সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

যে কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণ অভিযান ব্যর্থ

বিশ্বে মাদক দ্রব্যের এবং চোরাচালানের উপর নানাবিধ আইন জারি করা হলেও, আদতে এর কোনোটাই এখনো নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি৷ এমনই এক তথ্য পাওয়া গেছে।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, পুরোপুরি মাদক নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা তাদের নেই। অন্যদিকে, এ বিষয় নিয়ে সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, দেশ থেকে পুরোপুরি মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা সফল হতে পারিনি। সুশীল সমাজ বলছে, অনেক দেশ মাদক নিয়ন্ত্রণে সফল হয়, আমরা কেন সফল হচ্ছি না?

গোয়েন্দা তথ্য বলছে, সারা দেশে অবাধে বেচাকেনা হচ্ছে মাদক। এটা এখন অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’ তবে মোবাইলে এসব মাদক বিক্রি হচ্ছে বেশি। মাদককারবারিরা এখন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে।

মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ২০১৮ সালের ৪ মে একযোগে দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। সেই অভিযানে র‌্যাব, পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রায় ৪০০ মাদক কারবারি নিহত হন। গ্রেপ্তার হন দুই লক্ষাধিক মাদক। কিন্তু তারপরও বন্ধ করা যায়নি মাদক ব্যবসা। তথ্য বলছে, অনেক মাদক কারবারি জেল থেকে বের হয়ে আবারও নতুন করে মাদকের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, সবাই সতর্ক না হলে পুরোপুরিভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। মাদক নির্মূূূল হোক এবং সে লক্ষ্যে আমাদের বিশেষ বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে। তা ছাড়া, বিভিন্ন শহরে মাদকবিরোধী অভিযানের কিছুটা সফলতা আসছে।

তথ্য বলছে, প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাদকদ্রব্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে বেশির ভাগ ফেনসিডিল, মরফিন, ইডিগ্রা, হেরোইন, ম্যাগডন, সিগনেসার, রয়েলস্টার, এপ্রিয়র ব্লু, বিআরসহ বিভিন্ন নামের মাদকদ্রব্য প্রবশে করছে। মাদক সহজলভ্য হওয়ায় যুবসমাজ সহজেই নেশায় আসক্ত হচ্ছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তারা শুধু ঢাকা বিভাগেই সাড়ে তিন হাজার সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীর একটি তালিকা করেছে। কর্মকর্তারা বলছেন, যাদের চিহ্নিত করে এই তালিকা করা হয়েছে, তাদের অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছে, অনেকেই আবার পলাতক।

এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, মাদক ব্যবসায় গডফাদার এবং প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না মূলত সে কারণে অভিযানে কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। দেখা গেছে তারা সমাজের উচুস্থানে বসবাস করে এজন্য হয়তো সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর অভিযানে তেমনটা সফলতা আসছে না।

অভিযোগ আছে, কোথাও কোথাও প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও নানাভাবে মাদকের সঙ্গে জড়িত আছেন। এসব কারণে মাদকের বিরুদ্ধে জোরালো কোনো অভিযান দেখা যায় না।

অবশ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতারা সমাজের কেউকেটা হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে তেমন কিছু করা যায় না।

একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ইয়াবাসেবনকারীর সংখ্যা ৮০ লাখেরও বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা সাময়িকীর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মাদকাসক্তদের ৫৮ শতাংশেরও বেশি ইয়াবাসেবী।

জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে কাজ করছি। তবে মাদক নিয়ন্ত্রণে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মনুষদের এগিয়ে আসতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে র‌্যাব সর্বপ্রথম যুদ্ধ ঘোষণা করে।

জানতে চাইলে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল মো. কামরুল বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব কাজ করছে। নতুন নতুন কৌশলে আমরা এসব দমনের জন্য বিশেষ ভুমিকায় কাজ করছি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কেএন রায় নিয়তি বলেন, আমাদের দেশে তো মাদক তৈরি হয় না। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহভাবে পাওয়া যায় ইয়াবা। যা মিয়ানমার থেকেই আসছে।

তিনি বলেন, এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। এর সঙ্গে কারা জড়িত, আশ্রয় বা প্রশ্রয়দাতা কারা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশ্রয় বা প্রশ্রয়দাতা কারা সেটা নিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এক সহকারী মহাপরিদর্শক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পুলিশ সব সময় ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক নির্মূলে কাজ করছে। তবে পুরোপুরিভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি যারা মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় তারা অধিকাংশ সময় তাদের গডফাদারদের নাম প্রকাশ করে না। যার করণে মাদকের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতারা আড়ালে থেকে যায়।

আপনারা মাদক ব্যবসায়ীদের একটি লিস্ট করেছেন সেটার প্রথমিক তদন্তে কী পেয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত শেষে আমরা একটি ফাইনাল লিস্ট সংশ্লিষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে এবং দুদকে পাঠিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আমাদের কাছে যে লিস্ট দিয়েছে সেটা আপাতত আমরা প্রকাশ করতে পারছি না। খতিয়ে দেখতে হবে এখানে মাদকের সঙ্গে যুক্ত আছেন কারা।

কেএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে