সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সোবহানবাগ মসজিদ নির্মাণে বাড়ছে সময় ও ব্যয়

রাজধানীর সোবহানবাগের মসজিদকে নতুন করে নির্মাণের কাজ চার বছরেও শেষ হয়নি। এক দফা সময় বাড়িয়েও শেষ করা যায়নি। এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি মাত্র ৩০ শতাংশ। এই অবস্থায় মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে আরও দুই বছর সময় বাড়ানো হচ্ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে ব্যয়ও। ফলে ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প এখন হয়ে যাচ্ছে প্রায় ৬১টি কোটি টাকা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত সোবহানবাগ মসজদিকে আধুনিকায়ন ও দৃষ্টিনন্দন করতে ২০১৯ সালে একটি প্রকল্প নিয়েছিল গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর।

পরিকল্পনা কমিশন ও গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মিরপুর রোডে ধানমন্ডি ১৪ নম্বরে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সোবহানবাগ মসজিদ ভেঙে নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে মসজিদটির আধুনিকায়নে একটি সেমি-বেজমেন্টসহ ১০তলা ভবন করতে সরকার ২০১৯ সালের ১৪ মার্চে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়। আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন মসিজিদ নির্মাণের লক্ষে প্রকল্পের শুরুতেই ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বরে।

সূত্র মতে, প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজের মধ্যে ছিল ১০ তলা মসজিদ ভবন নির্মাণ, অজুর স্থান, নির্মাণকাজ চলকালীন সময় মুসল্লিদের নমাজের জন্য একটি অস্থায়ী মসজিদ নির্মাণ, সেমি বেজমেন্টে একটি মাদ্রাসা, লিফট ও জেনারেটর স্থাপনসহ মসজিদের অন্যান্য কাজ। মসজিদটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ৩ হাজার ৬৯৫ জন মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করার সুযোগ পাবেন।

কিন্তু সরকারের অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের মতো সোবহানবাগ মসজিদটির নির্মাণ কাজও নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়নি। ফলে সময় এবং খরচ দুটিই বেড়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, প্রথম দফায় এক বছর সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যেও মসজিদ নির্মাণের কাজটি শেষ হয়নি।

এই অবস্থায় আবারও প্রকল্পটি সংশোধনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তাতে সময় এবং ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সংশোধিত প্রস্তাবে সময় এবং ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে ৪৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকার প্রকল্প এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৯০ লাখ টাকায়। শতাংশের হিসেবে ব্যয় বাড়ছে ২২ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

সংশোধিত প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। এই সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করতে হবে।

সংশোধিত প্রকল্পে যেসব খাতে ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ৬ হাজার ৫৫০ বর্গমিটারের ১০ তলা মসজিদ ভবন নির্মাণ। তাতে খরচ ধরা হয়েছে ৪১ কোটি ৩ লাখ টাকা। মসজিদের নির্মাণ কাজ চলাকালীন মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য ৮৯০ বর্গমিটারের একটি অস্থায়ী মসজিদ নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৭ লাখ টাকা।

বিভিন্ন তলায় মুসল্লিদের উঠানামার জন্য ৩টি লিফট কেনারও সিদ্ধান্ত হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে ১০০০ কেভিএর এক সেট বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন স্থাপনের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি কিনতে এক কোটি ৩০ লাখ টাকাও বরাদ্দ রাখা হয়। ১৫০ কেভিএর জেনারেটর কিনতে ব্যয় ধরা হয় ৫২ লাখ টাকা।

এ ছাড়া, ২৫৫ টনের এয়ারকুলার কিনতে সাড়ে ৩ কোটি টাকা, ২ সেট মোটরপাম্পের জন্য জন্য ১০ লাখ টাকা, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ৩ কোটি টাকা এবং ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০টি সিসি ক্যামেরা কেনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কারণে বিভিন্নখাতে প্রায় ৫০ লাখ থেকে খরচ বাড়িয়ে ৬০ কোটি ৯০ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

প্রকল্পের সংশোধিত প্রস্তাবনাটি যাচাই করতে পরিকল্পনা কমিশনে সম্প্রতি প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় কিছু ব্যাপারে আপত্তি করে তা সংশোধন করতে বলা হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে বলে সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ আলম ফারুক চৌধুরী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই মসজিদে নামাজ পড়তেন। এ জন্য সরকার মসজিদটি আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু স্থপতি কোম্পানি থেকে নকশা পেতে অনেক দেরি করেছে। নকশা পাওয়া গেছে প্রকল্প অনুমোদনের আড়াই বছর পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে। এ ছাড়া, মসজিদ কমিটিও জায়গা হস্তান্তরে দেরি করেছে। এ জন্য কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। লে-আউটে মসজিদ প্রতিষ্ঠাতার কবরের জায়গায় মসজিদের স্থান পড়ে যায়। এজন্য আবার সংশোধন করতে সময় লেগেছে। এভাবে বিভিন্ন কারণে দেরি হওয়ায় প্রকল্পটি সংশোধন করে সময় বাড়ানো হচ্ছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে পিডি বলেন, মূল প্রকল্প থেকে কিছু অঙ্গের পরিমাণ ও খরচ কম-বেশি হওয়ায় প্রকল্পটি সংশোধন করতে হচ্ছে। এজন্য খরচও বাড়ছে। পরিকল্পনা কমিশনে ডিপিপি পাঠিয়েছি। পিইসি সভা হয়েছে। কিছু ব্যাপারে সংশোধন করতে বলা হয়েছে। তা করা হচ্ছে।

কাজের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, মসজিদটি আধুনিকায়নের ফলে সড়কের জায়গা বাড়ছে এক লেন। এতে ১৫ ফুট বেশি চওড়া হবে মিরপুর সড়কের এই জায়গাটি। মসজিদটি দৃষ্টিনন্দন করতে নানান কাজের কারণে সময় লাগছে। বর্তমানে কাজের বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৩০ শতাংশ।

উল্লেখ্য, ১৯৩৭ সালে দশমিক ৩৫ একর জমির উপর মরহুম আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ আবদুস সোবহান এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ১৯৮২ সালে ৫তলা ভিত্তির উপর ৪র্থ তলা মসজিদ নির্মাণ করা হয়। সেখানে একটি মাদ্রাসাও রয়েছে।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে