও বসার জায়গা নেই। তাই প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে তারা অবস্থান নেন বিমানবন্দরের গাড়ি পার্কিং এলাকার একটি বটগাছের নিচে।

শুধু আওলাদের স্বজনরাই নন, নিত্যদিন এমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিমানবন্দরে আসা প্রবাসীদের স্বজনরা।

বিমানবন্দরে যাত্রী নিতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, তিনি তার এক ভাইকে রিসিভ করতে এসেছেন। তার ভাই সৌদি আরব থেকে ৫ বছর পর দেশে আসছেন। সে কোন গেট দিয়ে বেরুবে তা তিনি বুঝতে পারছেন না।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, যদি আগমনীর ক্যানোপিতে দর্শনার্থী প্রবেশ উন্মুক্ত থাকতো তাহলে তিনি ভেতরে যেতে পারতেন। তার ভাইকে সহজেই নিয়ে আসতে পারতেন। কিন্তু বন্ধ থাকার ফলে তারা গ্রাম থেকে ২ জন এসেছেন। তিনি রয়েছেন টার্মিনাল-১ এ আর তার আরেক আত্নীয় রয়েছেন টার্মিনাল-২ এ। পরে টার্মিনাল-১ থেকে তাদের ভাইকে পেয়ে বাসায় নিয়ে যান।

যাত্রীর স্বজনদের অভিযোগ, অনেক স্বল্প-শিক্ষিত ব্যক্তি বিদেশ যাচ্ছেন কিংবা বহু বছর পর দেশে আসছেন। তারা কিভাবে যাবেন, কোন দিক দিয়ে আসবেন এসব কিছু ভালোভাবে বুঝতে পারেন না। এ কারণে ভেতরে প্রবেশের যে সুবিধা সেটি পুনরায় চালু করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। দেশি যাত্রীদের পাশাপাশি যারা বিদেশি যাত্রী রয়েছেন তারাও পড়ছেন নানা সমস্যায়। কনকর্স হল খোলা থাকলে বিভিন্ন হোটেলের প্রতিনিধিরা বিদেশি অতিথিদের নামের কাগজ নিয়ে গ্রিন চ্যানেলের বাইরে থাকতেন। নাম দেখে ওই যাত্রী নির্দিষ্ট লোকের সঙ্গে দেখা করে তার ঠিকানায় চলে আসতে পারতেন। কিন্তু বর্তমানে এই সুবিধা না থাকায় তারাও পড়ছেন নানা সমস্যায়।

এতো গেলো দেশের বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের সমস্যা। বহির্গমনের ক্ষেত্রেও নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। দেখা যাচ্ছে অনেক বয়স্ক যাত্রী তাদের লাগেজ নিয়ে কাউন্টার পর্যন্ত যেতে পারছেন না। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসার মতও কেউ নেই। অথচ বহির্গমন কনকর্স হল খোলা থাকলে বৃদ্ধ ও রোগীদের সাহায্যার্থে আসা ব্যক্তি ক্যানোপি পর্যন্ত যেতে পারতেন। বর্তমানে এই সুবিধাও বন্ধ।

যাত্রী ও তাদের স্বজনরা বলছেন, এমনিতেই তারা বিমানবন্দরে আসছেন। ক্যানোপির বাইরে অবস্থান করছেন। এক্ষেত্রে যদি নিরাপত্তার সমস্যা না হয় তবে ক্যানোপির ভেতরে কি সমস্যা। যখন একটি লোক ক্যানোপির ভেতরে প্রবেশ করবেন তাকে যথাযথ তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করালে সমস্যা কোথায়। দেশের বাইরে অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোতে এই সমস্যা নেই। অথচ আমাদের বিমানবন্দরে এই সমস্যা। তারা দ্রুত কনকর্স হলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

স্বজনরা জানান, বর্তমানে করোনা সংকট কেটে গেছে। এছাড়াও ভেতরে প্রবেশের সময় শতভাগ চেকিং এমনকি আর্চওয়ে গেট পার হয়েই ভেতরে যেতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি যে রয়েছে সেটিও শতভাগ সম্পন্ন হচ্ছে। পাশাপশি ভেতরে ঢুকতে টাকাও পাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আয়েরও একটি ব্যবস্থা হচ্ছে। তাই দ্রুত খুলে দেয়ার দাবি তাদের।

এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক পলাশ বলেন, এটি সম্পূর্ণ সিভিল এভিয়েশনের এখতিয়ার। তারা যা ভালো মনে করবেন সেটিই করবেন। আমাদের নিরাপত্তার যে বিষয়টি আছে আমরা সেটি শতভাগ পালন করছি।

আরইউ/এএস

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২

দুর্ঘটনা কবলিত ইজিবাইক। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সায়েম ইসলাম (১৬) নামে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীসহ দুই জন নিহত হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিরামপুর পৌর শহরের বিছকিনি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলার সাঁকোপাড়া গ্রামের মজিবরের ছেলে ইজিবাইক চালক নুরুজ্জামান হোসেন (৩৫) এবং একই উপজেলার সোনাকানি গ্রামের আনোয়ারের ছেলে ইফতেখার রহমান সায়েম ইসলাম (১৬) ও বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বিরামপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. মাজেদ আলী জানায়, বিকেলে কোচিং শেষে ইজিবাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার পৌর শহরের বিছকিনি এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থী সায়েম নিহত হন এবং আহত অবস্থায় ইজিবাইকের চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ঘাতক কাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে যায়।আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে ইউএসএআইডির মাধ্যমে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের দাবি করেছেন। তবে, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছে।

সোমবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২৯ মি‌লিয়ন নি‌য়ে ট্রাম্পের এ অ‌ভিযোগ সত্য নয় বলে দা‌বি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প 'স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রকল্পটি নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন যা নিয়ে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করেছে।

অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইউএসএআইডি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালকে (ডিআই) নির্বাচিত করে। প্রকল্প প্রস্তাবনা আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়ে ইউএসএআইডি সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে। ২০১৭ সালের মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিআই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। পরে প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় এবং এর অর্থ আসে ধাপে ধাপে।

শুরুতে এসপিএল প্রকল্পটি ছিল ৫ বছর মেয়াদি এবং বাজেট ১৪ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনায় ছিল ইউএসএআইডি এবং অর্থায়নে ছিল ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি (বর্তমানে এফসিডিও)। এই প্রকল্পে ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।

এসপিএল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল-রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করে শান্তি ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি, দলগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার উন্নয়ন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্বের বিকাশে উৎসাহ প্রদান। প্রকল্পের অধীনে ডিআই বাংলাদেশে জরিপ কার্যক্রমও পরিচালনা করে।

উল্লেখ্য, ইউএসএআইডির প্রকল্পের ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি অনুসরণ করাটা বাধ্যতামূলক। এতে আর্থিক নিরীক্ষার প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার কয়েক বছর পরও এ-সংক্রান্ত নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়। প্রয়োজনে পুনর্নিরীক্ষা করা হয়।

অনুসন্ধান থেকে দেখা যায় যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে এসপিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। তাই এটি বাংলাদেশের দুইজন ব্যক্তির মালিকানাধীন কোনো সংস্থাকে প্রদান করার অভিযোগটি সত্য নয়। বস্তুত এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের কোনো কিছু করার ক্ষমতা থাকে না।

Header Ad
Header Ad

অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১১৭ ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৭ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বদলি করা কর্মকর্তাদের ১৯ মার্চের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। না হলে পরদিন থেকে তাদের তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) হিসেবে গণ্য করা হবে।

সরকার পতনের পর পুলিশ বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় এর আগেও কয়েক দফায় বড় রদবদল হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ২০ নভেম্বর আগের পুলিশ প্রধান মো. ময়নুল ইসলামকে সরিয়ে নতুন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব দেয় বাহারুল আলমকে।

নতুন আইজিপি দায়িত্বে আসার পর বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় আরেকটি আদেশ এলো।

এসব কর্মকর্তাকে ডিএমপি, এসবি, সিআইডি, র‌্যাব, জেলা পুলিশ, পুলিশ সদর দপ্তর, পিবিআই, এপিবিএন ও ট্যুরিস্ট পুলিশে বদলি করা হয়েছে।

বদলি কর্মকর্তাদের নামের তালিকা ১ ও তালিকা ২ দেখতে ক্লিক করুন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি
সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা
ছয় মাসে ১০ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক
জাতিসংঘকে শাপলা চত্বর ও সাঈদীর রায়কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করার অনুরোধ
নুর ভাই নিজেই তার দল বিলুপ্ত করে আমাদের সাথে যুক্ত হতে আগ্রহী: হান্নান মাসউদ
দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় ছয়জন গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে সালিশি বৈঠকে সংঘর্ষ, ৭০ দোকান ভাঙচুর, থমথমে পরিস্থিতি
শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নতুন নাম ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড
২০৩০ দশকে এআই মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করতে পারে: ইলন মাস্ক
দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত, আক্রান্ত ৫
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নতুন নাম বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১
দল না পাওয়া সেই আজিঙ্কা রাহানে কেকেআরের নতুন অধিনায়ক
ওএসডি হলেন দেশের ২৯ সিভিল সার্জন
উপদেষ্টা হিসেবে ফারুকী ঠিক আছেন: প্রিন্স মাহমুদ
খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে: প্রেস সচিব
প্রাথমিকের ৬৫৩১ শিক্ষক নিয়োগে কোনো বাধা নেই: আপিল বিভাগ
ভোক্তা পর্যায়ে কমলো এলপি গ্যাসের দাম