শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মাইক্রোচালককে দায়ী করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, আটক গেটম্যান

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়ায় দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসে ১৮ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে ১১ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ৫ জন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি মাইক্রোচালককে দায়ী করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে গেটম্যান সাদ্দামকে আটক করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনাস্থলের আশেপাশে মাইক্রোবাসের যন্ত্রাংশ, হতাহতদের কাপড়, জুতা পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।

মাইক্রোবাসের মধ্যে ৪ জন কোচিংয়ের শিক্ষক ও ১২ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। বাকি দুইজন চালক ও হেল্পার।

নিহতদের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় জানা যায়। তারা হলেন- হাটহাজারী উপজেলার জিয়াউর রহমান কলেজের শিক্ষার্থী আমান বাজার এলাকার মো. মহিউদ্দিন মনসুরের ছেলে মো. মাহিন (১৮), একই এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে তানভীর হাসান (১৮), একই এলাকার জুনায়েদ হোসেন (১৮) ও হাটহাজারীর চিকনদন্ডী ইউনিয়নের হাজী মো. ইউসুফ আলীর ছেলে মাইক্রোবাসচালক গোলাম মোস্তফা নিরু (২৮)।

৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ আরোহী নিহতের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলীকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- রেলের বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী-১ আবদুল হামিদ, বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (লোকো) জাহিদ হাসান, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট রেজানুর রহমান ও বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার (ডিএমও) মো. আনোয়ার হোসেন।

তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান।

মাইক্রোবাস চালককে দায়ী করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ

ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ জন নিহতের ঘটনায় মাইক্রোবাস চালককে দায়ী করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যদিও দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাস চালক নিহত হয়েছেন।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা বলেন, লেভেল ক্রসিংয়ে সাদ্দাম নামে গেটম্যান দায়িত্বে ছিলেন। তার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি সময়মতো ক্রসিং বার ফেলেছিলেন। কিন্তু মাইক্রোবাস চালক সাদ্দামের কথা অমান্য করে বারটি তুলে রেললাইনে গাড়ি তুলে দেন। আর এতেই দুর্ঘটনা ঘটে।

আটক গেটম্যান

দুর্ঘটনার সময় লেভেল ক্রসিংয়ের গেট ফেলা হয়েছিল কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে এ নিয়ে সুস্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। কারণ এ বিষয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। কেউ কেউ বলছেন, রেল ক্রসিংয়ে গেট ফেলা ছিল না। আবার অনেকেই বলছেন, গেট ফেলা ছিল। কিন্তু গেটম্যান ছিলেন না।

তবে এ ঘটনায় দায়িত্বরত গেটম্যান সাদ্দামকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন।

মাইক্রোবাসকে ১ কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায় ট্রেনটি

এদিন দুপুর দেড়টার দিকে মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মিরসরাইয়ে লেভেল ক্রসিংয়ে উঠে পড়া মাইক্রোবাসটিকে প্রায় ১ কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায় মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি।

দুর্ঘটনাকবলিত এলাকার আশেপাশে পড়ে আছে মাইক্রোবাসের যন্ত্রাংশ, ব্যাগ, কাপড়, জুতা

ট্রেনটি মাইক্রোবাসকে প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ঠেলে নিয়ে যায়। পুরো রেললাইন এলাকাজুড়ে চলে তাণ্ডব। দুর্ঘটনাস্থলের বিভিন্ন স্থানে পড়ে আছে মাইক্রোবাসের যন্ত্রাংশ, ব্যাগ, হতাহতদের কাপড়।

রেলের মানুষ বাঁশ ফেললে আমার ভাই মরত না

দুর্ঘটনার খবর ছড়িতে পড়ার পর শুক্রবার বেলা ৩টা থেকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিড় করতে থাকেন স্বজনরা। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে চমেক হাসপাতালের পরিবেশ।

নিহতদের একজন জিয়াউল হক সজিব। ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বাবা মো. হামিদ। ছেলের কথা বলতে গিয়ে তিনি বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আশা ছিল ছেলে বড় হয়ে সংসারের হাল ধরবে। কিন্তু আমার সেই আশা আর পূরণ হলো না। এখন আমাদের কী হবে? সজিবকে ছাড়া আমরা থাকব কীভাবে?

সজিব ২০১৮ সালে ওমরগণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। কিন্তু টাকার অভাবে তাকে দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি করাতে পারেনি তার পরিবার। সজিব তিন মাস আগে হাটহাজারী আমান বাজারে চালু করেন আর এন জে কোচিং সেন্টার। তিনি সেখানে শিক্ষকতা করতেন।

বাবা মো. হামিদের পাশেই ছিলেন সজিবের ছোট ভাই তৌসিফ। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ও ভাই, ভাই গো, তুই চলে আয়। ভাই যখন বেরিয়ে যায় তখন আমি ঘুমে। সে আমাকে অনেক আদর করত। সকালে আমাকে বলে, ভাই ভ্রমণে যাচ্ছি। এটাই তার সঙ্গে আমার শেষ কথা।

তিনি আরও বলেন, তখন রেলের লোক কোথায় ছিল? তারা বাঁশ ফেললে আমার ভাই মরত না। এমন দুর্ঘটনা ঘটত না। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।

যা বলল বেঁচে যাওয়া মাইক্রোযাত্রী হৃদয়

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত ও ৫ জন আহত হন। আহতদের একজন ছিলেন হাটহাজারীর কলেজছাত্র তানভীর হাসান হৃদয়। আমানবাজারের আর এন জে কোচিং সেন্টারে পড়তেন তিনি।

এই কোচিং সেন্টারই ভ্রমণের আয়োজন করে। ওই মাইক্রোবাসে চালকসহ ১৮ জন ছিলেন। হৃদয় বলেন, আমি তখন ঘুমিয়ে ছিলাম। কীভাবে কী হয়ে গেল তা বুঝে উঠতে পারিনি। ঘটনার পর অজ্ঞান ছিলাম।

গাড়িতে এত লাশ ছিল ভাবতেই পারিনি

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেনটিতে ভ্রমণ করছিলেন কণ্ঠশিল্পী জনি খোন্দকার। তিনি বলেন, টায়ার পোড়া গন্ধ পেয়ে বাইরে বেরিয়ে দেখি ট্রেনের নিচে একটি হাইস গাড়ি। ভেতরে কয়েকজন মানুষ নড়াচড়া করছিল। কাছে আসতেই একের পর এক লাশ দেখছি। ভাবতেই পারিনি গাড়িতে এত লাশ ছিল। শেষ পর্যন্ত ১১টি লাশ বের করা হয় গাড়ি থেকে।

এসজি/

Header Ad
Header Ad

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কোনো আরব নেতা সিরিয়া সফরে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি সফর করলেন। বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল-শারা। সফরের সময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানান তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাতার মাঠপর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের আমিরের এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এই প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত কর্মকর্তারা পুলিশের দায় এড়াতে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং ইয়ামিনকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গণঅভ্যুত্থানের পরও তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি। বরং, কঠিন চাপে থেকেও পুলিশের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের দাবি, ইয়ামিন এপিসি (সাঁজোয়া যান) কারে উঠলে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে, যা তাকে আহত করে। এরপর এএসআই মোহাম্মদ আলী তাকে নামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তার হাতে ব্যথা থাকায় ফসকে পড়ে যান ইয়ামিন। পুলিশ আরও জানায়, জনগণের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাকে রোড ডিভাইডারে রাখা হয়, যাতে কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।

তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা নীল রঙের এপিসি কারের ওপর ইয়ামিনকে ফেলে রেখে টহল চালায় এবং ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এপিসি কারটি সাভারের রানা প্লাজা ও ভ্যাট অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় আসে। এরপর এপিসির ভেতর থেকে এক পুলিশ সদস্য দরজা খুলে দেয় এবং আরেকজন ইয়ামিনকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ ইয়ামিন তখনও জীবিত ছিলেন। প্রচণ্ড কষ্টে নিশ্বাস নিতে দেখা যায় তাকে। তার পরনে ছিল নেভি ব্লু ট্রাউজার ও খয়েরি রঙের জামা। এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর তার দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে যায় এবং একটি পা এপিসির বাঁ দিকের চাকার সঙ্গে আটকে থাকে। মৃত ভেবে পুলিশের সদস্যরা তার পায়ে আর গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়। এরপর আরও দুই পুলিশ সদস্য নেমে এসে তাকে সার্ভিস লেনে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশের এই প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তদন্ত কর্মকর্তারা শুধু পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছেন, অথচ কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, সংবাদকর্মী বা সাধারণ মানুষের সাক্ষ্য নেননি। এ কারণে তদন্ত প্রক্রিয়াকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক প্রতিবেদনে পুলিশের আচরণকে ‘ভয়ংকর বর্বরতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির তিন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন এবং অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখাকে সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ নীল এপিসি কার থেকে ইয়ামিনের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। কোনো ময়নাতদন্ত বা আনুষ্ঠানিক মৃত্যুসনদ না দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইয়ামিনের লাশ হস্তান্তর করে।

ঢাকা ও সাভার রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইয়ামিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করার জন্য পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে, পরিবার তাকে সাভারের তালবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাংক টাউন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দায় মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজের ভয়ংকর দৃশ্যগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাহলে, শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে যদি সত্য প্রকাশ না পায়, তবে স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি উঠেছে। নিহত ইয়ামিনের পরিবার এবং আন্দোলনকারীরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও একাধিক হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির এক বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘদিনের নজরদারির পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাত কলেজের জন্য হচ্ছে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিতে বলেছে ইইউ: ইসি সচিব
রংপুরের টানা চতুর্থ হার, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো খুলনা
চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান, আটক ৫
প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সেই যুবককে গুলি করে হত্যা
বাংলাদেশ পুলিশে ১৬টি শূন্য পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু ২ ফেব্রুয়ারি