নেত্রকোনায় 'ওবিল' আদায় নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে অটোরিকসা স্ট্যান্ডে 'ওবিল' আদায় নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে হাসান মিয়া নামে একজন অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অপর দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত অটোরিকশা চালক হাসান মিয়া জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাকরপুর গ্ৰামের জালাল মিয়ার ছেলে। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে জেলার মোহনগঞ্জ পৌর শহরের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার অটোরিকসা স্ট্যান্ডে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,সংঘর্ষ চলাকালে আশপাশের ১০/১৫টি দোকান ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। নেত্রকোনা মডেল থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মোহনগঞ্জের বরকাশিয়া গ্রামের একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে 'ওবিলের' নামে প্রতিদিন ১০ টাকা করে চাঁদা নিতেন। বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে একই উপজেলার বিরামপুর গ্রামের অটোচালকেরা ১০ টাকা চাঁদা প্রতিদিন দেবেন না বললে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে তা দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
শহরের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার অটোরিকশা স্ট্যান্ডে সংঘর্ষ শুরুর পর তা ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী মোহনগঞ্জ বাজারেও । সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন। বিকেলে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে একদল সুযোগ-সন্ধানী লোক ১০/১৫টি দোকান ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, দুই অটোচালকের মাঝে টাকা আদায় নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে তা দুই গ্ৰামবাসীর মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এতে একজন অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন।অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।
এএজেড