সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মরে যাওয়া ভালবাসা

'হারানো নদীকে দেখেছেন? আমার জীবনটা ঠিক তেমনই। আমার অবয়বে ধারণ ক্ষমতা যথেষ্ট। কিন্তু তা পূর্ণতা পায়না জলের অভাবে। মরুভূমির অভিশাপ লেগেছে হয়তো। বীণা আপনি আমাকে আর দুঃখ দিয়েন না। আমি আপনার সাথে মিশতে চাই না। মৃত নদীর যৌবন ফিরে আসুক আমি তা চাইনা। সম্পর্কটাকে তুমিতে পরিণত করার আগ্রহ এই মুহুর্তে নেই। আমাকে রিপ্লে দেওয়ার দরকার নেই। ভালো থাকুন আপনি।'

বীণার মোবাইল স্ক্রিনে ক্রিং শব্দে এই মেসেজটিই ভেসে উঠলো। তাতে চোখ বুলাতেই ২ ফোটা অশ্রু অচমকা ফোনের স্ক্রিনটা ভিজিয়ে দিল।

আজ দু'বছর পর দীপুর সাথে তার দেখা। হালকা গড়নের ছেলেটির শরীরের মাংস ধরেছে। ভাঙা চোয়ালযুক্ত সুন্দর অবয়বে ভদ্রতার মিশ্রণ ঘটেছে। কাঁধে সাইড ব্যাগ ঝুলিয়ে হয়তো এয়াপোর্টের দিকে যাচ্ছিল। উত্তরা থেকে বীণা যে বাসটিতে উঠেছে সে বাসেই হঠাৎ তার সাথে চোখাচোখি। বাসে উঠবে কিনা তা নিয়ে দীপু যে কিছু একটা ভাবছিল তা তার চোখে পড়েছে। কিছুটা সংকোচ মনোভাবেই বাসে উঠলো সে। বলা যায় বাধ্য হয়েই।

বাস মিস করলে তার লেট হবে। এয়ারপোর্টের এই রাস্তার কাজ চলায় প্রত্যহ সে ৩০ মিনিট সময় হাতে করেই বেরোয়। আজ বাসে তেমন ভীড় নেই। যানজটের ভোগান্তি থেকে বাঁচতে অনেকেই হাঁটি পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু দীপুর ধুলোতে বড্ড এলার্জি।
সিট নির্বাচন করে বসতেই কপালে ছোট্ট টিপ আঁকা মসৃণ চেহারার বীণার গভীর চোখে দৃষ্টি যায় দীপুর। বাসের মৃদু চলনে উজাড় চুলগুলো সে দৃষ্টিকে আরও প্রগাঢ় করে তুলল। দুই বছর না দেখার ক্লান্তি যেন মুহুর্তেই বিলিন হয়ে গেল। পেছন ফিরে মায়াভরা দৃষ্টিতে তাকে অনুসরণ করছিল বীণা। দু'বছর পর রং চটকানো একটি বাসে দুজনের দেখা হবে, তা দু'জনের কেউই ভাবেনি। পাশের সিটে বসা মেয়েটিকে অনুরোধ জানিয়ে সিটটায় বসতে লজ্জাহীনভাবে আহ্বান জানাল বীণা।
কেমন আছেন? দীপু উর্ধ্ব নিশ্বাসে হতবিহ্বল সুরে জিজ্ঞেস করলো।
'তোমায় দেখে অনেক ভালো লাগছে, তুমি কেমন আছো, দীপু?'
'হ্যাঁ, ভালো আছি। এভাবে দেখা হবে কখনো কল্পনা করিনি'।

বীণা পরের শব্দগুলো গুছিয়ে নিতে পারছিল না। ঢাকার এক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সে। কথাবার্তা এবং আচরণে আধুনিক ঢাকাই মেয়েদের মতোই তার কোন জড়তা নেই। কিন্তু দীপু, আজকে দীপু 'আপনি' বলে সম্বোধন করছে কেন? কত কঠিন ঝাঁজালো শব্দ, অথচ সম্মানের। বীণা কি আজ এই সম্মান প্রত্যাশা করেনি? ভাবতেই তার ভেতরটা কেদে উঠলো।
দীপু তার বড়, অন্তত শিক্ষার দিক দিয়ে।
২ বছর আগে রোজ এই ছেলের চেহেরাটা দেখতো হতো। বাহিরে বেরুতে বীণা প্রার্থনা করতো যেন তার সামনে না পড়তে হয়। কিন্তু সে বিপদের নিস্তার মিলতো না। সারাক্ষণ বীণার পিছু করাই যেন কাজ ছিল তার। বাসার সামনের গলিতে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেওয়া, গান গাওয়া আর হৈ হুল্লোড়ের মাধ্যমে ক্লান্ত করে বীণার এক দৃষ্টি প্রার্থনায় দিন কাঁটতো দীপুর। বিরক্ত হয়ে পরিবারকে জানালে আরও বেশি উদ্ভট হয়ে ওঠতো সে।

