সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা: উত্তরণের পথ (শেষ পর্ব)

সৎ সাংবাদিকতার জন্য দরকার আর্থিক নিরাপত্তা

পেশা, মর্যাদাবোধ, গুণগতমান–শব্দগুলো খুব বেশি রকম সংশ্লিষ্ট। যখনই বিচ্ছিন্ন হয়, পেশাটি পড়ে যায় হুমকির মুখে। গুণগতমান আর মর্যাদাবোধ অনেকটাই খুঁইয়ে সাংবাদিকতা এখন পড়েছে সেই হুমকির মুখে। আমরা দাঁড়িয়ে আছি সীমানা দেয়ালের খুব কাছে। সাংবাদিকের ব্যক্তিমান খুব বেশি সম্পর্কিত সংবাদপ্রতিষ্ঠানের মানের সঙ্গে। প্রতিষ্ঠানের আদর্শগত অবস্থান, আর্থিক সক্ষমতা, সম্মানজনক বেতন কাঠামো সাংবাদিকের মর্যাদাবোধ তৈরির কাজকে সহায়তা করে। সেই কাজ করার দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানেরই। তবে দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই পেশা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন-সংগঠনগুলোরও। ব্যাঙের ছাতার মতো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান, রাস্তার মোড়ে মোড়ে সম্পাদক এবং অলিগলিতে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন গড়ে উঠলেও পেশাগত নিরাপত্তা, মানোন্নয়ন ও মর্যাদাবোধ গড়ে তোলা কতটা সম্ভব হয়েছে এ পেশায়? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ঢাকাপ্রকাশের পক্ষ থেকে মুখোমুখি হওয়া গণমাধ্যম গবেষক ও সাংবাদিকদের। ‘প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা: উত্তরণের পথ’ শীর্ষক ধারাবাহিক আয়োজনের আজ থাকছে শেষ পর্ব

বর্তমানে সাংবাদিকতায় গুণগতমান, পেশাদারিত্ব ও নীতিমালার কোনো বালাই নেই। ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যেখানে সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল, আইপি টেলিভিশন ও সংবাদ পত্র। আর এসব প্রতিষ্ঠান শুধু পরিচয়পত্র ও বুম ধরিয়ে দিয়েই বেতন-ভাতার দায় সারে। এটি চলছে জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে খোদ রাজধানীতেও। মানা হচ্ছে না সম্পাদক নিয়োগের নিয়মও।

আরো পড়ুন

ক্ষমতাবান ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

সাংবাদিকতা পেশায় আসতে হলে একটি নিবন্ধন প্রক্রিয়া থাকা দরকার বলে মনে করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু। তিনি বলেন, ‘নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হয়ে সাংবাদিকতা পেশায় ঢুকতে হবে। সেখানে নৈতিকতার স্ট্যান্ডার্ড ঠিক হবে। কী লিখবেন, কী বলবেন, কী উচিত, অনুচিত, আইনকানুন কী, কে সাংবাদিক হবেন, তার প্রশিক্ষণ কী, আইন কাঠামো তিনি মানবেন কি না–এসব বিবেচনায় নিতে হবে। আরেকটি দিক হলো–ভালো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে কি না, ভালো বেতন দিচ্ছে কি না, যে প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছে, সে প্রতিষ্ঠান এগুলো দেখভাল করছে কি না, অভিজ্ঞ সম্পাদকের নেতৃত্বে সম্পাদকীয় নীতি গড়ে উঠছে কি না–এগুলোর সমন্বয় করতে না পারলে, এসব রোগ বা ব্যাধি মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে যাবে।’

এ সম্পর্কে ডিবিসি নিউজের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘একজন সম্পাদকের ১৫ বছর সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। সেই অভিজ্ঞতা নেই তারপরও একজন সম্পাদক হচ্ছেন কীভাবে? একজন মালিক সম্পাদক হচ্ছেন, কীভাবে হচ্ছেন? অথবা একজন রিপোর্টার সম্পাদক হচ্ছেন। এগুলোর নীতিমালা করতে হবে।’

আর্থিক নিরাপত্তার সঙ্গে পেশাগত মানোন্নয়ন ও মর্যাদাবোধ জড়িত। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘মফস্বল সাংবাদিকদের যদি একটি পরিচয়পত্র ধরিয়ে বলা হয়, এটা দিয়ে সব সুযোগ-সুবিধা নিতে হবে। তাহলে স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এসব সমস্যা সরকার ও সাংবাদিক নেতাদের দেখা উচিত।’

সাংবাদিক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ‘ন্যায্য পাওনা দিতে না পারলে মানসম্পন্ন সাংবাদিকতা আশা করা যাবে না। শুধু একটি পরিচয়পত্র দিয়ে সাংবাদিকতা হয় না। ভালো সাংবাদিকতা চাইতে হলে ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে। শুধু পরিচয়পত্র দিয়ে ছেড়ে দিলে ভালো সাংবাদিকতাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়। একটি বিশেষ সুরক্ষা আইন দরকার, ওয়েজ বোর্ড দরকার, নবম ওয়েজ বোর্ড কার্যকর করা দরকার।’

আরো পড়ুন

স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

গণমাধ্যম গবেষক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘আন্ডারগ্রাউন্ড কিছু পত্রিকা আছে, যেগুলো বাজারে দেখা যায় না। দেয়ালে সেঁটে দেওয়া থাকে। সেই পত্রিকাগুলোর সাংবাদিকরা কী করবেন? বেতন তো দেয় না।’

গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বা নিবন্ধন দেওয়ার আগে মালিকের সক্ষমতা যাচাইয়ের ওপর গুরুত্ব দিলেন এ গবেষক ও সাংবাদিক। তিনি আরও বলেন, ‘একজন মালিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালানোর যোগ্য কি না, ট্যাক্স ঠিক মতো দিচ্ছে কি না, সরকারের নিয়ম-কানুন মেনে চলছে কি না, প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম কি না সেটি দেখতে হবে। এ ছাড়া কাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে সেটিও দেখতে হবে।’ তবে বিষয়গুলো যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সরকার ও সাংবাদিক উভয়পক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সম্মানজনক বেতনভাতা না দেওয়া এবং ওয়েজ বোর্ড না মানার ক্ষেত্রে শুধু মালিক নয়, সাংবাদিক নেতারাও দায়ী বলে মনে করেন জায়েদুল আহসান পিন্টু। তিনি বলেন, ‘এটা আদায় করার দায়িত্ব তো ইউনিয়নের। একটা সময় ছিল–বেতন না দিলে ইউনিয়ন গিয়ে মালিক পক্ষকে ঘেরাও করত বা আলোচনায় বসত। তারপর মালিকপক্ষ দিতে বাধ্য হতো। অথচ এখন ইউনিয়নেরই কেউ কেউ গিয়ে সার্টিফিকেট দিচ্ছে, অমুক প্রতিষ্ঠানে ওয়েজ বোর্ড দেওয়া হচ্ছে, আসলে দেওয়া হচ্ছে না। যার যার দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না।’

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে ওঠা মানহীন এসব আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার নিবন্ধন প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান চালু করতে হলে নিয়মের মধ্যে আসতে হবে। অবাধ মানে এই নয় যে, যে আসবে তাকেই লাইসেন্স দিতে হবে।’

যেখানে-সেখানে গড়ে ওঠা গণমাধ্যম বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন সাংবাদিক নেতা সাজ্জাদ আলম খান তপুও। তিনি বলেন, ‘শুধু একটি ল্যাপটপ দিয়ে কেউ কেউ হয়তো অনলাইন পোর্টাল করার স্বপ্ন দেখছেন, প্রতিনিধি নিয়োগ করছেন। আমি বলব তাদের নিয়তে এক ধরনের সমস্যা রয়েছে। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কাঠামো, বেতন কাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে। সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার, মর্যাদার প্রশ্নে সবচেয়ে বড় জায়গাটি হচ্ছে তার অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ, সেটি তৈরি করে দিতে হবে। এটিকে কুটির শিল্প হিসেবে দেখলে চলবে না।’

আরো পড়ুন

গোপন সমঝোতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিকতা

পেশাগত মান উন্নয়নের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের ওপর জোর তাগিদ দিয়ে সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘সাংবাদিকতায় যেটার বড়ই অভাব। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতার বেসিক জ্ঞান দেয়। আর কিছু এনজিও, সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন–নিমকো, পিআইবিও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তবে সেগুলোর মান নিয়ে সন্দেহ আছে। এনজিওগুলো তো সাংবাদিকতার মান বাড়াতে প্রশিক্ষণ দেয় না। এরা টাকা নিয়ে ব্যবসা করে। বিদেশ থেকে টাকা আসে, একটা অংশ প্রশিক্ষণের নাম করে খরচ করে, আরেকটা অংশ প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে নেয়। এটা দিয়ে খুব বড় পরিবর্তন হবে না।’

ডিবিসি নিউজের সম্পাদক আরও বলেন, ‘পেশাগত মান উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়ত চর্চা করতে হয়। চর্চাটা নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে করতে হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর সিস্টেমের মধ্যেই থাকতে হবে প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ চলতেই থাকবে। পেশাদারিত্ব বাড়াতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ও সাংবাদিকদের নীতি-নৈতিকতার একটি চার্ট থাকতে হবে। কোনটা করতে পারবে কোনটা করতে পারবে না এগুলোর নীতিমালা থাকতে হবে। এর বাইরে গেলেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’

এ ছাড়া প্র্যাকটিক্যাল ফিল্ডে প্রশিক্ষণের বিষয়ে সংগঠনগুলোর ভূমিকা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এ গবেষকের মতে, ক্লাব, ইউনিয়ন, বিটভিত্তিক সংগঠনগুলো পিকিনিক, আউটিং, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের, পাশাপাশি কিছু ওয়ার্কশপ, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার করতে পারে। সাংবাদিকতার মূল বিষয়, অনুসন্ধানী, ব্যবসা বা অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতি শেখাতে ডিআরইউ একটা কোর্স চালু করতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে যেটুকু হচ্ছে তা সংগঠিত নয়। সাংবাদিককে আত্ম উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়ত পড়াশোনা বাড়াতে হবে।
জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘একজন রিপোর্টারের জানতে হবে তার লেখার কারণে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্র ক্ষতির মুখে পড়ছে কি না।’

সাংবাদিকতার যে বিচ্যুতি ঘটেছে সেখান থেকে বের হতে হলে প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিক, মালিক, স্টেকহোল্ডার এমনকি পাঠককেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলে মত দেন এ গণমাধ্যম গবেষক।

আরো পড়ুন

স্বার্থের দ্বন্দ্বে পরাজিত সাংগঠনিক শক্তি

পেশাগত মান উন্নয়নের বিষয়ে একই রকম মত দিলেন সাংবাদিক নেতা সাজ্জাদ আলম খান। তিনি বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। সেটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুপস্থিত।’

পেশাগত মান উন্নয়ের ক্ষেত্রে আচরণবিধি প্রণয়ন করতে সাংবাদিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘যারা দুর্নীতি করছে, তাদের সরাসরি সংগঠন থেকে এমনকি পেশা বিদায় করতে হবে।’ এটি করতে পারলে সরাকারি নিয়ন্ত্রণের ঝুঁকি থাকবে না বলে মনে করেন তিনি।

এসএন/এসএ/

Header Ad
Header Ad

বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একই পরিবারের ১০ জন নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে পাইলটসহ একই পরিবারের ১০ জন মারা গেছেন। রোববার (২৩ ডিসেম্বর) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যের গ্রামাডোয় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির

ব্রাজিলের ব্যবসায়ী লুইজ ক্লাউডিও গালেজ্জি উড়োজাহাজটি চালাচ্ছিলেন। তার স্ত্রী, তিন কন্যা এবং পরিবারের অন্য সদস্যসহ ১০ জন ওই উড়োজাহাজে ছিলেন। দুর্ঘটনায় তারা সবাই মারা যান।

রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যের গভর্নর এদোয়ার্দো লেইতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত উড়োজাহাজটির আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই বলে প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা গেছে।

রাজ্যের জননিরাপত্তা অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে আগুন ধরে যায়। আগুনে ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন সেখানে থাকা অনেকে। তাদের মধ্যে অন্তত ১৫ জনকে গ্রামাদোর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, উড়োজাহাজটি প্রথমে একটি ভবনের চিমনিতে আঘাত করে। পরে সেটি আছড়ে পড়ে আরেকটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায়। এরপর আসবাবের একটি দোকানের ভেতরে গিয়ে সেটি বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ ছিটকে কাছের একটি হোটেলের কাছে চলে যায়।

রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন শহর গ্রামাদো। পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত এই শহর চলতি বছরের শুরুর দিকে নজিরবিহীন এক বন্যার কবলে পড়েছিল। এতে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। ধ্বংস হয়ে যায় শহরটির অনেক স্থাপনা। অর্থনৈতিক ক্ষতিও হয়।

Header Ad
Header Ad

উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক

উপদেষ্টা হাসান আরিফ। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি, বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দেশজুড়ে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।

আজ সকাল ১০টায় মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালনে দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে।

এছাড়া মরহুমের রুহের মাগফেরাতের জন্য দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তার আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ৮৫ বছর বয়সী হাসান আরিফের।

Header Ad
Header Ad

গাজায় হাসপাতাল-স্কুল ও ‘সেফ জোনে’ ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৫০

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসির তথাকথিত ‘নিরাপদ অঞ্চল’-এ বোমা হামলা চালিয়েছে। এই হামলার ফলে তাঁবুগুলোতে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় অন্তত সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একের পর এক হামলার জেরে গত ২৪ ঘণ্টায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৫০ জনে। খবর আল জাজিরার।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) ভোর থেকে শুরু হওয়া এসব হামলায় অধিকাংশ প্রাণহানি ঘটেছে গাজার অবরুদ্ধ উত্তরাঞ্চলে।

আল-জাজিরার সানাদ এজেন্সির মাধ্যমে যাচাই করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলার পর উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মর্মান্তিক দৃশ্যের সম্মুখীন হন। সেখানে দুইজনের মরদেহ বিড়ালদের খেতে দেখা যায়। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী দীর্ঘ সময় উদ্ধারকাজে বাধা দিয়েছে।

এছাড়া, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজার একমাত্র কার্যকরী হাসপাতালগুলোর একটিতে হামলা চালাচ্ছে। তারা রোগীদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিলেও স্থানীয় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি প্রায় অসম্ভব।

কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক বলেন, আমাদের হাসপাতালে প্রায় ৪০০ জন বেসামরিক মানুষ রয়েছেন, যাদের মধ্যে নবজাতকরা অক্সিজেন ও ইনকিউবেটরের ওপর নির্ভরশীল। এই অবস্থায় হাসপাতাল খালি করা একরকম অসম্ভব।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ‘অত্যাধিক আক্রমণ’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, স্কুল ও হাসপাতালের ওপর আক্রমণ এখন নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৫ হাজার ২৫৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭ হাজার ৬২৭ জন আহত হয়েছেন। ওই দিন হামাসের আক্রমণে ইসরায়েলে প্রায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং দুই শতাধিক মানুষ জিম্মি হন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একই পরিবারের ১০ জন নিহত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
গাজায় হাসপাতাল-স্কুল ও ‘সেফ জোনে’ ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৫০
আজ রাজধানীর যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে
৯ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে টটেনহ্যামকে হারাল লিভারপুল
লাইভে ‘জুবায়েরপন্থী’ বলায় টাঙ্গাইলে সাংবাদিকের ওপর হামলা, আহত ৬
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাত মারা গেছে
আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা
কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল
হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক
নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গনি
গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!
বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস
কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো