ডিসির সহযোগিতায় পরীক্ষা দিচ্ছেন শিলা হাজং
কয়েক বছরের বেতন ও হোস্টেল ভাড়ার প্রায় দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় পরীক্ষায় বসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল শিলা হাজং নামের এক পরীক্ষার্থীর। এমন খবর জানাজানির পর বিষয়টি নজরে আসে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের। তিনি দুর্গাপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাজীব-উল-আহসান এর মাধ্যমে সহযোগিতা করার ফলে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন শিলা হাজং।
শিলা হাজং ময়মনসিংহ জেলার ব্রাহ্মপল্লির স্কুলার নার্সিং ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থী । তার বাড়ি জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নে। বড় ভাই পোশাক শ্রমিক রঘুনাথ হাজং। তিনি পোশাক কারখানায় চাকরি করে যে সামান্য টাকা পান তা দিয়ে তার অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা আর সংসারের ভরণপোষণ কোনভাবে চলে। কিন্তু একমাত্র বোন শিলাকে পড়ানোর আশা তার। তার বাবা রবীন্দ্র হাজং দিনমজুরি করে সামান্য কিছু অর্থ উপার্জন করেন। তাতে সংসারের ব্যয়ভার বহন করা ও শিলার পড়ালেখার খরচ বহন করা সম্ভব নয়।
এমন বিষয় জানার পর জেলা প্রশাসক মহোদয় মেয়েটিকে তার কার্যালয়ে ডেকে তার হাতে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন। এর ফলে এ শিক্ষার্থীর পরীক্ষার পথের সমস্ত বাধা দূর হলো। তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থীর পড়াশুনার যাবতীয় খরচ বহন করবে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সবসময় মানুষের দুর্দিনে মানবিকতার সাথে পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
তিনি শিলা হাজং নামের এ শিক্ষার্থীকে নার্সিং এর এ মহান পেশার মাধ্যমে ভবিষ্যতে একইভাবে সেবার দ্বারা সাধারণ মানুষের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান৷ শিলা হাজং বলেন, আমি কথা বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। জেলা প্রশাসক স্যারকে আমার ধন্যবাদ দেওয়ার মত কোন ভাষা নেই। তিনি আমাদের কাছে ঈশ্বরের মত হয়ে এসেছেন। এই টাকা না পেলে আমার পরীক্ষা দেয়া হতো না। আমি উনার এই মহানুভবতার কথা সারাজীবন মনে রাখব।
এএজেড