কিন্তু কোন এক ঝোড়ো হাওয়ায় হঠাৎই দীপুর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়। তবে বীণার জীবনে তা বয়ে দেয় ফাল্গুনী হাওয়ার আনন্দ। দীপুর পাগলামির জন্য পরিবার থেকে নানবিধ নিষেধ মেনে চলতে হতো তাকে। হঠাৎ দীপুর শূন্যতা বীণার মনের এই উচ্ছ্বাসের কারণ। দীপুর কথা আর ভাবা হয়নি। না ভাবার মধ্যেই ২ টা বছর কেটে গেছে। দুই বসন্তে বীণার জীবনে বেশ কয়েকজন পুরুষের আগমন ঘটেছে। কিন্তু কোথাও সে প্রশান্তি পায়নি। দীপুর প্রস্তাবকে সে বার বার প্রেম করবে না বলে প্রত্যাখ্যান করতো। কিন্তু একসময় সে দীপুর শূন্যতা অনুভব করতে থাকে। মানসিক এই অস্থিরতাই তাকে একাধিক পুরুষের কাছাকাছি আনে। সেই অনুভূতি কেউ স্পর্শ করতে পারেনি। আজ দুই বছর পর যখন দীপুর সাথে তার দেখা, তখন সে অন্য এক দীপু। মনে হলো ছেলেটি তার কত কাছের, কিন্তু দীপুর কাছে সে এখন বনেদি ঘরের শ্রদ্ধেয় কোন মেয়ে।
'দীপু এখন কি করো?'

'এয়ারপোর্টে ছোটখাটো একটা জব করছি।'
'হঠাৎ কোথায় চলে গিয়েছিলে?'
এক দীর্ঘ নিশ্বাস নিয়ে বীণা আবার জিজ্ঞেস করলো। দীপুর চোখ স্বচ্ছ হয়ে ওঠে। ঠোঁটগুলো তবু অন্যায় ভাবে হাসছিল। উত্তরটি অনেক বড়। তবে দীপু আজ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখে গেছে। দুইটি শব্দে সে উত্তর দিল, 'জীবনকে দেখতে'।

এরপর আর কোন প্রশ্ন করা হয়নি বীণার। বাসের হেল্পারের জোর গলার আওয়াজে ব্যস্ত হয়ে দাঁড়িয়ে ওঠে দীপু। 'আমায় নামিয়ে দিন' বলেই চাপা সুরে সে বিদায় জানায় বীণাকে। তার কাছে আজ সময়ের কত মূল্য। বীণা ফোন নম্বরটা সেভ করে রাখে।

এমন দিন কল্পনাতেই কেবল ফিরে। বীণা আজ তার মনের দূর্বলতা বুঝতে পেরেছে। পরিবর্তন কত অদ্ভুত বিষয়। নিজের অজান্তেই কত পরিবর্তন ঘটে চারপাশে।

রাত ৯ টায় ঘুমানোর পূর্বে বীণা ছোট্ট এক মেসেজ দিল, 'খেয়েছো?'। দীপু তখন গাড়ির মধ্যে। চোখ বুলিয়ে ফোনটি আবারো পকেটে গুজে। বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে বীণাকে মেসেজ লিখে দীপু। ক্রিং শব্দে ভেসে ওঠে বীণার ফোনে। তাতে 'খেয়েছি' যুক্ত কোন বাক্য ছিল না। 'রিপ্লাই দেবার দরকার নেই' লাইনটি বীণাকে ফুপিয়ে কাদিয়ে তুললো। একাকী এমন বহুরাত নিঃসঙ্গ কল্পনায় ভবিষ্যৎ এঁকেছিল দীপু। স্বপ্নের সেই নারীকে নিয়ে হাজার বছর বাঁচার ইচ্ছে ছিল তার। বীণা জানতে পারে পৃথিবীতে দীপুর আপন বলতে আর এখন কেউ নেই।


শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।


ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র:রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে