সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সম্ভাবনার নতুন দুয়ার পদ্মা সেতু-১১

এক কিশোরীর চোখে পদ্মা পারাপারের স্বপ্ন

বাবা তখন ঢাকায় চাকরি করতেন। আমার জন্ম হয়নি। বড় দুই ভাই খুব ছোট। প্রতিবার ছুটি শেষে বাবা ঢাকায় চলে আসতেন। ভাইয়েরা বাবাকে যেতে না দেয়ার জন্য কান্না জুড়তেন। তখন বাবা নাকি বলতেন, পদ্মা সেতুটা হইলে সকালে বাড়ি থেকে ঢাকা গিয়ে অফিস করে সন্ধ্যায় আবার তোদের কাছেই ফিরবো। পদ্মা পেরোলেই তো ঢাকা। আমার দুই মানিককে বুকে নিয়ে শান্তির ঘুম দিব...।

বলতে বলতে নাকি বাবার দুচোখ বিস্ময়ে চকচক করে উঠতো। সেই বিস্ময় ভরা চোখের দিকে তাকিয়ে দুই ভাই আনন্দে খিল খিল করে হেসে উঠতো। হাত তালি দিত। যুগ যুগ ধরে পদ্মা সেতু নিয়ে ওপারের মানুষ এভাবে কত শত স্বপ্ন বুনে গেছেন। পদ্মার ওপারের মানুষের কাছে পদ্মা সেতু নিয়ে এমন উচ্ছ্বাসের হাজারো গল্প শুনেই বড় হয়েছি আমরা। এরপর কত বছর পেরিয়ে গেছে। বাবা বৃদ্ধ হয়েছেন। বাবা এখন পদ্মার ওপারের গ্রামে থাকেন। আর সময়ের প্রয়োজনে আমরা ভাই-বোনেরা থাকছি ঢাকায়। পদ্মার কারণে এ দূরত্বটুকু মনে হয় এক সমুদ্র।

আমরা ঢাকায় কিংবা যেখানেই থাকি ঈদ কিংবা কোন উৎসব এলে সকলকে পদ্মার ওপারের সবুজে ঘেরা সেই ঘরটিতেই ফিরতে হয়। সেখানেই যেন সকল শান্তির বসবাস। তবে ওই যে বললাম, পদ্মার কারণে দূরত্বটুকু যেন এক সমুদ্র। সেই শান্তির ঘর পর্যন্ত পৌঁছাতেই করতে হয় বিশাল যুদ্ধ জয়। এক ঈদযাত্রার কথা বলতে পারি। ২০১৯ সালে ঈদে বাড়ি যাওয়া নিয়ে আমরা আগেই পরিকল্পনা করলাম, কীভাবে দ্রুততম সময়ে বাড়ি যাওয়া যেতে পারে। ঠিক করা হলো ঢাকা থেকে আমরা রওনা হবো সেহরি খেয়েই। যত দ্রুত পদ্মার পাড়ে পৌঁছানো যায়! ভোর রাতে নিশ্চই রাস্তা ফাঁকা কিংবা ফেরিও পেয়ে যাবো খুব সহজে। আর তাতে করে সকাল ১০টা-১১ টায় পৌঁছে যাব বাড়ি। ইফতারে কি কি আয়োজন হবে তা আগে থেকেই বাজার করে রেখেছেন বাবা। আজ সবাই একসঙ্গে ইফতার করবো।

ভাবতেই খুব আনন্দ হচ্ছিলো। সেখানে আমাদের অপেক্ষায় রয়েছে বাবা-মায়ের স্নিগ্ধ-ক্লান্ত দুই জোড়া চোখ। আমাদের দেখা পেলেই যেন চোখের সকল ক্লান্তি সেরে যাবে। যা ভেবেছিলাম, রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা। খুব কম সময়ে আমরা পৌঁছে গেলাম পদ্মার পাড়ে। যখন পৌঁছেছি সূর্য কেবল আলো ছড়াচ্ছে। সদ্য ভোরের সোনালী আলোয় যা দেখলাম, হাজার হাজার গাড়ি স্থির দাঁড়িয়ে আছে ফেরীর অপেক্ষায়। হয়তো আমাদের মতন তারাও ভেবেছিলো ভোরেই পৌঁছাবে ঘরে। তাইতো সবাই সেহরি খেয়েই রওনা। তাদের লাইনে যোগ হলো আমাদের গাড়িও। লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলো। এক সময় ফেরিও পার হওয়া গেলো।

আমরা যখন মাদারীপুর শহর পার হচ্ছি তখন মাগরিবের আজান হচ্ছে! বাড়ি যেতে তখনও ঘন্টা খানেক বাকি। খাবার কিনে গাড়িতেই ইফতার করে নিতে হলো। বাবা মা তখনও অপেক্ষা করছিলেন একসঙ্গে বসে ইফতার করবেন বলে। একটি সেতুর অভাবে এমন ঘটনা ঘটেছে আরও অসংখ্য মানুষের ক্ষেত্রে। এখন স্বপ্নের পদ্মা সেতু হয়েছে। সামনের ২৫ জুন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। খবরটি বাবাকে জানাতেই বিস্ময়ে তার দুচোখ চক চক করে উঠলো। এবার তার সন্তানেরা পদ্মা পেরিয়ে বাবাকে দেখার তৃষ্ণা নিয়ে তার বুকে ফিরবে স্বল্পতম সময়েই।

পদ্মা সেতু নিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ঘরে ঘরে রয়েছে এরকম হাজারো গল্প। প্রায়ই খবর শোনা যায় ফেরীর অপেক্ষায় অ্যাম্বুলেন্সেই রোগীর মৃত্যুর খবর। মুমূর্ষু ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে আসার পথেই রোগীর মৃত্যু। পদ্মার ওপারের মানুষেরা উন্নত চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন এই একটা সেতুর জন্য। সুচিকিৎসার অভাবে স্বজন হারানোর বেদনা আছে ওই অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি পরিবারের মধ্যে। আমাদের আত্মীয় মাদারীপুরের কালকিনী উপজেলা সাহেবরামপুর গ্রামের সারওয়ার ভাইয়ের বাবা হঠাৎ স্টোক করেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ছুটলেন ঢাকার উদ্দেশ্যে। পদ্মা পেরোলেই রাজধানী ঢাকা। পাবেন উন্নত চিকিৎসা। চিকিৎসা দিয়ে বাবাকে সুস্থ করে নিয়েই তবে বাড়ি ফিরবেন। সেই স্বপ্ন নিয়েই যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ফেরী ঘাটেই আটকা পড়লেন ৫ ঘন্টা। ফলে যা হবার তা-ই হলো। উন্নত চিকিৎসার আশা সেখানেই মাটি। ফেরি ঘাটেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন রোগী। ফলে লাশ নিয়েই বাড়ি ফিরলেন তারা। সেদিন তিনি বারবার একটি কথাই বলেছিলেন, নদীতে একটি সেতু থাকলে হয়তো বাবা আজ বেঁচে ফিরতেন।

পদ্মা সেতু না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা, কত শত মানুষের প্রাণ দিতে হয়েছে পদ্মার উন্মত্ত ঢেউয়ে। সেই যন্ত্রণাময় দিনগুলি শেষ হতে চলেছে। এবার সেসব পেছনে ফেলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেয়ার পালা এসেছে। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এসব সমস্যার সমাধান হবে। এই অঞ্চলে এখন শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে। মানুষ উন্নত চিকিৎসা পাবে। গোটা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চেহারা বদলে যাবে। সকলের চোখে পদ্মা সেতু অর্জন এক বিস্ময়। এ বিস্ময় আমার বাংলাদেশের।
এসজেটি/এনএইচবি/এএজেড

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে