সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

শুল্ক কমলেও কমেনি চালের দাম

ভরা মৌসুমেও কমছে না চালের দাম। দাম কমাতে সরকার চালের আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে। তাও এক সপ্তাহ আগে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজারে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুদকারিদের জেল জরিমানা করছে। তারপরও বাজার অস্থির। দাম কমছে না। কোন লক্ষণও দেখা যাচ্ছেনা। ভোক্তারাও সুফল পাচ্ছেন না সরকারের এসব উদ্যোগের। অর্থাৎ সরকারের কোন চেষ্টার প্রভাবই বাজারে পড়ছে না।

সরকারি প্রতিষ্ঠান খোদ ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির তথ্যও বলছে মাসের ব্যবধানে কমেনি চালের দাম। বরং বেড়েছে। মিনিকেট চালে এক মাস আগে ছিল ৫৮ থেকে ৬৮ টাকা। বর্তমানে ৬৪ থেকে ৮০ টাকা। দাম বেড়েছে ১৪ শতাংশ। এক মাস আগে মাঝারি চালের (পাইজাম) কেজি ছিল ৪৬ থেকে ৫৬ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। বেড়েছে ১০ শতাংশ। আর মোটা চাল এক মাস আগে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। এই চালে দাম বেড়েছে আট শতাংশ।

দুই দিন (২৭ ও ২৮ জুন) সোম ও মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিমার্কেট, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে চালের বাজারের অস্থিরতার চিত্র পাওয়া গেছে।

অটো রাইস মিল মালিকরা বলছেন, বাজারে ধানের দাম বেশি। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান সব ধান কিনে মজুদ করে নিচ্ছে। তাই চালের দাম বাড়ছে।

অন্যদিকে মিলমালিকরা করপোরেট ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করলেও করপোরেটরা বলছেন, বাজারের ১০ শতাংশও তাদের দখলে নেই। আগোরা, স্বপ্ন, মেঘনা, ইস্পাহানি, আকিজ গ্রুপ, ইউনিমার্টসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও চালের ব্যবসা করেছে।

মঙ্গলবার (২৮জুন) কৃষিমার্কেটে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে চালের কোনো অভাব নেই। প্রায় সব দোকানে থরে থরে সাজানো চালের বস্তা। কিন্ত দামে কোনো কমতি নেই। দাম কেন কমছে না জানতে চাইলে সাহারা রাইস এজেন্সির শিমুল ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, ‘সরকার ভ্যাট কমিয়েছে চালে। এটা শুনেছি। তারপরও কমছে না। দাম আগের মতোই আছে। মিনিকেট ৬৪ থেকে ৬৮ টাকা কেজি, ২৮ চাল ৫০-৫২ টাকা ও মোটা চাল ৪৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, আমারও প্রশ্ন কেন কমছে না। মনে হয় ডলারের দাম বেশি হওয়ার কারণে কমছে না। কারণ আমদানি করতে হলে ডলার দিতে হয়।

সেই একই চাল পাশের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। তারা বলছেন, পুঁজি লাগিয়ে লাভ করতে হবে না? তাই বিভিন্ন কারণে খুচরা পর্যায়ে একটু বেশি দামে চাল বিক্রি করা হচ্ছে।

সোমবার কারওয়ান বাজারেও দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেক দোকানেই চালের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তারপরও খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগের দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে। কমেনি, বাড়েনি।

আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির আব্দুল আওয়াল ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, ‘আগের দামেই চাল বিক্রি করা হচ্ছে। বাড়েনি, কমেনি। মিনিকেট ৬৫-৬৮ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ৬৫-৮৫টাকা, ২৮চাল ৫০-৫৫ টাকা ও মোটা স্বর্ণা চাল ৪৫-৪৭ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। কবে দাম কমবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এলসি খুললে সেই চাল আসতে ১০ দিন লাগতে পারে। তখন হয়ত কমবে। তবে দেশি চালের দাম কমছে না।’

রাজধানীর চালের আরেক মোকাম বাদামতলী বাজারেও থরেথরে সাজানো চালের বস্তা। তারপরও আগের দামে তারা বিক্রি করছেন চাল। জানতে চাইলে বাদামতলী চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামউদ্দিন ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, ‘সরকার শুল্ক কমালেও সেই চাল আসেনি। তাই চালের দামও কমেনি। আগের মতোই মিনিকেট ৬৬ টাকা, ২৮ চাল ৫০ টাকা ও মোটা চাল ৪০-৪২ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু সেই চাল ৪ থেকে ৬টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে খুচরা বিক্রেতারা। আগে মিল থেকে চাল পাওয়া না গেলেও বর্তমানে কোনো সংকট নেই। চাহিদা মতো পাওয়া যাচ্ছে।’

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধান-চালের অবৈধ মজুতদারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযানে নামে। মূল্য তালিকায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের এসএম রাইস এজেন্সি ও আনোয়ার ট্রেডার্সসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।

একইসঙ্গে সরকার চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ কমিয়ে দেয়। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ঘোষণার পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে ২৩ জুন চাল আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এতে বলা হয়, আমদানি বাড়িয়ে চালের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় সরকার। এর অংশ হিসেবে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। এতদিন সবমিলে চাল আমদানিতে শুল্ক ছিল ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকার পণ্য আনতে সরকারকে কর দিতে হতো ৬২ টাকা। এখন ২৫ শতাংশ কমানোর কারণে সরকারকে ৩৭ টাকা। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শুল্ক কমানোর আদেশ কার্যকর থাকবে।

জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘কোনো গোষ্ঠী চালের বাজার অস্থির করার চেষ্টা করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, এবার ২ কোাট সাত লাখ টন ধান উৎপাদন হয়েছে। তা এই কয় দিনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি চালের দাম ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। চালের কেজিতে ৮-১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে ধানের ভরা মৌসুমে। তাই তেলের মতো চাল মিলমালিকদেরও অর্ডার নেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে চাল সরবরাহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এনএইচবি/এএস

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে