বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণার অন্তরায় সিটি নির্বাচন!

৫টি সিটি নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু স্বতন্ত্রভাবে নেতা-কর্মীরা নিজেরা অথবা আত্মীয়-স্বজনদের দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। একারণেই দলটির নতুন কর্মসূচি নেই। এ নিয়ে দলে এক ধরনের অস্বস্তি রয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর লিয়াজোঁ কমিটির ধারাবাহিক বৈঠক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পরও নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসেনি। সরকারবিরোধী বিএনপি জোট সরাসরি এসব নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিভিন্ন জায়গায় গোপন ও প্রকাশ্যে ভোটের মাঠে জড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কায় দায়িত্বশীল নেতারা। শুধু তাই নয়; কোনো কোনো জায়গায় নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে তৃতীয় কোনো পক্ষকে সমর্থন দিয়ে মাঠে রয়েছেন দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে গভীর চিন্তায় দলটির হাইকমান্ড।

সিটি ভোট বয়কটের ঘোষণা দিলেও বিএনপির অনেক নেতা নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে দল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নির্বাচনে গেলে তারা প্রার্থী হতে চান। আর দল শেষ পর্যন্ত ভোটে না গেলে খালি মাঠ ছেড়ে দিতেও নারাজ তাদের কেউ কেউ। সেক্ষেত্রে নিজে প্রার্থী না হলেও এলাকায় অবস্থান ধরে রাখতে কৌশলের অংশ হিসেবে ছেলে কিংবা পরিবারের অন্য কাউকে দিয়ে ভোট করানোর পরিকল্পনা করছেন।

তবে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণে সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রতিবন্ধকতা নয় বলে দাবি করছেন দলটির দায়িত্বশীল নেতারা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কোনো ভাবনা নেই। বিএনপি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করছে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচিতে মাঠে থাকছে। শিগগিরই নতুন কর্মসূচিতে মাঠে থাকবে বিএনপি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপির সঙ্গে ১০ দফার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিকরা ঈদুল আজহার পর সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে যেতে চান। তবে এর আগ পর্যন্ত হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচির পরিবর্তে নিয়মতান্ত্রিক সাদামাটা কর্মসূচির পক্ষে মতামত দিয়েছে মিত্ররা, যেখানে জনগণ সম্পৃক্ত হবে। সমমনা দলগুলোর নেতারা জেলা, মহানগরে ফের সমাবেশ, ঢাকা থেকে বিভাগ অভিমুখী রোডমার্চ, ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। বিএনপির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি হিসেবে এসব প্রস্তাবনা দেন তারা। আর বিএনপিও ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচিতে মাঠে থেকে চলমান আন্দোলন আরও বেগবান করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অক্টোবরের মধ্যে আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ দিতে চায় দলটি।

এ লক্ষ্যে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। তবে কর্মসূচি প্রণয়নে মিত্রদের কাছ থেকে প্রস্তাবনা নেওয়ার পর সুশীল সমাজ ও পেশাজীবী নেতাদেরও মতামত নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত বিএনপির। তারপর সবার মতামত সমন্বয় করে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্র মতে, নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন নিয়ে কাজ করছেন দলটির দায়িত্বশীল নেতারা। তবে চূড়ান্ত আন্দোলনে নামার আগে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, মতানৈক্য মিটিয়ে ফেলতে চান তারা। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামতে পারলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই তৃণমূলের দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনে সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। সাংগঠনিক সম্পাদকরা মাঠ জরিপের মাধ্যমে কোথাও কোনো দূরত্ব, মূল দলের সঙ্গে অঙ্গসংগঠনের সমন্বয়হীনতা থাকলে তা চিহ্নিত করে এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের কাছে প্রতিবেদন দেবেন। পরে সে অনুযায়ী তৃণমূলে দলের সমন্বয়হীনতা, মতানৈক্য নিরসনের উদ্যোগ নেবে হাইকমান্ড। বিগত আন্দোলনে সফলতা না পেলেও এবার সফল হতে চায় দলটির হাইকমান্ড। দাবি আদায় করেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেতে চায় বিএনপি।

গত ২৬ এপ্রিল দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় করে বিএনপির হাইকমান্ড। বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে অনেক জেলা, মহানগর ও উপজেলায় মূল দলের সঙ্গে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে, সে বিষয়টি তুলে ধরে সাংগঠনিক সম্পাদকদের মাঠ জরিপের মাধ্যমে তা চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, নতুন কর্মসূচি নির্ধারণে সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রতিবন্ধকতা নয়; আমরা তো সিটি নির্বাচনে যাচ্ছি না। শুধু সিটি নির্বাচন নয়, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই দেশের জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। জনগণ চায় এই সরকারকে বিদায় করে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী একটি নির্বাচিত সরকার গঠিত হোক। আমরা সেই লক্ষ্যেই আন্দোলন করছি; এবং আন্দোলনের মাধ্যমেই এই অনির্বাচিত সরকারকে বিদায় করে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে, নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সকল দলের অংশ গ্রহণে একটি নির্বাচন হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।

এদিকে প্রায় ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি দীর্ঘদিনের পোড়খাওয়া বেশ কজন প্রভাবশালী নেতা দায়িত্বে থাকলেও বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে তেমন কার্যকর ভূমিকা দেখাতে পারেনি ঢাকা মহানগর বিএনপি। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও এ বিষয়ে অসন্তুষ্ট। তাদের অভিযোগ, ঢাকার নেতাদের ব্যর্থতার কারণেই দেশব্যাপী জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হয় না। ফলে ঢাকা মহানগর বিএনপি নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করে হাইকমান্ড।

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ ঢাকাপ্রকাশ কে বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু হলো রাজধানী। এ জন্য আমরা ঢাকাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। অতীতের ব্যর্থতা ঘোচাতে নবোদ্যমে কাজ শুরু করেছে হাইকমান্ড। আন্দোলনের জন্য রাজধানীতে সংগঠনকে একেবারে তৃণমূল থেকে সংগঠিত করার পরিকল্পনা রয়েছে দলের। সেই কাজ শেষ পর্যায়ে।

আরইউ/এসএন

Header Ad
Header Ad

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মদপানের ফলে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে, ঈদের সন্ধ্যায় তারা মদপান করেন এবং রাতের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী খাঁর ছেলে জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৬)।

এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ আরও কয়েকজন।

গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইমরানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আশাশুনির তেতুলিয়া শ্মশানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন টিটু, নাজমুল গাজীসহ মোট ১১ জন একসঙ্গে মদপান করেন। মদপানের পর তারা বাড়ি ফিরে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত ১২টার দিকে একে একে সবাই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল গাজী মারা যান। বাকি ৯ জনের চিকিৎসা চলছে।

আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যু অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

এই পদক্ষেপকে ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো বা নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির অন্যতম প্রধান নির্মাতার জন্য মানববিহীন এয়ার ভেহিকল (ইউএভি)–এর উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, "ইরান তাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াসহ তাদের প্রক্সিদের সরবরাহ করছে। রুশ বাহিনী এগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিক, মার্কিন বাহিনী ও মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ইরানের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তার ব্যাহত করতে কাজ চালিয়ে যাব।"

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে একটি ইরান-ভিত্তিক সংস্থা, দুইজন ইরানি নাগরিক, একটি চীন-ভিত্তিক সংস্থা এবং চারটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক সংস্থা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তারা এই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে চায়।"

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে একটি নাটক সাজিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এমনকি একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও এটি উঠে এসেছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করতে পারছে, কথা বলতে পারছে। এবার মানুষ নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি।"

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ বসে নেই, তারা কালো টাকা ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রশাসনের চারপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে, যার ফলে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।"

রিজভী আহমেদ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী সরকারই হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে।"

তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯
ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ঘটনা ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২