চট্টগ্রামে এক রাতে ছুরিকাঘাতে দুই খুন
চট্টগ্রাম নগরী ও নগরীর বাইরে পৃথক ঘটনায় ছুরিকাঘাতে দুজনকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাতে এসব খুনের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- আসকার বিন তারেক (১৮) ও মোহাম্মদ সোহেল (৩৫)।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে নগরীর কোতোয়ালীর থানার চেরাগি পাহাড়ের আজাদী গলিতে তারেককে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে মারা যান তারেক।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবীর বলেন, কিছুদিন ধরে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঘটনার সময় তাদের সঙ্গে তারেকের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা তারেকককে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনার পর পরই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেকে) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর পরই তদন্ত শুরু হয়। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
নিহত তারেক কোতোয়ালী থানার এনায়েত বাজার এলাকার জমির উদ্দিন ম্যানসনের এসএম তারেকের ছেলে। তিনি বিএফ শাহিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
শুক্রবার রাতে আরেক ঘটনায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ সোহেল (৩৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে পটিয়া থানাধীন কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বুধপুরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মো. সাজ্জাদ, সাদ্দাম হোসেন ও জয়নাল আবেদীন।
নিহত সোহেল কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছোট ভাই এবং কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের ভাগ্নে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী জানায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের ধারণা।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান বলেন, দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর আহত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যদের অবস্থা স্থিতিশীল।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, পুলিশ ঘটনার পরপরই তদন্তে নামে। পূর্ব শত্রুতার জেরে কাশেম চেয়ারম্যানের ছোট ভাইকে ছুরিকাঘাত করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
এসএন