শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ সাক্ষাৎকার

নিজেদের প্রতীকে নির্বাচন করব: রাশেদ খান মেনন

দিন যত যাচ্ছে, জোট-মহাজোটের হিসাব ততই খোলসা হচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি শুরু করেছে। নিজেদের সাংগঠনিক কার্যক্রমে জোর দিয়েছে দলগুলো। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। গত দুই নির্বাচনে নৌকায় চড়ে বৈতরণী পার হয়েছেন মহাজোটের শরিক হেভিওয়েট নেতারা। এভাবে রাজনৈতিক মহলে নিজ দলের অবস্থানকে নড়বড়ে করেছেন তারা। তাই এবার নৌকায় চড়তে চান না শরিক দলের অনেক নেতা। নিজ দলের প্রতীকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে তারা। সম্প্রতি একান্ত সাক্ষাৎকারে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের চিন্তা-ভাবনা ঢাকাপ্রকাশকে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার শাহজাহান মোল্লা।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আপনার দলের প্রস্তুতি কেমন?

রাশেদ খান মেনন: আমাদের দলের ১০ম কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত হয়, আমরা ১৪ দলে থাকলেও নিজের প্রতীকে নির্বাচন করব। আগে যেমন নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছি, এখন নৌকা প্রতীক নেব না। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে অনুরোধ করব–আমরা নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করব। আমাদের সিদ্ধান্ত হলো–অন্য শরিকরাও যেন তাদের দলের প্রতীকে নির্বাচন করে। এটা আমাদের ইচ্ছে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সংসদ সদস্য হয়েছেন আবার মন্ত্রীও হয়েছেন। এখন হঠাৎ কি হলো যে নৌকায় চড়তে চান না?

রাশেদ খান মেনন: নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করার বড় কারণ হলো–বাধাহীনভাবে কথা বলা। নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে না পারলে সংসদে কথা বলা ৭০ বিধির কারণে বাধা হয়ে দাড়ায়। এই ধরনের কোনো বাধার সামনে যেন না পড়তে হয়, যাতে আমরা খোলাখুলি মত প্রকাশ করতে পারি সংসদে এবং সংসদের বাইরেও। এই সুবিধার জন্য নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে চাই। আমরা এখনও মনে করি, সামনের নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে ঐক্য দরকার আছে এবং সেই পর্যায়ে নির্বাচন হবে। তবে এটি নির্ভর করবে–আওয়ামী লীগ কতটা প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে তো আপনারা আছেন? ১৪ দলের বর্তমান অবস্থা কী?

রাশেদ খান মেনন: ১৪ দলের কার্যক্রমে খুব একটা আশান্বিত হচ্ছি না। করোনাকালীন তো বটেই, করোনার আগেও কেবল দিবস পালন ছাড়া অন্য কোনো কাজ করিনি। যেমন–সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সংগঠিত হলো বাংলাদেশে। অতীতে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়ে জামায়াতে ইসলাম-বিএনপি যখন একটি সংকট তৈরি করল, তখন আমরা জনগণের কাছে গিয়েছিলাম। অথচ সাম্প্রতিককালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়েছে, অথচ মানুষের কাছে যেতে পারিনি। এটি নিয়ে কেবল ভার্চুয়াল মাধ্যমে কিছু আলোচনা করেছি। সেখানেও খুব বেশি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এমন নয়। শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি–এগুলো কেবল নাম রক্ষা। নাম রক্ষা করলে হবে না। মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করেই কেবল রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: ১৪ দলের নতুন সমন্বয়ক আসাতে কি কোনো সমস্যা হচ্ছে?

রাশেদ খান মেনন: সমন্বয়ক বিষয় না। শরিকদের কাছে আওয়ামী লীগের চাওয়া কি সেটাও তো বুঝতে হবে। আগের সমন্বয়ক থাকাতে সুবিধা ছিল যে, তিনি নিজে সরাসরি সক্রিয় ছিলেন। এখনকার সমন্বয়ক বয়োজ্যেষ্ঠ। তার পক্ষে করোনাকালে দৌড়ঝাঁপ করাটা একটু মুশকিল, এটি আমরা যেমন করতে পারছি না, তিনিও করতে পারেননি। সীমাবদ্ধতা রয়েই গেছে। আমাদেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এটি তার ব্যাপার না। সামগ্রিকভাবে আওয়ামী লীগ কি ভাবছে সেটিই বড় কথা।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করার কথা বলেছেন; কিন্তু অনেকে বলেন–নৌকা ছাড়া নির্বাচন করলে সুবিধা করতে পারবেন না। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

রাশেদ খান মেনন: এটি সঠিক না। আমি আমাদের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আরও দুইবার নির্বাচিত হয়েছি। আমাদের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা হাতুড়ি মার্কা নিয়ে বিএনপির সেই চক্রান্তের ভোটেও বিএনপি প্রার্থীকে প্রায় পরাজিত করেছেন। আমাদের অন্য সদস্যরাও দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমাদের প্রতীক নিয়ে দুইজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে হেরে যাব! তাহলে আমি এতবার সংসদ সদস্য হলাম কি করে? আমি তো এই তিনবারই সংসদ সদস্য না। এর আগেও সংসদ সদস্য ছিলাম; বরং সেই সময় অনেক বেশি কাজ করতে হয়েছে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি একটি অনুষ্ঠানে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আপনার বর্তমান অবস্থানটা কী?

রাশেদ খান মেনন: শুধু একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে বলেছি বিষয়টি তা নয়। আমি সব নির্বাচন নিয়েই কথা বলেছি। এখন তো অনেক নির্বাচন, বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যা হচ্ছে, তা দেখলেই বোঝা যাবে–নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়েছে। এই যে হানাহানি-মারামারি হচ্ছে, এই যে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে–নির্বাচন কমিশন কি কিছু করতে পেরেছে?

 

ঢাকাপ্রকাশ: বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আপনার দলের অবস্থান কী?

রাশেদ খান মেনন: আমরা সব সময় বলে আসছি, নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান অনুসারে আইনের ভিত্তিতে গঠন করাটা বাঞ্ছনীয়। হুদা কমিশন থেকে শুরু করে এ কথাটি বারবার বলে আসছি; কিন্তু আইনটি এখন পর্যন্ত না বিএনপি করেছে, না আওয়ামী লীগ করেছে? আমরা মনে করি, এখনও যে সময় আছে, তাতে একটি আইন করা খুব অসম্ভব নয়। আইনের ড্রাফট করা আছে। শামসুল হুদা কমিশন ড্রাফটা করে দিয়েছিল। সংসদে না করা গেলে অধ্যাদেশ জারি করেও আইন হতে পারে। সেটি একান্তভাবে সম্ভব না হলে, মন্দের ভালো সার্চ কমিটির মাধ্যমে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: আইনমন্ত্রী তো বলে দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আইন এই সময়ে করা সম্ভব না...

রাশেদ খান মেনন: কেন সম্ভব না? ড্রাফট তো করাই আছে। ওই ড্রাফট নিলেই তো হয়। আর যদি সম্ভব না হয়, তাহলে তো অধ্যাদেশও জারি করতে পারে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: সার্চ কমিটির মাধ্যমে যে কমিশন গঠন করা হবে, সেটিতে আপনাদের আস্থা কতটুকু?

রাশেদ খান মেনন: সার্চ কমিটির কারণে তো কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হয় না। নির্বাচন কমিশন তার নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ না করে যদি আজ্ঞাবহ হয়ে যায়, তাহলে তার পরিণতি যা হওয়ার তা-ই হবে। আইনে নির্বাচন কমিশনকে যথেষ্ট ক্ষমতা দেওয়া হয়, তারা সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করছে না। তারা চোখের সামনে দেখছে ঘটনাবলি, এখন তারা বলছে প্রশাসন দায়ী। প্রশাসন তো তাদের অধীনেই থাকছে নির্বাচনের সময়। প্রশাসন যদি দায়ী হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। নির্বাচন কমিশন যদি সরকারকে কোনো ডিসি বা এসপিকে সরিয়ে দিতে বা ব্যবস্থা নিতে বলে, তাহলেই তো সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

 

ঢাকাপ্রকাশ: বারবার কেন সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে?

রাশেদ খান মেনন: কোনো কারণ আমি দেখি না। গত তিন দশক ধরে, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায় থেকে রাজনৈতিক স্থবিরতায় সাম্প্রদায়িকীকরণ হয়েছে। সাম্প্রদায়িকতা সমাজের মধ্যে এমনভাবে বিস্তার লাভ করেছে যে, যারা বামপন্থী বলে দাবি করেন, তাদের অনেকে রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে কথা বলতে রাজি না। কারণ তাদের ভয়–ভোট নষ্ট হবে। বঙ্গবন্ধু শপথ নেওয়ার সময় সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আমরা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে চরম লড়াই করেছি। আমাদের তরুণ প্রজন্মের যদি এই অবক্ষয় হয়ে যায়, তাহলে তো মুশকিল।

 

ঢাকাপ্রকাশ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

রাশেদ খান মেনন: আপনার মাধ্যমে ঢাকাপ্রকাশকেও ধন্যবাদ।

 

এসএম/এএন

Header Ad
Header Ad

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধুর অপ্রয়োজনীয় ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণে সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে, সাবেক সরকারের কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে দুদকের কমিশন বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান সংস্থার মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গার সাবেক এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৩৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএফআইইউ-এর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের প্রায় দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধেও মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে, ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক শুধাংশ শেখর ভদ্রের বিরুদ্ধে ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুদক। এছাড়া বিদেশে পালানোর আশঙ্কায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ঋণের নামে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। পাশাপাশি, সাংবাদিক মুন্নি সাহার বিরুদ্ধে ১৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭১ জন ফিলিস্তিনি। ইহুদিবাদী দেশটি এই সময়ে গাজায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে।

এখন পর্যন্ত এই সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৬০০ জনে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় আহত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এই তথ্য জানিয়েছে।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে। গাজা উপত্যকাজুড়ে নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে গাজার মিডিয়া অফিস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।

গাজার মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চিকিৎসা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলকে নিহতদের লাশ সরিয়ে নেওয়ার জন্য হামলাস্থলে পৌঁছাতে বাধা দিয়েছে এবং বিশেষ করে গাজা এবং উত্তর গাজায় রাস্তায় লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।”

“নৃশংস এই অপরাধের” জন্য মিডিয়া অফিস ইসরায়েলকে দায়ী করেছে এবং গণহত্যা বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে তাদের আইনি ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!