শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা: উত্তরণের পথ (১)

ক্ষমতাবান ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

অক্ষরের পাশে অক্ষর বসানো সমাচার দর্পণ থেকে আজকের ঝকঝকে চার রঙে ছাপা প্রতিদিনের অজস্র সংবাদপত্র। সাদা-কালো যুগ পেরিয়ে স্যাটেলাইটের হাত ধরে দেশ-মহাদেশের সীমানা পেরিয়ে যায় টেলিভিশন। এককালের ছুটে চলা প্রান্তিক সাংবাদিকতা থেকে আজকের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ। সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রযুক্তির নানা মাত্রা।

এত কথা যে সংবাদমাধ্যম নিয়ে, বর্তমানে তার গতিপথ কোন দিকে? মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে শুরু করে নতুন শতকের প্রথম দুই দশক পেরিয়ে আজ কোন জায়গায় আমাদের সাংবাদিকতা? তার মানই বা কী?

প্রশ্ন অনেক, উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি আমরা। ঠিক সে কারণেই ঢাকা প্রকাশের পক্ষ থেকে মুখোমুখি হওয়া গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের।

বর্তমান সাংবাদিকতার নানা সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব থাকছে আজ।

পৃথিবীতে একটি বড় সত্য হলো পরিবর্তন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন ঘটবে সমাজের। বদলে যেতে পারে নিয়ম-নীতি। সেই বদল ইতিবাচকও হতে পারে, নেতিবাচকও হতে পারে। ঠিক তেমনই পাল্টে গেছে সাংবাদিকতার ধরন। বেড়েছে বিস্তৃতি, যোগ হয়েছে নানা মাধ্যম। তবে মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা, স্বাধীনতা পরবর্তী সাংবাদিকতা ও বর্তমান সময়ের সাংবাদিকতার মান নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

দেশের সাংবাদিকতা কোন পথে আছে এবং সময়ের ব্যবধানে গণমাধ্যমের পেশাদারিত্বের কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিসি নিউজের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘৩০ বছর আগে সাংবাদিকতার মিশন ছিল, জনগণকে সেবা দেওয়া, শিক্ষিত করে তোলা। একজন মানুষকে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে জীবনের সিদ্ধান্ত নিতে যেন সহায়ক ভূমিকা পালন করে, সেই ধরনের তথ্য, সংবাদ দিয়ে উন্নত করা। আর এখন সেটির পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করা। কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কিছু কোটারি, দল, মত এগুলোকে পেট্রোনাইজ (পৃষ্ঠপোষকতা) করা সাংবাদিকতার ভেতের ঢুকে গেছে। যে কারণে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট (স্বার্থের দ্বন্দ্ব) বাড়ছে।’

একই রকম কথা বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি জানান, পাকিস্তান বা ব্রিটিশ আমলে সাংবাদিকতার সুযোগের অভাব ছিল; কিন্তু যারা সাংবাদিকতায় আসতেন তাদের উদ্দেশ্য ছিল–তারা সাংবাদিকতা করবেন, জনগণকে তথ্য সেবা দেবেন। এর বিনিময়ে তাদের বেশি কিছু চাওয়া-পাওয়া ছিল না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরও বলেন, ‘সেই সময়ের সাংবাদিকদের বেতনভাতা, সুযোগ-সুবিধা, চাকরির নিরাপত্তা খুবই দুর্বল অবস্থায় ছিল; কিন্তু তাদের মধ্যে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করার যে প্রয়াস, যে উদ্যম ছিল, আজ সেটির কিছুটা শৈথিল্য লক্ষ্য করছি। বস্তুনিষ্ঠতা ও সত্যনিষ্ঠার জায়গায় কিছু ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন উত্তর সত্য বা পোস্ট ট্রুথ, অলটারনেটিভ ফ্যাক্ট কথাগুলো চালু হয়েছে।’

সংবাদমাধ্যম এখন আর শুধু মুদ্রণ মাধ্যমে আটকে নেই। তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে গণমাধ্যম এখন মানুষের হাতের মুঠোই। ছাপানো সংবাদপত্র, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ নানা ধরনের বিস্তৃতি বেড়েছে। তবে গণমাধ্যমের মূল কাজ বা পেশাদারিত্বের জায়গায় কতটা অটল রয়েছে–তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়ে সচেতন মহলে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘সংবাদপত্রের বিস্তৃতি বেড়েছে এবং পরিবেশনার ক্ষেত্রে এসেছে অনেক বৈচিত্র্য; কিন্তু মান বেড়েছে কি-না তা বলা মুশকিল।’

সংবাদপত্রের করপোরেট মালিকানা এবং সাংবাদিকদের দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার বিষয়কে মান কমে যাওয়ার জন্য অনেকটাই দায়ী করলেন এই সাহিত্যিক। তিনি বলেন, ‘অনেক সংবাদপত্র মালিকপক্ষের সংবাদ বা স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। অনেক ক্ষেত্রে সম্পাদক বা মালিকের রাজনৈতিক পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, একটা রাজনৈতিক পরিচয় এসে যাচ্ছে। মানের একটু সমস্যা রয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে আরও ভালো করতে হবে। নিরপেক্ষতার ঘাটতি আছে বলেই মানও কমে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা প্রতিফলিত হচ্ছে না। শিক্ষকরা যেমন রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন, সাংবাদিকরাও নাম লিখিয়েছেন। সাংবাদিক সমিতির অনেকগুলো রং আছে। এটি তো হওয়ার কথা নয়। বাংলাদেশে কোনো সংবাদপত্র কখনো ব্যাপকভাবে কোনো দলকে সমর্থন দিলে তার খারাপ কাজকেও সমর্থন দেয়।’

স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও সংবাদমাধ্যমের একাংশ স্বাধীনতাবিরোধীদের সমর্থন করে। স্বাধীন দেশের সংবাদমাধ্যমের কাছে এটি কখনোই কাম্য নয়। এ প্রসঙ্গে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো সংবাদপত্র যদি স্বাধীনতাবিরোধীদের সমর্থন দেয়, তাহলে সেটি তো স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেল। এটি কখনোই কোনো সংবাদপত্রের কাজ হতে পারে না; কিন্তু আমাদের দেশে সেটি হচ্ছে।’

স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো যেমন সংবাদপত্রের কাজ নয়, ঠিক তেমনই আবার সরকারের সমর্থক বনে যাওয়াও সংবাপত্রের কাজ নয়। এতে গণমাধ্যমের আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। এ প্রসঙ্গে এ গবেষক বলেন, ‘সাংবাদিকদের একটি অংশ যখন সরকারের সব কাজের সমর্থনে দাঁড়িয়ে যায়, তখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ‘ক্ষমতাবান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। সংবাদকর্মীরা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হয়ে থাকে।’

মানসম্পন্ন সাংবাদিকতা ও পেশাদারিত্ব ফিরিয়ে আনতে গণমাধ্যমকর্মীদের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন সাংবাদিক ও গবেষক আফসান চৌধুরী। তবে এ ক্ষেত্রে খুব কম আগ্রহ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রবীণ এ সাংবাদিক বলেন, ‘করোনা রিপোর্টিং খুবই নিম্নমানের ছিল। বেশিরভাগেরই করোনা সংকট সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। অনেক ক্ষেত্রেই ভুল রিপোর্ট ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অনেকগুলো মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের উত্থান হলেও, বেতন-ভাতার পরিমাণ খুবই কম হওয়ায় মানসম্পন্ন পেশাদার কর্মীরা এ পেশায় আসছেন না। এ ছাড়া গণমাধ্যমকর্মীদের একটি অংশ নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের দিকে ঝুঁকছে। আগের তুলনায় মিডিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাও কমে গেছে। এর জন্য সব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যম নিজেও দায়ী।’

সাংবাদিকতাকে সঠিক পথে আনতে নতুন প্রজন্ম ও প্রতিষ্ঠানকে সৎ, অনুসন্ধানী, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকতায় আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান সাজ্জাদ আলম খান তপু।

/এসএন/এসএ/

 

Header Ad
Header Ad

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কোনো আরব নেতা সিরিয়া সফরে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি সফর করলেন। বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল-শারা। সফরের সময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানান তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাতার মাঠপর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের আমিরের এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এই প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত কর্মকর্তারা পুলিশের দায় এড়াতে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং ইয়ামিনকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গণঅভ্যুত্থানের পরও তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি। বরং, কঠিন চাপে থেকেও পুলিশের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের দাবি, ইয়ামিন এপিসি (সাঁজোয়া যান) কারে উঠলে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে, যা তাকে আহত করে। এরপর এএসআই মোহাম্মদ আলী তাকে নামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তার হাতে ব্যথা থাকায় ফসকে পড়ে যান ইয়ামিন। পুলিশ আরও জানায়, জনগণের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাকে রোড ডিভাইডারে রাখা হয়, যাতে কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।

তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা নীল রঙের এপিসি কারের ওপর ইয়ামিনকে ফেলে রেখে টহল চালায় এবং ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এপিসি কারটি সাভারের রানা প্লাজা ও ভ্যাট অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় আসে। এরপর এপিসির ভেতর থেকে এক পুলিশ সদস্য দরজা খুলে দেয় এবং আরেকজন ইয়ামিনকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ ইয়ামিন তখনও জীবিত ছিলেন। প্রচণ্ড কষ্টে নিশ্বাস নিতে দেখা যায় তাকে। তার পরনে ছিল নেভি ব্লু ট্রাউজার ও খয়েরি রঙের জামা। এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর তার দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে যায় এবং একটি পা এপিসির বাঁ দিকের চাকার সঙ্গে আটকে থাকে। মৃত ভেবে পুলিশের সদস্যরা তার পায়ে আর গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়। এরপর আরও দুই পুলিশ সদস্য নেমে এসে তাকে সার্ভিস লেনে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশের এই প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তদন্ত কর্মকর্তারা শুধু পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছেন, অথচ কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, সংবাদকর্মী বা সাধারণ মানুষের সাক্ষ্য নেননি। এ কারণে তদন্ত প্রক্রিয়াকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক প্রতিবেদনে পুলিশের আচরণকে ‘ভয়ংকর বর্বরতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির তিন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন এবং অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখাকে সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ নীল এপিসি কার থেকে ইয়ামিনের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। কোনো ময়নাতদন্ত বা আনুষ্ঠানিক মৃত্যুসনদ না দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইয়ামিনের লাশ হস্তান্তর করে।

ঢাকা ও সাভার রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইয়ামিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করার জন্য পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে, পরিবার তাকে সাভারের তালবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাংক টাউন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দায় মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজের ভয়ংকর দৃশ্যগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাহলে, শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে যদি সত্য প্রকাশ না পায়, তবে স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি উঠেছে। নিহত ইয়ামিনের পরিবার এবং আন্দোলনকারীরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও একাধিক হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির এক বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘদিনের নজরদারির পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাত কলেজের জন্য হচ্ছে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিতে বলেছে ইইউ: ইসি সচিব
রংপুরের টানা চতুর্থ হার, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো খুলনা
চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান, আটক ৫
প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সেই যুবককে গুলি করে হত্যা
বাংলাদেশ পুলিশে ১৬টি শূন্য পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু ২ ফেব্রুয়ারি