চুয়াডাঙ্গায় সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধর মরদেহ উদ্ধার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর তেলপাম্পের নিকট থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ জুন) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তির মাথায় ক্ষতচিহ্নসহ মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাবীদ হাসান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, বেশ কিছুদিন থেকেই অজ্ঞাত মানসিক ভারসম্যহী ওই ব্যক্তি সন্তোষপুর তেলপাম্পের কাছে থাকতো। স্থানীয় লোকজন তাকে খাবার দিতো। সেটা খেয়ে সে সেখানে রাত যাপন করতো।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এদিন ভোর ৫টা হতে সকাল ৬টার মধ্যে কোন এক সময় জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে দ্রুতগতির পরিবহনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হয়ে তার মৃত্যু হয়। একটি শব্দ পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পায় ব্যক্তিটি ঘটনাস্থলেই মরে পড়ে আছে। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে জীবননগর থানায় নিয়ে এসে সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্ত্রী মডেল রিয়ামনিকে জীবন থেকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন হিরো আলম। ছবি: সংগৃহীত
দেশের আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের পালক বাবা আবদুর রাজ্জাক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার একটি সরকারি হাসপাতালে রাত ৯টায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। পালক বাবার মৃত্যুর সংবাদটি হিরো আলম নিজেই গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, জীবনের শেষ সময়ে পালক বাবার পাশে না থাকায় স্ত্রী মডেল রিয়ামনিকে জীবন থেকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন হিরো আলম। আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করলেও রিয়ামনির বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি। আলম বলেন, ‘এই মুহূর্তে কোনো কথা বলতে চাই না। যা বলার আমি ফেসবুকে বলে দিয়েছি।
সবাই আমার বাবার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করবেন।’ এর আগে, বাবার মৃত্যু খবর জানিয়ে হিরো আলম ফেসবুকে লিখেছেন, রিয়া মনিকে আমার জীবন থেকে বয়কট করলাম। কারণ আমার বাবা হসপিটালে। সে আমার বাবার কাছে না থেকে বিভিন্ন ছেলেদের নিয়ে নাচগান করে বেড়ায় এবং তার পরিবারে কোনো সদস্য আমার বাবা এতদিন হসপিটালে কেউ কোনদিন দেখতে আসেনি।
আমার বাবা বেঁচে থাকতে দেখতে আসলো না। তাহলে আমি পড়ে থাকলে সে কি করবে? হিরো আলম আরও উল্লেখ করেন, রিয়ামনি ঢাকা শহরে বিভিন্ন বারের ডান্সার। সেখান থেকে আমি একটা ভালো পথে আনার চেষ্টা করেছিলাম। ছেড়ে দেওয়া গরু কোনদিন ঘরে বন্দি করে রাখা যায়? খুব শীঘ্রই মায়ামনি রিয়া খুব তাড়াতাড়ি তারা যে কত খারাপ বুঝতে পারবেন আপনারা। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে রিয়ামনির প্রেমে পড়েছিলেন হিরো আলম।
সে কারণেই দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল নুসরাত জাহান হিরো আলমকে ডিভোর্স দেন। পরে হিরো আলম রিয়ামনিকে বিয়ে করেন। তার সঙ্গে জুটিবেঁধে বেশ কিছু কাজ করছেন হিরো আলম।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ওয়াশিংটন ডিসিতে ওই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নানা ধরনের ইস্যু নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়।
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার উত্থান ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলে এক সাংবাদিক বলেন, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসও দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে ইসলামপন্থি চরমপন্থার উত্থানের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার প্রতিবাদের সময় বাংলাদেশে প্রকাশ্যে ওসামা বিন লাদেনের ছবি প্রদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া নাৎসি প্রতীক ব্যবহারের মতো বিষয় এবং মার্কিন ব্র্যান্ড কোকাকোলা এবং কেএফসির বিরুদ্ধে ইহুদি-বিরোধী প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এই বিষয়গুলোকে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে দেখছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এর জবাবে ট্যামি ব্রুস বলেন, আমি আপনার বক্তব্য শুনেছি এবং আপনার উদ্বেগের প্রশংসা করি। বাংলাদেশের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশটির বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আমরা আগেও বহুবার আলোচনা করেছি, বিশেষ করে এখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের মাধ্যমে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি।
ব্রিটিশ এমপি ও শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর বিষয়টিও উঠে আসে ব্রিফিংয়ে। মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, এই গ্রেফতারি পরোয়ানা বাংলাদেশের আদালতের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে। অবশ্যই এসব বিষয় এবং আপনি যা আলোচনা করছেন সেগুলো বাংলাদেশের প্রশাসনের বিষয়। অবশ্যই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আলোচনা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জনগণই নির্ধারণ করবে। আপনি যা বর্ণনা করছেন, তাদেরও সেগুলোর মুখোমুখি হতে হচ্ছে। নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে এটাকে তুচ্ছ বলে উল্লেখ করতে চাই না, কিন্তু এটা সত্যি।
নওগাঁয় ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
নওগাঁয় ছয় দফা দাবিতে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছেন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শহরের ঢাকা বাসস্টান্ড এলাকায় নওগাঁ-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী শহরের ঢাকা বাস স্টান্ড এলাকায় নওগাঁ-বগুড়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে নওগাঁ-বগুড়া রুটসহ শহরের প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নওগাঁ-বগুড়া রুটে চলাচল করে দূরপাল্লার কোচ ও আন্তঃজেলা রুটে চলাচল করা বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটকা পড়ে। এতে শহরজুড়ে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।
নওগাঁ পলিটেকনিকের শিক্ষার্থী মোত্তাকিনুল আলম বলেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠানসহ দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কর্মরত জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতি দিয়ে সম্প্রতি হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন। এই রায় তাঁরা বাতিল চান। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ২০২১ সালে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
আরেক শিক্ষার্থী জাকির রাজিবুল হক বলেন, ‘ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা এর আগে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আবারও আন্দোলনে নেমেছি।’
নওগাঁয় ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হচ্ছে, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল করতে হবে। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইসস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।
দ্বিতীয় দাবি, ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করতে হবে। উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু করতে হবে এবং একাডেমিক কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ইংরেজি মাধ্যমে করতে হবে। তৃতীয় দাবি, উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রীয়, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
চতুর্থ দাবি, কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এই পদগুলোয় অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ ও সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
এ ছাড়া স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা’ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন করতে হবে। আর ষষ্ঠ দাবি, পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতাভুক্ত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ সিটে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।