ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আসিফ-সারজিস-হাসনাতদের
আসিফ-হাসনাত-সারজিসদের
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, খান তালাত মাহমুদ রাফি এবং আরও কয়েকজনের আইডি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি, বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের নাম সার্চ করেও কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। অনেকেই ধারণা করছেন, তাদের ফেসবুক আইডি ডিজেবল হয়ে গেছে। তবে জানা গেছে, হ্যাকারদের আক্রমণের আশঙ্কায় নিরাপত্তার স্বার্থে তারা স্বেচ্ছায় আইডি ডি-অ্যাক্টিভেট করে রেখেছেন।
Crack Platoon-Bangladesh Cyberforce নামের একটি পেজ থেকে দাবি করা হয় যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের ফেসবুক আইডি এবং পেজ ডিজেবল করা হয়েছে। পেজটির এক পোস্টে সাইয়্যেদ আবদুল্লাহ এবং খান তালাত মাহমুদ রাফির আইডি ডিজেবল করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য এক পোস্টে বলা হয়, "মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের আন্দোলনের নেপথ্যে থাকা রাফির আইডি স্থায়ীভাবে ডিজেবল করা হয়েছে।" এছাড়াও ছাত্রলীগের মধ্যে থাকা "জুলাই ষড়যন্ত্র" এবং "জঙ্গি কার্যক্রমের" জন্য হাসনাত আব্দুল্লাহর আইডি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
Crack Platoon-Bangladesh Cyberforce জানিয়েছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে কাজ করছে এবং "রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ" গড়ার উদ্দেশ্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তারা কোনো পেইড টিম বা ব্যক্তির নির্দেশে কাজ করে না বলে দাবি করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ জানান, "আমরা নিজেরাই নিরাপত্তার জন্য আইডি ডি-অ্যাক্টিভেট করে রেখেছি। হ্যাকিং গ্রুপকে শনাক্ত করে সুরক্ষা নিশ্চিত করা হলে আইডি পুনরায় চালু করা হবে।"
ঢাবির আইন বিভাগের আলোচিত শিক্ষার্থী সাইয়্যেদ আবদুল্লাহ বলেন, "হঠাৎ মেসেজ পেলাম আমার আইডি ডিজেবল করার চেষ্টা চলছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরেও আইডি সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম এক পোস্টে জানান, "বিশেষ নিরাপত্তার কারণে আমার আইডি ডি-অ্যাক্টিভেট করা হচ্ছে।"