সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নেই, আছে!

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর জোটের ভাঙাগড়ার নতুন ফসল ১২ দলীয় জোট। সরকারবিরোধী ও সমমনা ১২টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এ জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। তবে এ জোটের অধিকাংশই বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোটের সদস্য। আর তাই ২০ দলীয় জোটের অস্তিত্ব নিয়েই শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। যদিও এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণার পরই এ গুঞ্জনের সূত্রপাত হয়।

তবে কাগজে-কলমে ২০ দলীয় জোট না থাকলেও কার্যক্রম বাস্তবায়নে এর ভূমিকা এখনো বিদ্যমান বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জোট ভেঙে দেওয়া হলেও বিএনপির সব কর্মসূচিতে আলাদাভাবে ১২ দলীয় জোট অংশ নেবে বলে জানান নেতারা। ১২ দলীয় জোট গঠন যুগপৎ আন্দোলনেরই একটি কৌশলগত রূপ বলে জানান তারা।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটের সম্প্রসারণ করে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল ১৮ দলীয় জোট গঠিত হয়। এরপর আরও দুটি দলের সমন্বয়ে তা হয়ে দাঁড়ায় ২০ দলীয় জোটে। মূলত ডানপন্থী ও মধ্য ডানপন্থী দলগুলো নিয়েই এ জোট গঠিত হয়।

এদিকে ২০ দলীয় জোটে থাকা অধিকাংশ দলের সমন্বয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ১২ দলীয় জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

কারাগারে যাওয়ার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, এখন আর কোনো জোট নয়, আমরা যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলছি। এরপর থেকে ২০ দলীয় জোট নিয়ে শুরু হয় নানান গুঞ্জন। এরপরই মূলত ছোট দলগুলো নিজেরা বৈঠক করে আলাদা জোট করার সিদ্ধান্ত নেয়। যাতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে শরিক হতে তাদের অসুবিধা না হয়। তারই অংশ হিসেবে আজ ‘১২–দলীয় জোট’-এর আত্মপ্রকাশ।

১২ দলীয় জোটের নেতারা জানান, বিএনপির ঘোষিত সব কর্মসূচিতে তাদের সমর্থন আছে, ছিল, থাকবে। যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নিতে কৌশলগতভাবে তারা নতুন জোট গঠন করেছেন।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির পাশে থাকব। আন্দোলনের কৌশল হিসেবে ১২ দলীয় জোটের আত্মপ্রকাশ। এটা নয় যে, বিএনপির সঙ্গে পোলটি দিয়ে আমরা সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করব। নতুনভাবে জোট হলেও ১২ দলীয় জোট বিএনপির সঙ্গেই হবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেবে।

বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা জানান, জোটবদ্ধ আন্দোলনের অভিজ্ঞতা থেকে এবার যুগপৎ আন্দোলন গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে জামায়াতনির্ভরতা কাটানো এবং রাজনীতিতে ‘বিএনপি-জামায়াত’ নামে যে নেতিবাচক প্রচার রয়েছে, সেটি কাটানোও এর অন্যতম লক্ষ্য। তারই অংশ হিসেবে সর্বশেষ ৯ ডিসেম্বর ২০–দলীয় জোটকে অনানুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কার্যত ২০ দলীয় জোট নেই। কৌশলগত কারণে ঘোষণা দিচ্ছে না বিএনপি। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে ৯ ডিসেম্বর আমাদের বলে দেওয়া হয়েছে, আপনারা এখন থেকে ২০ দলীয় ব্যানারে কার্যক্রম করা থেকে বিরত থাকুন। সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের শরিক হন, যার যার দলগত অবস্থান থেকে।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান হায়দার বলেন, প্রয়োজন শেষে জোট থাকে না। কিন্তু প্রতিটি রাজনৈতিক আন্দোলনে জোট অবিচ্ছেদ অংশ। বিএনপির সঙ্গে আমাদের যে ঐক্য, সমঝোতা তা অটুট থাকবে। আরও বৃহত্তর আন্দোলনে অংশ নিতে একটু ভিন্ন কৌশলে নতুন জোট গঠন করা হয়েছে। ২০ দলীয় জোট নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কিছু নেই। আমরা যুগপৎ ভাবে আন্দোলনে অগ্রসর হব।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা ২০ দলীয় জোটভুক্ত হয়ে ছিলাম। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয়নি। গত ৯ ডিসেম্বর বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে সেই বৈঠকে উনারা আমাদের বলেছেন এখন থেকে ২০ দলীয় জোট ব্যবহার করবেন না। তবে আপনারা যৌথভাবে চলতে পারেন।

তিনি বলেন, জোটের বড় দল বিএনপি তাই বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী বাদ দিলে থাকে দল ১৮ দল। আন্দালিব রহমান পার্থ নেতৃত্বাধীন বিজেপি ২০ দল ছেড়ে চলে গেছেন, পরবর্তীতে চলে যায় খেলাফত মজলিস। অবশিষ্ট থাকে ১৬ দল। তবে কর্নেল অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি আমাদের নতুন জোটে এখনো আসেনি। ১৬ দল তার মধ্যে ১২টি দল ইতোমধ্যে নতুনভাবে জোটবদ্ধ হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি সংস্কার করে পরবর্তীতে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ২৭ দফা ঘোষণা দিয়েছি। যেহেতু ২০-দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে নেই। দলগুলো এখন যুগপৎ ভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেবে এটাই প্রত্যাশা করছি।

১২ দলীয় জোটের দলসমুহ
জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় দল, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ এলডিপি পার্টি, মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, ইসলামী ঐক্য জোট ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল।

এসএন

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে