শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সম্ভাবনার নতুন দুয়ার পদ্মা সেতু-১১

এক কিশোরীর চোখে পদ্মা পারাপারের স্বপ্ন

বাবা তখন ঢাকায় চাকরি করতেন। আমার জন্ম হয়নি। বড় দুই ভাই খুব ছোট। প্রতিবার ছুটি শেষে বাবা ঢাকায় চলে আসতেন। ভাইয়েরা বাবাকে যেতে না দেয়ার জন্য কান্না জুড়তেন। তখন বাবা নাকি বলতেন, পদ্মা সেতুটা হইলে সকালে বাড়ি থেকে ঢাকা গিয়ে অফিস করে সন্ধ্যায় আবার তোদের কাছেই ফিরবো। পদ্মা পেরোলেই তো ঢাকা। আমার দুই মানিককে বুকে নিয়ে শান্তির ঘুম দিব...।

বলতে বলতে নাকি বাবার দুচোখ বিস্ময়ে চকচক করে উঠতো। সেই বিস্ময় ভরা চোখের দিকে তাকিয়ে দুই ভাই আনন্দে খিল খিল করে হেসে উঠতো। হাত তালি দিত। যুগ যুগ ধরে পদ্মা সেতু নিয়ে ওপারের মানুষ এভাবে কত শত স্বপ্ন বুনে গেছেন। পদ্মার ওপারের মানুষের কাছে পদ্মা সেতু নিয়ে এমন উচ্ছ্বাসের হাজারো গল্প শুনেই বড় হয়েছি আমরা। এরপর কত বছর পেরিয়ে গেছে। বাবা বৃদ্ধ হয়েছেন। বাবা এখন পদ্মার ওপারের গ্রামে থাকেন। আর সময়ের প্রয়োজনে আমরা ভাই-বোনেরা থাকছি ঢাকায়। পদ্মার কারণে এ দূরত্বটুকু মনে হয় এক সমুদ্র।

আমরা ঢাকায় কিংবা যেখানেই থাকি ঈদ কিংবা কোন উৎসব এলে সকলকে পদ্মার ওপারের সবুজে ঘেরা সেই ঘরটিতেই ফিরতে হয়। সেখানেই যেন সকল শান্তির বসবাস। তবে ওই যে বললাম, পদ্মার কারণে দূরত্বটুকু যেন এক সমুদ্র। সেই শান্তির ঘর পর্যন্ত পৌঁছাতেই করতে হয় বিশাল যুদ্ধ জয়। এক ঈদযাত্রার কথা বলতে পারি। ২০১৯ সালে ঈদে বাড়ি যাওয়া নিয়ে আমরা আগেই পরিকল্পনা করলাম, কীভাবে দ্রুততম সময়ে বাড়ি যাওয়া যেতে পারে। ঠিক করা হলো ঢাকা থেকে আমরা রওনা হবো সেহরি খেয়েই। যত দ্রুত পদ্মার পাড়ে পৌঁছানো যায়! ভোর রাতে নিশ্চই রাস্তা ফাঁকা কিংবা ফেরিও পেয়ে যাবো খুব সহজে। আর তাতে করে সকাল ১০টা-১১ টায় পৌঁছে যাব বাড়ি। ইফতারে কি কি আয়োজন হবে তা আগে থেকেই বাজার করে রেখেছেন বাবা। আজ সবাই একসঙ্গে ইফতার করবো।

ভাবতেই খুব আনন্দ হচ্ছিলো। সেখানে আমাদের অপেক্ষায় রয়েছে বাবা-মায়ের স্নিগ্ধ-ক্লান্ত দুই জোড়া চোখ। আমাদের দেখা পেলেই যেন চোখের সকল ক্লান্তি সেরে যাবে। যা ভেবেছিলাম, রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা। খুব কম সময়ে আমরা পৌঁছে গেলাম পদ্মার পাড়ে। যখন পৌঁছেছি সূর্য কেবল আলো ছড়াচ্ছে। সদ্য ভোরের সোনালী আলোয় যা দেখলাম, হাজার হাজার গাড়ি স্থির দাঁড়িয়ে আছে ফেরীর অপেক্ষায়। হয়তো আমাদের মতন তারাও ভেবেছিলো ভোরেই পৌঁছাবে ঘরে। তাইতো সবাই সেহরি খেয়েই রওনা। তাদের লাইনে যোগ হলো আমাদের গাড়িও। লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলো। এক সময় ফেরিও পার হওয়া গেলো।

আমরা যখন মাদারীপুর শহর পার হচ্ছি তখন মাগরিবের আজান হচ্ছে! বাড়ি যেতে তখনও ঘন্টা খানেক বাকি। খাবার কিনে গাড়িতেই ইফতার করে নিতে হলো। বাবা মা তখনও অপেক্ষা করছিলেন একসঙ্গে বসে ইফতার করবেন বলে। একটি সেতুর অভাবে এমন ঘটনা ঘটেছে আরও অসংখ্য মানুষের ক্ষেত্রে। এখন স্বপ্নের পদ্মা সেতু হয়েছে। সামনের ২৫ জুন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। খবরটি বাবাকে জানাতেই বিস্ময়ে তার দুচোখ চক চক করে উঠলো। এবার তার সন্তানেরা পদ্মা পেরিয়ে বাবাকে দেখার তৃষ্ণা নিয়ে তার বুকে ফিরবে স্বল্পতম সময়েই।

পদ্মা সেতু নিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ঘরে ঘরে রয়েছে এরকম হাজারো গল্প। প্রায়ই খবর শোনা যায় ফেরীর অপেক্ষায় অ্যাম্বুলেন্সেই রোগীর মৃত্যুর খবর। মুমূর্ষু ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে আসার পথেই রোগীর মৃত্যু। পদ্মার ওপারের মানুষেরা উন্নত চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন এই একটা সেতুর জন্য। সুচিকিৎসার অভাবে স্বজন হারানোর বেদনা আছে ওই অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি পরিবারের মধ্যে। আমাদের আত্মীয় মাদারীপুরের কালকিনী উপজেলা সাহেবরামপুর গ্রামের সারওয়ার ভাইয়ের বাবা হঠাৎ স্টোক করেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ছুটলেন ঢাকার উদ্দেশ্যে। পদ্মা পেরোলেই রাজধানী ঢাকা। পাবেন উন্নত চিকিৎসা। চিকিৎসা দিয়ে বাবাকে সুস্থ করে নিয়েই তবে বাড়ি ফিরবেন। সেই স্বপ্ন নিয়েই যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ফেরী ঘাটেই আটকা পড়লেন ৫ ঘন্টা। ফলে যা হবার তা-ই হলো। উন্নত চিকিৎসার আশা সেখানেই মাটি। ফেরি ঘাটেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন রোগী। ফলে লাশ নিয়েই বাড়ি ফিরলেন তারা। সেদিন তিনি বারবার একটি কথাই বলেছিলেন, নদীতে একটি সেতু থাকলে হয়তো বাবা আজ বেঁচে ফিরতেন।

পদ্মা সেতু না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা, কত শত মানুষের প্রাণ দিতে হয়েছে পদ্মার উন্মত্ত ঢেউয়ে। সেই যন্ত্রণাময় দিনগুলি শেষ হতে চলেছে। এবার সেসব পেছনে ফেলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেয়ার পালা এসেছে। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এসব সমস্যার সমাধান হবে। এই অঞ্চলে এখন শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে। মানুষ উন্নত চিকিৎসা পাবে। গোটা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চেহারা বদলে যাবে। সকলের চোখে পদ্মা সেতু অর্জন এক বিস্ময়। এ বিস্ময় আমার বাংলাদেশের।
এসজেটি/এনএইচবি/এএজেড

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের