সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়ে জীবিত রাখা হচ্ছে ২২ প্রকল্প

চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) ৪১৫টি প্রকল্প সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। কিন্তু চার কোটি টাকা থেকে শুরু করে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের ২২টি প্রকল্প দুই থেকে চারবার সংশোধন করে সময় বাড়িয়েও শেষ হচ্ছে না। নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও কোনো কোনো প্রকল্প এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। তাই আগামী অর্থবছরে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এসব প্রকল্পে মাত্র এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়ে জীবিত রাখার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনবারের বেশি কোনো প্রকল্প সংশোধন করা যাবে না বলা হলেও কোনো কোনো প্রকল্প চতুর্থবারও সংশোধন করা হবে।

মঙ্গলবার (১৭ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে শেষ করার কথা থাকলেও করোনার কারণে অনেক প্রকল্প ঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি। কোনো কোনো প্রকল্প ৯৮ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে। তাই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সংশোধনের জন্য বলেছে। এর সুফল পেতে আগামী অর্থবছরে ২২টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব প্রকল্পে এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারা পরে সমন্বয় করে নেবে। একই সঙ্গে প্রকল্প সংশোধনের নিয়ম মেনে তা বাস্তবায়ন করবে।’

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে সরকার ৪১৫টি প্রকল্প সম্পন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু তা পারছে না বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। বাধ্য হয়ে আগামী অর্থবছরের (২০২২-২৩) এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়ে জীবিত রাখা হচ্ছে এবং সংশোধন করে সময় বাড়িয়ে শেষ করা হবে।

লাখ টাকা করে বরাদ্দ রাখা প্রকল্প রয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থপনা বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, জননিরপত্তা বিভাগে। এ ছাড়া আইন ও বিচার বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়েরও একটি প্রকল্প রয়েছে।

সূত্র জানায়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বেতারের জাতীয় বেতার ভবনে আধুনিক ও ডিজিটাল সম্প্রচার যন্ত্রপাতি স্থাপন প্রকল্পটি ২০১৬ সালে শুরু হয়ে ২০২২ পর্যন্ত চারবার সংশোধন করে আগামী জুনে শেষ করার কথা রয়েছে। চলতি অর্থবছরে ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দও রাখা হয়েছে। তারপরও শেষ হচ্ছে না প্রায় ৭৫ কোটি টাকার এ প্রকল্প। বাধ্য হয়ে সরকার আগামী অর্থবছরে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে এবং সময়ও বাড়ানো হয়েছে।

বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের আওতায় আশুগঞ্জ ৪০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পটিও তিনবার সংশোধন করে আগামী জুনে শেষ করার কথা। তারপরও হচ্ছে না। ২০১৫ সালের জুন থেকে শুরু হওয়া ৪২১ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৯৬ শতাংশ। বাকি কাজ শেষ করতে আগামী অর্থবছরে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে শেষ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের আরেকটি মিরসরাই ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পটিও ২০১৭ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০১৯ সালে শেষ হবার কথা। কয়েকবার সংশোধন করে জুনে শেষ করার কথা থাকলেও শেষ হচ্ছে না। ৯৩১ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পে এপ্রিল পর্যন্ত অগ্রগতি হয়েছে ৯৮ শতাংশ। বাকি কাজ শেষ করতে এবার এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তা কার্যকর করতে সময় বাড়ানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গোপালগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স স্থাপন প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুনে শুরু হয়েছে, তা সংশোধন করে ২০২২ সালের জুনে শেষ করার কথা। তাও হচ্ছে না। ৩০ কোটি টাকার প্রকল্পটি সংশোধন করে ২০২৩ সালের জুনে শেষ করার জন্য আবার এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের স্কুল ২১ এমপাওয়ারিং সিটিজেনস ফর ইনক্লুসিভ অ্যান্ড সাসটেইন প্রকল্পটি ২০১৮ সালে শুরু হয়ে ২০২১ সালে শেষ হবার কথা ছিল। ১৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটিতে জুন পর্যন্ত ব্যয় হবে ১২৮ কোটি টাকা। তাই বাকি কাজ শেষ করতে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে জীবিত রাখা হবে এক বছর অর্থাৎ আগামী অর্থবছরের জুনে শেষ করা হবে।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরের সোনাইমুড়ী, কালিগঞ্জ, আড়াইহাজার, মঠবাড়ীয়া উপজেলায় ট্রেনিং সেন্টারও হোস্টেল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৪ সালের জুনে শুরু হয়ে ২০২১ সালের জুনে শেষ করার কথা। কিন্তু দুই বছর সময় বাড়িয়েও তা শেষ হচ্ছে না। তাই সাড়ে ৫২ কোটি টাকার প্রকল্পটি সংশোধন করে ২০২৩ সালের জুনে শেষ করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুনে শেষ করার কথা। কিন্তু ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের সময় দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তাই নতুন এডিপিতে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেজ প্রকল্পটি ২০১৩ সালের জুনে শুরু হয়ে ২০২২ সালে শেষ হবার কথা। তারপরও হচ্ছে ৭২৭ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প। তাই বাকি কাজ শেষ করতে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে নতুন এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ফরিদপুরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘরসহ বঙ্গবন্ধু উদ্যান স্থাপন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পটিও ২০২২ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে জুনে শেষ করার কথা। কিন্তু সময় বাড়িয়েও প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের এক টাকাও ব্যয় হয়নি। কোনো কাজ না হওয়ায় নতুন এডিপিতে লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

লাখ টাকা বরাদ্দের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ এমভি আকরামকে উপজীব্য করে নারায়ণগঞ্জে একটি নৌ-জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পও রয়েছে। যা ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুনে শেষ হবার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পে এক টাকাও ব্যয় হয়নি। তাই নতুন এডিপিতে যুক্ত করা হয়েছে।
লাখ টাকা বরাদ্দের তালিকায় রয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের চর ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রকল্প। প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুনে শেষ করার কথা। তা হচ্ছে না।

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত পল্লী জনপদ নির্মাণ প্রকল্পেও লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মসূচি প্রকল্পটিতেও লাখ টাকা রবাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ১৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি ২০১৪ সালের মার্চ থেকে কয়েকবার সংশোধন করে ২০২২ সালের মার্চে শেষ করার কথা। তাও হচ্ছে না।

নতুন এডিপিতে লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বরিশাল মেট্রেপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ প্রকল্পে। যা ২০১৯ সালের জুলাই শুরু হয়ে তিন বার সংশোধন করে ২০২২ সালের জুনে শেষ করা কথা ছিল। তা হচ্ছে না। প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কারা অধিদপ্তরের কারা নিরাপত্তা আধুনিকায়ন প্রকল্পটিতেও লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এ তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বর্তমান জায়গায় ১৫ তলা ভবন নির্মাণ, উত্তরা লেক উন্নয়ন প্রকল্প। আছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া ও বিভিন্ন হলের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন ও পরিমার্জন কাজ প্রকল্প। সংশোধন করেও চলতি অর্থবছরে শেষ করতে না পারায় আরবান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন প্রকল্প, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ এবং ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট স্থাপন, গাজিপুর শাখা প্রকল্প।

জেডএ/এসএন

 

Header Ad
Header Ad

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার আইসিসিতে পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার: প্রেস সচিব

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে নির্বিচারে গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাতে প্রাণ যায় শত শত মানুষের। আহত হন অনেকে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তদন্তে নেমে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ পায় জাতিসংঘ।

প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, হত্যায় জড়িত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।

আন্দোলন দমানোর নামে হত্যার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো মোবাইলসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে। ১০ জুলাইয়ের পর এসব আলামত নষ্টের অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহার।

তিনি বলেন, শুধু ডিলিট না, কথাও যেন কোন ডেটা না থাকে সেজন্যে স্থায়ীভাবে ডিলিট করার নির্দেশনাও আমরা তদন্তে পেয়েছি। সেসমস্ত জিনিস আমরা পুনরুদ্ধার করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে আদালতে প্রেরণযোগ্যের ব্যবস্থা করেছি।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের বিচারের বিষয়টি নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোর সুযোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, এটি পাঠাতে পারলে সুবিধা হচ্ছে সারা বিশ্বের মানুষ দেখতে পারবে কি নৃশংসভাবে বাংলাদেশে গণহত্যা চালান হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, রোম আইনের বলে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই আদালত। ১২৫টি রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশও এর সদস্য। জেনোসাইড, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার হয় আইসিসিতে।

Header Ad
Header Ad

ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি

বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এ নোটিশ দিয়ে সংহতি জানিয়েছে গাজার পক্ষে। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি চলছে। গত রাতেই ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এ নোটিশ দিয়ে সংহতি জানিয়েছে গাজার পক্ষে।

রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে জড়ো হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় আর কলেজগুলোর সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়াও গাজায় হামলা বন্ধের দাবিতে একই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ছাত্র শিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।

রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই ঘটনায় রাজধানীর বিজয় নগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা, ফিলিস্তিনের নাগরিকদের উপর চালানো গণহত্যার প্রতিবাদ ও স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবি উঠে আসে তাদের স্লোগানে। এসময় সোমবার জেনারেল স্ট্রাইকে দেশবাসীকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিশ্বব্যাপী ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আজকের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই গণহত্যার প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও।

Header Ad
Header Ad

যুদ্ধের মাঝে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটলেন নেতানিয়াহু

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নিরলস হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। বর্বর ও নির্বিচার এই হামলার মধ্যেও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ভূখণ্ডটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গত কয়েক মাসের মধ্যে গাজা থেকে ইসরায়েলে সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে তারা।

একইসঙ্গে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে দেওয়া হয়েছে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক। এমন অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটে গেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

সোমবার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের সাথে দেখা করার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রোববার হাঙ্গেরি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটে গেছেন বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথের মতে, নেতানিয়াহু সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সাথে আলোচনা করবেন। এতে বলা হয়েছে, “গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং যুদ্ধের অবসানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উইটকফের উপস্থিতি ‘ইসরায়েলি বন্দি মুক্তির ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে’।”

সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের সাথেও দেখা করবেন। বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড মূলত ট্রাম্পের শুল্ক নীতির তত্ত্বাবধান করেন। গত বুধবার উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য ঘাটতির কারণে অন্যান্য দেশের সাথে ইসরায়েলের ওপর ১৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বসতে চলেছেন নেতানিয়াহু।

পৃথক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, রোববার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আগামী দুই দিন ধরে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে তাড়াহুড়ো করে নির্ধারিত বৈঠক করবেন।

বৈঠকগুলোতে মূলত গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ এবং জিম্মিদের বিষয়ে আলোচনা করা হবে, যাদের মধ্যে ৫৯ জন এখনও গাজায় বন্দি রয়েছেন। সেইসাথে ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতি নিয়েও আলোচনার কথা রয়েছে। সফরের কথা ঘোষণা করার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে নেতানিয়াহু রোববার বুদাপেস্ট থেকে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

এদিকে নেতানিয়াহুর এই সফর মঙ্গলবার পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, এই সফরের সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে। গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু, ট্রাম্প এবং হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় কথোপকথনের পর এই সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, স্ত্রী সারাকে নিয়ে ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর পরেইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বিমানবন্দর থেকে কাফেলা নিয়ে ব্লেয়ার হাউসের দিকে যান। সেখানে বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের সাথে তার দেখা করার কথা ছিল।

আনাতোলু বলছে, ইসরায়েলের প্রধান মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহুর সফর এমন এক সময় এলো যখন তেল আবিব গাজা উপত্যকায় মারাত্মক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৩ সালের অক্টোবর থেকে নির্বিচার হামলায় অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় প্রায় ৫০ হাজার ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।

গত সপ্তাহান্তে নেতানিয়াহু গাজায় আক্রমণ আরও বাড়ানোর ঘোষণা দেন। ফিলিস্তিনি এই ছিটমহল থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের বিষয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টাও চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার আইসিসিতে পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার: প্রেস সচিব
ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি
যুদ্ধের মাঝে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটলেন নেতানিয়াহু
রাজশাহীতে ট্রাক-বাসের সংঘর্ষে নিহত তিন, আহত অর্ধশত
পুরান ঢাকায় নাজিমউদ্দিন রোডে আগুন, নিহত ১
ইসরাইলি বসতিতে হামাসের মুহুর্মুহু রকেট হামলা (ভিডিও)
আমরা গাজায় আরও তীব্র হামলা চালাব: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
নওগাঁয় আকাশ থেকে পড়ল বিরল আকৃতির শীলা, আতঙ্কিত এলাকাবাসী
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির ডাক
বিয়ের গেটে পার্টি স্প্রে দেওয়া নিয়ে মারামারি, ভাঙল বিয়ে
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যায় ছাত্রদলের নিন্দা ও কর্মসূচি ঘোষণা
দপ্তর হারালেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব নিজাম উদ্দিন
বাংলাদেশে ব্যবসা করার অনুমোদন পেল স্টারলিংক
শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প ও মার্কিন প্রশাসনকে চিঠি দেবে বাংলাদেশ: প্রেস সচিব
দর্শনায় পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর বাস্তবায়নে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের পরিদর্শন
ফেসবুকে নির্বাচনের কথা লিখলে সংঘবদ্ধ গালি শুরু হয়ে যাচ্ছে: ইশরাক
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রভাব সামাল দেওয়া কঠিন হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
বিদেশি শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বুধবার
এসএসএফের সাবেক ডিজি ও তার স্ত্রীর ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, ৩৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