সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সম্ভাবনার নতুন দুয়ার পদ্মা সেতু-১২

সেতু উদ্বোধনের আগেই ‘সমন্বয়’ হবে পরিবহন ভাড়া

পদ্মা সেতু নিয়ে এখন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের মাঝে বিরাজ করছে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস-আনন্দ। সেই উচ্ছ্বাসে কিছুটা হলে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গাড়ির ভাড়া নিয়ে। দফায় দফায় টোল গুণতে হবে পদ্মার উপর দিয়ে চলাচলকারী দক্ষিণও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রা ও পণ্যবাহী পরিবহনকে। পদ্মা সেতু ছাড়াও এক্সপ্রেসওয়ের দুই পাশে এবং মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারেও টোল দিতে হবে যানবাহনগুলোকে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের ভাড়া অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ার ।

এ অবস্থায় পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগেই যানবাহনের ভাড়া ‘সমন্বয়’ করতে চাইছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিও চায় সেতু উদ্বোধনের আগেই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ভাড়ার সমন্বয় করা হোক।

বিআরটিএ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফেরির ভাড়ার চেয়ে পদ্মা সেতুর টোল যেহেতু বেশি তাই ভাড়া বাড়তে পারে। কিন্তু এটিই শেষ কথা নয়। কারণ, এই সেতুর কারণে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অধিকাংশ জেলার দূরত্ব রাজধানীর সঙ্গে কমবে। তাই টোল বেশি হলেও এই দিক বিবেচনায় ভাড়া কমারও সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে শুধুমাত্র পদ্মা সেতুর টোল হলে বিষয়টা একরকম হত। কিন্তু সেতুর পাশাপাশি এক্সপ্রেসওয়েতেও টোল দিতে হবে। এ কারণে ভাড়া কমার সম্ভাবনা খুবই কম। অবশ্য সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন পণ্য পরিবহনের খরচ বেশি বেড়ে যাবে।

এই অবস্থায় পদ্মা সেতু চালুর আগেই যানবাহনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহামস্মদ মজুমদার। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে অনেক রুটের দূরত্ব কমবে। তাই ভাড়া কমতেও পারে।

টোল দিতে হবে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতেও

বিআরটিএ চেয়ারম্যান ভাড়া কমতে পারে বললেও বাস্তবে তেমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ পদ্মা সেতুর টোলের পাশাপাশি যানবাহনগুলোকে টোল দিতে হবে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের জন্য। তাই ভাড়া কমার সম্ভাবনা নাই। বরং বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি।

আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় বহুল্র প্রতিক্ষীত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরই যানবাহনের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হবে।

সম্প্রতি সেতুর টোল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। পদ্মা সেতুর নির্ধারিত টোলের হার হচ্ছে, মোটরসাইকেলের জন্য টোল দিতে হবে ১০০ টাকা এবং প্রাইভেট কার ও জিপের জন্য ৭৫০ টাকা। মাঝারি বাসের জন্য ২ হাজার টাকা, বড় বাসের জন্য ২ হাজার ৪০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মিনিবাসকে দিতে হবে ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং মাইক্রোবাসকে দিতে হবে ১ হাজার ৩০০ টাকা।

৫ টন পর্যন্ত ট্রাকের জন্য টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৬০০ টাকা, ৫ থেকে ৮ টনের ট্রাকের জন্য ২ হাজার ১০০ টাকা, ৮ থেকে ১১ টনের ট্রাকের জন্য ২ হাজার ৮০০ টাকা, বড় ট্রাকের জন্য (থ্রি এক্সেল পর্যন্ত) ৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং টেইলারের জন্য ৬ হাজার টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে পদ্মা সেতু দিয়ে প্রতিদিন ২৪ হাজার যানবাহন চলবে। এর মধ্যে রয়েছে ৮ হাজার ২৩৮টি বাস, ১০ হাজার ২৪৪টি ট্রাক, এবং ৫ হাজারের বেশি মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি।

এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবছর যানবাহনের সংখ্যা ৭-৮ শতাংশ হারে বাড়বে। সেক্ষেত্রে ২০৫০ সাল নাগাদ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন ৬৭ হাজার বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলবে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্র জানায়, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের টোল নির্ধারণের বৈঠক হবে ৭ জুন। তারপরই জানা যাবে এক্সপ্রেসওয়ের টোল কত হবে।

মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারেও আছে টোল

পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় ঢুকতে এবং বের হতে হলে টোল দিতে হবে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারেও। এই টোলের পরিমাণও নিতান্ত কম নয়।

মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে টোলের পরিমাণ-ট্রেইলার ৩৫০ টাকা, ট্রাক ৩০০ টাকা, বাস ২৭৩ টাকা, ট্রাক (চার চাকা) ২৭৩ টাকা, মিনি বাস ১৭৩ টাকা, পিকআপ ৬০ টাকা এবং মাইক্রোবাস ৬০ টাকা।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকারের কাছে আমরা আবেদন করেছি ভাড়া সমন্বয় করার জন্য। যেসব বাস পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট হয়ে চলে সেগুলোও যদি পদ্মা সেতু দিয়ে চলার কারণে দূরত্ব কমে তাহলে ভাড়া কমাতেও আপত্তি নেই আমাদের।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব খন্দকার মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকার জনগণকে কর দেয়। তাই টোল আদায়ের কোনো যৌক্তিকতা নাই।

এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পর বাস ও মিনিবাসে ট্রিপ সংখ্যা বেড়েছে জানিয়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এখন টোল দিতে হলে মালিকরা ভাড়ার সঙ্গে সমন্বয় করবে। কাজেই শেষ বিচারে যাত্রীদেরই পকেট কাটা হবে।

আরইউ/এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে