বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সাক্ষাৎকার

‘জাতীয় সরকারের কথা আমরা বলিনি’

শামসুজ্জামান দুদু বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে দু’বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোড় এই ছাত্রনেতা ১৯৮৫ ও ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কৃষক দলের আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এই নেতা।

বিএনপির কাউন্সিল,সরকার পতনের আন্দোলন, আগামী নির্বাচন, নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ, সরকারের দুর্নীতিসহ সমসাময়িক নানান বিষয়ে তার একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-এর স্টাফ রিপোর্টার মোক্তাদির হোসেন প্রান্তিক।

ঢাকাপ্রকাশ: নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো কী?

শামসুজ্জামান দুদু: দলীয় সরকারের বাইরে নির্বাচন করা অর্থাৎ ’৭৩ থেকে সর্বশেষ নির্বাচনের দিকে তাকালে দেখা যাবে দলীয় সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচনে কোনো সরকারের পতন হয় না। এই পর্যন্ত পতন হয়নি। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক এমন এক সরকার ব্যবস্থা যারা নির্দিষ্ট সময়ের পর ক্ষমতায় থাকতেও পারে না, ফিরেও আসতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশে এই দুটি পদ্ধতির বাইরেও সামরিক শাসন-সামরিক সরকার ছিল, তাদের অধীনেও নির্বাচন হয়েছে। তবে এই তিনটি পদ্ধতির মধ্যে তুলনামূলকভাবে মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে গ্রহণ করেছিল। যেটি আওয়ামী লীগ বাতিল করেছে। আমরা মনে করি- তুলনামূলকভাবে ভালো হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক ভাবনা, দল নিরপেক্ষ সরকার।

ঢাকাপ্রকাশ: বর্তমান সরকার যদি আগামীতে একতরফা নির্বাচন করতে চায় সেক্ষেত্রে বিএনপি কী করবে? আন্দোলনেরই বা প্রস্তুতি কতটুকু?

শামসুজ্জামান দুদু: বিএনপির আন্দোলন প্রস্তুতি পর্যায়ে আছে… এখন আমরা যা করছি সেটাকে আন্দোলনের ‘ওয়ার্মআপ‘ বলা যায়। লোডশেডিংয়ের বিরুদ্ধে অবস্থান, প্রায় এক দেড় মাস ধরে দ্রব্যমূল্যে নিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। চূড়ান্ত আন্দোলনের সিদ্ধান্তটা দল এখনো ঘোষণা করেনি, তবে শিগগিরই ঘোষণা করতে পারে।

ঢাকাপ্রকাশ: নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন কে?

শামসুজ্জামান দুদু: আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান। তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করলেও সার্বক্ষণিক আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায় আছেন। সব সময়ই আছেন, আমি যদি মনে করি তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলব তাহলে এখনই কথা বলতে পারি। তিনি শারীরিকভাবে উপস্থিত নেই, কিন্তু আধুনিক মাধ্যমগুলোর মধ্যে দিয়ে তিনি আমাদের সামনেই রয়েছেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে এই দেশের জনগণ ও বিএনপির জনসমর্থন তারেক রহমানের প্রতি অনুগত।

ঢাকাপ্রকাশ: নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রস্তুতি কতটুকু? খালেদা জিয়া মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, তারেক রহমান নির্বাসিত। তাহলে বিএনপি নির্বাচিত হলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী?

শামসুজ্জামান দুদু: নির্বাচনের জন্য আমরা একশ ভাগ প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে সংসদীয় ব্যবস্থায় পার্লামেন্টারি দল সেটা নির্ধারণ করে থাকে। এখন পর্যন্ত দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বেঁচে আছেন, তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী না হতে চান তাহলে তার সম্মতিক্রমে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তা ছাড়া খালেদা জিয়া একটি ভুয়া মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে কোর্টের কাছে যেতে পারেন। কোর্ট তাকে (খালেদা জিয়া) সাজাপ্রাপ্ত করেছেন, তাই কোর্ট যদি মুক্ত করেন তাহলে তো কোনো অসুবিধা নেই। তখন কোনো বিতর্ক থাকবে না।

ঢাকাপ্রকাশ: জাতীয় সরকার যদি নাম হয় তাহলে তো আওয়ামী লীগসহ সব দলের সেখানে থাকার কথা, তাই নয় কী?

শামসুজ্জামান দুদু: জাতীয় সরকারের কথা আমরা বলিনি। আমরা বলেছি নির্দলীয় সরকার। জাতীয় সরকার বি চৌধুরী, আ স ম আবদুর রব বলেছেন। জাতীয় সরকার নিয়ে আমরা আন্দোলনটা করতে চাই না। আমাদের আন্দোলন হচ্ছে একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ অবস্থান তৈরি করে নির্বাচন করা। এই নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আন্দোলনে যারা অংশ নেবেন তারা যদি আন্দোলন পরবর্তী নির্বাচনে পরাজিতও হন তাহলেও তাদের জাতীয় সরকারে রাখা হবে। কারণ নির্বাচন পরবর্তী সরকার হবে জাতীয় সরকার। আন্দোলনকারী ছোট ছোট রাজনৈতিক দল থেকে বড় রাজনৈতিক দল সবাই জাতীয় সরকারে ঠাঁই পাবে।

ঢাকাপ্রকাশ: সরকার আবারও এক তরফা নির্বাচনের উদ্দ্যোগ নিলে কী করবে বিএনপি? কোন পথে হাঁটবে বিএনপির নেতৃত্ব?

শামসুজ্জামান দুদু: সময় মতো সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। সময় বলে দেবে ভবিষ্যত করণীয় কী হবে, কী হওয়া উচিত।

ঢাকাপ্রকাশ: দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার উপলব্ধি কিংবা মূল্যায়ন কী?

শামসুজ্জামান দুদু: দেশ এখন সংকটকাল অতিক্রম করছে। গত ১৩ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকার দেশ শাসন করছে। একবারে শেষ মুহূর্তে এসে ১৩/১৪ বছরে এখন এমন একটা সেক্টর নেই যেখানে বিতর্ক বা আস্থাহীনতা তৈরি হয়নি। তারমধ্যে এক নম্বর হচ্ছে সম্প্রতি দেখা দেওয়া জ্বালানি সংকট। বিশেষত বিদ্যুতের সংকট তীব্রভাবে দেখা দিয়েছে। ঢাকা শহরের একদিক সজ্জিত মনে হচ্ছে, কিন্তু ঢাকা শহরেরই কোনো কোনো জায়গায় তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং চলছে। সারাদেশে জেলা ও থানাতে কোনো কোনো জায়গায় ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ আসছে না।

দ্বিতীয়ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সংকট। মানুষ থানায় যেতে ভয় পায়, মানুষ পুলিশ দেখলে ভয় পায়। বিশেষত মেয়েরা রাস্তায় একেবারই অনিরাপদ, শিক্ষাঙ্গনেও অনিরাপদ। খাদ্য সংকট অন্য যেকোনো সময় থেকে প্রকট। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।

এ ছাড়া সরকারের যখন শেষ সময় আসে তখন একটা ভোটের মুখোমুখি হতে হয়। এই বছরের শেষে অর্থাৎ আগামী বছরের প্রথমে এই সরকারকে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু অতি সম্প্রতি সরকারের নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) একটা ভয়াবহ আত্মসংকটে ভুগেছে। তারা জাতির সর্বনিম্ন আস্থাও অর্জন করতে পারেনি। সেটা কুমিল্লা সিটি নির্বাচন এবং কয়েকটি পৌরসভা, ইউনিয়ন নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। বর্তমান সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করতে চায় বলে দেশবাসী মনে করেছে। বর্তমান সিইসির বক্তব্য ও পদক্ষেপগুলো সরকারের চিন্তাধারার প্রতিফলন বলে মনে করছে বিরোধীদল।

ঢাকাপ্রকাশ: আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনে কতটুকু সক্ষমতা রয়েছে বিএনপির। আপনার মূল্যায়ন কী?

শামসুজ্জামান দুদু: এটা নিয়ে নানান জায়গায় নানা কথা রয়েছে। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে সরকার ফেলে দেওয়া ছাড়া যতগুলো ইস্যু যেমন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা –গ্রেপ্তার-নির্যাতন, সরকারের দুর্নীতিসহ বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো অব্যাহতভাবে প্রতিবাদ করে যাচ্ছে। আমরা এখন পর্যন্ত সেই আন্দোলন শুরু করিনি।

আমার নেতা তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেছেন- ‘ফয়সালা হবে রাজপথে’। যেটা কে তিনি গণঅভ্যূত্থান বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন।

ঢাকাপ্রকাশ: বিএনপির কাউন্সিল হচ্ছে না কেন? কাউন্সিল হতে বাধা কোথায়?

শামসুজ্জামান দুদু: ২০১৬ সালে দলের সর্বশেষ ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তী কাউন্সিল হচ্ছে না, এর মানে এই নয় যে, কাউন্সিল আর হবে না। কাউন্সিল হচ্ছে না দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে। হয়তো এমনও হতে পারে এই সরকারের পতনের মধ্যে দিয়ে নতুন একটা পরিস্থিতি তৈরি হলে, অস্বাভাবিক পরিস্থিতির পরবির্তন হলে আমরা ধুমধাম করে কাউন্সিলের মতো কাউন্সিল করব। সেই কাউন্সিল এই বছরের শেষ দিকে নতুবা আগামী বছরের মাঝামাঝি হতে পারে।

ঢাকাপ্রকাশ: বিএনপি জনগণ নয়, বিদেশিদের দিকে থাকিয়ে রয়েছে। বিদেশিরা বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। এই বিষয়ে আপনার মতামত কী?

শামসুজ্জামান দুদু: এই দেশে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা যদি কেউ দিয়ে থাকে সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিদেশিদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় প্যাডে দলের সভানেত্রীর স্বাক্ষরে দেশে যেন খালেদা জিয়ার সরকারকে সাহায্য না করে সে বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। আজকের যিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতি তিনিও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন- অর্থনৈতিক সহযোগীদের অধিকার আছে বাংলাদেশে কী হচ্ছে, সেটা জানার । আজকে তারা আবার বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন।

অতি সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেছেন সরকার-দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্য বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। আমেরিকা যখন পুলিশ-র‌্যাবের ৬/৭ বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তখনেই তারা এই লবিস্ট নিয়োগ করেছে। তারা অভিযোগ করে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করেছে। কিন্তু তারা এই ধরনের কোনো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।

বিদেশিরা আমাদের কাছে দেশের অবস্থা জানতে চাইলে আমরা বলি। তারাও (বিদেশিরা) নিজের থেকে  বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সূত্রে এই সমস্ত বিষয়গুলো জানাতে থাকেন। কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নিজেদের কৃতকর্ম ভুলতে পারছে না।

ঢাকাপ্রকাশ: বার্ধক্য ও অসুস্থ হয়েও খালেদা জিয়া জেলে যেতে পারেন, সেক্ষেত্রে তারেক রহমান দেশে আসার ঝুঁকি নিতে ভীত কেন?

শামসুজ্জামান দুদু: ভীত বলে আমার কাছে মনে হয় না। দেশে এলে ন্যায় বিচার পাওয়া সম্ভব এটা যদি তিনি (তারেক) না মনে করেন তাহলে আমি দোষ দেব না। কারণ দুর্নীতির প্রশ্নে নিম্ন আদালত তাকে বেকুসর খালাস দিয়েছেন। সেই বিচারককে কিন্তু দেশ ছাড়া করা হয়েছে। এমনকি সেই বিচারকের স্ত্রী যখন মারা যায় তখনও সেই বিচারক দেশে আসতে পারেননি। তাই যে মানুষ দুর্নীতির মামলায় বেকুসর খালাস পেয়েছেন, উচ্চ আদালতে গিয়ে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। কাজেই এই আদালত নিয়ে বিস্তারিত বলা কঠিন ব্যাপার। কারণ এই আদালতের কতটা স্বচ্ছতা আছে তা বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্ন উঠেছে।

বাংলাদেশে গত ৫০ বছরের ভেতরে বর্তমান সরকারের অধীনে একজন প্রধান বিচারপতিকে জীবন বাঁচানোর জন্য দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণভাবে জামিন পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু কোর্ট দেননি। তার সন্তান এই ঝুঁকিটা নেবেন কি না- আমি মনে করি, এটা তারেক রহমানের বিষয় নয়। বিষয়টি হচ্ছে দলীয় সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্ত দল তাকে দেবে কি না, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দল নেয়নি, তার আইনজীবীরাও দেননি। সেই হিসেবে প্রথমে তার দল ও আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নেবেন, পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। সেজন্য আমার কাছে মনে হয় তিনি দেশে আসেননি এতে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই।

ঢাকাপ্রকাশ: বিএনপিতে নেতৃত্ব সংকট আছে কী? আপনি কী মনে করছেন?

শামসুজ্জামান দুদু: বিএনপিতে নেতৃত্বের সংকট নেই বরং সমসাময়িক সময়ে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় নেতৃত্ব দলে কাজ করছেন। প্রবীণ, যুবা, তরুণরা সব মিলে মিশে কাজ করছে।

ঢাকাপ্রকাশ: ১/১১ সেনা সমর্থিত সরকারের সময়ে শুরুতে মাইনাস টু ফর্মূলা বলা হলেও পরবর্তীতে বিএনপি দাবি করে মাইনাস ওয়ান ফর্মূলা? এর ব্যাখ্যা কী?

শামসুজ্জামান দুদু: এটা তো প্রমাণিত। মাইনাস টু যদি হতো তাহলে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকতেন না। তারও পরিণতি হতো বেগম জিয়ার মতোই। বেগম জিয়ার পরিণতি এখন তিনি জেলখানায় আছেন। অথচ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আছেন শেখ হাসিনা। কাজেই প্রথমত ‘ফর্মূলা টু নয়, ফর্মূলা ওয়ান’। দ্বিতীয়ত, যে কোর্ট ও সরকারের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাজাপ্রাপ্ত করা হয়েছে, যে কেসটা দেখানো হয়েছে সেটা তো একটা ভুয়া কেস। কারণ গায়েবি মামলা বলে লক্ষ লক্ষ মামলা আছে। পুলিশ বলেছে কিছু ঘটুক আর না ঘটুক মামলা তো হয়েছে। তেমনি ভুয়া একটি মামলায় খালেদা জিয়াকে একটি ভুয়া বিচারের মুখোমুখি করে আদালতে রাখা হয়েছে। এখানে সংবিধান আদালত কাজ করছে না, নীতি নৈতিকতা কাজ করছে বলে আমার কাছে মনে হয় না।

ঢাকাপ্রকাশ: বিএনপি ঢাকায় আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি বলে দলের ভেতরে-বাইরে কথার গুঞ্জন রয়েছে। একই দাবি আদায়ে পরবর্তী আন্দোলনে কী সেই সংকট উত্তোরণ সম্ভব?

শামসুজ্জামান দুদু: খারাপ থাকলে ভালো থাকবে। এখন এদের খারাপ সময় তো, ভালো সময়ও আসবে। খারাপ সময়ে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা তো ভালো করতে পারছে না। আর যারা ভালোর জন্য নেতৃত্ব দিছে সেও তো বিএনপি। তাই আগামী দিনে বিএনপির নেতৃত্বেই পরিবর্তন আসবে। অতীতে আন্দোলন নিয়ে সাফল্য ব্যর্থতা যাই থাকুক না কেন- এখন ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

আগামী দিনের যে পরিবর্তন আনতে হবে গণতন্ত্র স্বাধীনতার স্বপক্ষে। এই দেশে কখনই গণতন্ত্রের আন্দোলন ব্যর্থ হয়নি। এখন পর্যন্ত যত আন্দোলন গণতন্ত্রের স্বপক্ষে হয়েছে সব সফল হয়েছে। হয়তো এক বছর আগে নয়তো এক বছর পরে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

ঢাকাপ্রকাশ: অভিযোগ আছে বিএনপি জনসম্পৃক্ত ইস্যুর চেয়ে দল ও দলের নেতা-নেত্রীদের গুরুত্ব দেয়?

শামসুজ্জামান দুদু: সব কথা বাদ দেন। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিতে বলেছেন…এতে বুঝা যায় হারিকেন জ্বালানোর যে ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী করেছেন, এই দাবি নিয়ে তো বিএনপি রাস্তায় নেমেছে। আর রাস্তায় নামার কারণে প্রধানমন্ত্রীর মুখে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দলের নেতাদের হারিকেন ধরিয়ে দিতে বলেছেন মানে তিনি অস্থির হয়ে গেছেন। সেই কারণে দ্রব্যমূল্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি, মানুষের নিরাপত্তা স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়া নিয়ে বিএনপি আন্দোলন করেছে।

ঢাকাপ্রকাশ: ঢাকাপ্রকাশ-কে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

শামসুজ্জামান দুদু: ঢাকাপ্রকাশ-কে ধন্যবাদ।

এসএন 

 

Header Ad
Header Ad

আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা কী করলাম বা করলাম না- ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেটি দিয়ে আমাদের বিচার করবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, দেশের রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং এর ভিত্তিতেই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। তিনি আরও বলেন, "এটি জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। আমি জাতির পক্ষ থেকে কমিশনের দুই চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।"

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "এই দুটি প্রতিবেদন দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে। আপনি দরিদ্র, মধ্যবিত্ত বা ধনী যেই হোন না কেন, এই সংস্কারের প্রভাব থেকে কেউই বাদ যাবেন না।"

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নাগরিকরা তাদের প্রকৃত অধিকার ফিরে পাবেন। আমরা যেন সত্যিকারের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পাই, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।"

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, "যাতে সবাই মনে করতে পারে, এখানে প্রকৃত সত্য বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। আমাদের তো পণ্ডিত হতে হবে না এটি বোঝার জন্য, কারণ প্রতিদিনই আমরা নানা অবিচারের শিকার হই।"

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "সংস্কার কমিশনের কাজ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশ্বের দরবারে এটি তুলে ধরতে হলে এর ইংরেজি অনুবাদ করা প্রয়োজন।"

কমিশনের সদস্যদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, "আপনাদের প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা ও গবেষণার সংমিশ্রণে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দলিল হয়ে থাকবে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা কী করলাম বা করলাম না, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের সেই কাজের জন্যই বিচার করবে। তারা প্রশ্ন করতে পারে, আপনারা তো পেয়েছিলেন, তাহলে বাস্তবায়ন করেননি কেন? কারণ, সবকিছু তো বইয়ের পাতায় লেখা আছে। এই কাজ জাতির জন্য এক মূল্যবান স্মারক হয়ে থাকবে।"

Header Ad
Header Ad

হাসিনার বিচারের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান

সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বিএনপি নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষকে গুম ও খুন করে স্বৈরাচার ভারতে পালিয়ে গেছে। যে কোন মূল্যে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের বিচার করতে হবে। এই প্রশ্ন গণতান্ত্রিক সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে 'আমরা বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় জুলাই আগস্ট বিপ্লবে নিহত ৪৫ শহীদ পরিবারকে আর্থিক অনুদান এবং ‌র‌্যাবের গুলিতে নিহত যুবদল নেতা মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে ঘর উপহার উপলক্ষ্যে সোনাগাজী সরকারি ছাবের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের কথা বলে যে সময়ক্ষেপণ করছে এবং সংস্কার কাজ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করছে, তা কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি-না সে ব্যাপরে সবাই সজাগ থাকতে হবে।

এ সময় তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার বিগত ১৭ বছর মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল । সে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে লড়াই করে বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ, বিগত ১৭ বছরের লড়াই এবং ২৪এর জুলাই আগস্টের বিপ্লবের চেতনায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে সবাইকে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। এখন দেশে যে সংস্কারের আলোচনা চলছে সেই সংস্কার প্রস্তাব বিগত আড়াই বছর পূ্র্বে আমরাই দিয়েছিলাম। স্বৈরাচার আমাদের সংস্কার প্রস্তাব আমলে নেয়নি। আর সেই বিশ্বাস থেকেই আমরা জাতির সামনে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছি। কারণ বিএনপি দেশ ও জনগণ নিয়ে ভাবে। দেশের কল্যাণে কাজ করতে চায়।

দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে এবং শহীদদের স্বপ্নের দেশ বিনির্মাণ হবে।

