বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জ্বালানি সংকট সমাধানে সরকারের কূটনীতি জোরদার

বর্তমানে সারাবিশ্ব এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। দেশের বিদ্যমান সংকট মোকাবিলায় জ্বালানি কূটনীতি জোরদার করেছে সরকার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ছাড়াও ব্রুনাই, চীন, রাশিয়া, ভারত, নেপাল, ভূটান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করছে বাংলাদেশ।

এ বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময়ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। ভারত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে রাজি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

ইতিমধ্যে নেপাল ৪০-৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত। যদিও নেপালে বাংলাদেশেরই বিদ্যুৎ রপ্তানি করার কথা ছিল।

গত ১৬ অক্টোবর ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ ঢাকা সফর করেন। সুলতানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে দীর্ঘ মেয়াদী জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে দুই দেশ ঐক্যমতে পৌছছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

এ লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারকও সই হয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে একটি স্থিতিশীল ও আঞ্চলিক জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে ব্রুনেই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য রপ্তানির বিষয়ে রাজি হয়েছে।

সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি রাষ্ট্রদূতের কাছে জ্বালানি সহযোগিতা চান।

কাতারের শ্রমমন্ত্রী ড. আলী বিন সাঈদ বিন স্মাইখ আল মারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এলএনজি খাতে কাতারের সহযোগিতা চান। কাতারের মন্ত্রী এ সময় জানান, জ্বালানি ও চিকিৎসা খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায় কাতার।

এদিকে, ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ড বাংলাদেশকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ বিষয়ে সম্প্রতি আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রিভা কোউকু রন্ডে।

রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়টি নিয়েও ভাবছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর এ বিষয়ে কিছু অগ্রগতিও হয়েছে। ইতিমধ্যে রাশিয়ার তেলের নমুনাও বাংলাদেশে এসেছে।

সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং জানান, জ্বালানি সঙ্কট সমাধানে বাংলাদেশ চীনের সহযোগিতা চেয়েছে। যদি বাংলাদেশ তেমন কোনো জরুরি অবস্থায় পড়ে, চীন বসে থাকবে না। অবশ্যই বাংলাদেশকে সহযোগিতা দেবে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলির সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের ফোনালাপ হয় গত ১০ অক্টোবর। এ সময় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্য আলোচনার পাশাপাশি অগ্রাধিকার ভিত্তিকে জ্বালানি সংকট নিয়েও কথা বলেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গেও বিভিন্ন সময় জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইইউ। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ইইউ ঋণ দিতে চায় বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

জ্বালানি কূটনীতি জে্ারদার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বৈশ্বিক প‌রি‌স্থি‌তি‌ বি‌বেচনায় বাংলা‌দেশ সরকা‌র চেষ্টা কর‌ছে। আমরা আগেভাগেই পদক্ষেপ নিচ্ছি, যা‌তে কো‌নো ঝামেলায় না পড়ি।’

জানতে চাইলে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. হুমায়ুন কবির ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বর্তমান সংকট তো বেশ চরম আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় চেষ্টা করে দেখতে তো সমস্যা নাই। যেহেতু বিদ্যুৎ-জ্বালানির সঙ্গে জীবনযাপনের সবকিছুই নির্ভরশীল। তাই এক্ষেত্রে তো চেষ্টা করতেই হবে।

সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো ফল সম্ভবত দেখা যাচ্ছে ব্রুনাইয়ের সঙ্গে আলোচনায়। আরও ভালো কিছু হবে বলেই আশা করি। তবে জ্বালানি কূটনীতি জোরদার করলেও টাকা দিয়েই তো কিনতে হবে। এবং সেই টাকা তো বাংলাদেশি টাকা দিলে হবে না। ডলার দিয়ে কিনতে হবে। কিন্তু এখন তো ডলারের সংকট।’

এম. হুমায়ুন কবির আরও বলেন, ‘তারপরও বর্তমানে যে জ্বালানি কূটনীতি জোরদার করা হয়েছে সেটিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখি। আগে হয়তো এক বছর মেয়াদি পরিকল্পনা করতে হতো এখন হয়তো তিন মাস মেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। চেষ্টা করতে তো দোষ নাই।’

অবশ্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ’এখন জরুরি ভিত্তিতে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে জোর দিতে হবে। অনেক আগেই এমনটা করা উচিত ছিল। তাহলে আজ এত খারাপ অবস্থা হতো না।’

আরইউ/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক