সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়ে জীবিত রাখা হচ্ছে ২২ প্রকল্প

চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) ৪১৫টি প্রকল্প সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। কিন্তু চার কোটি টাকা থেকে শুরু করে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের ২২টি প্রকল্প দুই থেকে চারবার সংশোধন করে সময় বাড়িয়েও শেষ হচ্ছে না। নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও কোনো কোনো প্রকল্প এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। তাই আগামী অর্থবছরে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এসব প্রকল্পে মাত্র এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়ে জীবিত রাখার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনবারের বেশি কোনো প্রকল্প সংশোধন করা যাবে না বলা হলেও কোনো কোনো প্রকল্প চতুর্থবারও সংশোধন করা হবে।

মঙ্গলবার (১৭ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে শেষ করার কথা থাকলেও করোনার কারণে অনেক প্রকল্প ঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি। কোনো কোনো প্রকল্প ৯৮ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে। তাই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সংশোধনের জন্য বলেছে। এর সুফল পেতে আগামী অর্থবছরে ২২টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব প্রকল্পে এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারা পরে সমন্বয় করে নেবে। একই সঙ্গে প্রকল্প সংশোধনের নিয়ম মেনে তা বাস্তবায়ন করবে।’

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে সরকার ৪১৫টি প্রকল্প সম্পন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু তা পারছে না বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। বাধ্য হয়ে আগামী অর্থবছরের (২০২২-২৩) এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়ে জীবিত রাখা হচ্ছে এবং সংশোধন করে সময় বাড়িয়ে শেষ করা হবে।

লাখ টাকা করে বরাদ্দ রাখা প্রকল্প রয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থপনা বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, জননিরপত্তা বিভাগে। এ ছাড়া আইন ও বিচার বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়েরও একটি প্রকল্প রয়েছে।

সূত্র জানায়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বেতারের জাতীয় বেতার ভবনে আধুনিক ও ডিজিটাল সম্প্রচার যন্ত্রপাতি স্থাপন প্রকল্পটি ২০১৬ সালে শুরু হয়ে ২০২২ পর্যন্ত চারবার সংশোধন করে আগামী জুনে শেষ করার কথা রয়েছে। চলতি অর্থবছরে ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দও রাখা হয়েছে। তারপরও শেষ হচ্ছে না প্রায় ৭৫ কোটি টাকার এ প্রকল্প। বাধ্য হয়ে সরকার আগামী অর্থবছরে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে এবং সময়ও বাড়ানো হয়েছে।

বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের আওতায় আশুগঞ্জ ৪০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পটিও তিনবার সংশোধন করে আগামী জুনে শেষ করার কথা। তারপরও হচ্ছে না। ২০১৫ সালের জুন থেকে শুরু হওয়া ৪২১ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৯৬ শতাংশ। বাকি কাজ শেষ করতে আগামী অর্থবছরে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে শেষ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের আরেকটি মিরসরাই ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পটিও ২০১৭ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০১৯ সালে শেষ হবার কথা। কয়েকবার সংশোধন করে জুনে শেষ করার কথা থাকলেও শেষ হচ্ছে না। ৯৩১ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পে এপ্রিল পর্যন্ত অগ্রগতি হয়েছে ৯৮ শতাংশ। বাকি কাজ শেষ করতে এবার এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তা কার্যকর করতে সময় বাড়ানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গোপালগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স স্থাপন প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুনে শুরু হয়েছে, তা সংশোধন করে ২০২২ সালের জুনে শেষ করার কথা। তাও হচ্ছে না। ৩০ কোটি টাকার প্রকল্পটি সংশোধন করে ২০২৩ সালের জুনে শেষ করার জন্য আবার এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের স্কুল ২১ এমপাওয়ারিং সিটিজেনস ফর ইনক্লুসিভ অ্যান্ড সাসটেইন প্রকল্পটি ২০১৮ সালে শুরু হয়ে ২০২১ সালে শেষ হবার কথা ছিল। ১৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটিতে জুন পর্যন্ত ব্যয় হবে ১২৮ কোটি টাকা। তাই বাকি কাজ শেষ করতে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে জীবিত রাখা হবে এক বছর অর্থাৎ আগামী অর্থবছরের জুনে শেষ করা হবে।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরের সোনাইমুড়ী, কালিগঞ্জ, আড়াইহাজার, মঠবাড়ীয়া উপজেলায় ট্রেনিং সেন্টারও হোস্টেল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৪ সালের জুনে শুরু হয়ে ২০২১ সালের জুনে শেষ করার কথা। কিন্তু দুই বছর সময় বাড়িয়েও তা শেষ হচ্ছে না। তাই সাড়ে ৫২ কোটি টাকার প্রকল্পটি সংশোধন করে ২০২৩ সালের জুনে শেষ করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুনে শেষ করার কথা। কিন্তু ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের সময় দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তাই নতুন এডিপিতে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেজ প্রকল্পটি ২০১৩ সালের জুনে শুরু হয়ে ২০২২ সালে শেষ হবার কথা। তারপরও হচ্ছে ৭২৭ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প। তাই বাকি কাজ শেষ করতে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে নতুন এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ফরিদপুরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘরসহ বঙ্গবন্ধু উদ্যান স্থাপন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পটিও ২০২২ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে জুনে শেষ করার কথা। কিন্তু সময় বাড়িয়েও প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের এক টাকাও ব্যয় হয়নি। কোনো কাজ না হওয়ায় নতুন এডিপিতে লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

লাখ টাকা বরাদ্দের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ এমভি আকরামকে উপজীব্য করে নারায়ণগঞ্জে একটি নৌ-জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পও রয়েছে। যা ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুনে শেষ হবার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পে এক টাকাও ব্যয় হয়নি। তাই নতুন এডিপিতে যুক্ত করা হয়েছে।
লাখ টাকা বরাদ্দের তালিকায় রয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের চর ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রকল্প। প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুনে শেষ করার কথা। তা হচ্ছে না।

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত পল্লী জনপদ নির্মাণ প্রকল্পেও লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মসূচি প্রকল্পটিতেও লাখ টাকা রবাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ১৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি ২০১৪ সালের মার্চ থেকে কয়েকবার সংশোধন করে ২০২২ সালের মার্চে শেষ করার কথা। তাও হচ্ছে না।

নতুন এডিপিতে লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বরিশাল মেট্রেপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ প্রকল্পে। যা ২০১৯ সালের জুলাই শুরু হয়ে তিন বার সংশোধন করে ২০২২ সালের জুনে শেষ করা কথা ছিল। তা হচ্ছে না। প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কারা অধিদপ্তরের কারা নিরাপত্তা আধুনিকায়ন প্রকল্পটিতেও লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এ তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বর্তমান জায়গায় ১৫ তলা ভবন নির্মাণ, উত্তরা লেক উন্নয়ন প্রকল্প। আছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া ও বিভিন্ন হলের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন ও পরিমার্জন কাজ প্রকল্প। সংশোধন করেও চলতি অর্থবছরে শেষ করতে না পারায় আরবান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন প্রকল্প, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ এবং ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট স্থাপন, গাজিপুর শাখা প্রকল্প।

জেডএ/এসএন

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে