শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মরে যাওয়া ভালবাসা

'হারানো নদীকে দেখেছেন? আমার জীবনটা ঠিক তেমনই। আমার অবয়বে ধারণ ক্ষমতা যথেষ্ট। কিন্তু তা পূর্ণতা পায়না জলের অভাবে। মরুভূমির অভিশাপ লেগেছে হয়তো। বীণা আপনি আমাকে আর দুঃখ দিয়েন না। আমি আপনার সাথে মিশতে চাই না। মৃত নদীর যৌবন ফিরে আসুক আমি তা চাইনা। সম্পর্কটাকে তুমিতে পরিণত করার আগ্রহ এই মুহুর্তে নেই। আমাকে রিপ্লে দেওয়ার দরকার নেই। ভালো থাকুন আপনি।'

বীণার মোবাইল স্ক্রিনে ক্রিং শব্দে এই মেসেজটিই ভেসে উঠলো। তাতে চোখ বুলাতেই ২ ফোটা অশ্রু অচমকা ফোনের স্ক্রিনটা ভিজিয়ে দিল।

আজ দু'বছর পর দীপুর সাথে তার দেখা। হালকা গড়নের ছেলেটির শরীরের মাংস ধরেছে। ভাঙা চোয়ালযুক্ত সুন্দর অবয়বে ভদ্রতার মিশ্রণ ঘটেছে। কাঁধে সাইড ব্যাগ ঝুলিয়ে হয়তো এয়াপোর্টের দিকে যাচ্ছিল। উত্তরা থেকে বীণা যে বাসটিতে উঠেছে সে বাসেই হঠাৎ তার সাথে চোখাচোখি। বাসে উঠবে কিনা তা নিয়ে দীপু যে কিছু একটা ভাবছিল তা তার চোখে পড়েছে। কিছুটা সংকোচ মনোভাবেই বাসে উঠলো সে। বলা যায় বাধ্য হয়েই।

বাস মিস করলে তার লেট হবে। এয়ারপোর্টের এই রাস্তার কাজ চলায় প্রত্যহ সে ৩০ মিনিট সময় হাতে করেই বেরোয়। আজ বাসে তেমন ভীড় নেই। যানজটের ভোগান্তি থেকে বাঁচতে অনেকেই হাঁটি পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু দীপুর ধুলোতে বড্ড এলার্জি।
সিট নির্বাচন করে বসতেই কপালে ছোট্ট টিপ আঁকা মসৃণ চেহারার বীণার গভীর চোখে দৃষ্টি যায় দীপুর। বাসের মৃদু চলনে উজাড় চুলগুলো সে দৃষ্টিকে আরও প্রগাঢ় করে তুলল। দুই বছর না দেখার ক্লান্তি যেন মুহুর্তেই বিলিন হয়ে গেল। পেছন ফিরে মায়াভরা দৃষ্টিতে তাকে অনুসরণ করছিল বীণা। দু'বছর পর রং চটকানো একটি বাসে দুজনের দেখা হবে, তা দু'জনের কেউই ভাবেনি। পাশের সিটে বসা মেয়েটিকে অনুরোধ জানিয়ে সিটটায় বসতে লজ্জাহীনভাবে আহ্বান জানাল বীণা।
কেমন আছেন? দীপু উর্ধ্ব নিশ্বাসে হতবিহ্বল সুরে জিজ্ঞেস করলো।
'তোমায় দেখে অনেক ভালো লাগছে, তুমি কেমন আছো, দীপু?'
'হ্যাঁ, ভালো আছি। এভাবে দেখা হবে কখনো কল্পনা করিনি'।

বীণা পরের শব্দগুলো গুছিয়ে নিতে পারছিল না। ঢাকার এক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সে। কথাবার্তা এবং আচরণে আধুনিক ঢাকাই মেয়েদের মতোই তার কোন জড়তা নেই। কিন্তু দীপু, আজকে দীপু 'আপনি' বলে সম্বোধন করছে কেন? কত কঠিন ঝাঁজালো শব্দ, অথচ সম্মানের। বীণা কি আজ এই সম্মান প্রত্যাশা করেনি? ভাবতেই তার ভেতরটা কেদে উঠলো।
দীপু তার বড়, অন্তত শিক্ষার দিক দিয়ে।
২ বছর আগে রোজ এই ছেলের চেহেরাটা দেখতো হতো। বাহিরে বেরুতে বীণা প্রার্থনা করতো যেন তার সামনে না পড়তে হয়। কিন্তু সে বিপদের নিস্তার মিলতো না। সারাক্ষণ বীণার পিছু করাই যেন কাজ ছিল তার। বাসার সামনের গলিতে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেওয়া, গান গাওয়া আর হৈ হুল্লোড়ের মাধ্যমে ক্লান্ত করে বীণার এক দৃষ্টি প্রার্থনায় দিন কাঁটতো দীপুর। বিরক্ত হয়ে পরিবারকে জানালে আরও বেশি উদ্ভট হয়ে ওঠতো সে।

কিন্তু কোন এক ঝোড়ো হাওয়ায় হঠাৎই দীপুর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়। তবে বীণার জীবনে তা বয়ে দেয় ফাল্গুনী হাওয়ার আনন্দ। দীপুর পাগলামির জন্য পরিবার থেকে নানবিধ নিষেধ মেনে চলতে হতো তাকে। হঠাৎ দীপুর শূন্যতা বীণার মনের এই উচ্ছ্বাসের কারণ। দীপুর কথা আর ভাবা হয়নি। না ভাবার মধ্যেই ২ টা বছর কেটে গেছে। দুই বসন্তে বীণার জীবনে বেশ কয়েকজন পুরুষের আগমন ঘটেছে। কিন্তু কোথাও সে প্রশান্তি পায়নি। দীপুর প্রস্তাবকে সে বার বার প্রেম করবে না বলে প্রত্যাখ্যান করতো। কিন্তু একসময় সে দীপুর শূন্যতা অনুভব করতে থাকে। মানসিক এই অস্থিরতাই তাকে একাধিক পুরুষের কাছাকাছি আনে। সেই অনুভূতি কেউ স্পর্শ করতে পারেনি। আজ দুই বছর পর যখন দীপুর সাথে তার দেখা, তখন সে অন্য এক দীপু। মনে হলো ছেলেটি তার কত কাছের, কিন্তু দীপুর কাছে সে এখন বনেদি ঘরের শ্রদ্ধেয় কোন মেয়ে।
'দীপু এখন কি করো?'

'এয়ারপোর্টে ছোটখাটো একটা জব করছি।'
'হঠাৎ কোথায় চলে গিয়েছিলে?'
এক দীর্ঘ নিশ্বাস নিয়ে বীণা আবার জিজ্ঞেস করলো। দীপুর চোখ স্বচ্ছ হয়ে ওঠে। ঠোঁটগুলো তবু অন্যায় ভাবে হাসছিল। উত্তরটি অনেক বড়। তবে দীপু আজ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখে গেছে। দুইটি শব্দে সে উত্তর দিল, 'জীবনকে দেখতে'।

এরপর আর কোন প্রশ্ন করা হয়নি বীণার। বাসের হেল্পারের জোর গলার আওয়াজে ব্যস্ত হয়ে দাঁড়িয়ে ওঠে দীপু। 'আমায় নামিয়ে দিন' বলেই চাপা সুরে সে বিদায় জানায় বীণাকে। তার কাছে আজ সময়ের কত মূল্য। বীণা ফোন নম্বরটা সেভ করে রাখে।

এমন দিন কল্পনাতেই কেবল ফিরে। বীণা আজ তার মনের দূর্বলতা বুঝতে পেরেছে। পরিবর্তন কত অদ্ভুত বিষয়। নিজের অজান্তেই কত পরিবর্তন ঘটে চারপাশে।

রাত ৯ টায় ঘুমানোর পূর্বে বীণা ছোট্ট এক মেসেজ দিল, 'খেয়েছো?'। দীপু তখন গাড়ির মধ্যে। চোখ বুলিয়ে ফোনটি আবারো পকেটে গুজে। বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে বীণাকে মেসেজ লিখে দীপু। ক্রিং শব্দে ভেসে ওঠে বীণার ফোনে। তাতে 'খেয়েছি' যুক্ত কোন বাক্য ছিল না। 'রিপ্লাই দেবার দরকার নেই' লাইনটি বীণাকে ফুপিয়ে কাদিয়ে তুললো। একাকী এমন বহুরাত নিঃসঙ্গ কল্পনায় ভবিষ্যৎ এঁকেছিল দীপু। স্বপ্নের সেই নারীকে নিয়ে হাজার বছর বাঁচার ইচ্ছে ছিল তার। বীণা জানতে পারে পৃথিবীতে দীপুর আপন বলতে আর এখন কেউ নেই।


শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।


ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

মধ্যরাতে ডাকসু নিয়ে উত্তাল ঢাবি, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিন্ডিকেটে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) বিষয়ে আলোচনা না করতে উপাচার্যের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার অভিযোগ উঠে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভের ডাক দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকসুর রূপরেখা প্রণয়নের আল্টিমেটাম দেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা এমন আল্টিমেটাম দেন।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‌‌‘যারা ডাকসু বন্ধের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা রাস্তায় আছি। আমরা লীগকে বিতাড়িত করেছি, কোনো ছাত্রসংগঠনের ভয়ে ডাকসু থেকে পিছু হটব না। যারা ডাকসুর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, কবরস্থান, টেম্পুস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করে তাদের আমরা ১৭ জুলাই লাল কার্ড দেখিয়েছি। প্রশাসনের কাছে বলব, আপনারা তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবি জোবায়ের বলেন, ‘ঢাবি শিক্ষার্থীরা হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছে। সুতরাং নতুন করে যদি দানব তৈরি হয় শিক্ষার্থীরা তাদের পালাতে বাধ্য করবে। ঢাবি শিক্ষার্থীরা আর কোনো দানবকে দেখতে চায় না। ছাত্রদল যখন দেখেছে তারা ডাকসুতে জিততে পারবে না, তখন তারা ভিসি স্যারের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করার সাহস দেখিয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা এই প্রশাসনের সঙ্গেই আছি। অনতিবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দিয়ে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার বক্তব্যের শুরুতেই ছাত্রদল কর্তৃক হেনস্তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। তিনি বলেন, উপাচার্যকে অপমান করার মাধ্যমে ছাত্রদল পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কেই অপমান করেছে। উপাচার্যকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। আমরা শিক্ষার্থী নির্যাতনের আর পুনরাবৃত্তি চাই না।

Header Ad
Header Ad

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধুর অপ্রয়োজনীয় ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণে সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে, সাবেক সরকারের কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে দুদকের কমিশন বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান সংস্থার মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গার সাবেক এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৩৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএফআইইউ-এর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের প্রায় দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধেও মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে, ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক শুধাংশ শেখর ভদ্রের বিরুদ্ধে ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুদক। এছাড়া বিদেশে পালানোর আশঙ্কায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ঋণের নামে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। পাশাপাশি, সাংবাদিক মুন্নি সাহার বিরুদ্ধে ১৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭১ জন ফিলিস্তিনি। ইহুদিবাদী দেশটি এই সময়ে গাজায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে।

এখন পর্যন্ত এই সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৬০০ জনে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় আহত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এই তথ্য জানিয়েছে।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে। গাজা উপত্যকাজুড়ে নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে গাজার মিডিয়া অফিস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।

গাজার মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চিকিৎসা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলকে নিহতদের লাশ সরিয়ে নেওয়ার জন্য হামলাস্থলে পৌঁছাতে বাধা দিয়েছে এবং বিশেষ করে গাজা এবং উত্তর গাজায় রাস্তায় লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।”

“নৃশংস এই অপরাধের” জন্য মিডিয়া অফিস ইসরায়েলকে দায়ী করেছে এবং গণহত্যা বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে তাদের আইনি ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মধ্যরাতে ডাকসু নিয়ে উত্তাল ঢাবি, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি