বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশেষ সাক্ষাৎকার

নিজেদের প্রতীকে নির্বাচন করব: রাশেদ খান মেনন

দিন যত যাচ্ছে, জোট-মহাজোটের হিসাব ততই খোলসা হচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি শুরু করেছে। নিজেদের সাংগঠনিক কার্যক্রমে জোর দিয়েছে দলগুলো। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। গত দুই নির্বাচনে নৌকায় চড়ে বৈতরণী পার হয়েছেন মহাজোটের শরিক হেভিওয়েট নেতারা। এভাবে রাজনৈতিক মহলে নিজ দলের অবস্থানকে নড়বড়ে করেছেন তারা। তাই এবার নৌকায় চড়তে চান না শরিক দলের অনেক নেতা। নিজ দলের প্রতীকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে তারা। সম্প্রতি একান্ত সাক্ষাৎকারে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের চিন্তা-ভাবনা ঢাকাপ্রকাশকে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার শাহজাহান মোল্লা।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আপনার দলের প্রস্তুতি কেমন?

রাশেদ খান মেনন: আমাদের দলের ১০ম কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত হয়, আমরা ১৪ দলে থাকলেও নিজের প্রতীকে নির্বাচন করব। আগে যেমন নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছি, এখন নৌকা প্রতীক নেব না। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে অনুরোধ করব–আমরা নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করব। আমাদের সিদ্ধান্ত হলো–অন্য শরিকরাও যেন তাদের দলের প্রতীকে নির্বাচন করে। এটা আমাদের ইচ্ছে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সংসদ সদস্য হয়েছেন আবার মন্ত্রীও হয়েছেন। এখন হঠাৎ কি হলো যে নৌকায় চড়তে চান না?

রাশেদ খান মেনন: নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করার বড় কারণ হলো–বাধাহীনভাবে কথা বলা। নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে না পারলে সংসদে কথা বলা ৭০ বিধির কারণে বাধা হয়ে দাড়ায়। এই ধরনের কোনো বাধার সামনে যেন না পড়তে হয়, যাতে আমরা খোলাখুলি মত প্রকাশ করতে পারি সংসদে এবং সংসদের বাইরেও। এই সুবিধার জন্য নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে চাই। আমরা এখনও মনে করি, সামনের নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে ঐক্য দরকার আছে এবং সেই পর্যায়ে নির্বাচন হবে। তবে এটি নির্ভর করবে–আওয়ামী লীগ কতটা প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে তো আপনারা আছেন? ১৪ দলের বর্তমান অবস্থা কী?

রাশেদ খান মেনন: ১৪ দলের কার্যক্রমে খুব একটা আশান্বিত হচ্ছি না। করোনাকালীন তো বটেই, করোনার আগেও কেবল দিবস পালন ছাড়া অন্য কোনো কাজ করিনি। যেমন–সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সংগঠিত হলো বাংলাদেশে। অতীতে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়ে জামায়াতে ইসলাম-বিএনপি যখন একটি সংকট তৈরি করল, তখন আমরা জনগণের কাছে গিয়েছিলাম। অথচ সাম্প্রতিককালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়েছে, অথচ মানুষের কাছে যেতে পারিনি। এটি নিয়ে কেবল ভার্চুয়াল মাধ্যমে কিছু আলোচনা করেছি। সেখানেও খুব বেশি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এমন নয়। শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি–এগুলো কেবল নাম রক্ষা। নাম রক্ষা করলে হবে না। মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করেই কেবল রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: ১৪ দলের নতুন সমন্বয়ক আসাতে কি কোনো সমস্যা হচ্ছে?

রাশেদ খান মেনন: সমন্বয়ক বিষয় না। শরিকদের কাছে আওয়ামী লীগের চাওয়া কি সেটাও তো বুঝতে হবে। আগের সমন্বয়ক থাকাতে সুবিধা ছিল যে, তিনি নিজে সরাসরি সক্রিয় ছিলেন। এখনকার সমন্বয়ক বয়োজ্যেষ্ঠ। তার পক্ষে করোনাকালে দৌড়ঝাঁপ করাটা একটু মুশকিল, এটি আমরা যেমন করতে পারছি না, তিনিও করতে পারেননি। সীমাবদ্ধতা রয়েই গেছে। আমাদেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এটি তার ব্যাপার না। সামগ্রিকভাবে আওয়ামী লীগ কি ভাবছে সেটিই বড় কথা।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করার কথা বলেছেন; কিন্তু অনেকে বলেন–নৌকা ছাড়া নির্বাচন করলে সুবিধা করতে পারবেন না। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

রাশেদ খান মেনন: এটি সঠিক না। আমি আমাদের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আরও দুইবার নির্বাচিত হয়েছি। আমাদের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা হাতুড়ি মার্কা নিয়ে বিএনপির সেই চক্রান্তের ভোটেও বিএনপি প্রার্থীকে প্রায় পরাজিত করেছেন। আমাদের অন্য সদস্যরাও দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমাদের প্রতীক নিয়ে দুইজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে হেরে যাব! তাহলে আমি এতবার সংসদ সদস্য হলাম কি করে? আমি তো এই তিনবারই সংসদ সদস্য না। এর আগেও সংসদ সদস্য ছিলাম; বরং সেই সময় অনেক বেশি কাজ করতে হয়েছে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি একটি অনুষ্ঠানে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আপনার বর্তমান অবস্থানটা কী?

রাশেদ খান মেনন: শুধু একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে বলেছি বিষয়টি তা নয়। আমি সব নির্বাচন নিয়েই কথা বলেছি। এখন তো অনেক নির্বাচন, বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যা হচ্ছে, তা দেখলেই বোঝা যাবে–নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়েছে। এই যে হানাহানি-মারামারি হচ্ছে, এই যে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে–নির্বাচন কমিশন কি কিছু করতে পেরেছে?

 

ঢাকাপ্রকাশ: বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আপনার দলের অবস্থান কী?

রাশেদ খান মেনন: আমরা সব সময় বলে আসছি, নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান অনুসারে আইনের ভিত্তিতে গঠন করাটা বাঞ্ছনীয়। হুদা কমিশন থেকে শুরু করে এ কথাটি বারবার বলে আসছি; কিন্তু আইনটি এখন পর্যন্ত না বিএনপি করেছে, না আওয়ামী লীগ করেছে? আমরা মনে করি, এখনও যে সময় আছে, তাতে একটি আইন করা খুব অসম্ভব নয়। আইনের ড্রাফট করা আছে। শামসুল হুদা কমিশন ড্রাফটা করে দিয়েছিল। সংসদে না করা গেলে অধ্যাদেশ জারি করেও আইন হতে পারে। সেটি একান্তভাবে সম্ভব না হলে, মন্দের ভালো সার্চ কমিটির মাধ্যমে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আইনমন্ত্রী তো বলে দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আইন এই সময়ে করা সম্ভব না...

রাশেদ খান মেনন: কেন সম্ভব না? ড্রাফট তো করাই আছে। ওই ড্রাফট নিলেই তো হয়। আর যদি সম্ভব না হয়, তাহলে তো অধ্যাদেশও জারি করতে পারে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: সার্চ কমিটির মাধ্যমে যে কমিশন গঠন করা হবে, সেটিতে আপনাদের আস্থা কতটুকু?

রাশেদ খান মেনন: সার্চ কমিটির কারণে তো কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হয় না। নির্বাচন কমিশন তার নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ না করে যদি আজ্ঞাবহ হয়ে যায়, তাহলে তার পরিণতি যা হওয়ার তা-ই হবে। আইনে নির্বাচন কমিশনকে যথেষ্ট ক্ষমতা দেওয়া হয়, তারা সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করছে না। তারা চোখের সামনে দেখছে ঘটনাবলি, এখন তারা বলছে প্রশাসন দায়ী। প্রশাসন তো তাদের অধীনেই থাকছে নির্বাচনের সময়। প্রশাসন যদি দায়ী হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। নির্বাচন কমিশন যদি সরকারকে কোনো ডিসি বা এসপিকে সরিয়ে দিতে বা ব্যবস্থা নিতে বলে, তাহলেই তো সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: বারবার কেন সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে?

রাশেদ খান মেনন: কোনো কারণ আমি দেখি না। গত তিন দশক ধরে, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায় থেকে রাজনৈতিক স্থবিরতায় সাম্প্রদায়িকীকরণ হয়েছে। সাম্প্রদায়িকতা সমাজের মধ্যে এমনভাবে বিস্তার লাভ করেছে যে, যারা বামপন্থী বলে দাবি করেন, তাদের অনেকে রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে কথা বলতে রাজি না। কারণ তাদের ভয়–ভোট নষ্ট হবে। বঙ্গবন্ধু শপথ নেওয়ার সময় সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আমরা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে চরম লড়াই করেছি। আমাদের তরুণ প্রজন্মের যদি এই অবক্ষয় হয়ে যায়, তাহলে তো মুশকিল।

 

ঢাকাপ্রকাশ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

রাশেদ খান মেনন: আপনার মাধ্যমে ঢাকাপ্রকাশকেও ধন্যবাদ।

 

এসএম/এএন

Header Ad
Header Ad

খুলনায় ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাস, বুলডোজারের আঘাতে মাটিতে মিশে গেল ‘শেখ বাড়ি’

ছবি: সংগৃহীত

খুলনার ময়লাপোতা এলাকায় ‘শেখ বাড়ি’ নামে পরিচিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র আজ (বুধবার) রাতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের আহ্বানে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা সেখানে জড়ো হয়ে বাড়িটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং সিটি করপোরেশনের দুটি বুলডোজার দিয়ে বাড়িটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে গত ৪ আগস্ট ‘শেখ বাড়ি’তে প্রথম দফায় আগুন লাগানো হয়। সেদিন বাড়িটি খালি থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর আবারও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়। একসময় যেখান থেকে খুলনা অঞ্চলের আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হতো, আজ সেটির অস্তিত্ব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো।

প্রসঙ্গত, ‘শেখ বাড়ি’ ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচার মালিকানাধীন। এ বাড়িতে তাঁর চাচাতো ভাই, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সোহেল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন পরিবারের সদস্য বসবাস করতেন। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে এ বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা ছিল।

বুলডোজার চালানোর সময় ছাত্র-জনতার বিপুল উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যায়। তাঁদের দাবি, বৈষম্যমূলক রাজনৈতিক শাসনের প্রতীক হয়ে উঠেছিল এই বাড়ি, তাই এটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য।

Header Ad
Header Ad

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছে। আজ বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, সন্ধ্যা ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জড়ো হয়। তারা স্লোগান দিতে দিতে জাদুঘরের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ জাদুঘরের বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করে।

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণের বিরোধিতা করে এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২' নামে একটি কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়, যেখানে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়। তবে, বুলডোজার ছাড়াই তারা নিজ হাতে ভাঙচুর চালায়।

এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও বিক্ষোভকারীদের থামাতে ব্যর্থ হয়। বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে পরিচিত, যেখানে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার আগে বসবাস করতেন।

Header Ad
Header Ad

আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা কী করলাম বা করলাম না- ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেটি দিয়ে আমাদের বিচার করবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, দেশের রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং এর ভিত্তিতেই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। তিনি আরও বলেন, "এটি জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। আমি জাতির পক্ষ থেকে কমিশনের দুই চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।"

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "এই দুটি প্রতিবেদন দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে। আপনি দরিদ্র, মধ্যবিত্ত বা ধনী যেই হোন না কেন, এই সংস্কারের প্রভাব থেকে কেউই বাদ যাবেন না।"

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নাগরিকরা তাদের প্রকৃত অধিকার ফিরে পাবেন। আমরা যেন সত্যিকারের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পাই, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।"

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, "যাতে সবাই মনে করতে পারে, এখানে প্রকৃত সত্য বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। আমাদের তো পণ্ডিত হতে হবে না এটি বোঝার জন্য, কারণ প্রতিদিনই আমরা নানা অবিচারের শিকার হই।"

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "সংস্কার কমিশনের কাজ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশ্বের দরবারে এটি তুলে ধরতে হলে এর ইংরেজি অনুবাদ করা প্রয়োজন।"

কমিশনের সদস্যদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, "আপনাদের প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা ও গবেষণার সংমিশ্রণে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দলিল হয়ে থাকবে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা কী করলাম বা করলাম না, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের সেই কাজের জন্যই বিচার করবে। তারা প্রশ্ন করতে পারে, আপনারা তো পেয়েছিলেন, তাহলে বাস্তবায়ন করেননি কেন? কারণ, সবকিছু তো বইয়ের পাতায় লেখা আছে। এই কাজ জাতির জন্য এক মূল্যবান স্মারক হয়ে থাকবে।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খুলনায় ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাস, বুলডোজারের আঘাতে মাটিতে মিশে গেল ‘শেখ বাড়ি’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা
আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার বিচারের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান
মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কোপালেন আ'লীগের কর্মিরা
খুব দ্রুতই জবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে: ছাত্রদল সভাপতি
বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব