বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রতারণা করে বিক্রি হচ্ছে ‘বিষ’ মেশানো লাল চিনি

চিনির তুমুল সংকটের মধ্যে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সাদা চিনিতে লাল রং মিশিয়ে দেশীয় চিনি পরিচয়ে চড়া মূল্যে বাজারে বিক্রি করছে। বিষয়টি ধরা পড়েছে সরকারের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানেও। তারপরও বন্ধ হয়নি প্রতারণা।

তারা বলছেন, চিনির সংকটকে পুঁজি করে একশ্রেণির অসাধু চক্র সাদা চিনিতে বিষাক্ত রং মিশিয়ে ‘দেশি লাল’ চিনির নামে ১৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। যা আসলে লাল চিনি না। কারণ সরকারি লাল চিনির প্রতি কেজির খুচরা বিক্রয় মূল্য ১১২ টাকা। তারপরও লাল চিনির নামে গাংচিল, সতেজ ফুড, মাশিরা বিডি, সেবা মার্কেটিং এর চিনিতে সয়লাব হয়ে গেছে।

অন্যদিকে সরকারের বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য করপোরেশন (বিএসএফসি) কর্তৃপক্ষ বলছে, ডিলারদেরকে দেওয়ার মতো তাদের পর্যাপ্ত চিনিই নেই। তা ছাড়া তাদের চিনির প্রতি কেজির খুচরা মূল্য ১১২ টাকা। এর চেয়ে বেশি দামে যেমন কেউ এটা বিক্রি করতে পারবে না, তেমনি এই চিনি নিয়ে কেউ অন্য নামে প্যাকেট করেও বিক্রি করতে পারবে না।

অথচ বাজার সয়লাব লাল চিনিতে! ভোক্তাকে শুধু ঠকানোই হচ্ছে না। প্রতারণা করে রং মেশানো বিষাক্ত চিনি যেমন পাওয়া হচ্ছে, তেমনি সাধারণ ক্রেতাদের পকেট থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ চিনি প্রতারক চক্র।

সরকার প্রতি কেজি প্যাকেট চিনির দাম ১০৭ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও সিটি, মেঘনা, দেশবন্ধু, ইগলুসহ ৫টি রিফাইনারি কোম্পানি ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের চিনি দিচ্ছে না। স্বাভাবিক সরবরাহ বন্ধ থাকায় ভোক্তারাও চিনি পাচ্ছেন না। রমজানের আগে চিনির বাজারের অস্থিরতা ডিলার-পাইকার তো বটে, সাধারণ ক্রেতাদেরকেও রীতিমতো আতঙ্কিত করে তুলেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে চিনির বিষয়ে ডিলার, পাইকার ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেও পাওয়া যায় চিনি নিয়ে জাল-জালিয়াতির সত্যতা। তারা বলছেন, এসব অসাধু ও প্রতারক চক্রকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

ঢাকাপ্রকাশ-এর অনুসন্ধানে জানা গেছে, খুচরা বাজারে সাদা চিনির সংকটের সুযোগে প্রতারকচক্র বিভিন্ন নামে লাল চিনি বেশি দামে বিক্রি করে কাঁচা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন বলছে, আগে প্যাকেট লাল চিনির প্রতি কেজির খুচরা মূল্য ছিল ৯৯ টাকা। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৩ টাকা দাম বাড়িয়ে এখন বিক্রি করা হচ্ছে ১১২ টাকা। আর খোলা চিনির কেজি ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এর চেয়ে বেশি দামে কেউ বিক্রি করলে তা প্রতারণা হিসেবে ধরে নিতে হবে। এরকম প্রতারণা করায় ঢাকার এসপি ফুড প্রোডাক্টস, গ্রামীণ ফুড প্রোডাক্টস ও ফেয়ারডিল কনজুমার প্রোডাক্টস ও গাংচিল নামে কথিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বিএসএফসির প্রধান মো. মাযহার উল হক খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দেওয়ার পর করপোরেশনের হাতে চিনি তেমন একটা থাকে না।

তিনি বলেন, মাসে একজন ডিলারকে পাঁচ বস্তা অর্থাৎ ২৫০ কেজি চিনি দেওয়া হয়। আমরা ডিলারদের কাছে ১০৭ টাকা কেজি বিক্রি করি। তারা খুচরা বাজারে ১১২ টাকায় বিক্রি করে। কাজেই কোনো ডিলার ১১২ টাকার বেশি দামে বিক্রি করতে পারে না। কেউ করলে বুঝতে হবে তারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে। কারণ কোনো অনুমোদিত ডিলার বিএসএফসির প্যাকেট ছাড়া অন্য কোনো নামে চিনি বিক্রি করতে পারে না।

মাশিরা, গাংচিলসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান তাদের নামে প্যাকেট করে সরকারি চিনি বলে ১৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, এটা করলে বুঝতে হবে তারা প্রতারণা করছে। মাশিরা আমাদের ডিলার হলেও ১১২ টাকার বেশি বিক্রি করতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা জেলায় ৬০৬ জন হোলসেল ডিলার রয়েছে। এর মধ্যে মাশিরার নাম পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ আমাদের প্যাকেটও ব্যবহার করতে পারে না।

লাল চিনির নামে বিষ

ঢাকাপ্রকাশ-এর অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাংচিল, সতেজ ফুড,মাশিরা, সিবা ফুডসহ সেসব নামে প্যাকেট করে লাল চিনি নামে ১৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে তার পুরোটাই প্রতারণা। কারণ চিনির উৎপাদন কম হওয়ায় চিনি করপোরেশন লাল চিনি সরবরাহই করতে পারছে না।

বাজার ঘুরে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, মাশিরা বিডি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্যাকেটজাত চিনি রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজির খুচরা মূল্য ১৫৫ টাকা। যা একেবারেই অস্বাভাবিক। আর এসব প্যাকেটের গায়ে লেখা আছে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অনুমোদিত ডিলার।

শুধু মাশিরা নয়, গত দুই সপ্তাহ আগেও বাজারে একইভাবে সেবা ফুড, গাংচিল ও সতেজ ফুড তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে প্যাকেটজাত চিনি সরবরাহ করেছে লাল চিনি বলে। প্যাকেটের গায়ে দাম চিনি ও খাদ্য করপোরেশনের অনুমোদিত ডিলার উল্লেখ করে প্রতি কেজি চিনির দাম ১৫৫ টাকা বিক্রি করা হয়েছে।

লাল চিনির রহস্য জানতে গত তিন দিন ধরে মাশিরা বিডি সম্পর্কে অনুসন্ধান করে সোমবার পাওয়া গেল প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার এস এম শহিদুল্লাহ ইমরানকে।

তিনি ঢাকাপ্রকাশ-এর কাছে দাবি করেন, আমি প্রতারণা করছি না। আমি চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অনুমোদিত ডিলার। অন্য ডিলারদের কাছ থেকে বেশি দামে ডিও কিনে থাকি। ১৭০০ ডিলারকে মাসে ২৫০ কেজি চিনি দেওয়া হয়। কিন্তু এই চিনিতে একজন ডিলারের হয় না। তখন আমরা অন্য ডিলারের কাছ থেকে ডিও কিনি। প্রতিটি ডিও কিনতে হয় ৬ হাজার ৫০০ টাকায়। এত দাম দিয়ে কেনার পর ১১২ টাকায় আর বিক্রি করা যায় না।

এসময় তিনি বেশ উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। আমি সাংবাদিকতা লাইনের লোক। আপনি ভোক্তা অধিদপ্তরে, চিনি করপোরেশনে যান। সব জানতে পারবেন। আমার ১০০ টন লাগে। প্রতি কেজিতে ২৫ টাকা বেশি দিতে হয়। তাই দাম বেশি। ১১২ টাকা খুচরা রেট। ১০৭ টাকা কেজি কেনা হয়। আমি কি কম দামে লস করে বিক্রি করব নাকি?

আপনি তো ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে অনেকটা ক্ষিপ্ত হয়ে ইমরান বলেন, আমরা বেশি দামে কিনি তাই খুচরা বিক্রয় মূল্য ১৫৫ টাকা করেছি। আমরা কোনো জালিয়াতি করি না। কারণ আমরা বিএসটিআই থেকে ট্রেডমার্ক লাইসেন্স নিয়ে মাশিরা ব্রান্ডের নামে ধানমন্ডি, ঢাকা ঠিকানা ব্যবহার করে ব্যবসা করছি।

এসময় তিনি পাশে থাকা তার সহযোগী কামরুল হাসানকে ফোন ধরিয়ে দেন। কামরুল হাসান বলেন, আমরা দুই জনে মিলে কারখানা করেছি। সেখানে চিনি প্যাকেট করি, তারপর বাজারজাত করি। এতে অনেক খরচ। বেশি করে চিনি বিক্রি করতে না পারলে কারখানা চলবে না। সরকার ২৫০ কেজি করে বরাদ্দ দেয়। তা দিয়ে তো কারখানা চলে না। তাই বেশি দামে ডিও কিনি।

চিনি ও খাদ্য করপোরেশনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) আবার ইমরানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি নিজে ডিলার না। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়েছি এক ডিলারের কাছ থেকে। সে আমাকে চিনি বিক্রি করার পাওয়ার দিয়েছে। সেই ডিলারের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বলা যাবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিনি করপোরেশন কত বরাদ্দ (অ্যালটমেন্ট) দেয় তার উপর নির্ভর করে। তবে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টন চিনি বিক্রি করা হয়। পুলিশ লাইন, কচুক্ষেত থেকে প্রতি বস্তা (৫০কেজি) চিনি ৬ হাজার ২০০ টাকা বা প্রতি কেজি কেনা হয় ১২০ টাকা করে। এর সঙ্গে অফিস খরচও রয়েছে। এজন্য দাম বেশি।

ভোক্তা অধিকার যা বলছে

চিনি নিয়ে আসলে হচ্ছে কী? ১১২ টাকার লাল চিনি কেউ ১৫৫ বা ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে? জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিউজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা তথ্য প্রমাণ পেলে অবশ্যই অ্যাকশনে যাব। সরকারের বেঁধে দেওয়া রেটের বেশি কেউ কোনো পণ্য বিক্রি করতে পারে না। এর আগেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সাদা চিনিতে ক্ষতিকর রং মিশিয়ে ‘লাল চিনি’ নামে বেশি দামে বিক্রি করায় সতেজ এবং গাংচিলের লাল চিনি ধ্বংস করা হয়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্যাকেট চিনি ও খোলা চিনির রেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর বেশি নিলে অবশ্যই তা দেখা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করছে। চিনির সংকট চলছে। এটা কাজে লাগাচ্ছে একশ্রেণির প্রতারক চক্র। তারা ভিন্ন ভিন্ন নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে প্রতারণা করছে।

এ ব্যাপারে ক্যাবের সহ-সভাপতি কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, এটা অবশ্যই প্রতারণা। এ অনিয়মগুলো দীর্ঘদিন থেকে চলছে। বিশেষ করে তেল ও চিনির ক্ষেত্রে। এজন্য কয়েকটা ফ্যাক্টরিতে অভিযানও হয়েছে। এর সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা সরকারকে অ্যাকশনে যেতে বলেছি।

প্রতারণা করলে রক্ষা নেই

বিএসএফসির চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপু বলেন, আমাদের ডিলার হলে বাজারে তাদের ১১২ টাকা কেজি চিনি বিক্রি করতে হবে। তারা আমাদের প্যাকেটে অন্য নামে লাল প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি করতে পারবে না। আবার আলাদা প্যাকেট করে সরকারের কোনো চিনিও বিক্রি করতে পারে না। করলে তা প্রতারণা। আর খোলা চিনিও ১০৫ টাকার বেশি বিক্রি করা যাবে না। আমাদের কাছেও তথ্য এসেছে কয়েকটা কোম্পানি বিভিন্ন দামে চিনি বিক্রি করছে। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভোক্তা অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এনএইচবি/এসজি

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া