বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ত্রিদেশীয় মহাসড়ক নেটওয়ার্কে বাংলাদেশের সংযুক্তি কতদূর

ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড মহাসড়ক নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যে জোয়ার আনবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে দুই বছর আগে বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় এই মহাসড়কে সংযুক্তির ইচ্ছা প্রকাশ করলেও এখনো তা ঝুলে রয়েছে। এক্ষেত্রে ভারত ও থাইল্যান্ড রাজি থাকলেও এখনো মিয়ানমারের সম্মতি মিলেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভারত, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড মিলে ১ হাজার ৪০৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করবে। সেই সড়কে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার ইচ্ছার কথা ২০২০ সালেই নরেন্দ্র মোদিকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তারপরও কেন সড়ক নেটওয়ার্কটিতে বাংলাদেশের সংযুক্তি নিশ্চিত হয়নি সেটা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশকে সংযুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অনেক আগেই। থাইল্যান্ডেরও আপত্তি নেই বলে জানা গেছে। তারপরও বাংলাদেশের সংযুক্তি ঝুলে আছে এখনো।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক্ষেত্রে আসলে মিয়ানমারের সম্মতি এখনো পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে গড়িমসি করছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গা ইস্যু কেন্দ্র করেই প্রতিবেশী মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলছেন, ভারত ও থাইল্যান্ড রাজি। এখন মিয়ানমার সম্মতি দিলেই বিমসটেকের আওতায় এই হাইওয়েতে বাংলাদেশ সংযুক্ত হবে।

রুটও ঠিক করে রেখেছে বাংলাদেশ
কোন সড়ক দিয়ে এই ত্রিদেশীয় সড়ক নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে বাংলাদেশ সেই রুটগুলোও ঠিক করে রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে মূলত কাজ করছে বাংলাদেশের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যুক্ত হওয়ার জন্য এরই মধ্যে তিনটি রুট চিহ্নিত করেছে সওজ। একটি হলো সিলেটের শ্যাওলা সুতারকান্দি রুট। দ্বিতীয় বিকল্প রুটটি হচ্ছে সিলেটের তামাবিল থেকে ভারতের ডাউকি এবং তৃতীয় রুটটি হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে ভারতের আগরতলা পর্যন্ত।

জানা যায়, এসব রুটের উন্নয়নকাজও চলমান। তবে এসব রুট নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন আছে বলেই মনে করছেন সওজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের (ফরেন অফিস কনসালটেশন-এফওসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায়। বৈঠকে ত্রিপক্ষীয় মহাসড়কে যোগদানের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য ঢাকা ও ব্যাংককের মধ্যে বর্ধিত সংযোগের উপর জোর দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত-মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড মহাসড়কে বাংলাদেশের সংযুক্তির ক্ষেত্রে এশিয়ান হাইওয়ে ও বিমসটেক রোড নেটওয়ার্কের সঙ্গে সমন্বয় করা জরুরি।

ত্রিদেশীয় মহাসড়ক নেটওয়ার্ক আসলে কী
ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় মহাসড়ক ভারতের ‘লুক ইস্ট’ বা পুবে তাকাও নীতির অধীনে একটি নির্মাণাধীন মহাসড়ক যা ভারতের মণিপুর রাজ্যের মোরে শহরকে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ডের মায়ে সোত শহরের সঙ্গে যুক্ত করবে। এটি এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যে জোয়ার আনবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

মহাসড়কটিকে কম্বোডিয়া, লাওস এমনকি ভিয়েতনাম পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। ভারত থেকে ভিয়েতনাম পর্যন্ত প্রসারিত প্রস্তাবিত আনুমানিক ৩ হাজার ২০০ কি.মি. দীর্ঘ সড়কটিকে পূর্ব-পশ্চিম অর্থনৈতিক করিডোর নাম দেওয়া হয়েছে।

থাইল্যান্ড থেকে কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম পর্যন্ত অংশটি ২০১৫ সালে চালু হয়। মহাসড়কটি চিন্দউইন নদীর উপরে নির্মীয়মান কালে ও মণিওয়া নদীবন্দরগুলোর সঙ্গেও সংযুক্ত হবে।

লাওস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম পর্যন্ত প্রসারিত হলে এই সংযোগসড়কটি বাৎসরিক ৭ হাজার কোটি মার্কিন ডলার অতিরিক্ত জিডিপি এবং প্রায় ২ কোটি লোকের কর্মসংস্থান অর্জনে সাহায্য করবে।

২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারত-আসিয়ান সংযুক্তি প্রকল্পগুলোর জন্য ভারত সরকার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের ব্যবস্থা করে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ ঢাকার সঙ্গে সংযুক্তি শক্তিশালী করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে এই মহাসড়ক প্রকল্পে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে।

বাংলাদেশের লাভ কী
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে বাংলাদেশ এই ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যোগ দিতে আগ্রহী। এটিতে যোগ দিলে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ট্রান্স বর্ডার করিডোরে নতুন অধ্যায় খুলে যাবে বাংলাদেশের জন্য।

বাংলাদেশ ভারতের মাধ্যমে নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে পারবে। এটি হলে বাংলাদেশের ট্রাক সরাসরি ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল চলে যাবে। এ ছাড়া আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গেও বাংলাদেশের কানেকটিভিটি বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে বাণিজ্যও।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি কমিউনিটি তৈরি করাটা যদি লক্ষ্য হয়, তাহলে তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত লাভজনক হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যবসা-বাণিজ্যে অগ্রসর হওয়াটা কঠিন হবে না।

এসএন

Header Ad
Header Ad

অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবির-তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

ডা. জাহাঙ্গীর কবির এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতা ও পর্নোগ্রাফি ছড়ানোর অভিযোগে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ অভিযোগে চিকিৎসক ডা. জাহাঙ্গীর কবির এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এই নোটিশ পাঠান। এতে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকি এবং অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে থাকা অশ্লীল ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও কনটেন্ট অবিলম্বে বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকিসহ সব অনলাইন মাধ্যমে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধ করতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগ এনে ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির, ডাক্তার তাসনিম জারাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী বায়েজিদ হোসেন এবং নাঈম সরদারের পক্ষে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতার ভয়াবহতা উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর ডাকযোগে জনস্বার্থে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন এবং সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো ধরনের অশ্লীল ছবি বা ভিডিও তৈরি, প্রচার ও প্রকাশ করা বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু নোটিশ গ্রহীতাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল এবং পর্নোগ্রাফিক ছবি, ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করে আসছে। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক ইউটিউব এবং অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পারিবারিক এবং সামাজিক পরিমণ্ডলে এসবের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব পড়ছে। পারিবারিক এবং সামাজিক মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে।

বিভিন্ন পত্রপত্রিকার তথ্য মতে, বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিক শিশু-কিশোররা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও এবং পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। হাতে হাতে স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট থাকায় প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি কোমলমতি শিশুরাও আসক্ত হচ্ছে। ফলে এই সুযোগে বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশীয় সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নামিদামি সেলিব্রেটি এবং শোবিজ মডেল ও তারকা তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজ এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্টে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও এবং বিজ্ঞাপন প্রমোট করছেন। অনেক ডাক্তার নিজেদের ভিউ বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ঔষধ এবং সামগ্রীর বিক্রয়ের জন্য অশ্লীল ভিডিও এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে।

ডাক্তার জাহাঙ্গির কবির, ডাক্তার তাসনিম জারাসহ অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পরামর্শের আড়ালে ভিডিও বক্তব্য এবং ছবির মাধ্যমে যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি করে থাকেন। ওইসব ছবি এবং ভিডিও সমাজে ব্যাপকভাবে অশ্লীলতা ছড়িয়ে সামাজিক এবং পারিবারিক মূল্যবোধকে বিনষ্ট করছে। বিষয়গুলো খুবই উদ্বেগজনক এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইন্টারনেট যেহেতু পাবলিক পরিসর সেহেতু এইসব মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও এবং পর্নোগ্রাফিক ছবি প্রচার একটি গণ উপদ্রপ, যা দন্ডবিধির ২৬৮ধারা অনুযায়ী অপরাধ। ২৯২, ২৯৩ ও ২৯৪ ধারা অনুযায়ী কোনো ধরনের অশ্লীল ভিডিও বা ছবি তৈরি, প্রচার এবং প্রকাশ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮ অনুযায়ী রাষ্ট্র জনসাস্থ্যের উন্নতিসাধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ। ২০০১ সালের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৯ এবং ৩০ ধারায় একটি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, এসব কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনের প্রয়োগ না করায় ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা অশ্লীলতা, ক্ষতিকর এবং বেআইনি অপরাধমূলক উপাদানে ভরপুর। যা কোনভাবেই কাম্য নয়।

অবিলম্বে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকিসহ সব অনলাইন মাধ্যমে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিবাদীদের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

নোটিশে আইনি নোটিশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, যদি অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে।

Header Ad
Header Ad

তন্ময়সহ শেখ পরিবারের ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

শেখ পরিবারের ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, শেখ সোহেল ও শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল এবং ভাতিজা বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

ওই আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনি এলাকার এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এই ব্যক্তিরা তাদের নামে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ধীরগতি ও শ্রমবাজারের দুর্বল পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর আরও ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যের কাতারে পড়তে পারেন বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, অর্থনীতির মন্থর গতি এবং ক্রমবর্ধমান বৈষম্য দেশের দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। এর ফলে অনেকেই দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যেতে পারেন।

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, দৈনিক আয় ২.১৫ ডলারের নিচে হলে কেউ "হতদরিদ্র" হিসেবে বিবেচিত হন। এই মানদণ্ড অনুযায়ী ২০২২ সালে বাংলাদেশে হতদরিদ্রের হার ছিল ৫ শতাংশ, যা ২০২৫ সাল নাগাদ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৯.৩ শতাংশে।

শুধু হতদরিদ্র নয়, বাড়তে পারে জাতীয় দারিদ্র্য হারও। ২০২৪ সালে যা ছিল ২০.৫ শতাংশ, সেটি ২০২৫ সালে গিয়ে পৌঁছাতে পারে ২২.৯ শতাংশে।

বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণে বলা হয়, প্রকৃত আয় কমে যাওয়া ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি দরিদ্র মানুষের অবস্থান আরও নাজুক করে তুলছে। কর্মসংস্থান কমে যাওয়া এবং আয় কমে যাওয়ায় সামাজিক বৈষম্যও বাড়বে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই একই দিনে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের আরেক প্রতিবেদন ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট: ট্যাক্সিং টাইমস’-এ জানানো হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াতে পারে মাত্র ৩.৩ শতাংশে। যেখানে জানুয়ারিতে এ হার ধরা হয়েছিল ৪.১ শতাংশ। তবে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়ে ৪.৯ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে সংস্থাটি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবির-তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ
তন্ময়সহ শেখ পরিবারের ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী
পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত
৮ দিনের নোটিশে সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই
ভেঙে গেল সামিরা খান মাহির ৪ বছরের প্রেম
বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়ে রাবিতে বিক্ষোভ
কাশ্মিরে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহত
সিঙ্গাপুর ম্যাচেই অভিষেক হতে পারে ফাহমিদুলের
বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য
গোল্ডেন ভিসায় দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড়, ৭০ জনকে চিহ্নিত করেছে দুদক
রাজধানীতে বাড়তে পারে তাপমাত্রা, বৃষ্টির সম্ভাবনা কম
গাজায় একদিনে আরও নিহত ৪৫, আহত শতাধিক
কাতারের বিনিয়োগকারীদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার
টাঙ্গাইলে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসতঘরে, কেড়ে নিল ঘুমন্ত নারীর প্রাণ
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক
আ.লীগ নিজেকে ভারতের কাছে নগ্নভাবে সঁপে দিচ্ছে: রাশেক রহমান