শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা: উত্তরণের পথ (শেষ পর্ব)

সৎ সাংবাদিকতার জন্য দরকার আর্থিক নিরাপত্তা

পেশা, মর্যাদাবোধ, গুণগতমান–শব্দগুলো খুব বেশি রকম সংশ্লিষ্ট। যখনই বিচ্ছিন্ন হয়, পেশাটি পড়ে যায় হুমকির মুখে। গুণগতমান আর মর্যাদাবোধ অনেকটাই খুঁইয়ে সাংবাদিকতা এখন পড়েছে সেই হুমকির মুখে। আমরা দাঁড়িয়ে আছি সীমানা দেয়ালের খুব কাছে। সাংবাদিকের ব্যক্তিমান খুব বেশি সম্পর্কিত সংবাদপ্রতিষ্ঠানের মানের সঙ্গে। প্রতিষ্ঠানের আদর্শগত অবস্থান, আর্থিক সক্ষমতা, সম্মানজনক বেতন কাঠামো সাংবাদিকের মর্যাদাবোধ তৈরির কাজকে সহায়তা করে। সেই কাজ করার দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানেরই। তবে দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই পেশা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন-সংগঠনগুলোরও। ব্যাঙের ছাতার মতো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান, রাস্তার মোড়ে মোড়ে সম্পাদক এবং অলিগলিতে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন গড়ে উঠলেও পেশাগত নিরাপত্তা, মানোন্নয়ন ও মর্যাদাবোধ গড়ে তোলা কতটা সম্ভব হয়েছে এ পেশায়? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ঢাকাপ্রকাশের পক্ষ থেকে মুখোমুখি হওয়া গণমাধ্যম গবেষক ও সাংবাদিকদের। ‘প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা: উত্তরণের পথ’ শীর্ষক ধারাবাহিক আয়োজনের আজ থাকছে শেষ পর্ব

বর্তমানে সাংবাদিকতায় গুণগতমান, পেশাদারিত্ব ও নীতিমালার কোনো বালাই নেই। ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যেখানে সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল, আইপি টেলিভিশন ও সংবাদ পত্র। আর এসব প্রতিষ্ঠান শুধু পরিচয়পত্র ও বুম ধরিয়ে দিয়েই বেতন-ভাতার দায় সারে। এটি চলছে জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে খোদ রাজধানীতেও। মানা হচ্ছে না সম্পাদক নিয়োগের নিয়মও।

আরো পড়ুন

ক্ষমতাবান ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

সাংবাদিকতা পেশায় আসতে হলে একটি নিবন্ধন প্রক্রিয়া থাকা দরকার বলে মনে করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু। তিনি বলেন, ‘নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হয়ে সাংবাদিকতা পেশায় ঢুকতে হবে। সেখানে নৈতিকতার স্ট্যান্ডার্ড ঠিক হবে। কী লিখবেন, কী বলবেন, কী উচিত, অনুচিত, আইনকানুন কী, কে সাংবাদিক হবেন, তার প্রশিক্ষণ কী, আইন কাঠামো তিনি মানবেন কি না–এসব বিবেচনায় নিতে হবে। আরেকটি দিক হলো–ভালো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে কি না, ভালো বেতন দিচ্ছে কি না, যে প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছে, সে প্রতিষ্ঠান এগুলো দেখভাল করছে কি না, অভিজ্ঞ সম্পাদকের নেতৃত্বে সম্পাদকীয় নীতি গড়ে উঠছে কি না–এগুলোর সমন্বয় করতে না পারলে, এসব রোগ বা ব্যাধি মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে যাবে।’

এ সম্পর্কে ডিবিসি নিউজের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘একজন সম্পাদকের ১৫ বছর সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। সেই অভিজ্ঞতা নেই তারপরও একজন সম্পাদক হচ্ছেন কীভাবে? একজন মালিক সম্পাদক হচ্ছেন, কীভাবে হচ্ছেন? অথবা একজন রিপোর্টার সম্পাদক হচ্ছেন। এগুলোর নীতিমালা করতে হবে।’

আর্থিক নিরাপত্তার সঙ্গে পেশাগত মানোন্নয়ন ও মর্যাদাবোধ জড়িত। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘মফস্বল সাংবাদিকদের যদি একটি পরিচয়পত্র ধরিয়ে বলা হয়, এটা দিয়ে সব সুযোগ-সুবিধা নিতে হবে। তাহলে স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এসব সমস্যা সরকার ও সাংবাদিক নেতাদের দেখা উচিত।’

সাংবাদিক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ‘ন্যায্য পাওনা দিতে না পারলে মানসম্পন্ন সাংবাদিকতা আশা করা যাবে না। শুধু একটি পরিচয়পত্র দিয়ে সাংবাদিকতা হয় না। ভালো সাংবাদিকতা চাইতে হলে ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে। শুধু পরিচয়পত্র দিয়ে ছেড়ে দিলে ভালো সাংবাদিকতাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়। একটি বিশেষ সুরক্ষা আইন দরকার, ওয়েজ বোর্ড দরকার, নবম ওয়েজ বোর্ড কার্যকর করা দরকার।’

আরো পড়ুন

স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

গণমাধ্যম গবেষক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘আন্ডারগ্রাউন্ড কিছু পত্রিকা আছে, যেগুলো বাজারে দেখা যায় না। দেয়ালে সেঁটে দেওয়া থাকে। সেই পত্রিকাগুলোর সাংবাদিকরা কী করবেন? বেতন তো দেয় না।’

গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বা নিবন্ধন দেওয়ার আগে মালিকের সক্ষমতা যাচাইয়ের ওপর গুরুত্ব দিলেন এ গবেষক ও সাংবাদিক। তিনি আরও বলেন, ‘একজন মালিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালানোর যোগ্য কি না, ট্যাক্স ঠিক মতো দিচ্ছে কি না, সরকারের নিয়ম-কানুন মেনে চলছে কি না, প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম কি না সেটি দেখতে হবে। এ ছাড়া কাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে সেটিও দেখতে হবে।’ তবে বিষয়গুলো যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সরকার ও সাংবাদিক উভয়পক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সম্মানজনক বেতনভাতা না দেওয়া এবং ওয়েজ বোর্ড না মানার ক্ষেত্রে শুধু মালিক নয়, সাংবাদিক নেতারাও দায়ী বলে মনে করেন জায়েদুল আহসান পিন্টু। তিনি বলেন, ‘এটা আদায় করার দায়িত্ব তো ইউনিয়নের। একটা সময় ছিল–বেতন না দিলে ইউনিয়ন গিয়ে মালিক পক্ষকে ঘেরাও করত বা আলোচনায় বসত। তারপর মালিকপক্ষ দিতে বাধ্য হতো। অথচ এখন ইউনিয়নেরই কেউ কেউ গিয়ে সার্টিফিকেট দিচ্ছে, অমুক প্রতিষ্ঠানে ওয়েজ বোর্ড দেওয়া হচ্ছে, আসলে দেওয়া হচ্ছে না। যার যার দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না।’

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে ওঠা মানহীন এসব আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার নিবন্ধন প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান চালু করতে হলে নিয়মের মধ্যে আসতে হবে। অবাধ মানে এই নয় যে, যে আসবে তাকেই লাইসেন্স দিতে হবে।’

যেখানে-সেখানে গড়ে ওঠা গণমাধ্যম বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন সাংবাদিক নেতা সাজ্জাদ আলম খান তপুও। তিনি বলেন, ‘শুধু একটি ল্যাপটপ দিয়ে কেউ কেউ হয়তো অনলাইন পোর্টাল করার স্বপ্ন দেখছেন, প্রতিনিধি নিয়োগ করছেন। আমি বলব তাদের নিয়তে এক ধরনের সমস্যা রয়েছে। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কাঠামো, বেতন কাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে। সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার, মর্যাদার প্রশ্নে সবচেয়ে বড় জায়গাটি হচ্ছে তার অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ, সেটি তৈরি করে দিতে হবে। এটিকে কুটির শিল্প হিসেবে দেখলে চলবে না।’

আরো পড়ুন

গোপন সমঝোতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিকতা

পেশাগত মান উন্নয়নের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের ওপর জোর তাগিদ দিয়ে সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘সাংবাদিকতায় যেটার বড়ই অভাব। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতার বেসিক জ্ঞান দেয়। আর কিছু এনজিও, সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন–নিমকো, পিআইবিও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তবে সেগুলোর মান নিয়ে সন্দেহ আছে। এনজিওগুলো তো সাংবাদিকতার মান বাড়াতে প্রশিক্ষণ দেয় না। এরা টাকা নিয়ে ব্যবসা করে। বিদেশ থেকে টাকা আসে, একটা অংশ প্রশিক্ষণের নাম করে খরচ করে, আরেকটা অংশ প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে নেয়। এটা দিয়ে খুব বড় পরিবর্তন হবে না।’

ডিবিসি নিউজের সম্পাদক আরও বলেন, ‘পেশাগত মান উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়ত চর্চা করতে হয়। চর্চাটা নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে করতে হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর সিস্টেমের মধ্যেই থাকতে হবে প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ চলতেই থাকবে। পেশাদারিত্ব বাড়াতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ও সাংবাদিকদের নীতি-নৈতিকতার একটি চার্ট থাকতে হবে। কোনটা করতে পারবে কোনটা করতে পারবে না এগুলোর নীতিমালা থাকতে হবে। এর বাইরে গেলেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’

এ ছাড়া প্র্যাকটিক্যাল ফিল্ডে প্রশিক্ষণের বিষয়ে সংগঠনগুলোর ভূমিকা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এ গবেষকের মতে, ক্লাব, ইউনিয়ন, বিটভিত্তিক সংগঠনগুলো পিকিনিক, আউটিং, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের, পাশাপাশি কিছু ওয়ার্কশপ, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার করতে পারে। সাংবাদিকতার মূল বিষয়, অনুসন্ধানী, ব্যবসা বা অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতি শেখাতে ডিআরইউ একটা কোর্স চালু করতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে যেটুকু হচ্ছে তা সংগঠিত নয়। সাংবাদিককে আত্ম উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়ত পড়াশোনা বাড়াতে হবে।
জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘একজন রিপোর্টারের জানতে হবে তার লেখার কারণে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্র ক্ষতির মুখে পড়ছে কি না।’

সাংবাদিকতার যে বিচ্যুতি ঘটেছে সেখান থেকে বের হতে হলে প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিক, মালিক, স্টেকহোল্ডার এমনকি পাঠককেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলে মত দেন এ গণমাধ্যম গবেষক।

আরো পড়ুন

স্বার্থের দ্বন্দ্বে পরাজিত সাংগঠনিক শক্তি

পেশাগত মান উন্নয়নের বিষয়ে একই রকম মত দিলেন সাংবাদিক নেতা সাজ্জাদ আলম খান। তিনি বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। সেটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুপস্থিত।’

পেশাগত মান উন্নয়ের ক্ষেত্রে আচরণবিধি প্রণয়ন করতে সাংবাদিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘যারা দুর্নীতি করছে, তাদের সরাসরি সংগঠন থেকে এমনকি পেশা বিদায় করতে হবে।’ এটি করতে পারলে সরাকারি নিয়ন্ত্রণের ঝুঁকি থাকবে না বলে মনে করেন তিনি।

এসএন/এসএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত