সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মায়াবিনী

সেদিন ভার্সিটি থেকে বাসায় ফিরছি। ঠিক সেই মুহুর্তে পিছন থেকে একটা মেয়েলী কণ্ঠ ভেসে আসছে। আমায় নাম ধরে ডাকছে আমি ভাবছি আমার নামের অন্য কাউকে ডাকছে তাই মেয়েটার ডাকে সাড়া না দিয়ে আমি আমার গন্তব্যের দিকে হাটতে লাগলাম। দু তিন পা এগুতেই মেয়েটা আমার সামনে এসে দাঁড়ালো। দেখতে অনেক সুন্দর বটে কিন্তু আমি তো এই মেয়েটাকে চিনি না। এর আগে দেখছি বলে মনে হয় না। আমি বেশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলামঃ আপনি কি আমায় ডাকছেন? মেয়েটা মুখটা ভেংচি দিয়ে বললোঃ আপনাকে ছাড়া আর কাকে ডাকবো? এখানে এই নামে আর কেউ আছে বলে মনে হয় না। আমি মেয়েটার কথা শুনে আকাশ থেকে পড়লাম। চিনি না জানি না হঠাৎ কোথ থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসলো। আমি নরম মৃদু স্বরে বললামঃ আপনি আমাকে কিভাবে চিনেন? যেভাবেই হোক চিনি কিন্তু বলবো না। কি ঝামেলারে বাবা চিনে কিন্তু বলবে না। সেদিনের মত কথা শেষ করে বাসায় আসলাম। রাত ১২ টার দিকে আমার ফোনে একটা কল আসে। অচেনা নাম্বার দেখে প্রথমে ধরি নাই। বারবার কল দেওয়াতে বিরক্ত হয়ে ফোনটা ধরলাম।

এইযে কে আপনি? বারবার ফোন দিচ্ছেন কেনো? ফোনের ওপাশ থেকে কাঁদোকাঁদো কন্ঠে বললোঃ আমি। আমি রেগে গিয়ে বললামঃ আমি কে? নাম নাই নাকি? এবার মেয়েটা স্বাভাবিক ভাবে বললোঃ ঐ যে রাস্তায় দেখা হইলো। রাস্তায় তো আমার অনেক মেয়ের সাথে দেখা হয় আপনি কোনটা? এই কথা বলার পর মেয়েটা বাচ্চা পোলাপানের মত কাঁদতে লাগলো। আমিও বুঝে গেছি এইটা কোন মেয়ে। কি করবো বুঝতেছি না। আমি ধমক দিয়ে বললামঃ এইযে বাচ্চা পোলাপানের মত কাঁদছেন কেন? ভাবছি ধমক দিলে কান্না থেমে যাবে কিন্তু তার উল্টো হলো। তাই এবার আর ধমক না দিয়ে সুন্দর করে বুঝালামঃ আচ্ছা আপনি আমার কাছে কি চান? উত্তরে বললো আপনাকে। আমি অবাক হয়ে বললামঃ কিহ?? না মানে আপনার কণ্ঠে গান চাই । আমি মনেমনে বললাম যাক বাবা বাঁচা গেলো একটা গান শুনিয়ে বিদায় করে দেই। একটা গান শুনার পর মেয়েটা বায়না ধরে বসে প্রতি রাতে গান শুনাতে হবে যতক্ষণ ঘুম না আসে ততক্ষণ। আমি অনেক্ষণ চুপ করে রইলাম। মেয়েটা রীতিমত আমাকে থ্রেড দিয়ে বসলো যদি আমি প্রতি রাতে গান না শুনায় তাহলে রাস্তাঘাটে জড়িয়ে ধরে বলবে 'আই লাভ ইউ' আমি ভয় পেয়ে মেয়েটার কথায় রাজি হয়ে গেলাম। ভাবলাম প্রতি রাতে গান শুনালে খারাপ কি। আমারই ভালো গলাটা চালু থাকলো।

পরেরদিন……

আজকে ভার্সিটি যাওয়ার সময় দেখলাম মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে ঠিক সেই জায়গাতে। আমি আমার কাঁধ থেকে ব্যাগটা খুলে মুখ ঢেকে হাটতে লাগলাম। কিন্তু মেয়েটার কাছ থেকে বাঁচতে পারলাম না। পথ আটকে দাঁড়ালো। তারপর বললোঃ লুকিয়ে কই যান? মুখে হালকা একটু হাসি দিয়ে বললামঃ ছাতাটা আনতে ভুলে গেছি। মাথায় রোদ লাগছে তাই ব্যাগটা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখছিলাম। মেয়েটা আমার দিকে হা করে তাকিয়ে বললোঃ আমার কাছে ছাতা আছে চলেন আমি আপনাকে ভার্সিটি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসি। কি আর করা মেয়েটার কথামত ভার্সিটি পর্যন্ত গেলাম। মেয়েটা বললোঃ এতদূর পর্যন্ত আপনার মাথায় ছাতা দিয়ে আসলাম একটা থ্যাংকস পর্যন্ত দিলেন না? এমন কেন আপনি?? আমি কোনোকিছু না বলে চুপচাপ মেয়েটার কথা শুনছিলাম। তারপর একেবারে অনেকগুলা থ্যাংকস দিলাম। পরেরদিন ভার্সিটি শেষ করে বাসায় এসে মেসেঞ্জারে ঢুকলাম। অচিন পাখি নামের আইডি থেকে নতুন একটা মেসেজ রিকুয়েস্ট আসছে। চেক করে দেখলাম একটা মেয়ের আইডি। মেসেজে লেখা আপনার গান গুলা হেব্বি। আমি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আবার দেখলাম। এবার আর বুঝতে বাকি রইলো না এইটা ঐ মেয়ের কাজ। আজকে ফোন দিলে ইচ্ছেমত ঝাড়ি দিবো যাতে আর জীবনেও না ফোন দেয়। অপেক্ষা করতে লাগলাম মেয়েটির ফোনের আসায়। কিন্তু রাত ১২ বাজে অথচ এখনো মেয়েটির ফোন আসলো না আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম। তাড়াহুড়ো করে মেসেঞ্জারে ঢুকলাম। দেখলাম মেয়েটার আইডি কালো হয়ে গেছে। তারপর আমি নিজ থেকে মেয়েটিকে ফোন দিলাম। ফোন বন্ধ। আমি অনেকটা চিন্তায় পড়ে গেলাম। মেয়েটির কিছু হলো নাকি? নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম আমি এই মেয়েটিকে নিয়ে ভাবছি কেন? তারপর সবকিছু বাদ দিয়ে ঘুমাতে গেলাম। কিছুতেই ঘুম আসছে না। অনেক চেষ্টার পর হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে দেরি করে ঘুম থেকে উঠার কারণে নাস্তা না করেই ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। প্রতিদিন যেখানে ঐ মেয়েটির সাথে দেখা হত ঠিক সেখানে দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে আছি। কিন্তু ঐ মেয়েটিকে আর আসতে দেখলাম না। মেয়েটির জন্য প্রায় ১ ঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম আসেনি। এদিকে ভার্সিটির সময়ও শেষ। তাই আর ভার্সিটিতে না গিয়ে বাসার ফিরে আসলাম। প্রচণ্ড মন খারাপ।

সেদিনের পর থেকে প্রতি রাতে মেয়েটি যে টাইমে ফোন দিতো ঠিক সেই টাইমে মোবাইলে স্কিনের দিকে তাকিয়ে থাকি। মেসেঞ্জারে ঢুকে প্রতিদিন মেয়েটার আইডি চেক করি আর মেসেজ রিকুয়েস্ট চেক করি। কিন্তু ঐ মেয়েটিকে আর পাইনি। আজোও সেই মেয়েটির অপেক্ষায় আছি। মেয়েটি যখন আমার সাথে পাগলামো করতো তখন খুব বিরক্ত লাগতো কিন্তু এখন খুব মিস করছি। যখন ছিলো তখন তার মর্ম বুঝিনি এখন চলে গেছে তাই খুব আফসোস করছি। যেকোনো কিছু কাছে থাকলে তার মর্ম বুঝিনা কিন্তু সেটা চলে গেলে তখন খুব মিস করি।

 লেখক,ছড়াকার ও সাংবাদিক

 

ডিএসএস/ 

 



Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র:রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে