বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নওগাঁয় সরিষা উৎপাদনের সাথে বাড়ছে মধু আহরণ

মৌচাষের জন্য সরিষা খেতের পাশে বসানো হয়েছে মৌ-বাক্স। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সরিষা ফুলের হলুদ রঙের সমারোহ। চলতি মৌসুমে জেলার প্রায় প্রতিটি মাঠ এখন সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখর। যেদিকে চোখ যায় শুধু সরিষা ফুলের হলুদ রঙের চোখ-ধাঁধানো বর্ণিল সমারোহ। এর পাশেই মৌ-বক্স বসিয়েছেন মৌ চাষিরা। এতে মৌমাছির মাধ্যমে সর্ষে ফুলের পরাগায়নে সুবিধা হচ্ছে। পরাগায়নের ফলে একদিকে সর্ষের উৎপাদন বাড়ছে, অন্যদিকে মধু আহরণ করা হচ্ছে। সমন্বিত এই চাষে সরিষা চাষি ও মৌচাষি-দুই পক্ষই লাভবান হচ্ছে। শুধু মধু উৎপাদন করেই এ মৌসুমে আয় হতে পারে ১০ কোটি টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ জেলা কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ জেলায় কৃষকদের দিন দিন সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। পাঁচ বছরে জেলায় সরিষার আবাদ বেড়েছে দিগুনেরও বেশি। জেলার ১১টি উপজেলায় এ বছর সরিষার চাষ হয়েছে ৬৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের তুলনায় ২০ হাজার ৬৫০ হেক্টর বেশি। গত বছর জেলায় সরিষার আবাদ হয়েছিল ৪৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। ২০২১ সালে সরিষার আবাদ হয়েছিল ৩৬ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে, ২০২০ সালে ৩১ হাজার ১৭৫ হেক্টর এবং ২০১৯ সালে সরিষা চাষ হয়েছিল ৩০ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। এই হিসাবে গত পাঁচ বছরে জেলায় সরিষার আবাদ বেড়েছে ৩৭ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি। এবার চাষ হওয়া ৬৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমি থেকে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।

মৌচাষের জন্য সরিষা খেতের পাশে বসানো হয়েছে মৌ-বাক্স

 

স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির কারণে কৃষকেরা গত দুই-তিন বছর ধরেই শর্ষে চাষে ঝুঁকছেন। এবার গত বছরের তুলনায় ২০ হাজার হেক্টরের বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। এ ছাড়া গত মৌসুমে শর্ষের ভালো দাম ছিল। চলতি বছর বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, এবার বর্ষায় বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকায় নিচু জমিগুলো থেকে এবার আগেই পানি নেমে গেছে। ওই সব জমি বোরো আবাদের জন্য দুই-তিন মাস ধরে ফেলে না রেখে কৃষকেরা সেখানে সরিষা চাষ করেছেন। ফসল ঘরে উঠতে সময় লাগে জাত ভেদে ৭০ থেকে ৯০ দিন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় এবার বিভিন্ন মাঠে সরিষা খেতের পাশে গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ৮ হাজারের অধিক মৌ-বক্স স্থাপন করা হয়েছে। এই পরিমাণ বক্স থেকে এবার ২০০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ করা হবে বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ। প্রতি কেজি মধু ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এবার জেলায় শর্ষের ফুল থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকার মধু সংগ্রহ হতে পারে বলে ধারণা করছেন কৃষি কর্মকর্তা ও মৌচাষিরা।

মৌ-বাক্স

 

সূত্রটি আরও জানায়, চলতি বছর জেলায় সবচেয়ে বেশি ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে শর্ষে চাষ হয়েছে মান্দা উপজেলায়। ফলে এ উপজেলার মাঠে মাঠে মৌচাষিদের আনাগোনাও বেশি। মান্দা উপজেলার কালিকাপুর, ভারশো ও তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মাঠগুলোর প্রায় ৭০ শতাংশ জমিজুড়েই সরিষার আবাদ হয়েছে। এসব মাঠে সরিষা খেতের পাশে মৌ-বক্স বসিয়েছেন খামারিরা (মৌচাষিরা)। তাঁরা রাজশাহী, সাতক্ষীরা, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলা থেকে এসেছেন। কেউ কেউ অন্য এলাকা থেকে এসেছেন। মান্দার বিভিন্ন এলাকায় ২২ জন মৌ খামারি ৪ হাজার বক্স নিয়ে এসেছেন মধু সংগ্রহ করতে। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ের মৌচাষিরাও মধু সংগ্রহ করছেন।

গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের জয়বাংলা মোড় এলাকায় মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের ছোট মল্লুকপুর মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পাশে মহাসড়ক সংলগ্ন একটি আম বাগানে ৫০০টি মৌ-বক্স স্থাপন করেছেন মৌচাষি আবুল কালাম আজাদ। রাজশাহীর কেশরহাট উপজেলা থেকে তিনি এসেছেন মধু সংগ্রহের জন্য।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুই সপ্তাহ হলো তিনি ওই মাঠে মধু সংগ্রহের জন্য বক্স বসিয়েছেন। এ পর্যন্ত তিনি ৫০০টি বক্স থেকে দুবার মধু সংগ্রহ করেছেন। প্রতিবার একটি বক্স থেকে আড়াই থেকে তিন কেজি মধু পাওয়া গেছে। গত পাঁচ বছর ধরেই নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় রবি মৌসুমে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসজুড়ে শর্ষে খেতের পাশে মৌ-বক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করে আসছেন।

মৌ-বাক্সে মৌমাছিদের আনাগোনা

 

মান্দার পরেই জেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শর্ষে চাষ হয়েছে নিয়ামতপুর উপজেলায়। নিয়ামতপুরে এবার সরিষার আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। নিয়ামতপুর উপজেলার কয়াশ গ্রামের একটি মাঠে ৮০টি বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছেন মান্দা উপজেলার ভালাইন এলাকার সাইদুর রহমান। তিনি স্কুল শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের সরিষা খেতের পাশে বাক্স বসিয়েছেন।

আব্দুর রাজ্জাক জানান, সরিষা খেত থেকে মধু আহরণ করলে পরাগায়ন হয়। এতে উৎপাদন বাড়ে। তাই তিনি ও আশপাশের জমির মালিকেরা মৌচাষিদের উৎসাহিত করছেন।

সরিষা খেতের পাশেই বসানো হয়েছে মৌ-বাক্স

 

নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল আহসান বলেন, ‘মৌমাছি শর্ষের ফুলে উড়ে উড়ে বসে মধু সংগ্রহ করে। এতে শর্ষে ফুলে সহজে পরাগায়ন ঘটে। শর্ষে খেতে ফুল যত বেশি হবে শর্ষের উৎপাদনও তত বেশি হবে। শর্ষে খেতের পাশে মৌ চাষের বক্স স্থাপন করলে শর্ষের ফলন অন্তত ১০ শতাংশ বাড়ে। পাশাপাশি মৌচাষিরা মধু আহরণ করে লাভবান হন।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মৌমাছির মাধ্যমে বক্স পদ্ধতিতে মধু আহরণ করে কৃষি খাতে ১০ থেকে ২০ শতাংশ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। বিশেষ করে সরিষা, কালিজিরা, আম ও লিচু উৎপাদনের ক্ষেত্রে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের কৃষকের ধারণা এখনও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রচারণার পাশাপাশি মৌচাষে উৎবুদ্ধ করতে খামারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অনেক মৌচাষিকে কৃষি বিভাগ থেকে মৌ-বাক্স ও রাণী মৌমাছিও সরবরাহ করা হচ্ছে।’

Header Ad
Header Ad

পণ্যের দাম বাড়লে অধিকাংশ মানুষ ধরে নেয়, দেশটা ভালো নেই: হাসনাত  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবিঃ সংগৃহীত

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি ও বিভিন্ন পণ্যে সরকারের বর্ধিত কর নিয়ে মুখ খুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। যখন চালের দাম বাড়ে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ে তখন অধিকাংশ মানুষ ধরে নেয়, দেশটা ভালো নেই।

বুধবার (২২ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন হাসনাত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তবে সরকারকে তারা জনগণের কল্যাণে যৌক্তিক দাবিদাওয়া নিয়ে চাপে রাখতে পেরেছে বলে দাবি তার। পাঠকদের জন্য হাসনাত আব্দুল্লাহর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

এই দেশের অধিকাংশ মানুষ সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। দেশটা কেমন আছে সেটাও তারা বোঝার চেষ্টা করেন সহজ হিসাব-নিকেশের মধ্যেই। যখন চালের দাম বাড়ে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ে, বাবা-মা-সন্তানের মুখে পুষ্টিকর খাবার তুলে দিতে ব্যর্থ হয় মানুষ, তখন তারা ধরে নেয় দেশটা ভালো নেই।

লুটপাটের অর্থনীতি জারি রেখে দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে ফ্যাসিজমের দোসররা। রাষ্ট্রীয় প্রকল্পগুলো থেকে জনগণের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আমাদের অর্থনীতিকে করেছে ভঙ্গুর। চাঁদাবাজির অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা ব্যবসা করতে পারেনি। কিন্তু বিগত স্বৈরাচার আমাদের বলতে দিত না।

জুলাইয়ের স্বাধীনতায় গণমানুষ আবার নিজেদের কথা বলার, হতাশা ব্যক্ত করার, প্রতিবাদ করার সক্ষমতা ফিরে পেয়েছে। মজলুম মানুষের এই নানামুখী যন্ত্রণা দিনশেষে ফ্যাসিজমের কবর রচনা করেছে বাংলাদেশে। এ দেশের মানুষকে দমন করে, নিপীড়ন করে, অত্যাচার করে শাসন করা অসম্ভব। আজ হোক বা কাল- আমরা প্রতিবাদ করবই।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নানা সীমাবদ্ধতা ও অদক্ষতার বিরুদ্ধেও মানুষ আজ প্রকাশ্যে অবস্থান নিচ্ছে। সত্যিকার অর্থেই মানুষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। যদিও এটি একটি চমৎকার গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ইঙ্গিত করে।

জনগণের কল্যাণে আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবিদাওয়া নিয়ে সরকারকে চাপে রাখতে পারছি এবং সরকারের সাথে বিতর্ক করতে পারছি। এ দেশের জাগ্রত তরুণ সমাজকে বিভ্রান্ত না করে, তাদের নিয়ে দেশ গঠনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করতে পারলে আমরা সফল হবো। আর অপরপক্ষে গণমানুষ বিবর্জিত বিভাজনের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হলে, জুলাইয়ের সাথে বেইমানি করা হবে।

জনজীবনে চাপ সৃষ্টি করে সরকারের এমন প্রতিটি পদক্ষেপের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা এ দেশের প্রতিটি মানুষ জানার অধিকার রাখে। যেমন, সাম্প্রতিক সময়ে সরকার কেন ভ্যাট বৃদ্ধি করল, এর বিকল্প কী ছিল, কিভাবে জিনিসপত্রের দাম অতি দ্রুত মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা যাবে, কবের মধ্যে ভ্যাট কমানো হবে- এই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণগুলো অবশ্যই অবশ্যই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম একটি দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। এটি নিয়ে ন্যূনতম গড়িমসি করার অর্থ হলো, আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে গণমানুষের স্বপ্ন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অস্তিত্বকে বিপন্ন করা।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্কর  

ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ওয়াশিংটনে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন জয়শঙ্কর।

তবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে-তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি জয়শঙ্কর।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন জয়শঙ্কর। তিনি শপথ অনুষ্ঠানের পর ওয়াশিংটন ডিসিতে দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানকে নিয়ে গঠিত চার দেশীয় জোট কোয়াডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন জয়শঙ্কর।

সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্করের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? এর জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘হ্যাঁ, বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি না যে, এ বিষয়ে বিস্তারিত বলাটা সমীচীন হবে।’

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছে। এর জবাবে তিনি বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সামনে এগিয়ে নিতে ট্রাম্প প্রশাসনের সুস্পষ্ট আগ্রহ রয়েছে। এটা খুবই স্পষ্ট যে, নতুন প্রশাসন ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে ভারতের উপস্থিতি চেয়েছিল। তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

এবার মালয়েশিয়ার নম্বর থেকে আসলো হুমকি বার্তা  

ছবিঃ সংগৃহীত

এবার মালয়েশিয়ার একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বিমানবন্দর এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপে হুমকির বার্তা দেওয়া হয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেওয়া এই হুমকি বার্তার আদৌ কোনো সত্যতা আছে কি না তা জানার চেষ্টা করছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত ১১টায় এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মালয়েশিয়ার একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বিমানবন্দরে হুমকির বার্তা পাঠানো হয়।

এরপরই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চালানো হয়।
হযরত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, একটি অপরিচিত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আমরা আবারও আরেকটি সম্ভাব্য হুমকির বার্তা পেয়েছি। বার্তা পেয়েই নির্ধারিত প্রোটোকল অনুযায়ী বিমানবন্দরে দায়িত্বরত সব বাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

বিমানবন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই।
এর আগে ইতালির রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকির বার্তাটি একটি পাকিস্তানি নম্বর থেকে দেওয়া হয়। এয়ারপোর্ট এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ওই বার্তা দেওয়া হয়।

সে সময় দায়িত্বে ছিলেন এএসপি আব্দুল হান্নান।
ওই বার্তায় বলা হয়, বিমানের রোম থেকে ঢাকা অভিমুখী ফ্লাইটে ৩৪ কেজি বিস্ফোরক রয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণের পর এগুলো বিস্ফোরণ ঘটানো হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পণ্যের দাম বাড়লে অধিকাংশ মানুষ ধরে নেয়, দেশটা ভালো নেই: হাসনাত  
ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্কর  
এবার মালয়েশিয়ার নম্বর থেকে আসলো হুমকি বার্তা  
ইডেনে অভিষেক শর্মার তাণ্ডব: ৭৭ বল বাকি থাকতে ভারতের দাপুটে জয়
চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো দু'দিনব্যাপি তারুন্যের মেলা
এবার ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হলো দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা  
১০ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার
চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  
পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদকের ব্যবসা, জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার মদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিনার বিদ্বেষমূলক খবর প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর