রাজশাহীর আদালতে ডা. মুরাদের নামে মামলার আবেদন খারিজ
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে রাজশাহীর আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান মামলাটি খারিজের আদেশ দেন।
রবিবার বগুড়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন। ভার্চুয়াল টকশোর উপস্থাপক শেখ মহিউদ্দিন হেলালকেও এতে বিবাদী করা হয়।
রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর ইসমত আরা জানান, মামলাটি খারিজ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন, তিনি যে ভিডিও ক্লিপ দাখিল করেছেন সেটি দেখেছেন। দেখার পরে তিনটি পর্যবেক্ষণে আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন।
পর্যবেক্ষণগুলোর মধ্যে প্রথমটি হলো, সংক্ষুব্ধ ব্যাক্তি বা যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি আসেন নি, দ্বিতীয়ত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে বলে আবেদনে বলা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি থানায় যাননি, তিনি থানায় মামলা করতে যাননি। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির যদি অবনতি হয় তবে থানায় মামলা করবেন। তৃতীয়ত একই ঘটনা নিয়ে সারাদেশে একই মামলা হতে পারে না। অতএব আদালত মনে করেছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই মামলাটি গ্রহণযোগ্য নয়।
এর আগে রবিবার মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম রাজশাহীর আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন জমা দেন সাইবার ট্রাইব্যুনালে। তিনি জানান, শেখ মহিউদ্দিন হেলালের ভার্চুয়াল টকশোতে অংশ নিয়ে ডা. মুরাদ হাসান ব্যরিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অশ্লীল ও শিষ্টাচার বহির্ভুত বক্তব্য দিয়েছেন। তাই সংক্ষুব্ধ হয়ে তিনি মামলা করছেন।
সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল টকশোতে তারেক রহমানের কন্যাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ। এরপর তার সমালোচনা করেন অনেকে। এছাড়া, তার পদত্যাগের দাবিও ওঠে। এছাড়া ঢাকাই সিনেমার এক নায়িকার সঙ্গে অডিও ফাঁসের ঘটনায় নানা সমালোচনার মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন ডা. মুরাদ।
এসএসকে/এএন