হেলিকপ্টার কিনে ফেলেছেন সড়কের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা!
সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা জাকির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
চাকরি করেন সড়ক বিভাগের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে। আর তাতেই কিনে ফেলেছেন নিজস্ব হেলিকপ্টার। শুনতে অবাক লাগলেও এমনই অভিযোগ উঠেছে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। তিনি পিরোজপুর সড়ক বিভাগের বিভাগীয় হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। গত ৬ বছর যাবত তিনি এখানেই কর্মরত রয়েছেন।
সড়ক বিভাগের এই কর্মকর্তার হেলিকপ্টার কেনার অভিযোগটি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ও বিভিন্ন সমালোচনার জন্ম দিয়েছে জনমনে। তারা বলছেন সড়ক বিভাগে চাকরি নামক আলাদিনের চেরাগ হাতে আছে বলেই এমন অসম্ভবকে সম্ভব করতে পেরেছেন জাকির হোসেন।
এদিকে সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হিসাব রক্ষক জাকির হোসেনের স্থাবর-অস্থাবরসহ যাবতীয় সম্পদ নিজের এবং স্বজনদের নামে ঠিক কতটুকু রয়েছে। সেই সাথে হেলিকপ্টার কেনার বিষয়টি সত্যি কি না এসব বিষয়ে তদন্ত করছে দুদক।
এ বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনের কাছেও তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। দুদকের পিরোজপুর জেলার উপ-পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা গণমাধ্যমকে জানান, আমরা হেলিকপ্টার কেনার বিষটি জানার পরে আমরা সিভিল এভিয়েশনের কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছি; আসলে তিনি কোনো হেলিকপ্টারের মালিক কি না। সেই সঙ্গে তার কোনো শেয়ার আছে কি না। আমাদের কাছে এখনও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নাই। চিঠির জবাব পেলেই জানতে পারবো সত্যি টা কি।
পিরোজপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, বিষয়টি আমিও জেনেছি। দুদকে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।
এদিকে সকল অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আমার বা আমার পরিবারের কোনো হেলিকপ্টার নেই। কেউ বা কারা হয়তো আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এসব করতেছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আমাকে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। আমার কাছে তাদের পক্ষ হতে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে মৌখিকভাবে বিষয়টি শুনেছি।