সুদের টাকা না পেয়ে ১৩ বছরের মেয়েকে বিয়ের অভিযোগ

সুদের টাকা না পাওয়ায় ঋণ গ্রহীতার ১৩ বছরের মেয়েকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে ৫৫ বছর বয়সী সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কাকুয়া ইউনিয়নের রাঙাচিরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে মঙ্গলবার (১ মার্চ) এ বিষয়টি জানাজানি হয়।
সিরাজুল ইসলাম টাঙ্গাইল সদরের চিলাবাড়ি গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে। তিনি সুদের কারবার করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা আরও জানায়, সিরাজুলের স্ত্রী ও কলেজ পড়ুয়া সন্তান রয়েছে।
মেয়েটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে সুদে টাকা নেন রাঙ্গাচিরা গ্রামের ইউসুফ। তবে তিনি সময় মতো টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। এজন্য স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় ইউসুফের ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ে করেন সিরাজুল ইসলাম। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে বিয়ের নিবন্ধন করেন স্থানীয় কাজী আমিরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে রাঙাচিরা গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) মেম্বার সোলাইমান মণ্ডল জানান, ‘ঘটনাটি পরে জানতে পেরেছি। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানলে এমন ঘটনা ঘটতে দিতাম না।’
কাকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘সুদের টাকার জন্য চাপ দিয়ে বিয়ে করেছেন কি না তা আমার জানা নেই।
তবে অভাব-অনটনের কারণে পরিবার মেয়েটির বিয়ে দিয়েছে বলে স্থানীয় মেম্বার আমাকে জানিয়েছেন।’
এদিকে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘শরিয়তে কোনো নিষেধ নাই। ৮০ বছরের বুড়াও ১২ বছরের মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে। তাহলে আমি পারব না কেন? আমার বড় বউ অসুস্থ থাকে। তাই পরিবারের মত নিয়েই প্রস্তাবের মাধ্যমে বিয়ে করেছি।’
তবে মেয়েটির পরিবারকে সুদের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে বিয়ে করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রানুয়ারা খাতুন বলেন, 'বিষয়টি এখন জানতে পারলাম। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এসআইএইচ
