সোমার পড়াশুনার দায়িত্ব নিলো পুনাক

সোমা রায় এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে তার উচ্চ শিক্ষা অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল। তার খবর পাওয়ার পর তার উচ্চশিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যান সংস্থার (পুনাক)।
সোমার বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী, মা গ্রামে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। তাদের বড় মেয়ে সোমা রায় এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে তার উচ্চ শিক্ষা অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল। এমন মানবিক আবেদনের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দৃষ্টিগোচর হয় পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদের সহধর্মিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যান সংস্থার (পুনাক) সভানেত্রী জীসান মির্জার। প্রাথমিক খবরের সত্যাসত্য যাচাইয়ের পর দরিদ্র পরিবারের অসহায় ওই মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
জীসান মির্জার দেওয়া উপহার হিসেবে শনিবার (৮ জানুয়ারি) বিকালে সোমার হাতে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পাঠ্য বইসহ নানা শিক্ষা উপকরণ তুলে দেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান। জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বই ও উপকরণ প্রদান অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, আগৈলঝাড়া থানার ওসি গোলাম সরোয়ারসহ সোমা রায়ের বাবা অশোক রায় এবং মা শিখা রানী উপস্থিত ছিলেন।
সোমা রায়ের বাড়ি বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামে। সে এবার বারোপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে। তাদের পরিবারে আরও এক ভাই ও বোন আছে। আর্থিক অনটনের কারণে তার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘মেয়েটির অসহায়ত্বের খবর গৃষ্টিগোচর হওয়ার পর পুনাক সভানেত্রী বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে বলেন। জেলা পুলিশ সুপার যাচাই করে প্রকৃত অবস্থা পুনাক সভানেত্রীকে অবহিত করেন। এরপর তিনি ওই ছাত্রীর লেখাপড়ায় যাবতীয় সহায়তা করার ইচ্ছে পোষণ করেন। গতকাল তার প্রেরিত বই ও অন্য উপকরণ সোমার হাতে তুলে দেওয়া হয়।’ উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি এবং পরবর্তীতে সোমার লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ পুনাক বহন করবে বলে জানান ডিআইজি।
বইসহ অন্য উপকরণ উপহার পেয়ে ভীষণ খুশী সোমা রায়। তিনি পুনাক সভানেত্রীকে ধন্যবাদ জানান। আগামী দিনে সোমা পড়াশোনা করে একজন সৎ মানুষ এবং ডাক্তার হয়ে বঞ্চিত মানুষের সেবা করাতে চায়।
এসও/এএন
