ধর্ষণের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বহিষ্কার
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় এক তরুণীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল খানকে (৩৫) দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কলমাকান্দা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল খানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য জেলা কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক অমিত সরকার স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
জানা গেছে, কলমাকান্দা শহরের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে রাসেল খানের। একপর্যায়ে গত ২২ নভেম্বর প্রেমিকাকে পাহাড় দেখানোর কথা বলে সীমান্তবর্তী পাতলাবন এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যায় রাসেল। ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যা হলে বাড়ি ফেরার কথা বললে নানা বাহানায় সময় ক্ষেপণ করে রাসেল। পরে রাসেল তার তিন বন্ধু সেলিম মিয়া, সাইকুল মিয়া ও সুমন সাহাকে ডেকে আনে।
বাড়ি ফেরার বাহানায় নদীর পাড় দিয়ে হাঁটার সময় একপর্যায়ে ওই তরুণীকে ঝোপের আড়ালে টেনে নিয়ে তিন বন্ধুর সহায়তায় ধর্ষণ করে রাসেল। পরে একে একে তার বন্ধুরাও তরুণীকে ধর্ষণ করে। এসময় তরুণী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে সেখানে রেখে চলে যায় তারা। জ্ঞান ফেরার পর মেয়েটি মোবাইল ফোনের সাহায্যে তার বোনকে জানালে তাকে উদ্ধার করা হয়।
পরে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ওই তরুণী। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে কলমাকান্দা থানা পুলিশকে মামলা রেকর্ডের নির্দেশ দেন। রাসেল খানসহ ওই চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রেকর্ডভুক্ত হয়। এ মামলায় গত ১৯ ডিসেম্বর রাসেল খান ও তার বন্ধু সেলিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসজি
