সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়ক ৪ লেন প্রকল্পে নানা অনিয়ম

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহযোগিতায় সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা (ফিজিবিলিটি স্টাডি) করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে বিস্তারিত নকশাও করা হয়েছে। কিন্তু সঠিকভাবে প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়নি। এ জন্য বারবার ডিজাইন পরিবর্তন করতে হয়েছে। বাস্তব কর্মপরিকল্পনা না করেই কাজ করা হচ্ছে। সরকারের আদেশ ছাড়াই বিদেশে স্টাডি ট্যুর করা হয়েছে।

‘এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের এই চিত্র উঠে এসেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে। চলমান প্রকল্পের উপর অগ্রাধিকারভিত্তিতে সরকার এই নিবিড় পরিবীক্ষণ করছে।

উল্লেখ্য, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের অবস্থান হচ্ছে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও রংপুর জেলা।

এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত করতে এবং ব্যবসা-বাণ্যিজ বৃদ্ধিসহ নিরাপদ ও দ্রুত সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনে সরকার প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় ছয় বছর আগে।

আইএমইডির পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সড়কটি যথেষ্ট মজবুতভাবে নির্মাণ করা হলেও ওভারলোডিং নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে অল্প সময়ে তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সড়কের স্থায়িত্বের জন্য ওভারলোডিং নিয়ন্ত্রণ স্টেশন স্থাপনসহ শক্ত নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে।

১৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের জন্য ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার প্রকল্পটি অনুমোদন দেয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। প্রকল্পের কাজ সম্পন্নের মেয়াদ ছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের আগষ্ট পর্যন্ত। কিন্তু ২০২২ সালের জুন মাস শেষ হয়ে গেলেও প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। দীর্ঘ এই সময়ে অর্থাৎ গত এপ্রিল পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৩৬ শতাংশ। আর প্রকল্পের সামগ্রিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪৫ শতাংশ।

বরং সংশোধন করে সময় বাড়ানো হয়েছে তিন বছরেরও বেশি। একই সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়ও। সংশোধিত সময় অনুযায়ী কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালে। ইতোমধ্যে সংশোধিত প্রকল্পটি সরকার অনুমোদন দিয়েছে। শতাংশের হিসাবে প্রকল্পের সময় বেড়েছে ৬৭ শতাংশ।

সময় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্পের খরচও বেড়েছে চার হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা। এখন প্রকল্পের মোট খরচের পরিমান দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ শতাংশের হিসাবে খরচ বেড়েছে ৪০ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ।

প্রকল্পের প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩২টি ব্রিজ নির্মাণ, তিন হাজার ৯০ মিটার ফ্লাইওভার নির্মাণ, দুটি রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ, কালভার্ট ১৮০টি, ৩৯টি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। এছাড়া পথশিশুদের জন্য নির্মাণ করা হবে ১১টি ওভারপাস। প্রকল্পের একটি বড় কাজ হচ্ছে হাটিকুমরুলে ১৫০০ মিটার দীর্ঘ একটি ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণ করা।

এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে ৩২৬ হেক্টর। এরমধ্যে অধিগ্রহণ করা হয়েছে ২২০ হেক্টর। এই ভূমি অধিগ্রহণে জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হচ্ছে না। এরফলে ক্ষতিগ্রস্তরা ঠিকমতো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না।

কাজ শেষ করা হবে ১১টি প্যাকেজে। এরমধ্যে ১০টি প্যাকেজের কাজ চলমান। একটি প্যাকেজের কাজ প্রক্রিয়াধীন। তবে এসব প্যাকেজের দরপত্র ডিপিপি অনুযায়ী হয়নি।

সূত্র জানায়, সরকার থেকে বলা হচ্ছে প্রকল্প পরিচালক যাতে পরিবর্তন করা না হয়। কিন্তু এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১৯ মে পর্যন্ত এ প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেন। এরপর নতুন করে প্রকল্প পরিচালক করা হয় ড. মো. ওয়ালিউর রহমানকে।

প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন ও দিক নির্দেশনার জন্য প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি (পিএস্ই), প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) ও প্রকিউরমেন্ট কমিটি করা হয়েছে। তিন মাস পরপর পিএসই ও পিআইসি কমিটির বৈঠক করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। শুরু থেকে এ পর্যন্ত মাত্র দুটি পিএসই ও একটি পিআইসি বৈঠক হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এখনো অডিট কমিটির আপত্তি শেষ হয়নি। ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত ১২টি অডিট আপত্তির মধ্যে ৭টি নিস্পন্ন হয়েছে। এখনো নিস্পত্তির বাকি ৫টি। এরমধ্যে রয়েছে সরকারের আদেশ (গভমেন্ট অর্ডার) ছাড়াই ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় করে ইউএসএ স্টাডি ট্যুর (শিক্ষা সফর)। এছাড়া করসালটেন্টের সঙ্গে চুক্তি বর্হভূত অতিরিক্ত ১৩ লাখ টাকা ঠিকাদারকে প্রদানসহ আরও কয়েকটি অডিট আপত্তি রয়েছে।

আইএমইডির পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে- বিভিন্ন প্যাকেজের আওতায় ঠিকাদারের কর্মপরিকল্পনা সুনির্দিষ্টভাবে অনুসরণ না করা মালামাল সংগ্রহে পরিকল্পনার অভাব ও নির্মাণ কাজে ধীরগতি। এই সড়কে প্রতিনিয়ত যানবাহন চললেও যাত্রীদের জন্য নির্মাণ সময়ে ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। শুধু তাই নয়, যানবাহনের ওজন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না রেখে বিভিন্ন স্থানে অসমাপ্ত রোড সেকশন জরুরি অবস্থায় যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। সড়কটির দৈর্ঘ ১৯০ কিলোমিটার হলেও যথেষ্ট ফুটওভার ব্রিজের ব্যবস্থা করা হয়নি। এরফলে দুর্ঘটনার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।

তবে প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় একটি এক্সিট প্ল্যান করা হয়েছে। তাতে ঠিকাদার কোম্পানি নির্মাণকাজ শেষে আরও সাত বছর নিয়োজিত থাকবে এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করবে।

আইএমইডির পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন সম্পর্ক জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মো. ওয়ালিউর রহমান ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৫২ শতাংশ। ব্যয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৪ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তবে হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জ এর কাজ করতে তিন বছর লাগবে।

ফিজিবিলিটি স্টাডির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এডিবি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ফিজিবিলিটি স্টাডি করেছে। করোনাসহ বিভিন্ন কারণে আগে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। কারণ ২০১৪ সালের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক অবস্থানে নেই। সড়কের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। তাই অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হয়েছে। সংযোজন করতে হয়েছে। প্রায় সব ফিজিবিলিটি স্টাডিই পরিবর্তন হয়ে থাকে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এই অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘সরকারের নির্দেশ বা আদেশ ছাড়া কেউ দেশ ছাড়তে পারে না। আর বিদেশ ভ্রমণ করতে হলে তো আরও আদেশ লাগে। ওই শিক্ষা সফরে তখনকার সচিবসহ অনেকেই গিয়েছিলেন। অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রায় সবগুলোরই উত্তর দেওয়া হয়েছে। সিস্টেমের কারণে কিছু ব্যাপারে নিস্পত্তি হয়নি, তবে তা প্রক্রিয়াধীন। আমি দায়িত্ব নিয়ে সুষ্ঠভাবে কাজ বাস্তবায়নের স্বার্থে সময় সুযোগ করে সবই করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

জেডএ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে