বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ প্রতিবেদন

ডিজিটাল হয়রানির শিকার ৯৮% মামলায় যেতে চান না

সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল হয়রানির শিকার হন ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীরা।

সহজলভ্য হয়ে উঠেছে নিত্য নতুন প্রযুক্তি। ব্যবহার বেড়েছে বিভিন্ন ধরণের অ্যাপসের। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় এখন নিজের পরিচয় ও অবস্থান গোপন করে সংঘটিত হচ্ছে সাইবার অপরাধ। আর এসব ডিজিটাল হয়রানির প্রধান শিকার হন নারীরা।

পরিসংখ্যান বলছে, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অপরাধীদের শনাক্ত করা গেলেও ৯৮ শতাংশ অভিযোগকারী মামলা করতে চান না। সামাজিক মর্যাদাহানির ভয় থেকেই তাদের এমন অবস্থান বলে দাবি পুলিশের। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সাইবার জগতের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা তৈরী করা গেলেই কেবল এ ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

সাইবার অপরাধের ধরণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাইবার বুলিং, ট্রলিং, মানহানি, ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার ও প্রকাশ, ব্ল্যাকমেইলিং, প্রতিশোধ, পর্ণসহ বিভিন্ন উপায়ে নারীদের সাইবার জগতে হয়রানি করা হয়। এতে করে তারা সামাজিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন।

ভুক্তভোগীরা অধিকাংশ সময় বুঝতে পারেন না কীভাবে, কী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং কাকে বিষয়টি জানাবেন। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারকে জানাতে বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষ পুলিশ কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানাতে দ্বিধাবোধ করেন।

নারীর বিরুদ্ধে সংঘটিত সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযোগ গ্রহণ এবং অভিযোগকারীদের প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রযুক্তিগত ও আইনি পরামর্শ দিয়ে থাকে পুলিশের সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন ডেস্ক। এটি পরিচালিত হয় পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখার অধীনে। নারীদের পাশে দাঁড়াতে ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন।

এই ডেস্কটি নারী পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে বলে জানান পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (এলআইসি) মীর আবু তৌহিদ।

তিনি বলেন, ‘ডেস্কটি সম্পূর্ণভাবে নারী পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক অভিযোগ আসে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমরা প্রথমেই যাচাই-বাছাই করে থাকি। আমরা চাই না, একজনকে সেবা দিতে গিয়ে আরেকজন হয়রানির শিকার হোক।’

পুলিশের সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন ডেস্কের তথ্য বলছে, গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ডিজিটাল হয়রানীর শিকার হয়ে সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করেছেন ১৭ হাজার ২৮০ জন। এর মধ্যে অভিযোগ করেছেন ১২ হাজার ৬৪১ জন। অপরাধীদের শনাক্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন ১৯৭ জন, যা মোট অভিযোগকারীর ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

অভিযোগ বিশ্লেষনে দেখা যায়, ভুয়া আইডি থেকে মেসেজ বা তথ্য প্রকাশ করে হয়রানির শিকার হয়েছেন ৫৪৭৫ জন। আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও পাঠিয়ে হয়রানি করা হয় ৯৯২ জনকে। ব্যাক্তিগত তথ্য প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে ৮৮৪ জনকে। আর অন্যান্য উপায়ে হয়রানি করা হয়েছে ৫১৮ জনকে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে এমন বেশ কিছু অ্যাপস রয়েছে যেখানে পরিচয় গোপন রেখে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। এতে পরিচয় গোপন রেখে অপরাধ করার প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে অপরাধী শনাক্ত করা দিন দিন দুর্বোধ্য হয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরকারী পর্যায়ে আলোচনা প্রয়োজন। পাশাাপাশি আইপিডিআর এর ডাটা সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং প্রদানের জন্য ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ডাটা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ডিজিটাল হয়রানির শিকার হয়ে সবচেয়ে বেশী অভিযোগ এসেছে ঢাকা বিভাগ থেকে। যার হার ৬৪ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে এসেছে ১৭ শতাংশ অভিযোগ। খুলনা, রাজশাহী এবং সিলেট বিভাগ থেকে ৪ শতাংশ হারে অভিযোগ এসেছে। বরিশাল বিভাগ থেকে এসেছে ৩ শতাংশ অভিযোগ। আর সবচেয়ে কম ২ শতাংশ করে অভিযোগ এসেছে রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে।

সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল হয়রানির শিকার হন ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীরা। যার হার ৫৮ শতাংশ। ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হয়রানির হার ২০ শতাংশ। ১৮ বছরের নিচে এই হয়রানীর হার ১৬ শতাংশ। আর ৪০ বছরের ওপরে সাইবার জগতে হয়রানির হার ৬ শতাংশ।

সাইবার অপরাধ নিয়ে কাজ করা একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানের পর অভিযুক্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হলেও অধিকাংশ ভুক্তভোগী পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ হিসেবে মামলা প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হতে আগ্রহী হন না। ভুক্তভোগীদের মধ্যে বেশীর ভাগই মনে করেন মামলা করলে অভিভাবক ও পরিবার বিষয়টি জেনে ফেলতে পারেন। এতে পারিবারিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। ভুক্তভোগীদের অনেকেই লোকলজ্জা ও সামাজিক মর্যাদাহানির ভয়ে মামলা করেন না। পাশাপাশি আইনগত প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা না থাকা এবং পরবর্তীতে পুনরায় হয়রানির আশংকা থেকে অনেক ভুক্তভোগী মামলা করতে চান না।

ডিজিটাল হয়রানীর শিকার হলেও নারীদের আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ার প্রবণতা নিয়ে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানউল্লাহ’র সঙ্গে। ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরাও দুটি জরিপ সম্পন্ন করেছি। সেখানেও দেখা গেছে সাইবার হয়রানীর শিকার হলেও ৮০ শতাংশ নারী এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চান না। তাদের মধ্যে এক ধরণের সামাজিক মর্যাদাহানি ও ভোগান্তি ভীতি কাজ করে। এ ধরণের সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কেবল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নয়, প্রচলিত আইনের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোতে ‘ডিজিটাল সিটিজেনশিপ’ কনসেপট এর ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। মূলত ডিজিটাল সিটিজেনশিপের মাধ্যমে একজন নাগরিক ডিজিটাল মাধ্যমের যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবেন। পাশাপাশি সাইবার জগতের নিরাপদ প্লাটফর্মগুলো খুঁজে পেতে ব্যবহারকারীদের সহযোগিতা করে এই ডিজিটাল সিটিজেনশিপ। যদি পাঠ্যপুস্তকে এই ডিজিটাল সিটেজনশিপ অন্তুর্ভুক্ত করে বাচ্চাদের নিয়মিত পড়ানো হয় তাহলে শিক্ষার্থীরাও সাইবার জগতে হয়রানি থেকে পরিত্রান পাবে। এছাড়া দ্রুততম সময়ে সাইবার ট্রাইবুনালের তদন্ত সম্পন্ন করার পরামর্শও দেন এই সমাজবিজ্ঞানী।

এনএইচ/এএস

Header Ad
Header Ad

বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিদ্যুৎ খাতকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত সরবরাহ আইন (কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট আইন) প্রণয়ন করে দায়মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে এই খাতে লুটপাটের মডেল তৈরি হয়। গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনায় ঘুষ, কমিশন, এবং অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতার কারণে জনগণের ওপর ৭২ হাজার কোটি টাকার বোঝা চাপানো হয়েছে।

২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৫,৭০০ মেগাওয়াট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৩২,০০০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। এ সময়ে শতাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বেশিরভাগ প্রকল্প দ্রুত সরবরাহ আইনের আওতায় অনুমোদন পাওয়ায় উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার সুযোগ বন্ধ ছিল।

বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে ৩০ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার দুর্নীতির মাধ্যমে লুট হয়েছে।

মহাপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ৩০,০০০ মেগাওয়াট ধরা হলেও, পরে এই লক্ষ্যমাত্রা ৪০,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়। চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করায় অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতা তৈরি হয়। এই অতিরিক্ত সক্ষমতার জন্য ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বাবদ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার অপচয় হয়েছে।

বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেছেন, “উচ্চমাত্রার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এর ফলে জনগণের কাঁধে ভাড়া ও অন্যান্য ব্যয়ের বোঝা চেপেছে।”

শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন নির্মাণ এবং মিটার কেনাকাটায় বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তবে এসব খাতে দুর্নীতির বিস্তারিত চিত্র এখনও স্পষ্ট নয়।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিদ্যুৎ খাতে এ ধরনের দুর্নীতি অর্থনীতিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সরকারের উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের ফলে জনগণকে অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে হয়েছে।

প্রস্তাবিত সমাধান:

- বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি কমাতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে প্রকল্প অনুমোদন।
- দায়মুক্তি আইন বাতিল করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
- শ্বেতপত্রে বিস্তারিত তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ।
- অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতা বন্ধ এবং বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ।

বিদ্যুৎ খাতের এই সংকট উত্তরণে জনসাধারণ, বিশেষজ্ঞ এবং গণমাধ্যমের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মো. নাজির উদ্দিন কার্তিক (২৫) আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ ব্যাটালিয়নের (১৬ বিজিবি) বিজিবি সদস্যরা গোমস্তাপুর উপজেলার কেতাব বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।

আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ১৬ বিজিবির গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

নওগাঁ ব্যাটালিয়নের (১৬ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বাংগাবাড়ি বিজিবির নিয়মিত টহল দল মঙ্গলবার সকালে সীমান্ত পিলার ২০৪/এমপি হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যান্তরে কেতাব বাজার এলাকায় টহল পরিচালনা করছিলেন। টহল দেওয়ার সময় একজন ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে বিজিবির সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অসংলগ্ন বক্তব্য দিতে থাকেন। পরে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি স্বীকার করেন তিনি ভারতীয় নাগরিক। ওই ব্যক্তির ভাষ্যমতে তাঁর নাম, নাজির উদ্দিন কার্তিক। তিনি ভারতের বিহার রাজ্যের কাঠিয়ার জেলার আবাদপুর থানার গাবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তল্লাশী করে ওই ব্যক্তির কাছ ভারতীয় ১০ রুপি এবং বাংলাদেশী ২৫০ টাকা পাওয়া গেছে। তাঁর কাছ থেকে কোনো পাসপোর্ট বা বৈধ ডকুমেন্ট পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে আটক পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম চলমান আছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় ভ্রমণ ও চিকিৎসার কাজে যাওয়া বাংলাদেশিরা সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এবং বিজেপি সমর্থকদের লংমার্চ কর্মসূচি ঘিরে এই হয়রানির মাত্রা বেড়ে গেছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) থেকে আগরতলায় হোটেল ভাড়া না পেয়ে বাংলাদেশি পর্যটকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা ফরিদ মিয়া জানান, হোটেল ভাড়া নেওয়ার পর মুসলিম এবং বাংলাদেশি হওয়ায় তাকে এক ঘণ্টার মধ্যেই হোটেল থেকে বের করে দেওয়া হয়। টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি বাধ্য হয়ে শহরের বাইরে আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটান এবং পরদিন দেশে ফিরে আসেন।

আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সীমান্ত পারাপারের সময় বাংলাদেশিদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হচ্ছে। আখাউড়া স্থলবন্দরে ফিরে আসা যাত্রীরা জানিয়েছেন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হুমকি ও হয়রানির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান শিলচরে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারে জামদানি শাড়ির একটি স্টল দিয়েছিলেন। সেখানে একদল যুবক "জয় শ্রী রাম" স্লোগান দিয়ে তার দোকানে হামলা চালায়। হামলাকারীরা দোকান ভাঙচুর করে এবং সমস্ত টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে যায়।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি অতিরিক্ত সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাবের বিন জব্বার জানিয়েছেন, সীমান্তে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশিরা এমন হয়রানি ও বৈষম্যমূলক আচরণের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এর সমাধানের জন্য দুই দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা নিরসনে কূটনৈতিক পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোলামি করতে স্বাধীনতা অর্জন করিনি: সোহেল তাজ
মাইক্রোসফটের সমীক্ষায় ভুয়া খবর ছড়ানোর শীর্ষে ভারত
আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধ
একটি ইস্যু দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মূল্যায়ন করা যাবে না : ভারতীয় হাইকমিশনার
জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা মমতা বোঝেন কিনা, নিশ্চিত নই: শশী থারুর
যমুনার চর কেটে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ
২০২৩ সালে সর্বোচ্চ দুর্নীতি পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলায়
শেখ হাসিনার পতন কোনোভাবেই মানতে পারছেন না ভারত : রিজভী
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে জরুরি তলব
সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, এসএসসি পাসেই আবেদনের সুযোগ
এস আলম পরিবারের ৩৫০ ব্যাংক হিসাবের সন্ধান
২৮ বিয়ে প্রসঙ্গে যা বললেন নায়িকা রোমানা
বাংলাদেশিদের সেবা দেবে না ত্রিপুরার কোনো হোটেল–রেস্তোরাঁ
ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন
‘বাংলাদেশি কনস্যুলেটে হামলা প্রতিবেশীদের মধ্যে বিবাদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে’
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলায় ৩ পুলিশ বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ৭