সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

হাসপাতালে সেবা কম, ভোগান্তি বেশি!

অবৈধভাবে দালালদের অতিরিক্ত টাকা দিলে রোগী ও তার স্বজনদের ভোগান্তি কম হয়। আর যদি নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা নিতে যায় তাহলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সম্প্রতি রাজধানীর বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল ঘুরে রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কথা হয়, ২১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪ নম্বর বেডে স্বামী নিয়ে চিকিৎসাধীন সাহিদা আক্তারের সঙ্গে। এ সময় সাহিদা জানান, অবৈধভাবে দালালদের অতিরিক্ত টাকা দিলে ভালো সেবা পাওয়া যায়। আমাদের টাকাও নেই সেবাও তেমন নেই বললেই চলে।

হাসপাতালের দালাল কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে বুয়া, বাবুর্চি, ড্রাইবার, কেয়ারটেকার ও নতুন নতুন কিছু স্বাস্থ্য কর্মীরাও দালালের কাজ করেন। অনেক সময় তারা ডাক্তাদের বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন বানিয়ে নানা ধরনের সেবা নেয়।

রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, নিয়ম অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে গেলে অনেক জটিলতায় পড়তে হয়। শুধু সকাল এবং রাতে এক ঝলক ডাক্তারের দেখা মেলে। পরিচিত লোক এবং দালাল না থাকলে অনেক ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবা দালালদের কাছে জিম্মি রোগী ও তার স্বজনেরা!

অভিযোগ আছে, রোগী ভোগান্তির অন্ত নেই, সেখানে দালালদের কাছে জিম্মি স্বজনরা। অনেকেই সঠিক চিকিৎসার জন্য নাম সর্বস্ব প্রাইভেট হাসপাতালে খোয়াচ্ছেন টাকা।

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল যেহেতু বড় একটি জায়গা এখানে সবাইকে আসলেই সমান দেখা সম্ভব হয় না। তবে আগের থেকে তুলনামূলকভাবে রোগীদের ভোগান্তি অনেকটা কমে গেছে। তা ছাড়া দালাল চক্র এবং রোগীদের জিম্মি করা অন্যান্য চক্রদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’

ঢামেকে রোগীদের অভিযোগ সেবা পেতে ভোগান্তি পড়তে হয় এবং দালালদের কাছে জিম্মি রোগীর স্বজনদের থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনার কাছে যদি সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে আমাদের জানান। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে আপনি যে সব কথা বললেন এর মধ্যে রোগীদের অনেক অভিযোগ ভিত্তিহীন আছে। আমরা বিভিন্ন রোগীদের দায়িত্ব নিয়ে সেবা দিয়ে থাকি। ঢামেকে সেবা পাচ্ছে না এমন কোনো রোগীর সন্ধান পেলে আমার কাছে পাঠিয়ে দেবেন বিষয়টি আমি নিজেই দেখব।’

মিরাজ মাহমুদ কুমিল্লা থেকে ৩ মাস বয়সী ছোট মেয়েকে নিয়ে এসেছেন ঢাকার শিশু হাসপাতালে। কথা হয় মিরাজ মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারের সময় পেটে ছিদ্র হয়ে যায় তার। ৩ দিন ধরে শিশু হাসপাতালে সিট না পেয়ে বারান্দায় থাকেন তারা। সঠিক সময়ে ডাক্তারের সেবা না পেয়ে হতাশ তিনি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের পেছনে যারা হাসপাতালের বারান্দায় ভর্তি হয়েছিল তাদের অনেকেই লোক ধরে সিট পেয়েছে কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দালাল বা লোকজন না থাকায় চিকিৎসা সেবা পেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে যদি আমরা চিকিৎসা সেবা না পাই তাহলে তো রোগীর বিভিন্ন সমস্যা হবে। এখন বুঝেছি মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে কেনো যায়।’

শিশু হাসপাতালের বারান্দায় কথা হয় আরেক রোগী ফাতেমার স্বজন মনির হোসেনের সঙ্গে। মনির হোসেন বলেন, সরকারি হাসপাতালে রোগীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয় বেশ। একদিকে সেবা কম অন্যদিকে দালালদের কাছে জিম্মি হতে হয় স্বজনদের। দালাল না ধরলে হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে থাকতে হয়।

শিশু হাসপাতালের নার্স, ওয়ার্ডবয় ও ক্লিনারদের ব্যবহার খুব খারাপ। এমন অভিযোগ করে শাহাজাহান তরফদার বলেন, আমাদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মচারীরা খারাপ ব্যবহার করে। যা বলার মতো না।

ঢাকা শিশু হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অনেকটা পাশাপাশি। রাজধানীর সরকারি এই হাসপাতালগুলোর সেবা নিয়ে যেন অভিযোগের শেষ নেই।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে চাইলে শিশু হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হাকিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘শিশু হাসপাতলে দালালদের বিরুদ্ধে নিয়মিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে থাকে। হাসপাতালে রোগীরা যেহেতু শিশু সেই ক্ষেত্রে দালালরা যাতে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কোনোভাবে জিম্মি করতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তবে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে ভোগান্তির কম হয়।’

সেবা গ্রহীতারা বলছেন, ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ম মেনে সেবা নিতে গেলে পদে পদে অনিয়ম করে কাজ করতে হয়। অন্যথায় সেবা পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েন। তবে তদবির আর টাকা হলে সব কিছু ঠিকঠাক আছে।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) এর সামনে কথা হয় এক ‘দালালের’ সঙ্গে। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দালাল বলেন, সকাল দুপুর ও বিকাল টাইমে দালাল চক্রের সদস্যরা রোগী ভাগানোর কাজ করে। এতে করে আশেপাশের হাসপাতাল থেকে তারা কমিশন পান।

শ্যামলী এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে কথা হয় একাধিক দালালের সঙ্গে। এ সময় জানা যায়, দালালদের স্ত্রীরাও দালালের কাজ করে। তারা একেক সময় একেক নাম ব্যবহার করে। তবে এই এলাকার সব হাসপাতালের মূল দালাল হলেন- বিল্লাল সর্দার। আর এর সর্দারনী হলেন তার স্ত্রী মোছা. ফাতেমা। তাদের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে রোগী পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান বলেন, আমি যোগদানের পর সেবার মান বৃদ্ধি করেছি। যেহেতু এটি একটি বড় হাসপাতাল সেই ক্ষেত্রে আমাদের কিছু সমস্যা হয়তো থাকে। আর হাপাতালের স্বার্থে এবং রোগীদের জন্য যা করণীয় আমরা করে থাকি। আর আমাদের হাসপাতালের লোকজন দালালীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এমনটা যদি প্রমাণ হয় তাহলে আমরা বিষয়টি আমলে নিয়ে কাজ করব।

তিনি বলেন, কিছু রোগী এবং তার স্বজনেরা বারান্দায় আছে। তারা হয়তো কিছু অভিযোগ করতে পারে। ৫০টি বেড আসবে। সেগুলো এলে এসব সমাধান হয়ে যাবে। তিনি বলেন, দালাল ও হাসপাতালের কর্মচারীদের আমরা বিভিন্নভাবে তদারকি করছি। বিশেষ ক্ষেত্রে প্রায় প্রতিদিন আমাদের হাসপাতালে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। হাসপাতালে লোকবল কম থাকায় প্রথম দিকে কিছু সমস্যা ছিল। বর্তমানে সব কিছু আমরা সমাধানের জন্য কাজ করছি। যদি কেনো রোগী বা স্বজনেরা তেমন কিছু না বোঝে তাহলে তাদেরকে আমাদের লোকজন সহযোগিতা করে থাকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আসলে দালাল চক্রদের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। অনেক হাসপাতালে প্রায়দিন অভিযান চলে। সবচেয়ে বড় কথা হলো যেকোনো সেবামুখী মানুষদের সতর্ক হতে হবে, না বুঝলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অবহতি করতে হবে। দেখবেন অনেকটা এসব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন বলেন, অনেক সময় আপনারা লক্ষ্য করবেন আমাদের মেট্রাপলিটন পুলিশ ঢাকা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালে দালাল চক্রদের ধরার জন্য বিভিন্ন ফাঁদ পেতে থাকে। দালালরা আমাদের অভিযানে ধরা পড়ে কিন্তু এরা বের হয়ে আবার একই কাজ করে। সবচেয়ে বড় কথা হলো যেকোনো অসাধু চক্র থেকে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ বিরত থাকলে এসব অপরাধ অনেকটা কমে আসবে।

কেএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে