সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

চিড়াও সিন্ডিকেটে! বাজার থেকে উধাও, দাম চড়া

হঠাৎ করেই অস্থির চিড়ার বাজার। চিড়া পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি কেজি ৪০ টাকার চিড়া ৬০ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে না। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাজার থেকেই চিড়া উধাও হয়ে গেছে। মিলমালিকরা বেশি দামে বাজারে চিড়া সরবরাহ করলেও মেমো দিচ্ছেন না।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মিলমালিকদের সিন্ডিকেটের কারণেই বাজারে চিড়ার সংকট তৈরি হয়েছে। বলা যায় উধাও হয়ে গেছে। তিন দিন আগেও প্রতি কেজি চিড়া বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কিন্তু গত দুই দিন ধরে সেই চিড়াই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

মিলমালিকরা বলছেন চিড়া নেই। খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন চিড়া নেই। তাদের অভিযোগ, মিল থেকে চিড়া দিচ্ছে না। আবার দিলেও বেশি দাম নিচ্ছে। অনেক মিল মেমোও দিচ্ছে না। ইচ্ছা মতো দাম নিচ্ছে। সরবরাহ না থাকায় দাম বাড়ছে।

চিড়ার বাজার পরিস্থিতি জানতে বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ একাধিক বাজার ঘুরে পাওয়া গেছে এই চিত্র।

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে আছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে হবিগঞ্জ,মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, কুড়্রিগাম, রংপুর, গাইবান্ধা, নিলফামারী, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। বন্যকবলিত এসব এলাকায় ব্যাপকভাবে শুকনো খাবার বিতরণ করছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলগুলো। এই শুকনো খাবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যাচ্ছে চিড়া। এ কারণেই হঠাৎ করে চিড়ার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মুনাফা লুটে নিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে চিড়ার বাজার ব্যাপক গরম। যার কাছ থেকে বেশি দাম পাচ্ছে ব্যবসায়ীরা তার কাছে চিড়া বিক্রি করেছে। হঠাৎ চিড়ার বাজার অস্থির কেন জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের বাসার ট্রেডার্সের রুবেল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বাজারে চিড়া নেই। কিনতে চাইলে রাতে পাবেন। মিল থেকে আসা মাত্র বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তিন দিনের ব্যবধানে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে গেছে।’

দাম বেশির ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কেজিতে ২ টাকা লাভ করে বিক্রি করছি। কয়দিন আগে ৪৫ টাকা কিনে ৪৭ টাকা বিক্রি করেছি। ৫২ টাকা সর্বোচ্চ। এখন কোনো চিড়া নেই। ২১ জুন ৫৩ টাকা কিনে ৫৫ টাকা বিক্রি করেছি। বৃহস্পতিবার ৫৮ টাকা কেজি কিনে ৬০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মাল এনেই বিক্রি করা হয়। চালান দেখেন মিল থেকে সিন্ডিকেট হচ্ছে। মেমোতে দাম লিখছে না। ইচ্ছা মতো দাম নিচ্ছে। তাদের দাঁত ভাঙা জবাব দিতে হবে। তবেই কমবে দাম।’

বাসার ট্রেডার্ থেকে বের হয়ে একটু দূরের দোকানে যেতেই দেখা গেল, সেই চিড়া ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। চিড়ার দাম কতো জানতে চাইলে মেসার্স রফিক ট্রেডার্সের জসিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘৭০ টাকা কেজি। ৬০ টাকা কেজি চিড়া নেই। আগে বেচা হতো । এখন নেই। টঙ্গী থেকে দিনেরটা দিনে চিড়া এনে বিক্রি করা হচ্ছে। চাহিদা বেশি। তাই চিড়া নেই। মিল থেকে আসলে পরে পাওয়া যাবে।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্টের চিড়া ব্যবসায়ীরাও বলছেন, বস্তা ধরে নিলে মিল থেকে অর্ডার নেওয়া হবে। মিল মালিকরা দাম বেশি নেওয়ায় আমরাও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। সিটি এন্টারপাইজের লিটন বলেন, ‘৬০ থেকে ৭০ টাকা্ কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। ডেলিরটা ডেলি (দিনের টা দিনে) কিছু লাভ করে বিক্রি করা হচ্ছে। বন্যার কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মিলমালিকরাও দাম বাড়াচ্ছে।’

জানা গেছে, হঠাৎ করে মিল থেকে চিড়ার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ জন্য বাজারেও বেশি দাম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চিড়ার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়েছেন মিল মালিকরা।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, গত তিন-চার দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি চিড়ায় সর্বোচ্চ ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছে টঙ্গীর মিতালী চিড়া কল, সাভারের মাসকুলার ফুডসহ বিভিন্ন চিড়া কলের মালিকরা। তারা বেশি দাম নেওয়ায় মেমোতে দামও উল্লেখ করছে না। এই সিন্ডেকেটের কারণে বাজারে চিড়ার দাম হঠাৎ করে বাড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মিতালী চিড়া কলের মালিক জসিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ মাল নেই। পরশু পাওয়া যাবে।’

কেন দেরি জানতে চাইলে বলেন, অনেক চাহিদা। আগে থেকে অর্ডার আছে। তাদের আগে দিতে হবে। আজকে ২৭০০ টাকা বস্তা। কয়েকদিন আগে ২৫০০ টাকা বস্তা বিক্রি করেছি। রশিদে (মেমো) বিক্রির দাম উল্লেখ নাই কেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশ হেড কোয়াটার, ক্যান্টমেন্টে মাল দিই কারো কাছে রশিদে দাম লেখা লাগে না। আর আপনি দামের কথা কন?’

মাসকুলার ফুডস-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, ৫০ কেজির বস্তা তিন হাজার টাকা। হঠাৎ বেশি দাম কেন জানতে চাইলে বলেন,‘মাল নেই, বলে সাফ জানিয়ে দেন। বলেন, আমরা কী করব। চাহিদা বেশি। তাই দিতে পারব না’

চিড়ার বাজার অস্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘অস্বাভাবিক দামে চিড়া বিক্রি করার তথ্য পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে তারা (বুধবার থেকে) অভিযান শুরু করেছেন। তারা তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করেছেন। আরও অভিযান শুরু করা হবে। যারাই আইন ভঙ্গ করে ব্যবসা করে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ ভোক্তা অধিদপ্তর সব সময় ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে।’

জেডএ/এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে