সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশেষ সাক্ষাৎকার

নিজেদের প্রতীকে নির্বাচন করব: রাশেদ খান মেনন

দিন যত যাচ্ছে, জোট-মহাজোটের হিসাব ততই খোলসা হচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি শুরু করেছে। নিজেদের সাংগঠনিক কার্যক্রমে জোর দিয়েছে দলগুলো। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। গত দুই নির্বাচনে নৌকায় চড়ে বৈতরণী পার হয়েছেন মহাজোটের শরিক হেভিওয়েট নেতারা। এভাবে রাজনৈতিক মহলে নিজ দলের অবস্থানকে নড়বড়ে করেছেন তারা। তাই এবার নৌকায় চড়তে চান না শরিক দলের অনেক নেতা। নিজ দলের প্রতীকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে তারা। সম্প্রতি একান্ত সাক্ষাৎকারে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের চিন্তা-ভাবনা ঢাকাপ্রকাশকে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার শাহজাহান মোল্লা।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আপনার দলের প্রস্তুতি কেমন?

রাশেদ খান মেনন: আমাদের দলের ১০ম কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত হয়, আমরা ১৪ দলে থাকলেও নিজের প্রতীকে নির্বাচন করব। আগে যেমন নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছি, এখন নৌকা প্রতীক নেব না। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে অনুরোধ করব–আমরা নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করব। আমাদের সিদ্ধান্ত হলো–অন্য শরিকরাও যেন তাদের দলের প্রতীকে নির্বাচন করে। এটা আমাদের ইচ্ছে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সংসদ সদস্য হয়েছেন আবার মন্ত্রীও হয়েছেন। এখন হঠাৎ কি হলো যে নৌকায় চড়তে চান না?

রাশেদ খান মেনন: নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করার বড় কারণ হলো–বাধাহীনভাবে কথা বলা। নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে না পারলে সংসদে কথা বলা ৭০ বিধির কারণে বাধা হয়ে দাড়ায়। এই ধরনের কোনো বাধার সামনে যেন না পড়তে হয়, যাতে আমরা খোলাখুলি মত প্রকাশ করতে পারি সংসদে এবং সংসদের বাইরেও। এই সুবিধার জন্য নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে চাই। আমরা এখনও মনে করি, সামনের নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে ঐক্য দরকার আছে এবং সেই পর্যায়ে নির্বাচন হবে। তবে এটি নির্ভর করবে–আওয়ামী লীগ কতটা প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে তো আপনারা আছেন? ১৪ দলের বর্তমান অবস্থা কী?

রাশেদ খান মেনন: ১৪ দলের কার্যক্রমে খুব একটা আশান্বিত হচ্ছি না। করোনাকালীন তো বটেই, করোনার আগেও কেবল দিবস পালন ছাড়া অন্য কোনো কাজ করিনি। যেমন–সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সংগঠিত হলো বাংলাদেশে। অতীতে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়ে জামায়াতে ইসলাম-বিএনপি যখন একটি সংকট তৈরি করল, তখন আমরা জনগণের কাছে গিয়েছিলাম। অথচ সাম্প্রতিককালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়েছে, অথচ মানুষের কাছে যেতে পারিনি। এটি নিয়ে কেবল ভার্চুয়াল মাধ্যমে কিছু আলোচনা করেছি। সেখানেও খুব বেশি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এমন নয়। শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি–এগুলো কেবল নাম রক্ষা। নাম রক্ষা করলে হবে না। মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করেই কেবল রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: ১৪ দলের নতুন সমন্বয়ক আসাতে কি কোনো সমস্যা হচ্ছে?

রাশেদ খান মেনন: সমন্বয়ক বিষয় না। শরিকদের কাছে আওয়ামী লীগের চাওয়া কি সেটাও তো বুঝতে হবে। আগের সমন্বয়ক থাকাতে সুবিধা ছিল যে, তিনি নিজে সরাসরি সক্রিয় ছিলেন। এখনকার সমন্বয়ক বয়োজ্যেষ্ঠ। তার পক্ষে করোনাকালে দৌড়ঝাঁপ করাটা একটু মুশকিল, এটি আমরা যেমন করতে পারছি না, তিনিও করতে পারেননি। সীমাবদ্ধতা রয়েই গেছে। আমাদেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এটি তার ব্যাপার না। সামগ্রিকভাবে আওয়ামী লীগ কি ভাবছে সেটিই বড় কথা।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করার কথা বলেছেন; কিন্তু অনেকে বলেন–নৌকা ছাড়া নির্বাচন করলে সুবিধা করতে পারবেন না। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

রাশেদ খান মেনন: এটি সঠিক না। আমি আমাদের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আরও দুইবার নির্বাচিত হয়েছি। আমাদের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা হাতুড়ি মার্কা নিয়ে বিএনপির সেই চক্রান্তের ভোটেও বিএনপি প্রার্থীকে প্রায় পরাজিত করেছেন। আমাদের অন্য সদস্যরাও দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমাদের প্রতীক নিয়ে দুইজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে হেরে যাব! তাহলে আমি এতবার সংসদ সদস্য হলাম কি করে? আমি তো এই তিনবারই সংসদ সদস্য না। এর আগেও সংসদ সদস্য ছিলাম; বরং সেই সময় অনেক বেশি কাজ করতে হয়েছে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি একটি অনুষ্ঠানে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আপনার বর্তমান অবস্থানটা কী?

রাশেদ খান মেনন: শুধু একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে বলেছি বিষয়টি তা নয়। আমি সব নির্বাচন নিয়েই কথা বলেছি। এখন তো অনেক নির্বাচন, বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যা হচ্ছে, তা দেখলেই বোঝা যাবে–নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়েছে। এই যে হানাহানি-মারামারি হচ্ছে, এই যে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে–নির্বাচন কমিশন কি কিছু করতে পেরেছে?

 

ঢাকাপ্রকাশ: বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আপনার দলের অবস্থান কী?

রাশেদ খান মেনন: আমরা সব সময় বলে আসছি, নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান অনুসারে আইনের ভিত্তিতে গঠন করাটা বাঞ্ছনীয়। হুদা কমিশন থেকে শুরু করে এ কথাটি বারবার বলে আসছি; কিন্তু আইনটি এখন পর্যন্ত না বিএনপি করেছে, না আওয়ামী লীগ করেছে? আমরা মনে করি, এখনও যে সময় আছে, তাতে একটি আইন করা খুব অসম্ভব নয়। আইনের ড্রাফট করা আছে। শামসুল হুদা কমিশন ড্রাফটা করে দিয়েছিল। সংসদে না করা গেলে অধ্যাদেশ জারি করেও আইন হতে পারে। সেটি একান্তভাবে সম্ভব না হলে, মন্দের ভালো সার্চ কমিটির মাধ্যমে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আইনমন্ত্রী তো বলে দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আইন এই সময়ে করা সম্ভব না...

রাশেদ খান মেনন: কেন সম্ভব না? ড্রাফট তো করাই আছে। ওই ড্রাফট নিলেই তো হয়। আর যদি সম্ভব না হয়, তাহলে তো অধ্যাদেশও জারি করতে পারে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: সার্চ কমিটির মাধ্যমে যে কমিশন গঠন করা হবে, সেটিতে আপনাদের আস্থা কতটুকু?

রাশেদ খান মেনন: সার্চ কমিটির কারণে তো কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হয় না। নির্বাচন কমিশন তার নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ না করে যদি আজ্ঞাবহ হয়ে যায়, তাহলে তার পরিণতি যা হওয়ার তা-ই হবে। আইনে নির্বাচন কমিশনকে যথেষ্ট ক্ষমতা দেওয়া হয়, তারা সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করছে না। তারা চোখের সামনে দেখছে ঘটনাবলি, এখন তারা বলছে প্রশাসন দায়ী। প্রশাসন তো তাদের অধীনেই থাকছে নির্বাচনের সময়। প্রশাসন যদি দায়ী হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। নির্বাচন কমিশন যদি সরকারকে কোনো ডিসি বা এসপিকে সরিয়ে দিতে বা ব্যবস্থা নিতে বলে, তাহলেই তো সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: বারবার কেন সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে?

রাশেদ খান মেনন: কোনো কারণ আমি দেখি না। গত তিন দশক ধরে, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায় থেকে রাজনৈতিক স্থবিরতায় সাম্প্রদায়িকীকরণ হয়েছে। সাম্প্রদায়িকতা সমাজের মধ্যে এমনভাবে বিস্তার লাভ করেছে যে, যারা বামপন্থী বলে দাবি করেন, তাদের অনেকে রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে কথা বলতে রাজি না। কারণ তাদের ভয়–ভোট নষ্ট হবে। বঙ্গবন্ধু শপথ নেওয়ার সময় সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আমরা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে চরম লড়াই করেছি। আমাদের তরুণ প্রজন্মের যদি এই অবক্ষয় হয়ে যায়, তাহলে তো মুশকিল।

 

ঢাকাপ্রকাশ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

রাশেদ খান মেনন: আপনার মাধ্যমে ঢাকাপ্রকাশকেও ধন্যবাদ।

 

এসএম/এএন

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। দেশটির প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মুসলিম আমেরিকানদের কর্মস্থলে ছুটির প্রয়োজন হয়নি, পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরাও নির্বিঘ্নে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পেরেছে।

