মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা: উত্তরণের পথ (শেষ পর্ব)

সৎ সাংবাদিকতার জন্য দরকার আর্থিক নিরাপত্তা

পেশা, মর্যাদাবোধ, গুণগতমান–শব্দগুলো খুব বেশি রকম সংশ্লিষ্ট। যখনই বিচ্ছিন্ন হয়, পেশাটি পড়ে যায় হুমকির মুখে। গুণগতমান আর মর্যাদাবোধ অনেকটাই খুঁইয়ে সাংবাদিকতা এখন পড়েছে সেই হুমকির মুখে। আমরা দাঁড়িয়ে আছি সীমানা দেয়ালের খুব কাছে। সাংবাদিকের ব্যক্তিমান খুব বেশি সম্পর্কিত সংবাদপ্রতিষ্ঠানের মানের সঙ্গে। প্রতিষ্ঠানের আদর্শগত অবস্থান, আর্থিক সক্ষমতা, সম্মানজনক বেতন কাঠামো সাংবাদিকের মর্যাদাবোধ তৈরির কাজকে সহায়তা করে। সেই কাজ করার দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানেরই। তবে দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই পেশা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন-সংগঠনগুলোরও। ব্যাঙের ছাতার মতো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান, রাস্তার মোড়ে মোড়ে সম্পাদক এবং অলিগলিতে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন গড়ে উঠলেও পেশাগত নিরাপত্তা, মানোন্নয়ন ও মর্যাদাবোধ গড়ে তোলা কতটা সম্ভব হয়েছে এ পেশায়? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ঢাকাপ্রকাশের পক্ষ থেকে মুখোমুখি হওয়া গণমাধ্যম গবেষক ও সাংবাদিকদের। ‘প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা: উত্তরণের পথ’ শীর্ষক ধারাবাহিক আয়োজনের আজ থাকছে শেষ পর্ব

বর্তমানে সাংবাদিকতায় গুণগতমান, পেশাদারিত্ব ও নীতিমালার কোনো বালাই নেই। ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যেখানে সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল, আইপি টেলিভিশন ও সংবাদ পত্র। আর এসব প্রতিষ্ঠান শুধু পরিচয়পত্র ও বুম ধরিয়ে দিয়েই বেতন-ভাতার দায় সারে। এটি চলছে জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে খোদ রাজধানীতেও। মানা হচ্ছে না সম্পাদক নিয়োগের নিয়মও।

আরো পড়ুন

ক্ষমতাবান ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

সাংবাদিকতা পেশায় আসতে হলে একটি নিবন্ধন প্রক্রিয়া থাকা দরকার বলে মনে করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু। তিনি বলেন, ‘নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হয়ে সাংবাদিকতা পেশায় ঢুকতে হবে। সেখানে নৈতিকতার স্ট্যান্ডার্ড ঠিক হবে। কী লিখবেন, কী বলবেন, কী উচিত, অনুচিত, আইনকানুন কী, কে সাংবাদিক হবেন, তার প্রশিক্ষণ কী, আইন কাঠামো তিনি মানবেন কি না–এসব বিবেচনায় নিতে হবে। আরেকটি দিক হলো–ভালো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে কি না, ভালো বেতন দিচ্ছে কি না, যে প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছে, সে প্রতিষ্ঠান এগুলো দেখভাল করছে কি না, অভিজ্ঞ সম্পাদকের নেতৃত্বে সম্পাদকীয় নীতি গড়ে উঠছে কি না–এগুলোর সমন্বয় করতে না পারলে, এসব রোগ বা ব্যাধি মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে যাবে।’

এ সম্পর্কে ডিবিসি নিউজের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘একজন সম্পাদকের ১৫ বছর সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। সেই অভিজ্ঞতা নেই তারপরও একজন সম্পাদক হচ্ছেন কীভাবে? একজন মালিক সম্পাদক হচ্ছেন, কীভাবে হচ্ছেন? অথবা একজন রিপোর্টার সম্পাদক হচ্ছেন। এগুলোর নীতিমালা করতে হবে।’

আর্থিক নিরাপত্তার সঙ্গে পেশাগত মানোন্নয়ন ও মর্যাদাবোধ জড়িত। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘মফস্বল সাংবাদিকদের যদি একটি পরিচয়পত্র ধরিয়ে বলা হয়, এটা দিয়ে সব সুযোগ-সুবিধা নিতে হবে। তাহলে স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এসব সমস্যা সরকার ও সাংবাদিক নেতাদের দেখা উচিত।’

সাংবাদিক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ‘ন্যায্য পাওনা দিতে না পারলে মানসম্পন্ন সাংবাদিকতা আশা করা যাবে না। শুধু একটি পরিচয়পত্র দিয়ে সাংবাদিকতা হয় না। ভালো সাংবাদিকতা চাইতে হলে ন্যায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে। শুধু পরিচয়পত্র দিয়ে ছেড়ে দিলে ভালো সাংবাদিকতাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়। একটি বিশেষ সুরক্ষা আইন দরকার, ওয়েজ বোর্ড দরকার, নবম ওয়েজ বোর্ড কার্যকর করা দরকার।’

আরো পড়ুন

স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

গণমাধ্যম গবেষক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘আন্ডারগ্রাউন্ড কিছু পত্রিকা আছে, যেগুলো বাজারে দেখা যায় না। দেয়ালে সেঁটে দেওয়া থাকে। সেই পত্রিকাগুলোর সাংবাদিকরা কী করবেন? বেতন তো দেয় না।’

গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বা নিবন্ধন দেওয়ার আগে মালিকের সক্ষমতা যাচাইয়ের ওপর গুরুত্ব দিলেন এ গবেষক ও সাংবাদিক। তিনি আরও বলেন, ‘একজন মালিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালানোর যোগ্য কি না, ট্যাক্স ঠিক মতো দিচ্ছে কি না, সরকারের নিয়ম-কানুন মেনে চলছে কি না, প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম কি না সেটি দেখতে হবে। এ ছাড়া কাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে সেটিও দেখতে হবে।’ তবে বিষয়গুলো যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সরকার ও সাংবাদিক উভয়পক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সম্মানজনক বেতনভাতা না দেওয়া এবং ওয়েজ বোর্ড না মানার ক্ষেত্রে শুধু মালিক নয়, সাংবাদিক নেতারাও দায়ী বলে মনে করেন জায়েদুল আহসান পিন্টু। তিনি বলেন, ‘এটা আদায় করার দায়িত্ব তো ইউনিয়নের। একটা সময় ছিল–বেতন না দিলে ইউনিয়ন গিয়ে মালিক পক্ষকে ঘেরাও করত বা আলোচনায় বসত। তারপর মালিকপক্ষ দিতে বাধ্য হতো। অথচ এখন ইউনিয়নেরই কেউ কেউ গিয়ে সার্টিফিকেট দিচ্ছে, অমুক প্রতিষ্ঠানে ওয়েজ বোর্ড দেওয়া হচ্ছে, আসলে দেওয়া হচ্ছে না। যার যার দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না।’

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে ওঠা মানহীন এসব আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার নিবন্ধন প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান চালু করতে হলে নিয়মের মধ্যে আসতে হবে। অবাধ মানে এই নয় যে, যে আসবে তাকেই লাইসেন্স দিতে হবে।’

যেখানে-সেখানে গড়ে ওঠা গণমাধ্যম বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন সাংবাদিক নেতা সাজ্জাদ আলম খান তপুও। তিনি বলেন, ‘শুধু একটি ল্যাপটপ দিয়ে কেউ কেউ হয়তো অনলাইন পোর্টাল করার স্বপ্ন দেখছেন, প্রতিনিধি নিয়োগ করছেন। আমি বলব তাদের নিয়তে এক ধরনের সমস্যা রয়েছে। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কাঠামো, বেতন কাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে। সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার, মর্যাদার প্রশ্নে সবচেয়ে বড় জায়গাটি হচ্ছে তার অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ, সেটি তৈরি করে দিতে হবে। এটিকে কুটির শিল্প হিসেবে দেখলে চলবে না।’

আরো পড়ুন

গোপন সমঝোতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিকতা

পেশাগত মান উন্নয়নের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের ওপর জোর তাগিদ দিয়ে সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘সাংবাদিকতায় যেটার বড়ই অভাব। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতার বেসিক জ্ঞান দেয়। আর কিছু এনজিও, সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন–নিমকো, পিআইবিও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তবে সেগুলোর মান নিয়ে সন্দেহ আছে। এনজিওগুলো তো সাংবাদিকতার মান বাড়াতে প্রশিক্ষণ দেয় না। এরা টাকা নিয়ে ব্যবসা করে। বিদেশ থেকে টাকা আসে, একটা অংশ প্রশিক্ষণের নাম করে খরচ করে, আরেকটা অংশ প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে নেয়। এটা দিয়ে খুব বড় পরিবর্তন হবে না।’

ডিবিসি নিউজের সম্পাদক আরও বলেন, ‘পেশাগত মান উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়ত চর্চা করতে হয়। চর্চাটা নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে করতে হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর সিস্টেমের মধ্যেই থাকতে হবে প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ চলতেই থাকবে। পেশাদারিত্ব বাড়াতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ও সাংবাদিকদের নীতি-নৈতিকতার একটি চার্ট থাকতে হবে। কোনটা করতে পারবে কোনটা করতে পারবে না এগুলোর নীতিমালা থাকতে হবে। এর বাইরে গেলেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’

এ ছাড়া প্র্যাকটিক্যাল ফিল্ডে প্রশিক্ষণের বিষয়ে সংগঠনগুলোর ভূমিকা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এ গবেষকের মতে, ক্লাব, ইউনিয়ন, বিটভিত্তিক সংগঠনগুলো পিকিনিক, আউটিং, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের, পাশাপাশি কিছু ওয়ার্কশপ, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার করতে পারে। সাংবাদিকতার মূল বিষয়, অনুসন্ধানী, ব্যবসা বা অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতি শেখাতে ডিআরইউ একটা কোর্স চালু করতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে যেটুকু হচ্ছে তা সংগঠিত নয়। সাংবাদিককে আত্ম উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়ত পড়াশোনা বাড়াতে হবে।
জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘একজন রিপোর্টারের জানতে হবে তার লেখার কারণে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্র ক্ষতির মুখে পড়ছে কি না।’

সাংবাদিকতার যে বিচ্যুতি ঘটেছে সেখান থেকে বের হতে হলে প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিক, মালিক, স্টেকহোল্ডার এমনকি পাঠককেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলে মত দেন এ গণমাধ্যম গবেষক।

আরো পড়ুন

স্বার্থের দ্বন্দ্বে পরাজিত সাংগঠনিক শক্তি

পেশাগত মান উন্নয়নের বিষয়ে একই রকম মত দিলেন সাংবাদিক নেতা সাজ্জাদ আলম খান। তিনি বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। সেটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুপস্থিত।’

পেশাগত মান উন্নয়ের ক্ষেত্রে আচরণবিধি প্রণয়ন করতে সাংবাদিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘যারা দুর্নীতি করছে, তাদের সরাসরি সংগঠন থেকে এমনকি পেশা বিদায় করতে হবে।’ এটি করতে পারলে সরাকারি নিয়ন্ত্রণের ঝুঁকি থাকবে না বলে মনে করেন তিনি।

এসএন/এসএ/

Header Ad
Header Ad

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাই মিলে দেশ পরিচালনা করা হবে: এ্যানী

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, বিএনপি আগামী দিনে ক্ষমতায় আসলে সবাইকে নিয়ে, বিশেষ করে যারা আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করেছি, তারা সবাই মিলে জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠন করবো। এটাই বিএনপির পরিকল্পনা। তাই সবাইকে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ঐক্য যাতে বিনষ্ট না হয়।

মঙ্গলবার (৪মার্চ) বেলা ৩টায় লক্ষ্মীপুরে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ্যানি বলেন, বর্তমানে একদিকে সংস্কার আর অন্যদিকে নির্বাচন খুব বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ চারদিকে আমরা অস্থিরতা লক্ষ্য করছি। এগুলো আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। এসব ব্যাপারগুলোকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের সুদৃঢ় ঐক্যটা থাকা প্রয়োজন। এটাই হোক আমাদের আগামী দিনের অঙ্গীকার।

