সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ঝরল আরও ৪০ প্রাণ, নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৫০ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় চালানো একের পর এক হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন তারা। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫০ হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে লেবাননেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় আরও ৬ লেবানিজ নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে একটি ব্যস্ত বাজারে ইসরায়েলি হামলায় সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত ২৪ ঘণ্টায় যুদ্ধবিধ্বস্ত এই অঞ্চল জুড়ে ৪০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হলো।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৫০ হাজার ২০৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১ লাখ ১৩ হাজার ৯১০ জন আহত হয়েছেন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস ইসরায়েলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা আপডেট করে ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি উল্লেখ করে জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করে দিয়েছে, গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তীব্র ক্ষুধা ও অপুষ্টির মুখোমুখি হচ্ছে। অন্যদিকে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কোনও সাহায্য গাজা ভূখণ্ডে প্রবেশ করেনি।

এই পরিস্থিতিতে গাজাজুড়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় হতাহতের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। আল জাজিরা আরবির সাংবাদিক এবং ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে, গাজা শহরের জেইতুন এলাকায় আওয়াদ পরিবারের বাড়িতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান বোমা হামলায় তিনজন নিহত এবং আরও কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।

আল জাজিরা আরবি অনুসারে, দক্ষিণ গাজার রাফাহের পূর্বে আশ-শাওকা শহরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় কমপক্ষে দুইজন নিহত এবং আরও একজন আহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বে বানি সুহেলা শহরে একটি ভবনে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণের পর বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

এদিকে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে সর্বশেষ ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন।

লেবাননের কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলি হামলায় দেশটির দক্ষিণে চারজন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা হিজবুল্লাহ কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইয়োহমোর এলাকায় একটি গাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন এবং মারুব গ্রামের কাছে একটি গাড়ি লক্ষ্য করে আরেকটি ড্রোন হামলায় একজন নিহত হয়েছেন।

দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও দক্ষিণ লেবাননে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। মূলত ২৭ নভেম্বরের যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন করে ইসরায়েল লেবাননে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। হিজবুল্লাহর সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

Header Ad
Header Ad

বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

দেশের সব ঈদ জামাতে অংশগ্রহণকারী, প্রবাসী শ্রমিক ও নারীসহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। তিনি বলেন, "ঈদ নৈকট্য ও ভালোবাসার দিন। আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে, সেটিকে স্থায়ীভাবে গড়ে তুলতে চাই।"

সোমবার (৩১ মার্চ) জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজের পর দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, "সব প্রতিকূলতার মধ্যেও ঐক্য অটুট রাখতে হবে। একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের মধ্য দিয়েই আমরা বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।"

জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ঈদের জামাত উপলক্ষে সকাল থেকেই রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন ও হাইকোর্টের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মুসল্লিরা ঈদগাহে প্রবেশ করেন। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তেও দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।

জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত প্রধান ঈদের জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। ক্বারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়। প্রায় ৩ লাখ ২২ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের এই মাঠে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

সিয়াম সাধনার এক মাস শেষে নাড়ির টানে গ্রামে ফিরছেন অনেকে। যদিও ঈদযাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ, তবুও ঈদের সকালেও রাজধানী ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন বহু মানুষ।

সোমবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর ফকিরাপুল বাস টার্মিনালে সরেজমিনে দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তেও অনেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। তবে পর্যাপ্ত পরিবহন সেবা না থাকায় কিছু যাত্রী বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন।

ফকিরাপুলের শ্যামলী কাউন্টারের ম্যানেজার মিঠু বলেন, "সকাল ৯টায় আমাদের একটি বাস ছেড়েছে, এরপর আবার বিকালে বাস চলবে। ঈদুল ফিতরের তুলনায় ঈদুল আজহার সকালে যাত্রী বেশি থাকে।"

এদিকে, গ্রীন লাইন পরিবহণের ম্যানেজার সৌমিত্র জানান, তাদের বিভিন্ন রুটে সারাদিন বাস চলবে। তিনি বলেন, "আজ সকাল থেকেই প্রচুর যাত্রী রয়েছে। বেশিরভাগ পরিবহন বন্ধ থাকায় চাপও বেশি।"

চট্টগ্রামগামী যাত্রী ফরিদুল ইসলাম বলেন, "আগেই বাড়ি ফেরার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু ছুটি না পাওয়ায় পারিনি। শেষ মুহূর্তে ছুটি পেয়ে ঈদের সকালেই রওনা হলাম। রাস্তা ফাঁকা থাকায় দ্রুত বাড়ি পৌঁছাতে পারবো।"

ইয়াসমিন নামের এক যাত্রী বলেন, "ভেবেছিলাম ঢাকাতেই ঈদ করবো, কিন্তু বাচ্চারা মামাবাড়ি যেতে বায়না ধরায় যেতে হচ্ছে। বাস সংকট থাকলেও আলহামদুলিল্লাহ, সিট পেয়েছি।"

শেষ মুহূর্তেও যারা গ্রামে ফিরছেন, তারা পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে মুখিয়ে আছেন।

Header Ad
Header Ad

ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দানবীয় হামলায় কেঁপে উঠেছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। সোমবার (৩১ মার্চ) আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই হামলায় অন্তত ৬৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।

এছাড়া, দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকা ৮ চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী এবং জাতিসংঘের একজন কর্মচারীও রয়েছেন। আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সংস্থা (আইএফআরসি) এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ২৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৫ জন আহত হয়েছেন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ হাজারো মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

ঈদের দিনেও গাজার আকাশজুড়ে বোমা বিস্ফোরণ ও কামানের গোলার শব্দ। শিশুরা নতুন পোশাকের বদলে ক্ষুধার্ত ও আতঙ্কগ্রস্ত। ঘরবাড়িহীন মানুষরা আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে, কিন্তু নিরাপদ স্থান নেই কোথাও।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "ঈদের দিন যেখানে ফিলিস্তিনিরা আনন্দ উদযাপন করত, সেখানে আজ কেবল ধ্বংসস্তূপ আর আর্তনাদ।" গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, ফলে মানুষের জন্য ঈদ এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ
ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস
টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
বছর ঘুরে এলো খুশির ঈদ, আজ দেশজুড়ে উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান
ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪
ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দুই দিনে রাজধানী ছাড়লেন ৪১ লাখ মানুষ
ঈদেও রেহাই নেই গাজার, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর
ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের আমন্ত্রণ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গাজাবাসীর ঈদুল ফিতরের নামাজ
জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত: ডিএমপি কমিশনার
৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ উদযাপন করলেন খালেদা জিয়া