প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিমদের ঘরে ঘরে ঈদের বিশেষ আয়োজন লক্ষ্য করা গেছে। তবে অভিবাসন মর্যাদার অভাবে কিছু প্রবাসী ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারেননি।

নিউইয়র্ক সিটিতে প্রধান প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার, ব্রুকলিনের বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার, কুইন্সের আল আমিন মসজিদ, ওজোনপার্কের আল আমান মসজিদ এবং ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার জামে মসজিদে। এছাড়া, নিউজার্সি, ফ্লোরিডা, পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, শিকাগো, টেক্সাসসহ অন্যান্য রাজ্যের মসজিদগুলোতেও একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদের আগের রাত অর্থাৎ চাঁদরাতকে ঘিরে প্রবাসী মুসলিমদের মধ্যে ছিল বিশেষ আয়োজন। মহিলাদের পাশাপাশি শিশু-কিশোর ও তরুণদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।

এদিকে, ঈদ জামাত নির্বিঘ্ন করতে স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। মসজিদভিত্তিক কমিউনিটির নিরাপত্তার জন্য টহল পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়, যাতে মুসলিম সম্প্রদায় শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান

মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতর তিনি উদযাপন করছেন সেখানে ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে।

রোববার (৩০ মার্চ) রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মা খালেদা জিয়াসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। ছবির সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের জনগণ এবং বিশ্বের মুসলিমদের উদ্দেশ্যে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন— "ঈদ মোবারক।"

তারেক রহমান লিখেছেন, ১৭ বছর ধরে নিপীড়িত বাংলাদেশের মানুষ একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক দেশে ঈদ উদযাপনের স্বপ্ন দেখছিলেন। ২০২৪ সালে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দুই হাজারের বেশি মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছে। প্রায় দুই দশক পর এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশে ঈদ উদযাপন করছে। তিনি শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং যারা এখনো সেই সংগ্রামের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

ঈদের এই আনন্দঘন মুহূর্তে বিএনপি নেতা-কর্মীসহ সব দেশবাসীকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। বিশেষভাবে এতিম ও দরিদ্রদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার অনুরোধ করেন, যাতে কেউ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়।

এছাড়া, তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান, যাতে মানুষ বাড়ি ফেরার পথে বাড়তি দুর্ভোগে না পড়ে।

তারেক রহমান সতর্ক করে বলেন, দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য কিছু চক্র এখনো সক্রিয়। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান। যদি জাতি ঐক্যবদ্ধ হতে ব্যর্থ হয়, তবে এই শক্তিগুলো অর্জিত বিজয়কে দুর্বল করার চেষ্টা করবে বলে সতর্ক করেন।

সবশেষে তিনি দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ঈদের সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার আহ্বান জানান, যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনজীবন বা সম্পত্তির ক্ষতি করতে না পারে।

তিনি প্রার্থনা করেন, স্বাধীন বাংলাদেশের এই প্রথম ঈদ সবার জন্য শান্তি, ঐক্য এবং আনন্দ বয়ে আনুক।

Header Ad
Header Ad

ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের গৌরীপুর ও সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন। রোববার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গৌরীপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া ও সদর উপজেলার সাহেব কাচারী-সংলগ্ন ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শফিক উদ্দিন জানান, মৃত ব্যক্তিরা হলেন—গৌরীপুর উপজেলার ৯ নম্বর ভাংনামারী ইউনিয়নের দুর্বাচর গ্রামের ওবায়দুর রহমানের স্ত্রী কুলছুমা বেগম (৯৫), একই এলাকার মানিক মিয়ার স্ত্রী দিলরুবা (৪০), ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাইফুল ইসলামের মেয়ে দিলরুবা (৭) ও তার বড় বোন রীতি (১৪)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালের দিকে যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশাকে দ্রুতগতির বালুবাহী ট্রাক ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম খান জানান, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান
ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪
ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দুই দিনে রাজধানী ছাড়লেন ৪১ লাখ মানুষ
ঈদেও রেহাই নেই গাজার, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর
ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের আমন্ত্রণ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গাজাবাসীর ঈদুল ফিতরের নামাজ
জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত: ডিএমপি কমিশনার
৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ উদযাপন করলেন খালেদা জিয়া
ইসরাইলে হুথি বিদ্রোহীদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন
কারাগারে ঈদ: জেলে বন্দি নেতারা কেমন কাটাবেন ঈদের দিন?
শিল্পকলায় ‘চাঁদ রাতের আনন্দ অনুষ্ঠান’ থাকছে মাইজভান্ডারী গানের পরিবেশনা  
নিজেদের নয়, প্রকৃতিকে ঈদ উপহার দেওয়া উচিৎ : পরিবেশ উপদেষ্টা  
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যান পারাপার