রিকশায় প্রেম
আমি ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য একটি রিকশা দেখতেছিলাম। রিকশা দেখার জন্য রাস্তার পাশে সাঈদের মার্কেটের সামমনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্য আমার পাশেই একটা মেয়ে এসে দাঁড়ায় রিকশার জন্য। মেয়েটি ছিল মাস্ক পড়া, সাদা রঙ্গের কলেজের ইউনিফর্ম পড়া উপর দিয়ে দেখতে মাশাল্লাহ ভালই দেখা যাইতেছিল (যদিও আমি তার চেহারা মোবারক দেখি নাই)। গায়ের রং ছিল ফর্সা এক কথায় অনেক ফর্সা।
রিকশা আসার পর মেয়েটি আর আমি একই রিকশায় উঠি। আমার মনে হচ্ছে মেয়েটি আমার দিকে তাকাচ্ছে। মনে মনে আমিও মেয়ের তাকানোর দিকে সায় দিতেছিলাম। কিন্তু ভদ্রতা দেখানোর জন্য মাথাটা নিচু করলাম। আমি ওই মেয়েটির পাশেই বসলাম। মনে মনে আমি অনেকটা লজ্জা পাচ্ছিলাম। তারপর মেয়েটি কি করলো হাতের মোবাইল ফোনটি বের করে মেসেঞ্জার ইউজ করতে ছিল। আমি চুপ করে বসে রইলাম ভদ্র ছেলের মত। আমাদের রিকশা আরেকটি রিকশা ওভারটেক করার সময় একটু ভাউতি মারে। তো ওটার কারণে আমার শরীরটা মেয়ের শরীরে একটা ধাক্কা খায়।
ওই ধাক্কা খাওয়ার পরে আমি কিছু মেয়েকে না বলে চুপ করে বসে মুচকি মুচকি হাসতে ছিলাম। অতঃপর কিছুক্ষণ পরে মেয়েটি হাত আমার শরীরে বা ডান হাতে স্পর্শ লাগতেছিল। তার মানে মেয়েটি এটা বোঝাচ্ছে এসে আমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক আর আমি সেটা বুঝতে পেরেছিলাম "আমি মনে মনে ভাবছিলাম ২২ বছর ধরে সিঙ্গেল আছি এবার মনে তার সমাপ্তি ঘটবে"।
তারপর আমি নিজে মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলাম যে আপনি কোন কলেজে পড়েন? মেয়েটি সুন্দরভাবে আমাকে উত্তর দিল যে উনি মহিলা ডিগ্রী কলেজে পড়ে। তারপর মেয়েটি জিজ্ঞাসা করে আপনি কি করেন? আমি বললাম যে আমিও পড়াশোনা করি পাশাপাশি সাংবাদিকতা করি। তখন মেয়েটি কথা বলা শুরু করলো আমার সাথে মেয়েটি জিজ্ঞাসা করেছিল যে আমাদের বাসা কোথায়? আমি আমার বাসার ঠিকানা দিলাম। এখন আমি মনে মনে বুঝতে পারলাম মেয়েটি তার ফোন নাম্বার দিতে ইচ্ছুক।
যখন আমি মেয়েটির নাম্বার নেওয়ার কথাটা মনে মনে ভাবছিলাম। ঠিক সেই সময় আমার মা আমাকে ফোন দিলো। মা কলটি রিসিভ করলাম সালাম দিলাম। মা জিজ্ঞাসা করল বাবা তুমি কোথায় আছো? আমি উত্তরে বললাম মা ভার্সিটির কাছাকাছি। তোমার সাথে আমার জরুরী কথা আছে তুমি এখনই বাসায় চলে আসো। তারপর ভার্সিটিতে যাও। খুবই জরুরি।
পরে আর কি বলবো আমার অনুভূতিগুলো আমার মনে চিন্তা ভাবনা গুলো ভেঙ্গে চুরে খান খান হয়ে গেল। আমার আর ডাবল হওয়ার স্বপ্নটা পূরণ হলো না। তখন আমার মনটা ছিল অনেক রাগান্বিত ভাব। যে মা আর কল দেওয়ার সময় পেল না। তারপর আমি যখন রিকশা কে দার করিয়ে ছিলাম রিকশা থেকে নামার জন্য তখন শুধু ওই মেয়ে টি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলো যতক্ষণ পর্যন্ত আমি ভাড়া দিচ্ছিলাম ততক্ষণ পর্যন্ত মেয়েটি আমার চোখের দিকে তাকিয়েই ছিলো । অবশেষে আমার সিঙ্গেল জীবন সিঙ্গেল এই রইলো।
ডিএসএস/