মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশেষ প্রতিবেদন

ডিজিটাল হয়রানির শিকার ৯৮% মামলায় যেতে চান না

সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল হয়রানির শিকার হন ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীরা।

সহজলভ্য হয়ে উঠেছে নিত্য নতুন প্রযুক্তি। ব্যবহার বেড়েছে বিভিন্ন ধরণের অ্যাপসের। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় এখন নিজের পরিচয় ও অবস্থান গোপন করে সংঘটিত হচ্ছে সাইবার অপরাধ। আর এসব ডিজিটাল হয়রানির প্রধান শিকার হন নারীরা।

পরিসংখ্যান বলছে, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অপরাধীদের শনাক্ত করা গেলেও ৯৮ শতাংশ অভিযোগকারী মামলা করতে চান না। সামাজিক মর্যাদাহানির ভয় থেকেই তাদের এমন অবস্থান বলে দাবি পুলিশের। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সাইবার জগতের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা তৈরী করা গেলেই কেবল এ ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

সাইবার অপরাধের ধরণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাইবার বুলিং, ট্রলিং, মানহানি, ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার ও প্রকাশ, ব্ল্যাকমেইলিং, প্রতিশোধ, পর্ণসহ বিভিন্ন উপায়ে নারীদের সাইবার জগতে হয়রানি করা হয়। এতে করে তারা সামাজিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন।

ভুক্তভোগীরা অধিকাংশ সময় বুঝতে পারেন না কীভাবে, কী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং কাকে বিষয়টি জানাবেন। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারকে জানাতে বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষ পুলিশ কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানাতে দ্বিধাবোধ করেন।

নারীর বিরুদ্ধে সংঘটিত সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযোগ গ্রহণ এবং অভিযোগকারীদের প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রযুক্তিগত ও আইনি পরামর্শ দিয়ে থাকে পুলিশের সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন ডেস্ক। এটি পরিচালিত হয় পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখার অধীনে। নারীদের পাশে দাঁড়াতে ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন।

এই ডেস্কটি নারী পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে বলে জানান পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (এলআইসি) মীর আবু তৌহিদ।

তিনি বলেন, ‘ডেস্কটি সম্পূর্ণভাবে নারী পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক অভিযোগ আসে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমরা প্রথমেই যাচাই-বাছাই করে থাকি। আমরা চাই না, একজনকে সেবা দিতে গিয়ে আরেকজন হয়রানির শিকার হোক।’

পুলিশের সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন ডেস্কের তথ্য বলছে, গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ডিজিটাল হয়রানীর শিকার হয়ে সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করেছেন ১৭ হাজার ২৮০ জন। এর মধ্যে অভিযোগ করেছেন ১২ হাজার ৬৪১ জন। অপরাধীদের শনাক্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন ১৯৭ জন, যা মোট অভিযোগকারীর ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

অভিযোগ বিশ্লেষনে দেখা যায়, ভুয়া আইডি থেকে মেসেজ বা তথ্য প্রকাশ করে হয়রানির শিকার হয়েছেন ৫৪৭৫ জন। আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও পাঠিয়ে হয়রানি করা হয় ৯৯২ জনকে। ব্যাক্তিগত তথ্য প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে ৮৮৪ জনকে। আর অন্যান্য উপায়ে হয়রানি করা হয়েছে ৫১৮ জনকে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে এমন বেশ কিছু অ্যাপস রয়েছে যেখানে পরিচয় গোপন রেখে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। এতে পরিচয় গোপন রেখে অপরাধ করার প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে অপরাধী শনাক্ত করা দিন দিন দুর্বোধ্য হয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরকারী পর্যায়ে আলোচনা প্রয়োজন। পাশাাপাশি আইপিডিআর এর ডাটা সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং প্রদানের জন্য ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ডাটা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ডিজিটাল হয়রানির শিকার হয়ে সবচেয়ে বেশী অভিযোগ এসেছে ঢাকা বিভাগ থেকে। যার হার ৬৪ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে এসেছে ১৭ শতাংশ অভিযোগ। খুলনা, রাজশাহী এবং সিলেট বিভাগ থেকে ৪ শতাংশ হারে অভিযোগ এসেছে। বরিশাল বিভাগ থেকে এসেছে ৩ শতাংশ অভিযোগ। আর সবচেয়ে কম ২ শতাংশ করে অভিযোগ এসেছে রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে।

সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল হয়রানির শিকার হন ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীরা। যার হার ৫৮ শতাংশ। ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হয়রানির হার ২০ শতাংশ। ১৮ বছরের নিচে এই হয়রানীর হার ১৬ শতাংশ। আর ৪০ বছরের ওপরে সাইবার জগতে হয়রানির হার ৬ শতাংশ।

সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করা একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানের পর অভিযুক্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হলেও অধিকাংশ ভুক্তভোগী পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ হিসেবে মামলা প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হতে আগ্রহী হন না। ভুক্তভোগীদের মধ্যে বেশীর ভাগই মনে করেন মামলা করলে অভিভাবক ও পরিবার বিষয়টি জেনে ফেলতে পারেন। এতে পারিবারিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। ভুক্তভোগীদের অনেকেই লোকলজ্জা ও সামাজিক মর্যাদাহানির ভয়ে মামলা করেন না। পাশাপাশি আইনগত প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা না থাকা এবং পরবর্তীতে পুনরায় হয়রানির আশংকা থেকে অনেক ভুক্তভোগী মামলা করতে চান না।

ডিজিটাল হয়রানীর শিকার হলেও নারীদের আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ার প্রবণতা নিয়ে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানউল্লাহ’র সঙ্গে। ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরাও দুটি জরিপ সম্পন্ন করেছি। সেখানেও দেখা গেছে সাইবার হয়রানীর শিকার হলেও ৮০ শতাংশ নারী এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চান না। তাদের মধ্যে এক ধরণের সামাজিক মর্যাদাহানি ও ভোগান্তি ভীতি কাজ করে। এ ধরণের সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কেবল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নয়, প্রচলিত আইনের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোতে ‘ডিজিটাল সিটিজেনশিপ’ কনসেপট এর ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। মূলত ডিজিটাল সিটিজেনশিপের মাধ্যমে একজন নাগরিক ডিজিটাল মাধ্যমের যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবেন। পাশাপাশি সাইবার জগতের নিরাপদ প্লাটফর্মগুলো খুঁজে পেতে ব্যবহারকারীদের সহযোগিতা করে এই ডিজিটাল সিটিজেনশিপ। যদি পাঠ্যপুস্তকে এই ডিজিটাল সিটেজনশিপ অন্তুর্ভুক্ত করে বাচ্চাদের নিয়মিত পড়ানো হয় তাহলে শিক্ষার্থীরাও সাইবার জগতে হয়রানি থেকে পরিত্রান পাবে। এছাড়া দ্রুততম সময়ে সাইবার ট্রাইবুনালের তদন্ত সম্পন্ন করার পরামর্শও দেন এই সমাজবিজ্ঞানী।

এনএইচ/এএস

Header Ad
Header Ad

বধ্যভূমিতে জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল এনসিপি  

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ২০২৪-এর অভ্যুত্থানের শহীদদের কবর জিয়ারত ও দোয়া মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এনসিপি'র আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে উপস্থিত হন।

এর আগে সকাল ৮টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এনসিপি'র নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে এনসিপি তাদের রাজনৈতিক যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছে।

আজ বিকাল ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

গেলো ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিশাল সমাবেশের মধ্যদিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

Header Ad
Header Ad

অনিয়মের অভিযোগে কুবির রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ছুটি  

কুবির রেজিস্ট্রারের পদ থেকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া মো. মজিবুর রহমান মজুমদার।ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) রেজিস্ট্রার পদে থাকা মোঃ মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ এনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে প্রেরণ করা হয়েছে। ফলে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে।

সোমবার (৩ মার্চ) ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি জানা যায়।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ৩ মার্চ থেকে মোঃ মজিবুর রহমানকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হলো এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনকে রেজিস্ট্রার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মোঃ মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত বেতন-ভাতাদি পেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যানবাহন সংক্রান্ত, টেলিফোন, মোবাইল ফোন ও সংবাদপত্র সংক্রান্ত কোনো সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।

এ ব্যাপারে মোঃ মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, 'এই অর্ডার দেখে আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ়। অভিযোগের ব্যাপারে আমি জানি না। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আমি সহযোগিতা করব যাতে সত্য ঘটনা উদঘাটন করতে পারে। আমার বিবেকের জায়গা থেকে প্রশাসনিক হোক, আর্থিক হোক এমন কোনো দুর্নীতি করিনি।'

যেহেতু কোন ধরনের দুর্নীতি করেননি বলে বলছেন তাহলে স্থায়ী পদ থেকে আপনাকে সরানোর ব্যাপারে কী কারণ থাকতে পারে, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'নতুন প্রশাসন আসার পর থেকে আমি অনুভব করেছি আসলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পথ ভালো হবে না। বলতে গেলে আমার ভাগ্যটা খারাপ। ভাগ্যের বিড়ম্বনায় পড়ে গেছি।'

সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আসলে ছাত্র-শিক্ষক এবং প্রশাসনের সবার সাথে এক সেতুবন্ধন করা আমার কাজ। এই পদের এমন কোনো ক্ষমতা নাই যে আমি কিছু করে ফেলব। অর্ডারগুলো ক্যারি করা এবং আমি চেষ্টা করব যেন আইনানুযায়ী সবার সাথে ভালোভাবে চলতে পারি।'

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, 'কী কী অভিযোগ আছে সেটা আমি বলতে পারি না। একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওইখানে শিক্ষক-কর্মকর্তা আছেন। অফিস আদেশের মাধ্যমে আগামীকালই জানা যাবে কারা আছেন।'

Header Ad
Header Ad

ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ ট্রাম্পের  

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে চাপ দিতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।

তিন বছর আগে ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভে ১৮০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে। মার্কিন এই সহায়তার জন্য জেলেনস্কি যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেননি বলে অভিযোগ করেন ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। ওভাল অফিসের একটি বৈঠক উত্তপ্ত বাগ্‌বিতণ্ডার মধ্যে ভেস্তে যাওয়ার মাত্র কয়েকদিন পরে সামরিক সহায়তা স্থগিত করার পদক্ষেপটি নিলেন ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর দিকে মনোনিবেশ করছেন এবং জেলেনস্কিকে সেই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দেখতে চান।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র একটি সমাধানে ভূমিকা রাখছে কিনা তা নিশ্চিত করতে ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সহায়তা স্থগিত ও পর্যালোচনা করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা সহায়তার বিষয়ে এসব কথা বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানান।

ওই কর্মকর্তা বলেন, যতক্ষণ না রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের আলোচনায় বসার প্রতিশ্রুতি পান, ততক্ষণ ট্রাম্পের এই আদেশ কার্যকর থাকবে।

ইউক্রেনকে কংগ্রেসের অনুমোদিত সহায়তা আটকে রাখার প্রায় ৫ বছর পর সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হলো। ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে জেলেনস্কিকে চাপ দেন ট্রাম্প।

২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি গর্ব করেও বলেছিলেন যে, তিনি একদিনের মধ্যে লড়াই বন্ধ করতে পারেন। যুদ্ধ নিয়ে জেলেনস্কির প্রতি ক্রমবর্ধমান হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে নিজের আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন যে, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছালে শান্তি বজায় রাখার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিশ্বাস করা যেতে পারে। এমনকি তিনি দীর্ঘদিন ধরে পুতিনের প্রশংসাও করে আসছিলেন।

এর আগে সোমবার ট্রাম্প জেলেনস্কির সমালোচনা করে বলেন, যুদ্ধের সমাপ্তি সম্ভবত এখনও অনেক দূরে। অন্যদিকে গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের বিষয়ে ইতিবাচক প্রস্তাব দেওয়ার চেষ্টা করেন জেলেনস্কি। এসময় তিনি বলেছিলেন, যুদ্ধ অবসানে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সময় লাগবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বধ্যভূমিতে জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল এনসিপি  
অনিয়মের অভিযোগে কুবির রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ছুটি  
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ ট্রাম্পের  
নুরের ‘দলত্যাগ’ প্রসঙ্গে হান্নান মাসউদের বক্তব্যের প্রতিবাদ গণঅধিকার পরিষদের  
মধ্যরাতে ধোলাইখালে জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ  
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা
বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি
সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা
ছয় মাসে ১০ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক
জাতিসংঘকে শাপলা চত্বর ও সাঈদীর রায়কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করার অনুরোধ
নুর ভাই নিজেই তার দল বিলুপ্ত করে আমাদের সাথে যুক্ত হতে আগ্রহী: হান্নান মাসউদ
দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় ছয়জন গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে সালিশি বৈঠকে সংঘর্ষ, ৭০ দোকান ভাঙচুর, থমথমে পরিস্থিতি
শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নতুন নাম ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড
২০৩০ দশকে এআই মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করতে পারে: ইলন মাস্ক
দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত, আক্রান্ত ৫
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নতুন নাম বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১