বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা: উত্তরণের পথ (১)

ক্ষমতাবান ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

অক্ষরের পাশে অক্ষর বসানো সমাচার দর্পণ থেকে আজকের ঝকঝকে চার রঙে ছাপা প্রতিদিনের অজস্র সংবাদপত্র। সাদা-কালো যুগ পেরিয়ে স্যাটেলাইটের হাত ধরে দেশ-মহাদেশের সীমানা পেরিয়ে যায় টেলিভিশন। এককালের ছুটে চলা প্রান্তিক সাংবাদিকতা থেকে আজকের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ। সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রযুক্তির নানা মাত্রা।

এত কথা যে সংবাদমাধ্যম নিয়ে, বর্তমানে তার গতিপথ কোন দিকে? মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে শুরু করে নতুন শতকের প্রথম দুই দশক পেরিয়ে আজ কোন জায়গায় আমাদের সাংবাদিকতা? তার মানই বা কী?

প্রশ্ন অনেক, উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি আমরা। ঠিক সে কারণেই ঢাকা প্রকাশের পক্ষ থেকে মুখোমুখি হওয়া গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের।

বর্তমান সাংবাদিকতার নানা সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব থাকছে আজ।

পৃথিবীতে একটি বড় সত্য হলো পরিবর্তন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন ঘটবে সমাজের। বদলে যেতে পারে নিয়ম-নীতি। সেই বদল ইতিবাচকও হতে পারে, নেতিবাচকও হতে পারে। ঠিক তেমনই পাল্টে গেছে সাংবাদিকতার ধরন। বেড়েছে বিস্তৃতি, যোগ হয়েছে নানা মাধ্যম। তবে মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা, স্বাধীনতা পরবর্তী সাংবাদিকতা ও বর্তমান সময়ের সাংবাদিকতার মান নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

দেশের সাংবাদিকতা কোন পথে আছে এবং সময়ের ব্যবধানে গণমাধ্যমের পেশাদারিত্বের কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিসি নিউজের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘৩০ বছর আগে সাংবাদিকতার মিশন ছিল, জনগণকে সেবা দেওয়া, শিক্ষিত করে তোলা। একজন মানুষকে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে জীবনের সিদ্ধান্ত নিতে যেন সহায়ক ভূমিকা পালন করে, সেই ধরনের তথ্য, সংবাদ দিয়ে উন্নত করা। আর এখন সেটির পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করা। কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কিছু কোটারি, দল, মত এগুলোকে পেট্রোনাইজ (পৃষ্ঠপোষকতা) করা সাংবাদিকতার ভেতের ঢুকে গেছে। যে কারণে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট (স্বার্থের দ্বন্দ্ব) বাড়ছে।’

একই রকম কথা বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি জানান, পাকিস্তান বা ব্রিটিশ আমলে সাংবাদিকতার সুযোগের অভাব ছিল; কিন্তু যারা সাংবাদিকতায় আসতেন তাদের উদ্দেশ্য ছিল–তারা সাংবাদিকতা করবেন, জনগণকে তথ্য সেবা দেবেন। এর বিনিময়ে তাদের বেশি কিছু চাওয়া-পাওয়া ছিল না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরও বলেন, ‘সেই সময়ের সাংবাদিকদের বেতনভাতা, সুযোগ-সুবিধা, চাকরির নিরাপত্তা খুবই দুর্বল অবস্থায় ছিল; কিন্তু তাদের মধ্যে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করার যে প্রয়াস, যে উদ্যম ছিল, আজ সেটির কিছুটা শৈথিল্য লক্ষ্য করছি। বস্তুনিষ্ঠতা ও সত্যনিষ্ঠার জায়গায় কিছু ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন উত্তর সত্য বা পোস্ট ট্রুথ, অলটারনেটিভ ফ্যাক্ট কথাগুলো চালু হয়েছে।’

সংবাদমাধ্যম এখন আর শুধু মুদ্রণ মাধ্যমে আটকে নেই। তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে গণমাধ্যম এখন মানুষের হাতের মুঠোই। ছাপানো সংবাদপত্র, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ নানা ধরনের বিস্তৃতি বেড়েছে। তবে গণমাধ্যমের মূল কাজ বা পেশাদারিত্বের জায়গায় কতটা অটল রয়েছে–তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়ে সচেতন মহলে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘সংবাদপত্রের বিস্তৃতি বেড়েছে এবং পরিবেশনার ক্ষেত্রে এসেছে অনেক বৈচিত্র্য; কিন্তু মান বেড়েছে কি-না তা বলা মুশকিল।’

সংবাদপত্রের করপোরেট মালিকানা এবং সাংবাদিকদের দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার বিষয়কে মান কমে যাওয়ার জন্য অনেকটাই দায়ী করলেন এই সাহিত্যিক। তিনি বলেন, ‘অনেক সংবাদপত্র মালিকপক্ষের সংবাদ বা স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। অনেক ক্ষেত্রে সম্পাদক বা মালিকের রাজনৈতিক পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, একটা রাজনৈতিক পরিচয় এসে যাচ্ছে। মানের একটু সমস্যা রয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে আরও ভালো করতে হবে। নিরপেক্ষতার ঘাটতি আছে বলেই মানও কমে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা প্রতিফলিত হচ্ছে না। শিক্ষকরা যেমন রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন, সাংবাদিকরাও নাম লিখিয়েছেন। সাংবাদিক সমিতির অনেকগুলো রং আছে। এটি তো হওয়ার কথা নয়। বাংলাদেশে কোনো সংবাদপত্র কখনো ব্যাপকভাবে কোনো দলকে সমর্থন দিলে তার খারাপ কাজকেও সমর্থন দেয়।’

স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও সংবাদমাধ্যমের একাংশ স্বাধীনতাবিরোধীদের সমর্থন করে। স্বাধীন দেশের সংবাদমাধ্যমের কাছে এটি কখনোই কাম্য নয়। এ প্রসঙ্গে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো সংবাদপত্র যদি স্বাধীনতাবিরোধীদের সমর্থন দেয়, তাহলে সেটি তো স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেল। এটি কখনোই কোনো সংবাদপত্রের কাজ হতে পারে না; কিন্তু আমাদের দেশে সেটি হচ্ছে।’

স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো যেমন সংবাদপত্রের কাজ নয়, ঠিক তেমনই আবার সরকারের সমর্থক বনে যাওয়াও সংবাপত্রের কাজ নয়। এতে গণমাধ্যমের আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। এ প্রসঙ্গে এ গবেষক বলেন, ‘সাংবাদিকদের একটি অংশ যখন সরকারের সব কাজের সমর্থনে দাঁড়িয়ে যায়, তখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ‘ক্ষমতাবান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। সংবাদকর্মীরা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হয়ে থাকে।’

মানসম্পন্ন সাংবাদিকতা ও পেশাদারিত্ব ফিরিয়ে আনতে গণমাধ্যমকর্মীদের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন সাংবাদিক ও গবেষক আফসান চৌধুরী। তবে এ ক্ষেত্রে খুব কম আগ্রহ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রবীণ এ সাংবাদিক বলেন, ‘করোনা রিপোর্টিং খুবই নিম্নমানের ছিল। বেশিরভাগেরই করোনা সংকট সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। অনেক ক্ষেত্রেই ভুল রিপোর্ট ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অনেকগুলো মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের উত্থান হলেও, বেতন-ভাতার পরিমাণ খুবই কম হওয়ায় মানসম্পন্ন পেশাদার কর্মীরা এ পেশায় আসছেন না। এ ছাড়া গণমাধ্যমকর্মীদের একটি অংশ নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের দিকে ঝুঁকছে। আগের তুলনায় মিডিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাও কমে গেছে। এর জন্য সব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যম নিজেও দায়ী।’

সাংবাদিকতাকে সঠিক পথে আনতে নতুন প্রজন্ম ও প্রতিষ্ঠানকে সৎ, অনুসন্ধানী, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকতায় আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান সাজ্জাদ আলম খান তপু।

/এসএন/এসএ/

 

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