বিএনপি দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে প্রস্তুত উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি সব সময়ই দেশ ও জনগণের কল্যাণ নিয়ে ভাবে। এর বড় কারণ হলো- দেশের জনগণ বিএনপির উপর আস্থা রাখতে চায়। কীভাবে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে আসবে নেতাকর্মীদের সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

আমরা বিএনপি পরিবার কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে ও ফেনী পৌর বিএনপি'র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ও আমরা বিএনপি পরিবার কেন্দ্রীয় কমটির সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন মিথুনের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভেকেট রুহুল কবির রেজভী, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক,জয়নাল আবেদীন ভিপি জয়নাল, যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন, সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদ, অ্যাডভোকেট শাহানা আক্তার শানু, আবদুল লতিফ জনি, জালাল আহমদ মজুমদার, মামুনুর রশিদ মামুন, মশিউর রহমান বিপ্লব, ফেনী জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার, যুগ্ম আহবায়ক গাজী হাবিব উল্লাহ মানিক, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দিন সেন্টু, সদস্য সচিব সৈয়দ আলম ভূঞা, শহীদ ছাত্রদল নেতা কাওছার উদ্দিনের পিতা ফিরোজ আলম, শহীদ মেহাম্মদ মাসুদের কন্যা মুনতাহা বিনতে মাসুদ ও শহীদ জাফর আহমদের কন্যা জাহানারা বেগম প্রমুখ।

এসময় ২০১৬ সালের ২৫ জুন র‌্যাবের গুলিতে নিহত মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে ঘর এবং ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে নিহত ৪৫ শহীদ পরিবারসহ আহতদের প্রায় ২৫ লাখ টাকার মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

Header Ad
Header Ad

মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কোপালেন আ'লীগের কর্মিরা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর বদলগাছীতে মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় এক ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়েছে স্থানীয় আ'লীগের কর্মিরা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের কটকবাড়ি এলাকায় তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। আহত অবস্থায় তাঁকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত সিহাব নওগাঁ নামাজগড় গাউসুল আজম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য ও একই এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বদলগাছী সদর এলাকার রাসেল ও সাথী নামে দুই যুবক-যুবতী গতকাল বিকালে নওগাঁ থেকে মার্কেট করে ফেরার পথে কটকবাড়ী এলাকায় মোটরসাইকেল থামিয়ে নদীর ধারে ঘোরাঘুরি করছিল। সন্দেহ হলে ঐ এলাকার আওয়ামী লীগের কর্মি প্লাবন,অনিক,আশিক, রাকিব,ইয়াজুলসহ ১০-১৫ জন কর্মি তাদের আটক করে মারধর করে। পরে তাদের নদীর ধারে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে দশ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করে। বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রদল কর্মী সিহাব সহ গ্রামবাসি ঐ ছেলে মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগের কর্মি কয়েকজন অতর্কিতভাবে তাঁর ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ধারালো কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে সিহাব কে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্বজনেরা সেখানে গিয়ে সিহাব কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন।

বদলগাছি উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাহিদ রানা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতা কর্মি। মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় তার ওপরে হামলা করেছে।’

বদলগাছী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সুমন হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘দলের দুঃসময়ের কর্মী সিহাব। ন্যাক্কারজনক এ হামলার ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।’

তবে অভিযোগ ওঠা যুবকদের সাথে যোগাযোগ করা না গেলেও তাদের মধ্যে রিয়াজুল নামের এক অভিভাবক দায়সারা জবাব দেন। তিনি বলেন, ওই দুই যুবক-যুবতী অনৈতিক কার্যকলাপ করার জন্য এসেছিল। তাদের সন্দেহ হলে এলাকার ছেলেরা ধরে বিচার করতে চেয়েছিল। সিহাব এখানে এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে একটু হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি।

এ প্রসঙ্গে বুধবার (৫ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজাহান আলী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন , ‘ছাত্রদল কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এখনো অভিযোগ হাতে আসেনি। তবে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার বিচারের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান
মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কোপালেন আ'লীগের কর্মিরা
খুব দ্রুতই জবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে: ছাত্রদল সভাপতি
বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