শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সম্ভাবনার নতুন দুয়ার পদ্মা সেতু-১১

এক কিশোরীর চোখে পদ্মা পারাপারের স্বপ্ন

বাবা তখন ঢাকায় চাকরি করতেন। আমার জন্ম হয়নি। বড় দুই ভাই খুব ছোট। প্রতিবার ছুটি শেষে বাবা ঢাকায় চলে আসতেন। ভাইয়েরা বাবাকে যেতে না দেয়ার জন্য কান্না জুড়তেন। তখন বাবা নাকি বলতেন, পদ্মা সেতুটা হইলে সকালে বাড়ি থেকে ঢাকা গিয়ে অফিস করে সন্ধ্যায় আবার তোদের কাছেই ফিরবো। পদ্মা পেরোলেই তো ঢাকা। আমার দুই মানিককে বুকে নিয়ে শান্তির ঘুম দিব...।

বলতে বলতে নাকি বাবার দুচোখ বিস্ময়ে চকচক করে উঠতো। সেই বিস্ময় ভরা চোখের দিকে তাকিয়ে দুই ভাই আনন্দে খিল খিল করে হেসে উঠতো। হাত তালি দিত। যুগ যুগ ধরে পদ্মা সেতু নিয়ে ওপারের মানুষ এভাবে কত শত স্বপ্ন বুনে গেছেন। পদ্মার ওপারের মানুষের কাছে পদ্মা সেতু নিয়ে এমন উচ্ছ্বাসের হাজারো গল্প শুনেই বড় হয়েছি আমরা। এরপর কত বছর পেরিয়ে গেছে। বাবা বৃদ্ধ হয়েছেন। বাবা এখন পদ্মার ওপারের গ্রামে থাকেন। আর সময়ের প্রয়োজনে আমরা ভাই-বোনেরা থাকছি ঢাকায়। পদ্মার কারণে এ দূরত্বটুকু মনে হয় এক সমুদ্র।

আমরা ঢাকায় কিংবা যেখানেই থাকি ঈদ কিংবা কোন উৎসব এলে সকলকে পদ্মার ওপারের সবুজে ঘেরা সেই ঘরটিতেই ফিরতে হয়। সেখানেই যেন সকল শান্তির বসবাস। তবে ওই যে বললাম, পদ্মার কারণে দূরত্বটুকু যেন এক সমুদ্র। সেই শান্তির ঘর পর্যন্ত পৌঁছাতেই করতে হয় বিশাল যুদ্ধ জয়। এক ঈদযাত্রার কথা বলতে পারি। ২০১৯ সালে ঈদে বাড়ি যাওয়া নিয়ে আমরা আগেই পরিকল্পনা করলাম, কীভাবে দ্রুততম সময়ে বাড়ি যাওয়া যেতে পারে। ঠিক করা হলো ঢাকা থেকে আমরা রওনা হবো সেহরি খেয়েই। যত দ্রুত পদ্মার পাড়ে পৌঁছানো যায়! ভোর রাতে নিশ্চই রাস্তা ফাঁকা কিংবা ফেরিও পেয়ে যাবো খুব সহজে। আর তাতে করে সকাল ১০টা-১১ টায় পৌঁছে যাব বাড়ি। ইফতারে কি কি আয়োজন হবে তা আগে থেকেই বাজার করে রেখেছেন বাবা। আজ সবাই একসঙ্গে ইফতার করবো।

ভাবতেই খুব আনন্দ হচ্ছিলো। সেখানে আমাদের অপেক্ষায় রয়েছে বাবা-মায়ের স্নিগ্ধ-ক্লান্ত দুই জোড়া চোখ। আমাদের দেখা পেলেই যেন চোখের সকল ক্লান্তি সেরে যাবে। যা ভেবেছিলাম, রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা। খুব কম সময়ে আমরা পৌঁছে গেলাম পদ্মার পাড়ে। যখন পৌঁছেছি সূর্য কেবল আলো ছড়াচ্ছে। সদ্য ভোরের সোনালী আলোয় যা দেখলাম, হাজার হাজার গাড়ি স্থির দাঁড়িয়ে আছে ফেরীর অপেক্ষায়। হয়তো আমাদের মতন তারাও ভেবেছিলো ভোরেই পৌঁছাবে ঘরে। তাইতো সবাই সেহরি খেয়েই রওনা। তাদের লাইনে যোগ হলো আমাদের গাড়িও। লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলো। এক সময় ফেরিও পার হওয়া গেলো।

আমরা যখন মাদারীপুর শহর পার হচ্ছি তখন মাগরিবের আজান হচ্ছে! বাড়ি যেতে তখনও ঘন্টা খানেক বাকি। খাবার কিনে গাড়িতেই ইফতার করে নিতে হলো। বাবা মা তখনও অপেক্ষা করছিলেন একসঙ্গে বসে ইফতার করবেন বলে। একটি সেতুর অভাবে এমন ঘটনা ঘটেছে আরও অসংখ্য মানুষের ক্ষেত্রে। এখন স্বপ্নের পদ্মা সেতু হয়েছে। সামনের ২৫ জুন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। খবরটি বাবাকে জানাতেই বিস্ময়ে তার দুচোখ চক চক করে উঠলো। এবার তার সন্তানেরা পদ্মা পেরিয়ে বাবাকে দেখার তৃষ্ণা নিয়ে তার বুকে ফিরবে স্বল্পতম সময়েই।

পদ্মা সেতু নিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ঘরে ঘরে রয়েছে এরকম হাজারো গল্প। প্রায়ই খবর শোনা যায় ফেরীর অপেক্ষায় অ্যাম্বুলেন্সেই রোগীর মৃত্যুর খবর। মুমূর্ষু ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে আসার পথেই রোগীর মৃত্যু। পদ্মার ওপারের মানুষেরা উন্নত চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন এই একটা সেতুর জন্য। সুচিকিৎসার অভাবে স্বজন হারানোর বেদনা আছে ওই অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি পরিবারের মধ্যে। আমাদের আত্মীয় মাদারীপুরের কালকিনী উপজেলা সাহেবরামপুর গ্রামের সারওয়ার ভাইয়ের বাবা হঠাৎ স্টোক করেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ছুটলেন ঢাকার উদ্দেশ্যে। পদ্মা পেরোলেই রাজধানী ঢাকা। পাবেন উন্নত চিকিৎসা। চিকিৎসা দিয়ে বাবাকে সুস্থ করে নিয়েই তবে বাড়ি ফিরবেন। সেই স্বপ্ন নিয়েই যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ফেরী ঘাটেই আটকা পড়লেন ৫ ঘন্টা। ফলে যা হবার তা-ই হলো। উন্নত চিকিৎসার আশা সেখানেই মাটি। ফেরি ঘাটেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন রোগী। ফলে লাশ নিয়েই বাড়ি ফিরলেন তারা। সেদিন তিনি বারবার একটি কথাই বলেছিলেন, নদীতে একটি সেতু থাকলে হয়তো বাবা আজ বেঁচে ফিরতেন।

পদ্মা সেতু না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা, কত শত মানুষের প্রাণ দিতে হয়েছে পদ্মার উন্মত্ত ঢেউয়ে। সেই যন্ত্রণাময় দিনগুলি শেষ হতে চলেছে। এবার সেসব পেছনে ফেলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেয়ার পালা এসেছে। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এসব সমস্যার সমাধান হবে। এই অঞ্চলে এখন শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে। মানুষ উন্নত চিকিৎসা পাবে। গোটা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চেহারা বদলে যাবে। সকলের চোখে পদ্মা সেতু অর্জন এক বিস্ময়। এ বিস্ময় আমার বাংলাদেশের।
এসজেটি/এনএইচবি/এএজেড

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত