সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা: উত্তরণের পথ (১)

ক্ষমতাবান ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

অক্ষরের পাশে অক্ষর বসানো সমাচার দর্পণ থেকে আজকের ঝকঝকে চার রঙে ছাপা প্রতিদিনের অজস্র সংবাদপত্র। সাদা-কালো যুগ পেরিয়ে স্যাটেলাইটের হাত ধরে দেশ-মহাদেশের সীমানা পেরিয়ে যায় টেলিভিশন। এককালের ছুটে চলা প্রান্তিক সাংবাদিকতা থেকে আজকের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ। সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রযুক্তির নানা মাত্রা।

এত কথা যে সংবাদমাধ্যম নিয়ে, বর্তমানে তার গতিপথ কোন দিকে? মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে শুরু করে নতুন শতকের প্রথম দুই দশক পেরিয়ে আজ কোন জায়গায় আমাদের সাংবাদিকতা? তার মানই বা কী?

প্রশ্ন অনেক, উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি আমরা। ঠিক সে কারণেই ঢাকা প্রকাশের পক্ষ থেকে মুখোমুখি হওয়া গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের।

বর্তমান সাংবাদিকতার নানা সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব থাকছে আজ।

পৃথিবীতে একটি বড় সত্য হলো পরিবর্তন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন ঘটবে সমাজের। বদলে যেতে পারে নিয়ম-নীতি। সেই বদল ইতিবাচকও হতে পারে, নেতিবাচকও হতে পারে। ঠিক তেমনই পাল্টে গেছে সাংবাদিকতার ধরন। বেড়েছে বিস্তৃতি, যোগ হয়েছে নানা মাধ্যম। তবে মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা, স্বাধীনতা পরবর্তী সাংবাদিকতা ও বর্তমান সময়ের সাংবাদিকতার মান নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

দেশের সাংবাদিকতা কোন পথে আছে এবং সময়ের ব্যবধানে গণমাধ্যমের পেশাদারিত্বের কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিসি নিউজের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘৩০ বছর আগে সাংবাদিকতার মিশন ছিল, জনগণকে সেবা দেওয়া, শিক্ষিত করে তোলা। একজন মানুষকে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে জীবনের সিদ্ধান্ত নিতে যেন সহায়ক ভূমিকা পালন করে, সেই ধরনের তথ্য, সংবাদ দিয়ে উন্নত করা। আর এখন সেটির পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করা। কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কিছু কোটারি, দল, মত এগুলোকে পেট্রোনাইজ (পৃষ্ঠপোষকতা) করা সাংবাদিকতার ভেতের ঢুকে গেছে। যে কারণে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট (স্বার্থের দ্বন্দ্ব) বাড়ছে।’

একই রকম কথা বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি জানান, পাকিস্তান বা ব্রিটিশ আমলে সাংবাদিকতার সুযোগের অভাব ছিল; কিন্তু যারা সাংবাদিকতায় আসতেন তাদের উদ্দেশ্য ছিল–তারা সাংবাদিকতা করবেন, জনগণকে তথ্য সেবা দেবেন। এর বিনিময়ে তাদের বেশি কিছু চাওয়া-পাওয়া ছিল না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরও বলেন, ‘সেই সময়ের সাংবাদিকদের বেতনভাতা, সুযোগ-সুবিধা, চাকরির নিরাপত্তা খুবই দুর্বল অবস্থায় ছিল; কিন্তু তাদের মধ্যে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করার যে প্রয়াস, যে উদ্যম ছিল, আজ সেটির কিছুটা শৈথিল্য লক্ষ্য করছি। বস্তুনিষ্ঠতা ও সত্যনিষ্ঠার জায়গায় কিছু ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন উত্তর সত্য বা পোস্ট ট্রুথ, অলটারনেটিভ ফ্যাক্ট কথাগুলো চালু হয়েছে।’

সংবাদমাধ্যম এখন আর শুধু মুদ্রণ মাধ্যমে আটকে নেই। তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে গণমাধ্যম এখন মানুষের হাতের মুঠোই। ছাপানো সংবাদপত্র, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ নানা ধরনের বিস্তৃতি বেড়েছে। তবে গণমাধ্যমের মূল কাজ বা পেশাদারিত্বের জায়গায় কতটা অটল রয়েছে–তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়ে সচেতন মহলে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘সংবাদপত্রের বিস্তৃতি বেড়েছে এবং পরিবেশনার ক্ষেত্রে এসেছে অনেক বৈচিত্র্য; কিন্তু মান বেড়েছে কি-না তা বলা মুশকিল।’

সংবাদপত্রের করপোরেট মালিকানা এবং সাংবাদিকদের দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার বিষয়কে মান কমে যাওয়ার জন্য অনেকটাই দায়ী করলেন এই সাহিত্যিক। তিনি বলেন, ‘অনেক সংবাদপত্র মালিকপক্ষের সংবাদ বা স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। অনেক ক্ষেত্রে সম্পাদক বা মালিকের রাজনৈতিক পরিচয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, একটা রাজনৈতিক পরিচয় এসে যাচ্ছে। মানের একটু সমস্যা রয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে আরও ভালো করতে হবে। নিরপেক্ষতার ঘাটতি আছে বলেই মানও কমে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা প্রতিফলিত হচ্ছে না। শিক্ষকরা যেমন রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন, সাংবাদিকরাও নাম লিখিয়েছেন। সাংবাদিক সমিতির অনেকগুলো রং আছে। এটি তো হওয়ার কথা নয়। বাংলাদেশে কোনো সংবাদপত্র কখনো ব্যাপকভাবে কোনো দলকে সমর্থন দিলে তার খারাপ কাজকেও সমর্থন দেয়।’

স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও সংবাদমাধ্যমের একাংশ স্বাধীনতাবিরোধীদের সমর্থন করে। স্বাধীন দেশের সংবাদমাধ্যমের কাছে এটি কখনোই কাম্য নয়। এ প্রসঙ্গে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো সংবাদপত্র যদি স্বাধীনতাবিরোধীদের সমর্থন দেয়, তাহলে সেটি তো স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেল। এটি কখনোই কোনো সংবাদপত্রের কাজ হতে পারে না; কিন্তু আমাদের দেশে সেটি হচ্ছে।’

স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো যেমন সংবাদপত্রের কাজ নয়, ঠিক তেমনই আবার সরকারের সমর্থক বনে যাওয়াও সংবাপত্রের কাজ নয়। এতে গণমাধ্যমের আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। এ প্রসঙ্গে এ গবেষক বলেন, ‘সাংবাদিকদের একটি অংশ যখন সরকারের সব কাজের সমর্থনে দাঁড়িয়ে যায়, তখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ‘ক্ষমতাবান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। সংবাদকর্মীরা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হয়ে থাকে।’

মানসম্পন্ন সাংবাদিকতা ও পেশাদারিত্ব ফিরিয়ে আনতে গণমাধ্যমকর্মীদের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন সাংবাদিক ও গবেষক আফসান চৌধুরী। তবে এ ক্ষেত্রে খুব কম আগ্রহ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রবীণ এ সাংবাদিক বলেন, ‘করোনা রিপোর্টিং খুবই নিম্নমানের ছিল। বেশিরভাগেরই করোনা সংকট সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। অনেক ক্ষেত্রেই ভুল রিপোর্ট ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অনেকগুলো মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের উত্থান হলেও, বেতন-ভাতার পরিমাণ খুবই কম হওয়ায় মানসম্পন্ন পেশাদার কর্মীরা এ পেশায় আসছেন না। এ ছাড়া গণমাধ্যমকর্মীদের একটি অংশ নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের দিকে ঝুঁকছে। আগের তুলনায় মিডিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাও কমে গেছে। এর জন্য সব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যম নিজেও দায়ী।’

সাংবাদিকতাকে সঠিক পথে আনতে নতুন প্রজন্ম ও প্রতিষ্ঠানকে সৎ, অনুসন্ধানী, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকতায় আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান সাজ্জাদ আলম খান তপু।

/এসএন/এসএ/

 

Header Ad
Header Ad

আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা

বক্তব্য রাখছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এই সরকার অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে। যতই বদনাম করুন, চার মাসের কাছাকাছি শোনেন নাই যে হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। এই সরকারে যারা কাজ করছে হয়ত তাদের অনেকেরই আমাদের মত প্রশাসনিক নলেজ কম থাকতে পারে, কিন্ত কোনো অসৎ ব্যক্তি আমাদের কেবিনেটে নেই, টপ টু বটম।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বোট ক্লাবে বিএসসির (বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন) ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নৌ উপদেষ্টা বলেন, বিএসসিতে আগের মতো চুরিচামারি ও হেরফের হবে না। কোনো চোর ধরা পড়লে তার আর রক্ষা নেই।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, বিএসসির জাহাজের বহর আরও বড় করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি, আগামী দুই বছরে এটা সম্ভব হবে। তখন শেয়ার হোল্ডাররা আরও বেশি লভ্যাংশ পাবে বলে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চট্টগ্রামে (বন্দরে) ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থা করছি। কয়েকটা কান্ট্রি চট্টগ্রাম বন্দর, বে টার্মিনালসহ আরও অন্যান্য বন্দরে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ৬০০ মিলিয়ন ডলার বে টার্মিনালে বিনিয়োগ করার জন্য বসে আছে। দ্রুত আমরা এটা সাইন করবো।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শেয়ারের বাজারে বর্তমান দুর্দিনে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আশা করছি, আগামী বছর এ লভ্যাংশ আরও বাড়বে।

বিএসসির ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর মাহমুদুল মালেক বলেন, প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ নিট মুনাফা করেছে বিএসসি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কর সমন্বয়ের পর সংস্থাটির নিট মুনাফা হয়েছে ২৪৯.৬৯ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়। তখন শিপিং করপোরেশনের বহরে ছিল ৩৪টি জাহাজ। এতো জাহাজ থাকার পরও সে সময় বিএসসি লোকসানি প্রতিষ্ঠান ছিল। বর্তমানে পাঁচ জাহাজে রেকর্ড সংখ্যক লাভ করেছে।

Header Ad
Header Ad

কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে এবং নতুন কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যেতে পারেন।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আশা করছি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৯ ডিসেম্বর তিনি লন্ডনে যাবেন। ম্যাডামের সঙ্গে তার চার-পাঁচজন চিকিৎসক যাবেন। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

জানা গেছে, শারীরিকভাবে নতুন কোনো সমস্যা উদয় না হলে, ২৯ ডিসেম্বর (রোববার) দিনে একটি ফ্লাইটে খালেদা জিয়া ঢাকা ছাড়বেন। তার সঙ্গে সফর করবেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ডা. শাহাবউদ্দিন, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ কয়েকজন।

এর আগে, ২৯ অক্টোবর অধ্যাপক জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক

ছবি: সংগৃহীত

গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বাহিনীর চলমান অভিযানের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। দখলদার বাহিনীর সঙ্গে হামাস ও ইসলামী জিহাদ প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংঘর্ষে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে ইসরাইলি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাবালিয়া শরণার্থী শিবির এবং এর আশপাশের এলাকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আক্রমণে অন্তত ৩৫ জন ইসরাইলি সেনা নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে। সংঘর্ষের এই ঘটনা দখলদার বাহিনীর জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এছাড়া ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, গাজার উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের ৭০ শতাংশ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

দখলদার সেনারা ৯৬,০০০ ফিলিস্তিনি নাগরিককে জাবালিয়া শিবির ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসরাইলি বাহিনী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় একটি গণহত্যামূলক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এ আগ্রাসন শুরু হয় হামাসের ঐতিহাসিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায়। যা ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদারদের বাড়তে থাকা অত্যাচার-নিপীড়নের জবাব হিসেবে পরিচালিত হয়।

এরপরই ইসরাইল গাজার ওপর সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে এবং গণহত্যামূলক নির্মূল অভিযান শুরু করে। উপত্যকাটিতে ২০ লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস করত। তাদের জন্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য ও পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

গাজায় গত ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা বর্বর ইসরাইলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত মোট ৪৫,২৫৯ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ১০৭,৬২৭ জন।

রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অব্যাহত ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা
কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল
হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক
নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গনি
গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!
বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস
কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
সুরের জাদুতে ঢাকার মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান