মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা: উত্তরণের পথ (১)

ক্ষমতাবান ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

অক্ষরের পাশে অক্ষর বসানো সমাচার দর্পণ থেকে আজকের ঝকঝকে চার রঙে ছাপা প্রতিদিনের অজস্র সংবাদপত্র। সাদা-কালো যুগ পেরিয়ে স্যাটেলাইটের হাত ধরে দেশ-মহাদেশের সীমানা পেরিয়ে যায় টেলিভিশন। এককালের ছুটে চলা প্রান্তিক সাংবাদিকতা থেকে আজকের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ। সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রযুক্তির নানা মাত্রা।

এত কথা যে সংবাদমাধ্যম নিয়ে, বর্তমানে তার গতিপথ কোন দিকে? মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে শুরু করে নতুন শতকের প্রথম দুই দশক পেরিয়ে আজ কোন জায়গায় আমাদের সাংবাদিকতা? তার মানই বা কী?

প্রশ্ন অনেক, উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি আমরা। ঠিক সে কারণেই ঢাকা প্রকাশের পক্ষ থেকে মুখোমুখি হওয়া গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের।

বর্তমান সাংবাদিকতার নানা সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব থাকছে আজ।

পৃথিবীতে একটি বড় সত্য হলো পরিবর্তন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন ঘটবে সমাজের। বদলে যেতে পারে নিয়ম-নীতি। সেই বদল ইতিবাচকও হতে পারে, নেতিবাচকও হতে পারে। ঠিক তেমনই পাল্টে গেছে সাংবাদিকতার ধরন। বেড়েছে বিস্তৃতি, যোগ হয়েছে নানা মাধ্যম। তবে মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা, স্বাধীনতা পরবর্তী সাংবাদিকতা ও বর্তমান সময়ের সাংবাদিকতার মান নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

দেশের সাংবাদিকতা কোন পথে আছে এবং সময়ের ব্যবধানে গণমাধ্যমের পেশাদারিত্বের কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিসি নিউজের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘৩০ বছর আগে সাংবাদিকতার মিশন ছিল, জনগণকে সেবা দেওয়া, শিক্ষিত করে তোলা। একজন মানুষকে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে জীবনের সিদ্ধান্ত নিতে যেন সহায়ক ভূমিকা পালন করে, সেই ধরনের তথ্য, সংবাদ দিয়ে উন্নত করা। আর এখন সেটির পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করা। কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কিছু কোটারি, দল, মত এগুলোকে পেট্রোনাইজ (পৃষ্ঠপোষকতা) করা সাংবাদিকতার ভেতের ঢুকে গেছে। যে কারণে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট (স্বার্থের দ্বন্দ্ব) বাড়ছে।’

একই রকম কথা বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি জানান, পাকিস্তান বা ব্রিটিশ আমলে সাংবাদিকতার সুযোগের অভাব ছিল; কিন্তু যারা সাংবাদিকতায় আসতেন তাদের উদ্দেশ্য ছিল–তারা সাংবাদিকতা করবেন, জনগণকে তথ্য সেবা দেবেন। এর বিনিময়ে তাদের বেশি কিছু চাওয়া-পাওয়া ছিল না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরও বলেন, ‘সেই সময়ের সাংবাদিকদের বেতনভাতা, সুযোগ-সুবিধা, চাকরির নিরাপত্তা খুবই দুর্বল অবস্থায় ছিল; কিন্তু তাদের মধ্যে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করার যে প্রয়াস, যে উদ্যম ছিল, আজ সেটির কিছুটা শৈথিল্য লক্ষ্য করছি। বস্তুনিষ্ঠতা ও সত্যনিষ্ঠার জায়গায় কিছু ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন উত্তর সত্য বা পোস্ট ট্রুথ, অলটারনেটিভ ফ্যাক্ট কথাগুলো চালু হয়েছে।’

সংবাদমাধ্যম এখন আর শুধু মুদ্রণ মাধ্যমে আটকে নেই। তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে গণমাধ্যম এখন মানুষের হাতের মুঠোই। ছাপানো সংবাদপত্র, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ নানা ধরনের বিস্তৃতি বেড়েছে। তবে গণমাধ্যমের মূল কাজ বা পেশাদারিত্বের জায়গায় কতটা অটল রয়েছে–তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়ে সচেতন মহলে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘সংবাদপত্রের বিস্তৃতি বেড়েছে এবং পরিবেশনার ক্ষেত্রে এসেছে অনেক বৈচিত্র্য; কিন্তু মান বেড়েছে কি-না তা বলা মুশকিল।’

সংবাদপত্রের করপোরেট মালিকানা এবং সাংবাদিকদের দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার বিষয়কে মান কমে যাওয়ার জন্য অনেকটাই দায়ী করলেন এই সাহিত্যিক। তিনি বলেন, ‘অনেক সংবাদপত্র মালিকপক্ষের সংবাদ বা স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। অনেক ক্ষেত্রে সম্পাদক বা মালিকের রাজনৈতিক পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, একটা রাজনৈতিক পরিচয় এসে যাচ্ছে। মানের একটু সমস্যা রয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে আরও ভালো করতে হবে। নিরপেক্ষতার ঘাটতি আছে বলেই মানও কমে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা প্রতিফলিত হচ্ছে না। শিক্ষকরা যেমন রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন, সাংবাদিকরাও নাম লিখিয়েছেন। সাংবাদিক সমিতির অনেকগুলো রং আছে। এটি তো হওয়ার কথা নয়। বাংলাদেশে কোনো সংবাদপত্র কখনো ব্যাপকভাবে কোনো দলকে সমর্থন দিলে তার খারাপ কাজকেও সমর্থন দেয়।’

স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও সংবাদমাধ্যমের একাংশ স্বাধীনতাবিরোধীদের সমর্থন করে। স্বাধীন দেশের সংবাদমাধ্যমের কাছে এটি কখনোই কাম্য নয়। এ প্রসঙ্গে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো সংবাদপত্র যদি স্বাধীনতাবিরোধীদের সমর্থন দেয়, তাহলে সেটি তো স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেল। এটি কখনোই কোনো সংবাদপত্রের কাজ হতে পারে না; কিন্তু আমাদের দেশে সেটি হচ্ছে।’

স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো যেমন সংবাদপত্রের কাজ নয়, ঠিক তেমনই আবার সরকারের সমর্থক বনে যাওয়াও সংবাপত্রের কাজ নয়। এতে গণমাধ্যমের আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। এ প্রসঙ্গে এ গবেষক বলেন, ‘সাংবাদিকদের একটি অংশ যখন সরকারের সব কাজের সমর্থনে দাঁড়িয়ে যায়, তখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ‘ক্ষমতাবান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। সংবাদকর্মীরা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হয়ে থাকে।’

মানসম্পন্ন সাংবাদিকতা ও পেশাদারিত্ব ফিরিয়ে আনতে গণমাধ্যমকর্মীদের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন সাংবাদিক ও গবেষক আফসান চৌধুরী। তবে এ ক্ষেত্রে খুব কম আগ্রহ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রবীণ এ সাংবাদিক বলেন, ‘করোনা রিপোর্টিং খুবই নিম্নমানের ছিল। বেশিরভাগেরই করোনা সংকট সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। অনেক ক্ষেত্রেই ভুল রিপোর্ট ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অনেকগুলো মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের উত্থান হলেও, বেতন-ভাতার পরিমাণ খুবই কম হওয়ায় মানসম্পন্ন পেশাদার কর্মীরা এ পেশায় আসছেন না। এ ছাড়া গণমাধ্যমকর্মীদের একটি অংশ নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের দিকে ঝুঁকছে। আগের তুলনায় মিডিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাও কমে গেছে। এর জন্য সব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যম নিজেও দায়ী।’

সাংবাদিকতাকে সঠিক পথে আনতে নতুন প্রজন্ম ও প্রতিষ্ঠানকে সৎ, অনুসন্ধানী, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকতায় আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান সাজ্জাদ আলম খান তপু।

/এসএন/এসএ/

 

Header Ad
Header Ad

বধ্যভূমিতে জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল এনসিপি  

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ২০২৪-এর অভ্যুত্থানের শহীদদের কবর জিয়ারত ও দোয়া মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এনসিপি'র আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে উপস্থিত হন।

এর আগে সকাল ৮টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এনসিপি'র নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে এনসিপি তাদের রাজনৈতিক যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছে।

আজ বিকাল ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

গেলো ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিশাল সমাবেশের মধ্যদিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

Header Ad
Header Ad

অনিয়মের অভিযোগে কুবির রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ছুটি  

কুবির রেজিস্ট্রারের পদ থেকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া মো. মজিবুর রহমান মজুমদার।ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) রেজিস্ট্রার পদে থাকা মোঃ মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ এনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে প্রেরণ করা হয়েছে। ফলে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে।

সোমবার (৩ মার্চ) ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি জানা যায়।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ৩ মার্চ থেকে মোঃ মজিবুর রহমানকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হলো এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনকে রেজিস্ট্রার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মোঃ মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত বেতন-ভাতাদি পেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যানবাহন সংক্রান্ত, টেলিফোন, মোবাইল ফোন ও সংবাদপত্র সংক্রান্ত কোনো সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।

এ ব্যাপারে মোঃ মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, 'এই অর্ডার দেখে আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ়। অভিযোগের ব্যাপারে আমি জানি না। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আমি সহযোগিতা করব যাতে সত্য ঘটনা উদঘাটন করতে পারে। আমার বিবেকের জায়গা থেকে প্রশাসনিক হোক, আর্থিক হোক এমন কোনো দুর্নীতি করিনি।'

যেহেতু কোন ধরনের দুর্নীতি করেননি বলে বলছেন তাহলে স্থায়ী পদ থেকে আপনাকে সরানোর ব্যাপারে কী কারণ থাকতে পারে, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'নতুন প্রশাসন আসার পর থেকে আমি অনুভব করেছি আসলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পথ ভালো হবে না। বলতে গেলে আমার ভাগ্যটা খারাপ। ভাগ্যের বিড়ম্বনায় পড়ে গেছি।'

সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আসলে ছাত্র-শিক্ষক এবং প্রশাসনের সবার সাথে এক সেতুবন্ধন করা আমার কাজ। এই পদের এমন কোনো ক্ষমতা নাই যে আমি কিছু করে ফেলব। অর্ডারগুলো ক্যারি করা এবং আমি চেষ্টা করব যেন আইনানুযায়ী সবার সাথে ভালোভাবে চলতে পারি।'

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, 'কী কী অভিযোগ আছে সেটা আমি বলতে পারি না। একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওইখানে শিক্ষক-কর্মকর্তা আছেন। অফিস আদেশের মাধ্যমে আগামীকালই জানা যাবে কারা আছেন।'

Header Ad
Header Ad

ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ ট্রাম্পের  

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে চাপ দিতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।

তিন বছর আগে ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভে ১৮০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে। মার্কিন এই সহায়তার জন্য জেলেনস্কি যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেননি বলে অভিযোগ করেন ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। ওভাল অফিসের একটি বৈঠক উত্তপ্ত বাগ্‌বিতণ্ডার মধ্যে ভেস্তে যাওয়ার মাত্র কয়েকদিন পরে সামরিক সহায়তা স্থগিত করার পদক্ষেপটি নিলেন ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর দিকে মনোনিবেশ করছেন এবং জেলেনস্কিকে সেই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দেখতে চান।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র একটি সমাধানে ভূমিকা রাখছে কিনা তা নিশ্চিত করতে ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সহায়তা স্থগিত ও পর্যালোচনা করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা সহায়তার বিষয়ে এসব কথা বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানান।

ওই কর্মকর্তা বলেন, যতক্ষণ না রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের আলোচনায় বসার প্রতিশ্রুতি পান, ততক্ষণ ট্রাম্পের এই আদেশ কার্যকর থাকবে।

ইউক্রেনকে কংগ্রেসের অনুমোদিত সহায়তা আটকে রাখার প্রায় ৫ বছর পর সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হলো। ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে জেলেনস্কিকে চাপ দেন ট্রাম্প।

২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি গর্ব করেও বলেছিলেন যে, তিনি একদিনের মধ্যে লড়াই বন্ধ করতে পারেন। যুদ্ধ নিয়ে জেলেনস্কির প্রতি ক্রমবর্ধমান হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে নিজের আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন যে, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছালে শান্তি বজায় রাখার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিশ্বাস করা যেতে পারে। এমনকি তিনি দীর্ঘদিন ধরে পুতিনের প্রশংসাও করে আসছিলেন।

এর আগে সোমবার ট্রাম্প জেলেনস্কির সমালোচনা করে বলেন, যুদ্ধের সমাপ্তি সম্ভবত এখনও অনেক দূরে। অন্যদিকে গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের বিষয়ে ইতিবাচক প্রস্তাব দেওয়ার চেষ্টা করেন জেলেনস্কি। এসময় তিনি বলেছিলেন, যুদ্ধ অবসানে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সময় লাগবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বধ্যভূমিতে জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল এনসিপি  
অনিয়মের অভিযোগে কুবির রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ছুটি  
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ ট্রাম্পের  
নুরের ‘দলত্যাগ’ প্রসঙ্গে হান্নান মাসউদের বক্তব্যের প্রতিবাদ গণঅধিকার পরিষদের  
মধ্যরাতে ধোলাইখালে জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ  
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা
বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি
সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা
ছয় মাসে ১০ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক
জাতিসংঘকে শাপলা চত্বর ও সাঈদীর রায়কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করার অনুরোধ
নুর ভাই নিজেই তার দল বিলুপ্ত করে আমাদের সাথে যুক্ত হতে আগ্রহী: হান্নান মাসউদ
দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় ছয়জন গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে সালিশি বৈঠকে সংঘর্ষ, ৭০ দোকান ভাঙচুর, থমথমে পরিস্থিতি
শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নতুন নাম ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড
২০৩০ দশকে এআই মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করতে পারে: ইলন মাস্ক
দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত, আক্রান্ত ৫
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নতুন নাম বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১