শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিশেষ সাক্ষাৎকার

নিজেদের প্রতীকে নির্বাচন করব: রাশেদ খান মেনন

দিন যত যাচ্ছে, জোট-মহাজোটের হিসাব ততই খোলসা হচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি শুরু করেছে। নিজেদের সাংগঠনিক কার্যক্রমে জোর দিয়েছে দলগুলো। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। গত দুই নির্বাচনে নৌকায় চড়ে বৈতরণী পার হয়েছেন মহাজোটের শরিক হেভিওয়েট নেতারা। এভাবে রাজনৈতিক মহলে নিজ দলের অবস্থানকে নড়বড়ে করেছেন তারা। তাই এবার নৌকায় চড়তে চান না শরিক দলের অনেক নেতা। নিজ দলের প্রতীকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে তারা। সম্প্রতি একান্ত সাক্ষাৎকারে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের চিন্তা-ভাবনা ঢাকাপ্রকাশকে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার শাহজাহান মোল্লা।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আপনার দলের প্রস্তুতি কেমন?

রাশেদ খান মেনন: আমাদের দলের ১০ম কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত হয়, আমরা ১৪ দলে থাকলেও নিজের প্রতীকে নির্বাচন করব। আগে যেমন নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছি, এখন নৌকা প্রতীক নেব না। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে অনুরোধ করব–আমরা নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করব। আমাদের সিদ্ধান্ত হলো–অন্য শরিকরাও যেন তাদের দলের প্রতীকে নির্বাচন করে। এটা আমাদের ইচ্ছে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সংসদ সদস্য হয়েছেন আবার মন্ত্রীও হয়েছেন। এখন হঠাৎ কি হলো যে নৌকায় চড়তে চান না?

রাশেদ খান মেনন: নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করার বড় কারণ হলো–বাধাহীনভাবে কথা বলা। নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে না পারলে সংসদে কথা বলা ৭০ বিধির কারণে বাধা হয়ে দাড়ায়। এই ধরনের কোনো বাধার সামনে যেন না পড়তে হয়, যাতে আমরা খোলাখুলি মত প্রকাশ করতে পারি সংসদে এবং সংসদের বাইরেও। এই সুবিধার জন্য নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে চাই। আমরা এখনও মনে করি, সামনের নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে ঐক্য দরকার আছে এবং সেই পর্যায়ে নির্বাচন হবে। তবে এটি নির্ভর করবে–আওয়ামী লীগ কতটা প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে তো আপনারা আছেন? ১৪ দলের বর্তমান অবস্থা কী?

রাশেদ খান মেনন: ১৪ দলের কার্যক্রমে খুব একটা আশান্বিত হচ্ছি না। করোনাকালীন তো বটেই, করোনার আগেও কেবল দিবস পালন ছাড়া অন্য কোনো কাজ করিনি। যেমন–সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সংগঠিত হলো বাংলাদেশে। অতীতে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়ে জামায়াতে ইসলাম-বিএনপি যখন একটি সংকট তৈরি করল, তখন আমরা জনগণের কাছে গিয়েছিলাম। অথচ সাম্প্রতিককালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়েছে, অথচ মানুষের কাছে যেতে পারিনি। এটি নিয়ে কেবল ভার্চুয়াল মাধ্যমে কিছু আলোচনা করেছি। সেখানেও খুব বেশি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এমন নয়। শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি–এগুলো কেবল নাম রক্ষা। নাম রক্ষা করলে হবে না। মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করেই কেবল রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: ১৪ দলের নতুন সমন্বয়ক আসাতে কি কোনো সমস্যা হচ্ছে?

রাশেদ খান মেনন: সমন্বয়ক বিষয় না। শরিকদের কাছে আওয়ামী লীগের চাওয়া কি সেটাও তো বুঝতে হবে। আগের সমন্বয়ক থাকাতে সুবিধা ছিল যে, তিনি নিজে সরাসরি সক্রিয় ছিলেন। এখনকার সমন্বয়ক বয়োজ্যেষ্ঠ। তার পক্ষে করোনাকালে দৌড়ঝাঁপ করাটা একটু মুশকিল, এটি আমরা যেমন করতে পারছি না, তিনিও করতে পারেননি। সীমাবদ্ধতা রয়েই গেছে। আমাদেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এটি তার ব্যাপার না। সামগ্রিকভাবে আওয়ামী লীগ কি ভাবছে সেটিই বড় কথা।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করার কথা বলেছেন; কিন্তু অনেকে বলেন–নৌকা ছাড়া নির্বাচন করলে সুবিধা করতে পারবেন না। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

রাশেদ খান মেনন: এটি সঠিক না। আমি আমাদের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আরও দুইবার নির্বাচিত হয়েছি। আমাদের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা হাতুড়ি মার্কা নিয়ে বিএনপির সেই চক্রান্তের ভোটেও বিএনপি প্রার্থীকে প্রায় পরাজিত করেছেন। আমাদের অন্য সদস্যরাও দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমাদের প্রতীক নিয়ে দুইজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে হেরে যাব! তাহলে আমি এতবার সংসদ সদস্য হলাম কি করে? আমি তো এই তিনবারই সংসদ সদস্য না। এর আগেও সংসদ সদস্য ছিলাম; বরং সেই সময় অনেক বেশি কাজ করতে হয়েছে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি একটি অনুষ্ঠানে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আপনার বর্তমান অবস্থানটা কী?

রাশেদ খান মেনন: শুধু একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে বলেছি বিষয়টি তা নয়। আমি সব নির্বাচন নিয়েই কথা বলেছি। এখন তো অনেক নির্বাচন, বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যা হচ্ছে, তা দেখলেই বোঝা যাবে–নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়েছে। এই যে হানাহানি-মারামারি হচ্ছে, এই যে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে–নির্বাচন কমিশন কি কিছু করতে পেরেছে?

 

ঢাকাপ্রকাশ: বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আপনার দলের অবস্থান কী?

রাশেদ খান মেনন: আমরা সব সময় বলে আসছি, নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান অনুসারে আইনের ভিত্তিতে গঠন করাটা বাঞ্ছনীয়। হুদা কমিশন থেকে শুরু করে এ কথাটি বারবার বলে আসছি; কিন্তু আইনটি এখন পর্যন্ত না বিএনপি করেছে, না আওয়ামী লীগ করেছে? আমরা মনে করি, এখনও যে সময় আছে, তাতে একটি আইন করা খুব অসম্ভব নয়। আইনের ড্রাফট করা আছে। শামসুল হুদা কমিশন ড্রাফটা করে দিয়েছিল। সংসদে না করা গেলে অধ্যাদেশ জারি করেও আইন হতে পারে। সেটি একান্তভাবে সম্ভব না হলে, মন্দের ভালো সার্চ কমিটির মাধ্যমে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আইনমন্ত্রী তো বলে দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আইন এই সময়ে করা সম্ভব না...

রাশেদ খান মেনন: কেন সম্ভব না? ড্রাফট তো করাই আছে। ওই ড্রাফট নিলেই তো হয়। আর যদি সম্ভব না হয়, তাহলে তো অধ্যাদেশও জারি করতে পারে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: সার্চ কমিটির মাধ্যমে যে কমিশন গঠন করা হবে, সেটিতে আপনাদের আস্থা কতটুকু?

রাশেদ খান মেনন: সার্চ কমিটির কারণে তো কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হয় না। নির্বাচন কমিশন তার নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ না করে যদি আজ্ঞাবহ হয়ে যায়, তাহলে তার পরিণতি যা হওয়ার তা-ই হবে। আইনে নির্বাচন কমিশনকে যথেষ্ট ক্ষমতা দেওয়া হয়, তারা সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করছে না। তারা চোখের সামনে দেখছে ঘটনাবলি, এখন তারা বলছে প্রশাসন দায়ী। প্রশাসন তো তাদের অধীনেই থাকছে নির্বাচনের সময়। প্রশাসন যদি দায়ী হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। নির্বাচন কমিশন যদি সরকারকে কোনো ডিসি বা এসপিকে সরিয়ে দিতে বা ব্যবস্থা নিতে বলে, তাহলেই তো সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: বারবার কেন সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে?

রাশেদ খান মেনন: কোনো কারণ আমি দেখি না। গত তিন দশক ধরে, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায় থেকে রাজনৈতিক স্থবিরতায় সাম্প্রদায়িকীকরণ হয়েছে। সাম্প্রদায়িকতা সমাজের মধ্যে এমনভাবে বিস্তার লাভ করেছে যে, যারা বামপন্থী বলে দাবি করেন, তাদের অনেকে রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে কথা বলতে রাজি না। কারণ তাদের ভয়–ভোট নষ্ট হবে। বঙ্গবন্ধু শপথ নেওয়ার সময় সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আমরা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে চরম লড়াই করেছি। আমাদের তরুণ প্রজন্মের যদি এই অবক্ষয় হয়ে যায়, তাহলে তো মুশকিল।

 

ঢাকাপ্রকাশ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

রাশেদ খান মেনন: আপনার মাধ্যমে ঢাকাপ্রকাশকেও ধন্যবাদ।

 

এসএম/এএন

Header Ad
Header Ad

মেধাসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে মেধাসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "একটি বৈষম্যহীন, উদ্ভাবনী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ এবং উদ্ভাবনের পরিবেশ তৈরি করেই আমরা এগিয়ে যেতে পারি।"

তিনি জানান, 'আইপি অ্যান্ড মিউজিক: ফিল দ্য বিট অব আইপি'—এ বছরের প্রতিপাদ্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, যা সৃজনশীলতার সঙ্গে প্রযুক্তির যোগসূত্র তুলে ধরে। সংগীতকে তিনি "হৃদয়ের ভাষা" আখ্যা দিয়ে বলেন, "এটি কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতাকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার শক্তিশালী হাতিয়ার।"

ড. ইউনূস আরও বলেন, "বাংলাদেশের সংগীতশিল্পীরা লোকগান থেকে আধুনিক ধারায় নানাভাবে নিজেদের প্রতিভা প্রকাশ করে বিশ্বকে মুগ্ধ করছেন। এ শিল্পে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের মূল্যায়নের মাধ্যমে একটি অর্থনৈতিক গতিশীলতা সৃষ্টি সম্ভব।"

তিনি মনে করেন, শিল্প ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অগ্রগতি যেমন সম্ভব, তেমনি প্রয়োজন মেধাসম্পদ আইন ও নীতির কার্যকর প্রয়োগ, যাতে শিল্পীদের সৃজনশীলতা সুরক্ষিত থাকে এবং নতুন প্রজন্ম উদ্ভাবনে উৎসাহিত হয়।

বাণীর শেষাংশে তিনি বলেন, "ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই সরকার উদ্ভাবনী শক্তিকে এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে একটি টেকসই বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ২৬ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস’ উদযাপন করা হয়, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং মেধাসম্পদের সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোলে ৬ নারী ছিনতাইকারী গ্রেফতার

বেনাপোলে ৬ নারী ছিনতাইকারী গ্রেফতার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের বেনাপোলে প্রতারণার জালে ফেলে এক নারীর কাছ থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ৬ নারী ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল ৫ টার দিকে বেনাপোল পৌরসভার দিঘিরপাড় থেকে  স্থানীয় জনতা ধরে ৬ নারীকে পুলিশে সোপর্দ করে।

গ্রেফতারকৃত নারীরা হলেন- ব্রাক্ষনবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের শিপনের স্ত্রী সাহানা আক্তার, ফিরোজের মেয়ে  ইভা আক্তার, ইয়াসিনের স্ত্রী সুলতানা খাতুন, পলাশের স্ত্রী মোর্শেদা, মালিলের স্ত্রী রাবেয়া ও জুয়েলের স্ত্রী নারগিস বেগম।

বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের উপপরিদর্শক(এসআই) পবিত্র বিশ্বাস জানান, বেনাপোল পৌরসভার দিঘিরপাড় গ্রামের এক গৃহবধূ বেনাপোল বাজার থেকে ইজিবাইক চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় পথিমধ্যে বোরকা পরা ৬ নারী ঐ ইজিবাইকে উঠে তাকে জিম্মি করে ফেলে। এক পর্যায়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগীর চিৎকার দেয়। এসময় পথচারীরা এগিয়ে এসে ছিনতাইকারীদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।  এরা পেশাদার প্রতারক ও ছিনতাইকারী জানায় পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

‘সংস্কার না নির্বাচন’ এই খেলা বাদ দিয়ে বিচার করুন: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

"সংস্কার না নির্বাচন—এই খেলা বাদ দিয়ে আগে বিচার নিশ্চিত করুন," বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে আয়োজিত এই সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন—জুলাই, পিলখানা ও শাপলা চত্বরের ঘটনাগুলো গণহত্যা, যার বিচার না হলে দেশে কোনো ধরনের নির্বাচন বা সংস্কার অর্থহীন হয়ে পড়ে।

সারজিস আলম বলেন, "বর্তমান সরকারের বৈধতা শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে অন্য কোনো বিষয় প্রাসঙ্গিক নয়।" তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি ২০২৪ সালের আগস্টে পূরণ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়নি।

আন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সারজিস। তিনি বলেন, “আমরা যখন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি করি, তারা পশ্চিমাদের অবস্থানের কথা বলে। কিন্তু শাপলা, পিলখানা বা জুলাইয়ের ঘটনায় যখন রক্ত ঝরল, তখন পশ্চিমারা কোথায় ছিল?”

তিনি আরও হুঁশিয়ার করে বলেন, “এই প্রজন্মের আবেগ নিয়ে খেলবেন না। এই প্রজন্ম ক্ষমতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কাউকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে পিছপা হবে না।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন—আপ বাংলাদেশের সংগঠক আলী আহসান জুনায়েদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি শেখ মাহবুবুর রহমান ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

সমাবেশ থেকে চার দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো-

১. আগামী ১০০ দিনের মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশ, আদালতের রায় ও রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

২. শাপলা চত্বরের ঘটনার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সহায়তায় একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে;

৩. পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে গঠিত কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করতে হবে

৪. দেশের সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে স্পষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মেধাসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বেনাপোলে ৬ নারী ছিনতাইকারী গ্রেফতার
‘সংস্কার না নির্বাচন’ এই খেলা বাদ দিয়ে বিচার করুন: সারজিস আলম
যুদ্ধ বন্ধের আলোচনার মধ্যেই মস্কোয় গাড়িবোমা হামলায় রুশ জেনারেল নিহত
পোপ ফ্রান্সিসকে শেষ বিদায় জানাতে রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
পাকিস্তানে বোমা বিস্ফোরণে নিরাপত্তা বাহিনীর ৪ সদস্য নিহত
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
নওগাঁয় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ১
শিগগিরই স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে সরকার: প্রেস সচিব
টাঙ্গাইলে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মাছ ব্যবসায়ী খুন
সৌদিতে মক্কার কাছেই জেনিফার লোপেজের নাচ-গান, ক্ষুব্ধ মুসল্লিরা
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে, যা বলল জাতিসংঘ
হবিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
ময়ূখ রঞ্জনকে ‘গাধা’ বললেন অভিনেতা ঋত্বিক!
পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ৫ দিনের রিমান্ডে
ভারতীয় সেনার গুলিতে লস্করের শীর্ষ কমান্ডার আলতাফ লালি নিহত
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা ‘সর্বাত্মক যুদ্ধে’ রূপ নিতে পারে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ
বাইক দুর্ঘটনায় প্রেমিক-প্রেমিকা নিহত