শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিশেষ প্রতিবেদন

ডিজিটাল হয়রানির শিকার ৯৮% মামলায় যেতে চান না

সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল হয়রানির শিকার হন ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীরা।

সহজলভ্য হয়ে উঠেছে নিত্য নতুন প্রযুক্তি। ব্যবহার বেড়েছে বিভিন্ন ধরণের অ্যাপসের। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় এখন নিজের পরিচয় ও অবস্থান গোপন করে সংঘটিত হচ্ছে সাইবার অপরাধ। আর এসব ডিজিটাল হয়রানির প্রধান শিকার হন নারীরা।

পরিসংখ্যান বলছে, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অপরাধীদের শনাক্ত করা গেলেও ৯৮ শতাংশ অভিযোগকারী মামলা করতে চান না। সামাজিক মর্যাদাহানির ভয় থেকেই তাদের এমন অবস্থান বলে দাবি পুলিশের। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সাইবার জগতের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা তৈরী করা গেলেই কেবল এ ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

সাইবার অপরাধের ধরণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাইবার বুলিং, ট্রলিং, মানহানি, ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার ও প্রকাশ, ব্ল্যাকমেইলিং, প্রতিশোধ, পর্ণসহ বিভিন্ন উপায়ে নারীদের সাইবার জগতে হয়রানি করা হয়। এতে করে তারা সামাজিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন।

ভুক্তভোগীরা অধিকাংশ সময় বুঝতে পারেন না কীভাবে, কী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং কাকে বিষয়টি জানাবেন। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারকে জানাতে বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষ পুলিশ কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানাতে দ্বিধাবোধ করেন।

নারীর বিরুদ্ধে সংঘটিত সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযোগ গ্রহণ এবং অভিযোগকারীদের প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রযুক্তিগত ও আইনি পরামর্শ দিয়ে থাকে পুলিশের সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন ডেস্ক। এটি পরিচালিত হয় পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখার অধীনে। নারীদের পাশে দাঁড়াতে ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন।

এই ডেস্কটি নারী পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে বলে জানান পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (এলআইসি) মীর আবু তৌহিদ।

তিনি বলেন, ‘ডেস্কটি সম্পূর্ণভাবে নারী পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক অভিযোগ আসে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমরা প্রথমেই যাচাই-বাছাই করে থাকি। আমরা চাই না, একজনকে সেবা দিতে গিয়ে আরেকজন হয়রানির শিকার হোক।’

পুলিশের সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন ডেস্কের তথ্য বলছে, গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ডিজিটাল হয়রানীর শিকার হয়ে সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করেছেন ১৭ হাজার ২৮০ জন। এর মধ্যে অভিযোগ করেছেন ১২ হাজার ৬৪১ জন। অপরাধীদের শনাক্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন ১৯৭ জন, যা মোট অভিযোগকারীর ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

অভিযোগ বিশ্লেষনে দেখা যায়, ভুয়া আইডি থেকে মেসেজ বা তথ্য প্রকাশ করে হয়রানির শিকার হয়েছেন ৫৪৭৫ জন। আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও পাঠিয়ে হয়রানি করা হয় ৯৯২ জনকে। ব্যাক্তিগত তথ্য প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে ৮৮৪ জনকে। আর অন্যান্য উপায়ে হয়রানি করা হয়েছে ৫১৮ জনকে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে এমন বেশ কিছু অ্যাপস রয়েছে যেখানে পরিচয় গোপন রেখে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। এতে পরিচয় গোপন রেখে অপরাধ করার প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে অপরাধী শনাক্ত করা দিন দিন দুর্বোধ্য হয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরকারী পর্যায়ে আলোচনা প্রয়োজন। পাশাাপাশি আইপিডিআর এর ডাটা সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং প্রদানের জন্য ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ডাটা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ডিজিটাল হয়রানির শিকার হয়ে সবচেয়ে বেশী অভিযোগ এসেছে ঢাকা বিভাগ থেকে। যার হার ৬৪ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে এসেছে ১৭ শতাংশ অভিযোগ। খুলনা, রাজশাহী এবং সিলেট বিভাগ থেকে ৪ শতাংশ হারে অভিযোগ এসেছে। বরিশাল বিভাগ থেকে এসেছে ৩ শতাংশ অভিযোগ। আর সবচেয়ে কম ২ শতাংশ করে অভিযোগ এসেছে রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে।

সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল হয়রানির শিকার হন ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীরা। যার হার ৫৮ শতাংশ। ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হয়রানির হার ২০ শতাংশ। ১৮ বছরের নিচে এই হয়রানীর হার ১৬ শতাংশ। আর ৪০ বছরের ওপরে সাইবার জগতে হয়রানির হার ৬ শতাংশ।

সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করা একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানের পর অভিযুক্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হলেও অধিকাংশ ভুক্তভোগী পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ হিসেবে মামলা প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হতে আগ্রহী হন না। ভুক্তভোগীদের মধ্যে বেশীর ভাগই মনে করেন মামলা করলে অভিভাবক ও পরিবার বিষয়টি জেনে ফেলতে পারেন। এতে পারিবারিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। ভুক্তভোগীদের অনেকেই লোকলজ্জা ও সামাজিক মর্যাদাহানির ভয়ে মামলা করেন না। পাশাপাশি আইনগত প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা না থাকা এবং পরবর্তীতে পুনরায় হয়রানির আশংকা থেকে অনেক ভুক্তভোগী মামলা করতে চান না।

ডিজিটাল হয়রানীর শিকার হলেও নারীদের আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ার প্রবণতা নিয়ে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানউল্লাহ’র সঙ্গে। ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরাও দুটি জরিপ সম্পন্ন করেছি। সেখানেও দেখা গেছে সাইবার হয়রানীর শিকার হলেও ৮০ শতাংশ নারী এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চান না। তাদের মধ্যে এক ধরণের সামাজিক মর্যাদাহানি ও ভোগান্তি ভীতি কাজ করে। এ ধরণের সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কেবল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নয়, প্রচলিত আইনের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোতে ‘ডিজিটাল সিটিজেনশিপ’ কনসেপট এর ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। মূলত ডিজিটাল সিটিজেনশিপের মাধ্যমে একজন নাগরিক ডিজিটাল মাধ্যমের যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবেন। পাশাপাশি সাইবার জগতের নিরাপদ প্লাটফর্মগুলো খুঁজে পেতে ব্যবহারকারীদের সহযোগিতা করে এই ডিজিটাল সিটিজেনশিপ। যদি পাঠ্যপুস্তকে এই ডিজিটাল সিটেজনশিপ অন্তুর্ভুক্ত করে বাচ্চাদের নিয়মিত পড়ানো হয় তাহলে শিক্ষার্থীরাও সাইবার জগতে হয়রানি থেকে পরিত্রান পাবে। এছাড়া দ্রুততম সময়ে সাইবার ট্রাইবুনালের তদন্ত সম্পন্ন করার পরামর্শও দেন এই সমাজবিজ্ঞানী।

এনএইচ/এএস

Header Ad
Header Ad

মেধাসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে মেধাসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "একটি বৈষম্যহীন, উদ্ভাবনী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ এবং উদ্ভাবনের পরিবেশ তৈরি করেই আমরা এগিয়ে যেতে পারি।"

তিনি জানান, 'আইপি অ্যান্ড মিউজিক: ফিল দ্য বিট অব আইপি'—এ বছরের প্রতিপাদ্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, যা সৃজনশীলতার সঙ্গে প্রযুক্তির যোগসূত্র তুলে ধরে। সংগীতকে তিনি "হৃদয়ের ভাষা" আখ্যা দিয়ে বলেন, "এটি কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতাকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার শক্তিশালী হাতিয়ার।"

ড. ইউনূস আরও বলেন, "বাংলাদেশের সংগীতশিল্পীরা লোকগান থেকে আধুনিক ধারায় নানাভাবে নিজেদের প্রতিভা প্রকাশ করে বিশ্বকে মুগ্ধ করছেন। এ শিল্পে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের মূল্যায়নের মাধ্যমে একটি অর্থনৈতিক গতিশীলতা সৃষ্টি সম্ভব।"

তিনি মনে করেন, শিল্প ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অগ্রগতি যেমন সম্ভব, তেমনি প্রয়োজন মেধাসম্পদ আইন ও নীতির কার্যকর প্রয়োগ, যাতে শিল্পীদের সৃজনশীলতা সুরক্ষিত থাকে এবং নতুন প্রজন্ম উদ্ভাবনে উৎসাহিত হয়।

বাণীর শেষাংশে তিনি বলেন, "ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই সরকার উদ্ভাবনী শক্তিকে এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে একটি টেকসই বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ২৬ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস’ উদযাপন করা হয়, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং মেধাসম্পদের সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোলে ৬ নারী ছিনতাইকারী গ্রেফতার

বেনাপোলে ৬ নারী ছিনতাইকারী গ্রেফতার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের বেনাপোলে প্রতারণার জালে ফেলে এক নারীর কাছ থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ৬ নারী ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল ৫ টার দিকে বেনাপোল পৌরসভার দিঘিরপাড় থেকে  স্থানীয় জনতা ধরে ৬ নারীকে পুলিশে সোপর্দ করে।

গ্রেফতারকৃত নারীরা হলেন- ব্রাক্ষনবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের শিপনের স্ত্রী সাহানা আক্তার, ফিরোজের মেয়ে  ইভা আক্তার, ইয়াসিনের স্ত্রী সুলতানা খাতুন, পলাশের স্ত্রী মোর্শেদা, মালিলের স্ত্রী রাবেয়া ও জুয়েলের স্ত্রী নারগিস বেগম।

বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের উপপরিদর্শক(এসআই) পবিত্র বিশ্বাস জানান, বেনাপোল পৌরসভার দিঘিরপাড় গ্রামের এক গৃহবধূ বেনাপোল বাজার থেকে ইজিবাইক চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় পথিমধ্যে বোরকা পরা ৬ নারী ঐ ইজিবাইকে উঠে তাকে জিম্মি করে ফেলে। এক পর্যায়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগীর চিৎকার দেয়। এসময় পথচারীরা এগিয়ে এসে ছিনতাইকারীদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।  এরা পেশাদার প্রতারক ও ছিনতাইকারী জানায় পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

‘সংস্কার না নির্বাচন’ এই খেলা বাদ দিয়ে বিচার করুন: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

"সংস্কার না নির্বাচন—এই খেলা বাদ দিয়ে আগে বিচার নিশ্চিত করুন," বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে আয়োজিত এই সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন—জুলাই, পিলখানা ও শাপলা চত্বরের ঘটনাগুলো গণহত্যা, যার বিচার না হলে দেশে কোনো ধরনের নির্বাচন বা সংস্কার অর্থহীন হয়ে পড়ে।

সারজিস আলম বলেন, "বর্তমান সরকারের বৈধতা শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে অন্য কোনো বিষয় প্রাসঙ্গিক নয়।" তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি ২০২৪ সালের আগস্টে পূরণ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়নি।

আন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সারজিস। তিনি বলেন, “আমরা যখন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি করি, তারা পশ্চিমাদের অবস্থানের কথা বলে। কিন্তু শাপলা, পিলখানা বা জুলাইয়ের ঘটনায় যখন রক্ত ঝরল, তখন পশ্চিমারা কোথায় ছিল?”

তিনি আরও হুঁশিয়ার করে বলেন, “এই প্রজন্মের আবেগ নিয়ে খেলবেন না। এই প্রজন্ম ক্ষমতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কাউকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে পিছপা হবে না।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন—আপ বাংলাদেশের সংগঠক আলী আহসান জুনায়েদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি শেখ মাহবুবুর রহমান ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

সমাবেশ থেকে চার দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো-

১. আগামী ১০০ দিনের মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশ, আদালতের রায় ও রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

২. শাপলা চত্বরের ঘটনার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সহায়তায় একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে;

৩. পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে গঠিত কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করতে হবে

৪. দেশের সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে স্পষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মেধাসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বেনাপোলে ৬ নারী ছিনতাইকারী গ্রেফতার
‘সংস্কার না নির্বাচন’ এই খেলা বাদ দিয়ে বিচার করুন: সারজিস আলম
যুদ্ধ বন্ধের আলোচনার মধ্যেই মস্কোয় গাড়িবোমা হামলায় রুশ জেনারেল নিহত
পোপ ফ্রান্সিসকে শেষ বিদায় জানাতে রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
পাকিস্তানে বোমা বিস্ফোরণে নিরাপত্তা বাহিনীর ৪ সদস্য নিহত
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
নওগাঁয় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ১
শিগগিরই স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে সরকার: প্রেস সচিব
টাঙ্গাইলে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মাছ ব্যবসায়ী খুন
সৌদিতে মক্কার কাছেই জেনিফার লোপেজের নাচ-গান, ক্ষুব্ধ মুসল্লিরা
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে, যা বলল জাতিসংঘ
হবিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
ময়ূখ রঞ্জনকে ‘গাধা’ বললেন অভিনেতা ঋত্বিক!
পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ৫ দিনের রিমান্ডে
ভারতীয় সেনার গুলিতে লস্করের শীর্ষ কমান্ডার আলতাফ লালি নিহত
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা ‘সর্বাত্মক যুদ্ধে’ রূপ নিতে পারে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ
বাইক দুর্ঘটনায় প্রেমিক-প্রেমিকা নিহত