শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ প্রতিবেদন

ডিজিটাল হয়রানির শিকার ৯৮% মামলায় যেতে চান না

সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল হয়রানির শিকার হন ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীরা।

সহজলভ্য হয়ে উঠেছে নিত্য নতুন প্রযুক্তি। ব্যবহার বেড়েছে বিভিন্ন ধরণের অ্যাপসের। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় এখন নিজের পরিচয় ও অবস্থান গোপন করে সংঘটিত হচ্ছে সাইবার অপরাধ। আর এসব ডিজিটাল হয়রানির প্রধান শিকার হন নারীরা।

পরিসংখ্যান বলছে, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অপরাধীদের শনাক্ত করা গেলেও ৯৮ শতাংশ অভিযোগকারী মামলা করতে চান না। সামাজিক মর্যাদাহানির ভয় থেকেই তাদের এমন অবস্থান বলে দাবি পুলিশের। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সাইবার জগতের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা তৈরী করা গেলেই কেবল এ ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

সাইবার অপরাধের ধরণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাইবার বুলিং, ট্রলিং, মানহানি, ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার ও প্রকাশ, ব্ল্যাকমেইলিং, প্রতিশোধ, পর্ণসহ বিভিন্ন উপায়ে নারীদের সাইবার জগতে হয়রানি করা হয়। এতে করে তারা সামাজিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন।

ভুক্তভোগীরা অধিকাংশ সময় বুঝতে পারেন না কীভাবে, কী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং কাকে বিষয়টি জানাবেন। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারকে জানাতে বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষ পুলিশ কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানাতে দ্বিধাবোধ করেন।

নারীর বিরুদ্ধে সংঘটিত সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযোগ গ্রহণ এবং অভিযোগকারীদের প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রযুক্তিগত ও আইনি পরামর্শ দিয়ে থাকে পুলিশের সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন ডেস্ক। এটি পরিচালিত হয় পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখার অধীনে। নারীদের পাশে দাঁড়াতে ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন।

এই ডেস্কটি নারী পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে বলে জানান পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (এলআইসি) মীর আবু তৌহিদ।

তিনি বলেন, ‘ডেস্কটি সম্পূর্ণভাবে নারী পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক অভিযোগ আসে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমরা প্রথমেই যাচাই-বাছাই করে থাকি। আমরা চাই না, একজনকে সেবা দিতে গিয়ে আরেকজন হয়রানির শিকার হোক।’

পুলিশের সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন ডেস্কের তথ্য বলছে, গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ডিজিটাল হয়রানীর শিকার হয়ে সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করেছেন ১৭ হাজার ২৮০ জন। এর মধ্যে অভিযোগ করেছেন ১২ হাজার ৬৪১ জন। অপরাধীদের শনাক্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন ১৯৭ জন, যা মোট অভিযোগকারীর ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

অভিযোগ বিশ্লেষনে দেখা যায়, ভুয়া আইডি থেকে মেসেজ বা তথ্য প্রকাশ করে হয়রানির শিকার হয়েছেন ৫৪৭৫ জন। আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও পাঠিয়ে হয়রানি করা হয় ৯৯২ জনকে। ব্যাক্তিগত তথ্য প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে ৮৮৪ জনকে। আর অন্যান্য উপায়ে হয়রানি করা হয়েছে ৫১৮ জনকে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে এমন বেশ কিছু অ্যাপস রয়েছে যেখানে পরিচয় গোপন রেখে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। এতে পরিচয় গোপন রেখে অপরাধ করার প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে অপরাধী শনাক্ত করা দিন দিন দুর্বোধ্য হয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরকারী পর্যায়ে আলোচনা প্রয়োজন। পাশাাপাশি আইপিডিআর এর ডাটা সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং প্রদানের জন্য ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ডাটা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ডিজিটাল হয়রানির শিকার হয়ে সবচেয়ে বেশী অভিযোগ এসেছে ঢাকা বিভাগ থেকে। যার হার ৬৪ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে এসেছে ১৭ শতাংশ অভিযোগ। খুলনা, রাজশাহী এবং সিলেট বিভাগ থেকে ৪ শতাংশ হারে অভিযোগ এসেছে। বরিশাল বিভাগ থেকে এসেছে ৩ শতাংশ অভিযোগ। আর সবচেয়ে কম ২ শতাংশ করে অভিযোগ এসেছে রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে।

সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল হয়রানির শিকার হন ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীরা। যার হার ৫৮ শতাংশ। ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হয়রানির হার ২০ শতাংশ। ১৮ বছরের নিচে এই হয়রানীর হার ১৬ শতাংশ। আর ৪০ বছরের ওপরে সাইবার জগতে হয়রানির হার ৬ শতাংশ।

সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করা একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানের পর অভিযুক্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হলেও অধিকাংশ ভুক্তভোগী পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ হিসেবে মামলা প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হতে আগ্রহী হন না। ভুক্তভোগীদের মধ্যে বেশীর ভাগই মনে করেন মামলা করলে অভিভাবক ও পরিবার বিষয়টি জেনে ফেলতে পারেন। এতে পারিবারিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। ভুক্তভোগীদের অনেকেই লোকলজ্জা ও সামাজিক মর্যাদাহানির ভয়ে মামলা করেন না। পাশাপাশি আইনগত প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা না থাকা এবং পরবর্তীতে পুনরায় হয়রানির আশংকা থেকে অনেক ভুক্তভোগী মামলা করতে চান না।

ডিজিটাল হয়রানীর শিকার হলেও নারীদের আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ার প্রবণতা নিয়ে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানউল্লাহ’র সঙ্গে। ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরাও দুটি জরিপ সম্পন্ন করেছি। সেখানেও দেখা গেছে সাইবার হয়রানীর শিকার হলেও ৮০ শতাংশ নারী এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চান না। তাদের মধ্যে এক ধরণের সামাজিক মর্যাদাহানি ও ভোগান্তি ভীতি কাজ করে। এ ধরণের সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কেবল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নয়, প্রচলিত আইনের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোতে ‘ডিজিটাল সিটিজেনশিপ’ কনসেপট এর ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। মূলত ডিজিটাল সিটিজেনশিপের মাধ্যমে একজন নাগরিক ডিজিটাল মাধ্যমের যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবেন। পাশাপাশি সাইবার জগতের নিরাপদ প্লাটফর্মগুলো খুঁজে পেতে ব্যবহারকারীদের সহযোগিতা করে এই ডিজিটাল সিটিজেনশিপ। যদি পাঠ্যপুস্তকে এই ডিজিটাল সিটেজনশিপ অন্তুর্ভুক্ত করে বাচ্চাদের নিয়মিত পড়ানো হয় তাহলে শিক্ষার্থীরাও সাইবার জগতে হয়রানি থেকে পরিত্রান পাবে। এছাড়া দ্রুততম সময়ে সাইবার ট্রাইবুনালের তদন্ত সম্পন্ন করার পরামর্শও দেন এই সমাজবিজ্ঞানী।

এনএইচ/এএস

Header Ad
Header Ad

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কোনো আরব নেতা সিরিয়া সফরে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি সফর করলেন। বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল-শারা। সফরের সময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানান তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাতার মাঠপর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের আমিরের এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এই প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত কর্মকর্তারা পুলিশের দায় এড়াতে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং ইয়ামিনকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গণঅভ্যুত্থানের পরও তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি। বরং, কঠিন চাপে থেকেও পুলিশের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের দাবি, ইয়ামিন এপিসি (সাঁজোয়া যান) কারে উঠলে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে, যা তাকে আহত করে। এরপর এএসআই মোহাম্মদ আলী তাকে নামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তার হাতে ব্যথা থাকায় ফসকে পড়ে যান ইয়ামিন। পুলিশ আরও জানায়, জনগণের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাকে রোড ডিভাইডারে রাখা হয়, যাতে কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।

তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা নীল রঙের এপিসি কারের ওপর ইয়ামিনকে ফেলে রেখে টহল চালায় এবং ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এপিসি কারটি সাভারের রানা প্লাজা ও ভ্যাট অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় আসে। এরপর এপিসির ভেতর থেকে এক পুলিশ সদস্য দরজা খুলে দেয় এবং আরেকজন ইয়ামিনকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ ইয়ামিন তখনও জীবিত ছিলেন। প্রচণ্ড কষ্টে নিশ্বাস নিতে দেখা যায় তাকে। তার পরনে ছিল নেভি ব্লু ট্রাউজার ও খয়েরি রঙের জামা। এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর তার দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে যায় এবং একটি পা এপিসির বাঁ দিকের চাকার সঙ্গে আটকে থাকে। মৃত ভেবে পুলিশের সদস্যরা তার পায়ে আর গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়। এরপর আরও দুই পুলিশ সদস্য নেমে এসে তাকে সার্ভিস লেনে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশের এই প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তদন্ত কর্মকর্তারা শুধু পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছেন, অথচ কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, সংবাদকর্মী বা সাধারণ মানুষের সাক্ষ্য নেননি। এ কারণে তদন্ত প্রক্রিয়াকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক প্রতিবেদনে পুলিশের আচরণকে ‘ভয়ংকর বর্বরতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির তিন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন এবং অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখাকে সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ নীল এপিসি কার থেকে ইয়ামিনের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। কোনো ময়নাতদন্ত বা আনুষ্ঠানিক মৃত্যুসনদ না দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইয়ামিনের লাশ হস্তান্তর করে।

ঢাকা ও সাভার রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইয়ামিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করার জন্য পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে, পরিবার তাকে সাভারের তালবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাংক টাউন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দায় মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজের ভয়ংকর দৃশ্যগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাহলে, শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে যদি সত্য প্রকাশ না পায়, তবে স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি উঠেছে। নিহত ইয়ামিনের পরিবার এবং আন্দোলনকারীরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও একাধিক হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির এক বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘদিনের নজরদারির পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাত কলেজের জন্য হচ্ছে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিতে বলেছে ইইউ: ইসি সচিব
রংপুরের টানা চতুর্থ হার, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো খুলনা
চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান, আটক ৫
প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সেই যুবককে গুলি করে হত্যা
বাংলাদেশ পুলিশে ১৬টি শূন্য পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু ২ ফেব্রুয়ারি