বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রয়োজনীয় লোকবল-সরঞ্জাম নেই বকশীগঞ্জ হাসপাতালে

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে সাত বছর আগে। হাসপাতালটির বেড সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি সেবার মান। পর্যাপ্ত জনবল ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে উন্নতি হয়নি চিকিৎসা সেবার। ৫০ শয্যা তো দূরের কথা ৩১ শয্যার লোকবলের সংকটই কাটেনি এখনো। তাই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা। ছোটখাটো সমস্যার জন্যও যেতে হচ্ছে জেলা সদর হাসপাতাল কিংবা মানহীন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।

জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার ৩ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ ছাড়াও ভৌগলিক কারণে শ্রীবরদী, রাজিবপুর, রৌমারী ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের ৪-৫ টি ইউনিয়নের মানুষ বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫-৬শ’ রোগী এই হাসাপতালে চিকিৎসা সেবার জন্য আসে। প্রায় ৫ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ৭ জন। এ অঞ্চলের মানুষের কথা ভেবে ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর ৩১ শয্যার এই হাসপাতাল ৫০ শয্যায় উন্নীত করে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ ৫০ শয্যা হাসপাতালের উদ্বোধন করেন। কিন্তু উদ্বোধনের ৭ বছরেও চালু হয়নি ৫০ শয্যার কোনো কার্যক্রম। দেওয়া হয়নি ৫০ শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতি। বাড়ানো হয়নি সুযোগ-সুবিধা। ৩১ শয্যার হাসপাতালে যে জনবল ও যন্ত্রপাতি থাকার কথা, সেটিও নেই। ফলে এখানে চিকিৎসা নিতে আসা জরুরি রোগীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। জনবল সংকট, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম না থাকায় এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। ইনডোর চালু করতে যে জনবল ও সাজ-সরঞ্জাম প্রয়োজন তার কোনোটাই এখানে নেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালে আসার অধিকাংশ রোগীকে রেফার করা হয় ময়মনসিংহ কিংবা ঢাকায়। ফলে চিকিৎসার ব্যয় বহনে অপারগ রোগীদের বিনা চিকিৎসায় মরতে হচ্ছে। বহির্বিভাগে রোগীদের আসা-যাওয়া আর পরামর্শ নেওয়াই হলো নামে মাত্র ৫০ শয্যা এ হাসপাতালের নিত্যদিনের চিত্র।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যার জন্য শুধু প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ চিকিৎসা কর্মকর্তা থাকার কথা ২৬ জন। ২৬টি পদের মধ্যে ১৯টি পদই শূন্য। জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলোজি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্ম ও যৌন), জুনিয়র কনসালটেন্ট (নাক, কান, গলা), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন), জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক), জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু), অ্যানেসথেসিয়া, অ্যান্সেথেটিক্স বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। ফলে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা।

এ ছাড়াও ইনডোর মেডিকেল অফিসার, প্যাথলজিস্ট, নার্সিং সুপারভাইজার একজন, সিনিয়র স্টাফ নার্স সাতজন, মিডওয়াইফ তিনজন, মেডিকেল টেকনিক্যাল ল্যাব একজন, ফার্মাসিস্ট, প্রধান সহকারী, হিসাব রক্ষক, কার্ডিওগ্রাফার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর একজন, ইমার্জেন্সি অ্যাটেনডেন্ট, ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্ট একজন, ওটি বয় একজনের পদ শূন্য রয়েছে। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালের একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে।

সরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় জরুরি প্রয়োজনে রোগীদের প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে অতিরিক্ত কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে যেতে হয় গন্তব্যের হাসপাতালে। অপারেশন থিয়েটার থাকলেও নেই মেশিনপত্র। ছোট খাটো কোনো অপারেশনের জন্য যেতে হয় জেলা সদর হাসপাতাল কিংবা প্রাইভেট ক্লিনিকে। আল্ট্রা মেশিন থাকলেও তার ব্যবহার হয়নি কোনোদিন। ইসিজি মেশিন রয়েছে তবে জরুরি প্রয়োজনে বেশিরভাগ সময়ই থাকে বিকল। জনবল ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বরাদ্দ না পাওয়ায় উদ্বোধনের ৭ বছরেও ৫০ শয্যার কোনো কার্যক্রমই চালু হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা ভাটি কলকীহারা গ্রামের মালেকা বেগম, আলম মিয়া, কামালপুর এলাকার মর্জিনা খাতুনসহ বেশ কয়েকজন রোগী জানান, এই হাসপাতালে সময়মতো ডাক্তার পাওয়া যায় না। তা ছাড়া সব ওষুধ এখানে পাওয়া যায় না। বেশির ভাগই বাইরে থেকে কিনতে হয়।

বকশীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহীন আল আমীন বলেন, নামেই ৫০ শয্যা হাসপাতাল। এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেলে ডাক্তার পাওয়া যায় না। জরুরি বিভাগে থাকা ওয়ার্ড বয় ও ঝাড়ুদাররা ফোন করলে ডাক্তার আসে। ততক্ষণে রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। আবার ডাক্তার এলেও ততটা দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসা না দিয়ে রোগীকে রেফার করেন সদর হাসপাতালে। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে রোগীকে নিয়ে যেতে হয়। ৫০ শয্যার সব কার্যক্রম চালু করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, চিকিৎসকসহ জনবল সংকট এবং অন্যান্য সমস্যা থাকলেও আমরা রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। জনবল সংকটসহ নানা সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুতই এর সমাধান হবে। সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি বিকল থাকায় ভাড়াটে একটি অ্যাম্বুলেন্স জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এসএন

Header Ad
Header Ad

ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৫ শহর

ছবিঃ সংগৃহীত

সাত দিনের মধ্যে দুইবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দেশ। আর গত ৯০ দিনে বাংলাদেশের আশপাশে মৃদু ও তীব্র মাত্রার ৫০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। গত ১৫ বছরে ১৫০টির বেশি ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস।

বিশ্বে ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় আছে ঢাকা। বাংলাদেশে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবুও কোনো সরকারই এ দুর্যোগে ক্ষতি কমাতে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট-বড় মাত্রার এসব ভূমিকম্প সামনের বড় মাত্রার ভূমিকম্পের আভাস দিচ্ছে। আর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের চেয়ে সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

এদিকে গত ৭ জানুয়ারি রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে তিব্বতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এই ভূমিকম্পে তিব্বতের পাশাপাশি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতও কেঁপে ওঠে। প্রধান ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনে অবস্থানের কারণে প্রায়ই এই অঞ্চল কম্পিত হচ্ছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ভূকম্পনের সক্রিয় এলাকায় অবস্থিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছোটোখাটো কম্পন দেশটিতে আরও শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা নির্দেশ করে। এ ছাড়াও দুর্যোগ সূচকে বিশ্বের ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের মধ্যে রয়েছে ঢাকা। সবশেষ বাংলাদেশে বড় ধরণের ভূমিকম্প হয়েছে ১৯১৮ সাল। এর কেন্দ্র ছিল বাংলাদেশের মধ্যে এবং যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছিল। এ ছাড়া ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আতঙ্কেই মারা যান ছয়জন। গত ৭৫ বছরে বাংলাদেশে বড় ধরনের কোনো ভূমিকম্প হয়নি, ফলে শিগগিরই একটি বড় ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত ও মিয়ানমার টেকটোনিক প্লেট গেছে। গত শত শত বছর এসব প্লেটে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। ফলে এই প্লেটে সঞ্চিত হয়েছে দীর্ঘদিনের শক্তি। হঠাৎই এটি ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। আর এ মাত্রার ভূমিকম্প হলে লাখ লাখ প্রাণহানির সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে ঢাকা। বুয়েট ও সরকারের একটি যৌথ সমীক্ষায় দেখা যায়, সাড়ে সাত মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকার ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে। যেখানে তৈরি হবে সাত কোটি টন কংক্রিটের স্তূপ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ও ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেন্ট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘৭ মাত্রার ভূমিকম্প যদি সীমান্ত এলাকায় হয় তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে। ঢাকায় ক্ষয়ক্ষতি হবে কারণ ঢাকার ভবনগুলো বেশিরভাগ ঝুঁকিপূর্ণ।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ‘আমাদের দেশের আশপাশ দিয়ে তিনটি টেকটোনিক প্লেট গেছে। যেগুলোর সংযোগস্থল সীমান্তের আশপাশে। আমাদের অবস্থান ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটে, আমাদের উত্তরে হিমালয় পড়েছে ইউরেশিয়ান প্লেটে আর আমাদের পূর্বে হচ্ছে মিয়ানমার মাইক্রো প্লেট। সবগুরো প্লেটই আমাদের কানেক্টেড এবং সক্রিয়। এগুলোর মুভমেন্ট আছে। প্লেটগুলো প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার মুভমেন্ট করে। অর্থাৎ, আমার প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মুভমেন্ট করছি। একইভাবে পুরো পৃথিবীও মুভ করছে।’

তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাছে শুধু ইক্যুইপমেন্টস আছে। শুধু ইক্যুইপমেন্টস দিয়ে হবে না। কারণ, ভবন মেরামত না করলে ভবন চাপা পড়ে মানুষ মারা যাবেই। এছাড়া গ্যাস-বিদ্যুতের অপরিকল্পিত লাইন ঢাকা শহরে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ।’

Header Ad
Header Ad

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে

বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে উত্তেজনা, বিজিবির সতর্ক অবস্থান  

ছবিঃ সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে দু’দিন ধরে উত্তেজনা চলছে। এরই মধ‍্যে সোম ও মঙ্গলবার বিকেলে বিজিবি-বিএসএফের দুই দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি তারা। উভয় বাহিনী সীমান্তে বতর্মানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নিজেদের টহল কার্যক্রম বাড়িয়েছে বিজিবি।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিজিবির-৫৯ ব্যাটালিয়নের চৌকা বিওপির অধীনস্থ পিলার নম্বর ১৭৭ এর ১ এস, ২ এস ও ৩ এস এলাকার বিপরীতে ভারতীয় অংশে সীমান্তে রাস্তা নির্মাণের কাজ করতে দেখা যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বিজিবি, বাড়িয়েছে নিজেদের টহল।

এদিকে মঙ্গলবার বিকালে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিজিবির ৫৯ ব্যাটালিয়নের লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।

৫৯ ব্যাটালিয়নের লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ঠিক রাস্তা নির্মাণ নয়, রাস্তা নির্মাণের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেছিল। সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি জানান, ভারতের পক্ষ থেকে তাদের সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরাও আমাদের সীমান্তে এলাকায় বিজিবি মোতায়েন রেখেছি। সাধারণ মানুষের ভয়ের কোনো কারণ নেই।

এদিকে সীমান্তে বাংলাদেশের ভূমি রক্ষায় স্থানীয় বাংলাদেশিরা ক্ষোভ জানিয়েছেন এবং বিএসএফের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করতে বিজিবির সঙ্গে তারাও দিনব‍্যাপী সীমান্তে অবস্থান নেন। একইভাবে বিএসএফের সঙ্গে ভারতের নাগরিকদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয় এবং বিজিবির সেক্টর কমান্ডারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরও অবস্থান করছেন।

Header Ad
Header Ad

খালেদা জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়ে গেছেন: মির্জা ফখরুল  

ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র যেন প্রতিষ্ঠা করা হয়, গণতন্ত্রকে যেন আমরা সবাই মিলে প্রতিষ্ঠা করি এই বার্তাটি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বেগম খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ত্যাগ করার পর মঙ্গলবার রাতে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব।

সুচিকিৎসা করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দ্রুতই আবার দেশের মানুষের কাছে ফিরে আসবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, যাওয়ার সময় তিনি (খালেদা জিয়া) আবারও দেশবাসীকে বলেছেন যে, তারা যেন আমার জন্য দোয়া করেন, আমিও আল্লাহর কাছে এই দোয়া চাই দেশবাসীকে যেন ভালো রাখেন, তাদের কল্যাণ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনে মিথ্যা মামলায় বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছয় বছর আটক করে রাখা হয়। আটক করে রাখার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর আমরা বারবার বলেছি, বিদেশে নেওয়ার জন্য সুযোগ দিন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা কোনো কথাতেই কর্ণপাত করেননি।

তিনি বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পাঁচ আগস্ট হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছেন মিথ্যা মামলা থেকে। তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেছেন এটা আল্লাহর জন্য শুকরিয়া জানাচ্ছি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৫ শহর
বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে উত্তেজনা, বিজিবির সতর্ক অবস্থান  
খালেদা জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়ে গেছেন: মির্জা ফখরুল  
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক  
মেটা প্ল্যাটফর্মে থাকছে না ফ্যাক্টচেকার, বাড়বে রাজনৈতিক কনটেন্ট: জাকারবার্গ  
হাসিনাকে দীর্ঘমেয়াদি থাকার অনুমতি দিলো ভারত  
ইউরোপে পোঁছানোর চেষ্টায় সাগরে প্রাণ গেলো ২,২০০ অভিবাসীর  
ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ করল সরকার  
ঢাবি থেকে সাত কলেজকে আলাদা করতে কমিশন ও শিক্ষার্থীদের বৈঠক বুধবার
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ৯৮ কোটি টাকার অনুদান সংগ্রহ
এবার শাহীনকে ধরা হলো বিমানবন্দরে! আদালতে সোপর্দ
হৃদয়-মেয়ার্সের জুটিতে বরিশালের সহজ জয়
‘ফিরোজা’ থেকে বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া
কানাডার অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে তাঁদের দেশকে দেখতে চান: ট্রাম্প
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল
পাঁচদশক আড়ালে থাকা মেজর ডালিম বাংলাদেশে ফিরছেন!
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই মৃদুল গ্রেপ্তার
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ন্যায়বিচার দেখতে চান প্রধান বিচারপতি
আবারও বাড়বে শীতের দাপট, ঘন কুয়াশার সঙ্গে থাকবে ঠাণ্ডা বাতাস
পরিবারসহ নাফিজ সারাফতের বাড়ি, জমি ও ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