সিলেটে এক বছরে সড়কে ঝরেছে ২৭৮ প্রাণ

সিলেট বিভাগে ২০২১ সালে মোট ৩১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। একই সময়ে এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬৫৪ জন। শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিশু সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ প্রতিবেদনে তিনি জানান, গেল বছরে বিভাগের চার জেলার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে সিলেট জেলায়। এ জেলায় ১৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৯ জন নিহত ও ৩১৩ জন আহত হয়েছেন। সুনামগঞ্জ জেলায় ৪২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ও ১৯৩ জন আহত হয়েছেন। মৌলভীবাজার জেলায় ৪২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩ নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন। হবিগঞ্জ জেলায় ৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৮ জন নিহত ও ১০২ জন আহত হয়েছেন।
নিসচার প্রতিবেদনে ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালে ১৮৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেট বিভাগে ২৫০ জন নিহত ও ৩৯৮ জন আহত হয়েছিলেন।
নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্য-সচিব জহিরুল ইসলাম মিশু গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলেন, ‘দেশের ১১টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন পত্রিকার তথ্য, অনুমেয় অনুজ বা অপ্রকাশিত ঘটনা ও নিসচার শাখা সংগঠনগুলোর রিপোর্টের ভিত্তিতে নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সারাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করেছে।’
প্রতিবেদনে সড়কে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং এর অভাব, টাস্কফোর্স কর্তৃক প্রদত্ত ১১১টি সুপারিশনামার বাস্তবায়ন না হওয়া, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিং করা, বিরতি ছাড়া দীর্ঘসময় ধরে গাড়ি চালনা, সড়ক-মহাসড়কের মোটরসাইকেলও তিন চাকার গাড়ি বৃদ্ধি, রাস্তার পাশে হাট বাজার ও দোকানপাট বসানো, অশিক্ষিত ও অদক্ষ চালক, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন না হওয়া ইত্যাদি দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এছাড়া প্রতিবেদনে জেলা পর্যায়ে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত লোক সংখ্যা, অপর্যাপ্ত রাস্তা, মোটরসাইকেল ও রিকশার আলাদা লেন না থাকা, পথচারীদের নিয়ম না মানার প্রবণতা, জেব্রাক্রসিং, ওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ব্যবহার না করে যত্রতত্র পারাপার ও রাস্তা চলাচল ও পারাপারের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করাকে দায়ী করা হয়েছে।
এসইউ/এএন
