সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পেশার ভেতরে আবদ্ধ থাকা আমি সমর্থন করি না: হাবিবুর রহমান

ডিআইজি হাবিবুর রহমান

পুলিশ বাহিনীতে এক ব্যতিক্রমী নাম হাবিবুর রহমান। তার অনুপ্রেরণা, আন্তরিকতা ও কর্মের মাধ্যমে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বদলে দিয়েছেন কিছু সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবন। আর এই সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়েই তিনি হয়ে উঠেন হাজার মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস। হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি।

হাবিবুর রহমান গোপালগঞ্জের চন্দ্র দিঘলিয়া গ্রামে ১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর করেন। পরে ১৭তম বিসিএস দিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। এরপর থেকেই কর্মক্ষেত্রে নিজের মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন। সাহস, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার জন্য তিনি তিনবার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং দু’বার রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভূষিত হয়েছেন।

পেশাগত ও মানবিক কাজের বাইরে সফল ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পুলিশের সেবার পাশাপাশি মানুষের সেবা করার জন্য গড়েছেন উত্তরণ ফাউন্ডেশন নামে একটি সেবামুখী প্রতিষ্ঠান। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার পদে কাজের সুবাদেই দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। সাভারে বেদে পল্লী সমাজ ব্যবস্থা উন্নয়ন থেকে শুরু করে স্কুল, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, গাড়ি চালনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বুটিক হাউজসহ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের পাশাপাশি বেদেপল্লীর অভিশপ্ত বাল্যবিবাহ রোধে তার ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে দেশে-বিদেশে।

নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিত ও অবহেলিত পিছিয়ে পড়া হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘উত্তরণ কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি চালু করেন। হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনমান উত্তরণ, তাদের পূনর্বাসন ও মানুষ হিসেবে তাদের সামাজিক মর্যাদা সমুন্নত করতে সাড়া জাগানো বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন। যে কারণে এই দুই জনগোষ্ঠীর কাছে তার পরিচয় মানবতার ফেরিওয়ালা।

বাংলাদেশ পুলিশকে মানবিক পুলিশে রূপান্তর করা গেলে এই মানুষগুলোর অনেক সমস্যাই আর থাকবে না। এই চিন্তা চেতনাকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে চলেছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান। মানুষের জন্য নিজে কাজ করছেন। অনুপ্রাণিত করে চলেছেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের।

সম্প্রতি পুলিশি সেবা ও উত্তরণ ফাউন্ডেশনের নানা বিষয় নিয়ে ডিআইজি হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের। নিম্নে তার চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো..

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার নানা ব্যস্ততার মধ্যেও উত্তরণ ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন করেছেন, এটি করার পরিকল্পনা নিলেন কীভাবে?

ডিআইজি হাবিবুর রহমান: আপনারা এবং সবাই জানেন উত্তরণ ফাউন্ডেশন একটি মানবিক সংগঠন। এই সংগঠনটি অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। উত্তরণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত ও অবহেলিত এবং পিছিয়ে পড়া হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘উত্তরণ কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি চালু করা এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন, তাদের পুনর্বাসন ও মানুষ হিসেবে তাদের সামাজিক মর্যাদা সমুন্নত করতে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করা হলো এ সংগঠনের কাজ। ছোট বেলা থেকে নিজের যোগ্যতা ও বাবার আদর্শ বুকে ধারণ করে সমাজের অবহেলিত মানুষের জন্য কিছু করব এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করার ইচ্ছা নিয়েই আমার কাজ করা।

ঢাকাপ্রকাশ: পুলিশি সার্ভিসের পাশাপাশি এমন একটি কাজ করা কি সম্ভব?

ডিআইজি হাবিবুর রহমান: আমি একজন পুলিশ কর্মকর্তা আমার কাজ আইন বাস্তবায়ন করা। পুলিশি সার্ভিসের মধ্যে যেগুলো আছে সেই সমস্ত কাজ দায়িত্ব নিয়ে করে থাকি। কিন্তু একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে, একজন মানুষ হিসেবে পেশার ভেতরে আবদ্ধ থাকা সেটাকে আমি সমর্থন করি না। আমি মনে করি পুলিশের সেবার ভেতরে এবং বাইরে উভয় জায়গায় অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। ইচ্ছা শক্তি থাকলে পুলিশের কাজের পাশাপাশি আরও অনেক কিছু করা সম্ভব।

ঢাকাপ্রকাশ: উত্তরণ ফাউন্ডেশন মূলত কাদের নিয়ে কাজ করে?

ডিআইজি হাবিবুর রহমান: মূলত উত্তরণ ফাউন্ডেশন হলো মানবিক সেবামুখী একটি সংগঠন। যেখানে মানুষ বিপদগ্রস্ত হয় সেখানেই আমাদের এই সংগঠন বিভিন্ন সেবার উদ্দেশে কাজ করে।

ঢাকাপ্রকাশ: এক সময় বেদে সম্প্রদায় ও হিজড়া সম্প্রদায়ের লোক নানা অপরাধে যুক্ত ছিল, তাদের নিয়ে কাজ করতে কোনো সমস্যা হয়েছে কি?

ডিআইজি হাবিবুর রহমান: আমরা যারা পুলিশে কাজ করি তারা জানি এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কিছু আইনগত বিষয় রয়েছে। আমরা সবাই জানি পুলিশ আইনের মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে কিন্তু আইন প্রয়োগ ছাড়াও অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি পুলিশের এখতিয়ারের মধ্যেও রয়েছে। যেমন, কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যেমে সাধারণ জনগণকে পুলিশের কাজে ইনভাইট করে পারস্পারিক একটি আস্থার সম্পর্ক তৈরি করে এবং অনেক সময় তার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়ে যায় এগুলোই কমিউনিটি পুলিশিং। হয়তো কোনো একটা বিষয় নিয়ে মামলা হতে পারত বা কোনো জটিলতা তৈরি হতো কিন্তু কমিউনিটি পুলিশিং থাকার কারণে বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে যদি আমার বা আইনের লোকের পক্ষে সেটি সম্ভব হয় তাহলে আমি মনে করি সেই বিষয়টিতে আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এমন ভাবে আমরা বেদে সম্প্রদায় ও হিজড়া সম্প্রদায়ের মানুষের সমস্যা সমাধনের পথ খুঁজেছি।

ঢাকাপ্রকাশ: পুলিশের দেওয়া বিভিন্ন ধরনের মামলার জট রয়েছে এসব মামলা ডিসপোজাল হতে সময় নেয় কেন?

ডিআইজি হাবিবুর রহমান: বাংলাদেশে বিভিন্ন অপরাধ সংক্রান্ত মামলাগুলোর প্রশাসন সিস্টেম রয়েছে এবং এসব মামলার জুডিশিয়াল সিস্টেম রয়েছে। এসব নিয়ে আমি বলব অনেক মামলার জটও রয়েছে যে মামলাগুলো হয় সেই মামলা থানায় ডিসপোজাল হতে একটু সময় নেয় এরপরে জেলায় অথবা কোর্টে যায় আমরা দেখেছি ওইসব মামলা শেষ হতে অনেক সময় লাগে। একটি ঘটনার বিচার হতে কয়েক বছর সময় লাগে। সেই সময় পর্যন্ত বিচার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা এবং ধৈর্য অনেকেই হারিয়ে ফেলেন। এই মামলার বিষয়ে আমি বলতে চাই, যদি এ বিষয়ে বা ঘটনা ঘটার আগেই যদি সুষ্ঠু সমাধান দিতে পারি তাহলে অনেক ক্ষেত্রে অপরাধজনক ঘটনা কমে যায়। যদি পুলিশ এবং জনগণ আরও একটু সচেতন হয় তাহলে এ বিষয়গুলো মীমাংসা করা যায়। তো এসব বিষয়ে আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন ঝামেলা মিটমাট করার। যাতে কারো কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়।

ঢাকাপ্রকাশ: মাদকব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের আপনারা কীভাবে সমাজের ভালো পথে ফিরিয়ে আনতে কাজ করেন?

ডিআইজি হাবিবুর রহমান: আমরা মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের প্রথমে কাউন্সেলিং করি এবং তাকে কিভাবে সমাজের ভালো পথে ফিরিয়ে আনতে হয় সেসব নিয়ে কাজ করি। আমাদের যেসব অফিসাররা আছেন সবার উদ্দেশে বলতে চাই একটা কাজে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজে নিজের জায়গা থেকে সমাজের জন্য কিছু করতে হবে। আমাদের পুলিশ অফিসাররা অনেক জায়গায় বর্তমানে মানবিক বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছেন। যেমন, তারা একজন মাদক ব্যবসায়ীকে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছেন, তাকে খারাপ পথ থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। একজন নাগরিক হিসেবে আমার অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। শুধুমাত্র আইনের ধরা-বাধার মধ্যে থাকতে চাই না। সমাজের জন্য কিছু করতে চাই।

ঢাকাপ্রকাশ: আমাদের সমাজে তো আরও অনেক অসংগতি আছে। সন্ত্রাস, মাদকের মতো সমস্যাগুলো আমাদের সামাজিক ব্যাধি। একজন আইনের মানুষ হয়ে ওই সমস্যাগুলো সমাধানে অগ্রাধিকার না দিয়ে মানবিক কাজে যুক্ত হয়েছেন। এর কি কোনো সুনির্দিষ্ট গল্প আছে?

ডিআইজি হাবিবুর রহমান: আমাদের সমাজে যে সব অসংগতি আছে সব সমস্যা আসলেই একেবারে সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে যেসব অসংগতি চোখে পড়ে তা সমাধানের জন্য চেষ্টা করি। সন্ত্রাস, মাদকের মতো সমস্যাগুলো আমাদের সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে সেসবও সমাধানের জন্য আমরা কাজ করছি। আর মানবিক কাজের বিষয়টি হলো, আমি যখন ঢাকা জেলার এসপি হিসেবে কাজ করতাম তখন আমি দেখতে পাই বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের যে মানবতার জীবন এবং পাশাপাশি তাদের যে চিরাচরিত পেশা সেটা সমাজের ঘৃণিত পেশা, অনেকেই পছন্দ করে না, তাছাড়া নানা অপরাধে তারা জড়িয়ে যাচ্ছে। তখন তাদের সেখান থেকে রক্ষা করার জন্য এবং তাদের প্রচলিত সমাজে অগ্রগতি দেওয়ার জন্য যতোটুকু পারি ততটুকু আমি চেষ্টা করেছি। তাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমরা নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তারা মারা গেলে তাদের কবরস্থানে কবর দিতে দেওয়া হতো না, তাদের সন্তানদের স্কুলে যেতে দেওয়া হতো না তাদের প্রাধান্য দিত না। তখন থেকে আমার মনে হলো এটা তো ঠিক না। এরপর থেকে আমি তাদের নিয়ে কাজ শুরু করি।

ঢাকাপ্রকাশ: আর কাদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে আছে ফাউন্ডেশনের?

ডিআইজি হাবিবুর রহমান: আমরা মূলত তৃতীয় লিঙ্গ ও বেদে জনগোষ্ঠীদের নিয়ে কাজ করেছি। সেই সঙ্গে সমাজের নিরীহ মানুষ, প্রতিবন্ধী ও অবহেলিত মানুষদের নিয়ে কাজ করি। তাছাড়া ফাউন্ডেশনের আরও কিছু চিন্তা আছে সেগুলো হয়তো পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আমরা মানুষের জীবন যাত্রার উয়ন্ননের জন্য বিভিন্ন কাযর্ক্রয় চলমান রেখেছি।

ঢাকাপ্রকাশ: উত্তরণ ফাউন্ডেশন তো অনেকদিন ধরেই এই মানবিক কাজগুলো করে যাচ্ছে। জনমানুষের সমর্থন কেমন পাচ্ছেন?

ডিআইজি হাবিবুর রহমান: উত্তরণ ফাউন্ডেশন ইতোমধ্যে মানুষের জীবন যাত্রার মান উয়ন্ননের একটি সংগঠন হিসেবে বেশ সাড়া পাচ্ছে। এজন্য সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সহযোগিতারও প্রয়োজন আছে।

ঢাকাপ্রকাশ: উত্তরণ ফাউন্ডেশনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

ডিআইজি হাবিবুর রহমান: উত্তরণ ফাউন্ডেশনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো মানুষের সেবা করা। তবে ফাউন্ডেশনের ভবিষ্যৎ বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো প্রকাশ বা বাস্তবায়ন করা হয়নি, চিন্তার মধ্যে রয়েছে। তবে আমি একজন মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যেতে চাই এটাই হলো আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।

ঢাকাপ্রকাশ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ডিআইজি হাবিবুর রহমান: ঢাকাপ্রকাশ পরিবার এবং আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

কেএম/আরএ/

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে