মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ | ২৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

খাদ্য সংকট সুন্দরবনে, বাঘসহ বন্যপ্রাণী লোকালয়ে

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন থেকে বাঘ, হরিণ, অজগর, কুমির ও বন্যশূকর চলে আসছে লোকালয়ে। বন বিভাগ ও সংশ্নিষ্টরা বলেছেন, খাবারের সন্ধান, বন-সংলগ্ন এলাকায় লোকালয় গড়ে ওঠা এবং বন ও লোকালয়ের মধ্যবর্তী নদী-খাল ভরাট হয়ে যাওয়াসহ আরও কয়েকটি কারণে লোকালয়ে আসছে এসব বন্যপ্রাণী। খুলনার সুন্দরবন অ্যাকাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, কিছুদিন পরপর সুন্দরবন থেকে বাঘ, হরিণ, অজগর, কুমির ও বন্যশূকর লোকালয়ে চলে আসছে।

তিনি বলেন, বনে খাবার সংকট ও লোকালয়ে সহজে শিকার ধরতে পারায় বন্যপ্রাণী লোকালয়ে আসছে। বাঘের আক্রমণের শিকার হচ্ছে গরু-মহিষ। মাঝেমধ্যে আতঙ্কিত গ্রামবাসী পিটিয়ে বাঘ হত্যা করে। আবার কখনও কখনও বন বিভাগ তাড়িয়ে কিংবা অচেতন করে বাঘকে বনে ফিরিয়ে দিচ্ছে। একইভাবে হরিণ, অজগর বা কুমির উদ্ধার করে বনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বন্যপ্রাণী লোকালয়ে আসার এই প্রবণতা রোধে বন বিভাগকেই উদ্যোগ নিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বনে প্রতিকূলপরিবেশ, পানি এবং মাটিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণেও বন্যপ্রাণী আবাসস্থল ছেড়ে লোকালয়ে আসছে।

খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে সাম্প্রতিক সময়ে বাঘসহ সুন্দরবনের অন্যান্য বন্যপ্রাণী লোকালয়ে আসার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, বন্যপ্রাণী লোকালয়ে আসা ঠেকাতে বনের ৬০ কিলোমিটার এলাকায় জাল দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগে ভারতের বন বিভাগ সুন্দরবনে তাদের অংশে জাল দিয়ে সুফল পেয়েছে।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল বন্যপ্রাণী লোকালয়ে আসার কারণ সম্পর্কে বলেন, সুন্দরবন-সংলগ্ন এলাকায় লোকালয় গড়ে উঠেছে। বন ও লোকালয়ের মধ্যবর্তী নদী-খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় বন্যপ্রাণী সহজে লোকালয়ে চলে আসছে। তবে গত ২-৩ বছরে কত সংখ্যক বন্যপ্রাণী লোকালয় থেকে উদ্ধার হয়েছে তার কোনো পরিসংখ্যান জানাতে পারেননি এ বন কর্মকর্তা।

সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবন থেকে বাঘ, হরিণ, অজগর, কুমির ও বন্যশূকর লোকালয়ে চলে আসছে। পরে সেগুলো আবার বনে অবমুক্ত করছি আমরা। আসাদুজ্জামান বলেন, শরণখোলা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামে গত ৫ মে সুন্দরবনের একটি বাঘ চলে আসে। প্রায় একসপ্তাহ বাঘটি লোকালয়ে ঘোরাফেরা করায় আতঙ্কে ছিলেন চার গ্রামের মানুষ। বন ও লোকালয়ের মধ্যবর্তী ভোলা নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় বাঘ অনায়াসে লোকালয়ে চলে আসছে।

এর আগে ২৪ এপ্রিল সুন্দরবনের কাছে ঘাস খাওয়ার সময় শরণখোলার ধানসাগর গ্রামের আফজাল হাওলাদারের একটি গরু বাঘের আক্রমণে গুরুতর জখম হয়। ৩১ মার্চ এ উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের সোবহান হাওলাদারের একটি মহিষ খালেরচরে ঘাস খাওয়ার সময় বন থেকে একটি বাঘ লোকালয়ে এসে মহিষটিকে আক্রমণ করে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, বাঘের আবাসন এলাকায় মানুষের বিচরণ বেড়েছে। সুন্দরবন নির্ভরশীল পেশাজীবীরা বনজসম্পদ আহরণে অবাধে বনে প্রবেশ করছেন। ফলে বাঘও তার স্থান ত্যাগ করছে। তিনি আরও বলেন, বাঘ লোকালয়ে আসার জন্য খাদ্য সংকটও বড় কারণ। এ জন্য একশ্রেণির চোরাশিকারিদের দায়ী করেন তিনি। বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে যেয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট অ্যান্ড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক বলেন, বনের ভেতরে মা বাঘ তার বাচ্চাদের একটা সময় তাড়িয়ে দেয়, তখন ওই বাচ্চার নতুন জায়গা দখলের বিষয় আসে। এক্ষেত্রে বাঘ বন থেকে লোকালয়ে আসতে পারে।

তিনি বলেন, আবার চোরাশিকারিরা বাঘের খাবার হরিণ তো মারছেই। এক্ষেত্রে বনে হরিণের সংখ্যা কমলে বাঘ লোকালয়ে আসবে, এটা অস্বাবিক কিছু নয়। সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, সুন্দরবনের অন্য তিনটি রেঞ্জের তুলনায় শরণখোলা রেঞ্জে অজগরের সংখ্যা বেশি। গত তিন মাসে সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে আসা কমপক্ষে ১০টি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো আবার বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বনেরপাশেই লোকালয় গড়ে উঠেছে। আবার বন ও লোকালয়ের মধ্যবর্তী নদী-খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে আসছে অজগর। শরণখোলার ধানসাগর গ্রামের দোকানি আমিন চৌকিদার বলেন, মাঝে মধ্যে রাতের আধারে বন্যশূকর দলবেঁধে গ্রামে ঢুকে ফসল নষ্ট করছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনের বাঘের লোকালয়ে আসার প্রবনতা বেড়েছে উল্লেখ করে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর বলেন, বাঘের বয়স ১২-১৩ বছর হলে তার শিকারিদাঁত পড়ে যায়। তখন হরিণ বা বন্যশূকর ধরলেও তা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে না। তখন খাবারের সন্ধানে মাঝে মধ্যে বন-সংলগ্ন লোকালয়ে চলে যায়। তিনি বলেন, আর বাঘের তাড়া খেয়ে অনেক সময় হরিণ ও বন্যশূকর লোকালয়ে চলে আসে। শূকর কচুর লতি বা এ জাতীয় খাবার পছন্দ করে। ওই খাবারের জন্যও মাঝে মধ্যে লোকালয়ে যায়। গত বছরের ১৮ জুলাই মোংলার জয়মনির ঘোল এলাকা থেকে একটি বন্যশূকর উদ্ধার করেন বনকর্মীরা।

আজাদ কবীর আরও জানান, অজগর সাপ অনেক সময় জোয়ারের পানির সঙ্গে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। সহজে হাঁস-মুরগি শিকার করে খেতেও লোকালয়ে যায়। এর মধ্যেই সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে আসা কয়েকটি অজগর উদ্ধার হয়েছে। আর বন-সংলগ্ন খাল দিয়ে লোকালয়ের পুকুর বা ঘেরে যায় কুমির। চলতি বছরের ১৯ মার্চ রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা গ্রামের পুকুর থেকে একটি কুমির উদ্ধার হয়েছিল।

এর আগে ১২ এপ্রিল মোংলার বুড়িরডাঙ্গা গ্রামের একটি চিংড়িঘের থেকে উদ্ধার হয় আরও একটি কুমির। পশুর নদ থেকে খাল দিয়ে কুমির চিংড়ি ঘেরে চলে আসে বলে ধারণা তার। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা এলাকার ভদ্রা নদীতে কুমির আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। গত ৮ জুলাই ভদ্রা নদী সংলগ্ন মঠবাড়িয়া গ্রামের জেলে মহিতোষ নদীতে মাছ ধরতে গেলে একটি কুমির তার নৌকায় হামলা করে। পরে মহিতোষ ও তার সহযোগীরা জাল ফেলে দ্রুত কিনারে চলে আসেন।

এছাড়া জিয়ালতলা এলাকার ভদ্রানদীর তীর থেকে কুমির একটি ছাগল নিয়ে গেছে বলে এলাকাবাসীর ভাষ্য। ডুমুরিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দিক এ ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ভদ্রা নদীটি শিবসা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সাগরে পড়েছে। ফলে সাগর থেকে দলছুট হয়ে কুমির শাখা নদীতে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা তার।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

ভবিষ্যতে কোনো প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি করা হবে না: রেল উপদেষ্টা

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্প গ্রহণে অপ্রয়োজনীয় ও বাড়তি ব্যয় পরিহারের পরামর্শ দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, ক্রয়ধর্মী প্রকল্পের মেয়াদ এক থেকে দুই বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ও বাড়তি ব্যয় পরিহার করতে হবে। ভবিষ্যতে কোনও প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি করা হবে না।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রেল ভবনে এক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেল পরিচালনা ও সামগ্রিক কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ফাওজুল কবির খান বলেন, রেলের ইঞ্জিন ও কোচের সংকট রয়েছে। পর্যাপ্ত কোচ ও ইঞ্জিন সংগ্রহের জন্য চেষ্টা চলছে। এর আগে ২০০ কোচ কেনার যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তা দ্রুততম সময়ে শেষ করতে হবে। পার্বতীপুরে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানাকে অ্যাসেম্বলিং (সংযোজন) ও মেরামত কারখানায় রূপান্তর করতে হবে। এ জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির নির্দেশ দেন তিনি।

প্রকল্প গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করার তাগিদ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ক্রয়ধর্মী প্রকল্পের মেয়াদ এক থেকে দুই বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে অনলাইন টিকেটিং সেবা প্রদানকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমকে আরও আন্তরিক ও সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দেন রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

তিনি উপস্থিত সহজ ডটকমের প্রতিনিধির উদ্দেশে বলেন, টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে তাঁরা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে বিদ্যমান চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে যারা টিকিট কালোবাজারি করে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে রেলওয়ের একটি নিজস্ব ইন্টেলিজেন্স টিম থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ঈদুল ফিতরে রেলের যাত্রীসেবায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রেল উপদেষ্টা বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় মানুষ স্বস্তিতে ও নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পেরেছেন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আরও উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে। এবারের ঈদযাত্রায় সাফল্যের ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখতে হবে।

রেলওয়ের আয় বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, অপ্রয়োজনীয় ও বাড়তি খরচ, অর্থাৎ অপচয় কমাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনসহ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

গণহত্যা চালিয়ে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, তার ধ্বংস অনিবার্য: টুকু

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলির গণহত্যার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন- কখনোই গণহত্যা চালিয়ে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নাই। তার ধ্বংস অনিবার্য, ইতিহাস তাই বলে। আজকে মুসলমান হিসেবে শুধু নয়, একজন মানুষ হিসেবে বাংলাদেশের সকল মানুষ সবার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ কেউ এই গণহত্যা কে সমর্থন করেনি। পৃথিবীর সকল দেশেই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হচ্ছে।

তিনি বলেন- যে শিশুটি মারা যাচ্ছে তার কি দোষ, তার কি অপরাধ? এভাবে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। এ জন্য সারা বিশ্বে ইসরায়েলির পণ্য বর্জন করছে, ঘৃণা করে প্রত্যাখ্যান করছে। এই গণহত্যা চালিয়ে যারা মনে করেছেন টিকে থাকবেন, থাকতে পারবেন না। আমরা কোন গণহত্যাকে প্রশ্রয় ও সমর্থন করবো না। আমরা ঘৃণা করে প্রত্যাখ্যান করি ও নিন্দা জানাই। এই হত্যার বিচারের দাবি জানাই। এদের বিরুদ্ধে সমস্ত বিশ্ব বাসিকে সোচ্চার হতে হবে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইলে ছাত্রদলের আয়োজনে শহীদ মিনারে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সমাবেশ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন- আওয়ামী লীগের দোসররা বিভিন্ন কায়দায় দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য মিছিলে থেকে বিভিন্ন দোকানপাটে হামলা করছে। দোকান পাটে লুটপাট করছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি করছে। আওয়ামী লীগের গণহত্যাকারী দোসরা কিন্তু মিছিলে ঢুকে এই ধরনের অপকর্মের সাথে লিপ্ত হচ্ছে। কাজেই আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে। যাতে করে আমাদের সম্পদ কেউ ধ্বংস করতে না পারে।

বিএনপির এই নেতা বলেন- বাংলাদেশেও কিছুদিন আগে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নিয়েছে। তারাও কিন্তু নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছিল। খুনি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নিরীহ ছাত্র জনতার উপরে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। প্রায় ৮ জন শিশুকে গুলি করে হত্যা করেছে।

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু আরও বলেন- যে ব্যবসায়ীটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সে কিন্তু আমাদের ভাই। যে দোকান ভাঙচুর করা হচ্ছে সেটিও আমাদের ভাইয়ের দোকান। কাজেই আমরা কোন ধরনের বিশৃঙ্খলাকে প্রশ্রয় দেব না। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা না করতে পারে সে জন্য সর্বোচ্চ সচেতন থেকে আমরা তীব্র নিন্দা জানাব। এই গণহত্যা বন্ধের জন্য আমাদের যা যা করা প্রয়োজন আমরা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।

এ সময় টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দূর্জয় হোড় শুভর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এম এ বাতেনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ। 

Header Ad
Header Ad

বিদেশি বিনিয়োগের এমন অনুকূল পরিবেশ আগে কখনো ছিল না: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিনিয়োগকারীরা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য এত অনুকূল পরিবেশ আগে কখনো সৃষ্টি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চীনা বিনিয়োগকারীদের সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বিনিয়োগকারীরা এই বৈঠকে অংশ নিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫-এ যোগ দিতে ঢাকায় এসেছিলেন।

বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, "গত আট মাস ধরে আমরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ সহজ করতে কাজ করছি। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য এখানে আগের মতো এত সুবিধাজনক পরিবেশ কখনো ছিল না।" তিনি আরও জানান, বিদেশি বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে বাণিজ্য, শ্রম এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত নানা সংস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা বাংলাদেশে আরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সহায়ক হবে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, চীনা ও দক্ষিণ কোরীয় বিনিয়োগকারীদের সাথে নিয়মিত প্রাতঃরাশ সভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে তারা বিনিয়োগ সংক্রান্ত যেকোনো উদ্বেগ তুলে ধরতে পারবেন এবং দ্রুতগতিতে তাদের বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরু করার সুযোগ পাবেন।

এছাড়া, তিনি বলেন, "বিডা (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) প্রতি মাসে চীনা এবং কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক আয়োজন করবে। আমি নিজেও কিছু বৈঠকে যোগ দেব এবং বিনিয়োগকারীদের উত্থাপিত সমস্যাগুলো শোনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করব।"

প্রধান উপদেষ্টা একটি হটলাইন এবং কল সেন্টার সেবা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যেকোনো সমস্যা দ্রুততার সাথে সমাধান করতে পারেন।

এ সময় বৈঠকে অন্তত ৩০ জন চীনা বিনিয়োগকারী অংশ নেন, যারা বিভিন্ন খাতে—যেমন অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, পরিবহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল, মোবাইল টেলিযোগাযোগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সরবরাহ এবং আইটি পরিষেবা—বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

ড. ইউনূস বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সাথে সাম্প্রতিক বৈঠকের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট শি শীর্ষ চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য উৎসাহিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ সময় চীনা বিনিয়োগকারীরা চট্টগ্রামে একটি ডেডিকেটেড চীনা ইকোনমিক জোন এবং মংলায় চায়নিজ ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছেন, যেখানে চীন সমুদ্রবন্দর আধুনিকায়নের কাজ শুরু করবে।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, “আমাদের বাজার রয়েছে, এবং আপনি নেপাল ও ভুটানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশগুলোতেও সরবরাহ করতে পারবেন।” তিনি বলেন, কয়েকটি বৃহৎ চীনা কোম্পানি ইলেকট্রিক ভেহিকল (ইভি), লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি উৎপাদন, বায়ু টারবাইন, এবং অফশোর সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী।

এর আগে, কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের একটি দলও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছে। এতে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভবিষ্যতে কোনো প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি করা হবে না: রেল উপদেষ্টা
গণহত্যা চালিয়ে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, তার ধ্বংস অনিবার্য: টুকু
বিদেশি বিনিয়োগের এমন অনুকূল পরিবেশ আগে কখনো ছিল না: প্রধান উপদেষ্টা
বিরামপুরে স্কাউটস দিবস পালিত
১৩৫ সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ
নাইজেরিয়ার বন্দুকধারীদের হামলায় ৫২ জন নিহত
এফডিসিকে পূর্ণাঙ্গ ফিল্ম সিটি বানানো হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি
আমি ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী ছিলাম না: আদালতে তুরিন আফরোজ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের বৈঠক
টাঙ্গাইলে বিয়ের ১৫ বছর পর একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ
নেতানিয়াহুকে ট্রাম্প বললেন ‘তুরস্কের সঙ্গে যৌক্তিক আচরণ করবেন’
৫৪তম দেশ হিসেবে নাসার সঙ্গে ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’ চুক্তি সই করল বাংলাদেশ
লাইভে এসে ছাত্রদল নেতার বহিষ্কার চাইলেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপি সভাপতি
চালু হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি, স্বল্পমূল্যে মিলবে ওষুধ
অভিনেত্রী মালাইকা অরোরার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ম্যাক্স ও তমা গ্রুপের চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, ইমাম গ্রেপ্তার
বদলে গেল বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ও পশ্চিম থানার নাম
ট্রেনের পাওয়ার কারে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ, শাস্তির আওতায় আসবে চালকরা