তিনি বলেন, বিগত ১৫-১৬ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ মানুষকে জিম্মি করেছেন, গুম-খুন করেছে, লুটপাট করেছে এবং এ লুটপাটের টাকা তারা দেশের বাইরে পাচার করেছে। হাসিনা পালিয়ে গেছে, কিন্তু হাসিনার দোসররা সবাই পালিয়ে যায়নি। তারা ওই লুটের টাকা দিয়ে এদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দেশ যেন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় না থাকে এবং সঠিক সময়ে যাতে নির্বাচন না হতে পারে এজন্য ষড়যন্ত্র করছে। তাই আমাদের খুব বেশি সজাগ এবং সতর্ক থাকতে হবে।

পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবল এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কলেজ রোড ক্রীড়া সংঘের উপদেষ্টা মাহাবুব আলম মামুনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এড. হাসিবুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মোন্নাফ, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব আবদুর রব শামীম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এড. মহসিন কবির, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহীম, সাধারন সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন সিএনজি চালক

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বাসের ধাক্কায় বিল্লাল হোসেন (৩৮) নামে এক সিএনজি চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার নল্যা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বিল্লাল জামালপুরের চাকথহ সরদারবাড়ী এলাকার জাহেদ আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জামালপুরগামী রাজ-রাজীব এন্টারপ্রাইজের যাত্রীবাহী একটি বাস উপজেলার নল্যা বাজার এলাকায় পৌঁছলে মধুপুরগামী একটি সিএনজির সংঘর্ষ হয়।

এতে সিএনজি চালকসহ তিনজন গুরুত্বর আহত হয়। পরে আহতদের ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিএনজি চালক বিল্লালকে মৃত ঘোষণা করে। আহত দুইজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

এ ব্যাপারে ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম শহিদুল্লাহ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ, দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও সিএনজিটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, বাসের চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। নিহতের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Header Ad
Header Ad

স্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বাতিল করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে নির্ধারিত ৫ শতাংশ কোটার আদেশ বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, লটারির মাধ্যমে নির্ধারিত আসনের অতিরিক্ত প্রতিটি শ্রেণিতে একজন করে আসন সংরক্ষিত থাকবে।

সোমবার (৩ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (মাধ্যমিক-১) মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক আদেশে আগের নিয়ম বাতিল করে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে পূর্বের ৫ শতাংশ কোটার আদেশ পরিবর্তন করে নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে।

নতুন নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, আহত বা শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে নির্ধারিত আসনের অতিরিক্ত প্রতিটি শ্রেণিতে একজন আসন সংরক্ষিত থাকবে। ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র বা সরকারি গেজেটের সত্যায়িত কপি সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে।

এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যুকৃত গেজেট যাচাই করেই ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদি নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী উপযুক্ত আবেদনকারী পাওয়া না যায়, তাহলে ওই আসন মেধাতালিকা থেকে ভর্তি করিয়ে পূরণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।

উল্লেখ্য, এর আগে ২ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, যা নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে বাতিল করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাই মিলে দেশ পরিচালনা করা হবে: এ্যানী
টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন সিএনজি চালক
স্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বাতিল করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়
সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় নির্বাচন!
৬৭ কোটি টাকার লটারি জিতলেন দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশী
মব নিয়ে কড়া বার্তা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নিজের তৈরি হেলিকপ্টারে আকাশে উড়লেন মানিকগঞ্জের তরুণ উদ্ভাবক জুলহাস মোল্লা
শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাচ্ছেন ঢাবি অধ্যাপক সি আর আবরার
যাত্রীদের নিরাপত্তায় মেট্রোরেলের ভেতরে পুলিশ মোতায়েন
ভারতের কারাগারে বন্দি ১০৬৭ বাংলাদেশি এবং পুলিশ লাইনে বন্দিশালার খোঁজ পেয়েছে গুম কমিশন
জনকল্যাণে কাজ করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য: আমিনুল হক
মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান ও শেখ হাসিনার বৈঠক, যা জানা গেল
৯১ দিনে কোরআনের হাফেজ ৬ বছরের আব্দুর রহমান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট
উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম
নতুন দলের বেশিরভাগ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে: এম এ আজিজ
রোজাদারকে ইফতার করানোর বিশেষ পুরস্কার
প্রধান উপদেষ্টার আপত্তিতেই ‘ডেভিল হান্ট’ নাম বদলের সিদ্ধান্ত
ভারতের প্রতিশোধ নাকি আবার অস্ট্রেলিয়া?
শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই চা শ্রমিক নিহত, আহত ১৮