বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আই লাভ ইউ

চ্যাটিং এ প্রাপ্ত ঠিকানা আর মোবাইল নম্বর সম্বল করে বিকেল তিন-সাড়ে তিনটার সময় তনুকার স্কুলের সামনে এসে পৌঁছেছে তমাল। পাশের টি স্টলে বসে স্কুল প্রাঙ্গণের সবকিছু লক্ষ্য করছিল খুঁটে খুঁটে।

চারটার কিছু সময় পরে দোকানের কর্মচারী ছেলেটা বলে উঠল,

-ওই যে তনুকা ম্যাডাম আসছে, আজ বোধহয় বকেয়া টাকাগুলো দিয়ে যাবে।

হাতে ধরা চায়ের কাপ থেকে ছলকে পড়ল কিছুটা চা তমাল তালুকদারের কাপ থেকে। উৎসাহী চোখে চেয়ে দেখল- দীর্ঘাঙ্গী,শ্যামলা, হালকা পাতলা তনুকা, হেঁটে আসছে স্কুলের মাঠ পেরিয়ে গেটের দিকে। পরনে তার উজ্জ্বল নীল রঙের শাড়ি, সাদারঙের ফুলহাতা ব্লাউজ, ঘনকালো লম্বা চুল বারবার ডিস্টার্ব করছে। উড়ে এসে গালে, চোখে মুখে পড়ছে আর তনুকা বিরক্তির সাথে বাম হাতের চম্পক আঙুলে সরিয়ে দিচ্ছে।

তমাল তালুকদার ভাবছে, বয়স কমপক্ষে পঁয়ত্রিশ আপ হবে, অথচ ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছে ২৫ বছর। প্রোফাইল ছবিটাও অন্তত পাঁচ কি সাত বছর আগেকার।

আনমনে হাসল তমাল তালুকদার! সে-ও কী আর কম করেছে! সেও তো তার প্রোফাইল পিক দিয়েছে দশ বছর আগের চেহারার! দেখলে মনে হবে নায়ক উত্তম কুমার।

বয়স লিখেছে সাঁইত্রিশ, অথচ এখন তার বয়স সাতচল্লিশ।

বয়সটাই প্রায় শেষ করে ফেলল সে যাত্রা থিয়েটার আর গান-বাজনা করে করে। বাপের রেখে যাওয়া সম্পত্তির প্রায় অর্ধেক শেষ করেছে এসবের পেছনে।

এখনো থানা সদরে তিনটে বাড়ি, পাঁচটা দোকান ঘর, ভাড়া দিয়েছে। গ্রামের জমিজমা কন্ট্রাক্ট আছে গ্রামের কিছু লোকের কাছে, প্রতি আবাদ মৌসুমে বেশ মোটা টাকা আসে সেখান থেকে। বাড়ি ভাড়া, দোকান ভাড়া উঠে প্রায় লাখ খানেকের মতো।

এ যাবৎ শ'খানেকবার প্রেমে পড়েছে সে, অথচ কী দুর্ভাগ্য! একটি প্রেমও স্থায়ী হয়নি তার। প্রায় বাধ্য হয়েই ব্যাচেলর হয়ে আছে আজও।

বছর তিনেক হলো ফেসবুকে পরিচয় তনুকার সাথে। পরিচয় থেকে প্রেম। যদিও জানে সে, যে-ইনবক্সে প্রেম করা আর ট্রেনের চাকায় পাম্প করা একই কথা। তবুও তনুকার ডাকে আর স্থির থাকতে পারেনি তার দীর্ঘ বছরের উপবাসী মন।

সুদূর রংপুর থেকে ছুটে এসেছে আজ ঢাকায়। রহস্যপ্রিয় তমাল রহস্য করতেই প্রায় ছুটে এসেছে কোনো পূর্বাভাস না দিয়েই। ভাবনা শেষে চমকে উঠল তমাল তালুকদার। দেখল, তনুকা টি-স্টলে না ঢুকে হন হন করে হেঁটে যাচ্ছে শাহবাগ বাসস্ট্যান্ডের দিকে। চট করে উঠে দাঁড়িয়ে হাঁটা ধরল সেও তনুকার উদ্দেশে।

ততক্ষণে বেশ কিছুদূর এগিয়ে গেছে তনুকা। একবার ভাবল, ফোন করে জানিয়ে দেয় যে, সে এসেছে। কিন্তু রহস্যপ্রিয় মন তাতে সায় দিল না। তাড়াহুড়ো করে সেও হাঁটা ধরল তনুকার পেছন পেছন।

ততক্ষণে অনেক দূর এগিয়ে গেছে তনুকা। শাহবাগ বাস্ট্যান্ডে গিয়ে থামল তনুকা, তার থেকে গজ দশেক পেছনে তমাল, ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে প্রায়। হঠাৎ একটা লোকাল বাস এসে পড়ায় সেটাতে উঠে পড়ল তনুকা।

ধড়াস করে উঠল তমালের হৃৎপিণ্ড, এই বোধহয় হারালাম! ছুটে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া বাসের হ্যান্ডল চেপে ধরে ঝুলতে থাকল, তারপরে কোনোমতে উঠে পড়ল বাসে। সন্ধানী দৃষ্টিতে খুঁজল মহিলা সিটে। না! নেই সে! দাঁড়ানো লোকজনের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে গেল বাসের বামধারে পুরুষ সিটে বসে আছে তনুকা।

মুখোমুখি দুটি সিটে দুজন করে চারজন প্যাসেঞ্জার, তারমধ্যে তনুকাই একমাত্র নারী। তার সামনের সিটে মুখোমুখি প্যাসেঞ্জার দুজনের একজন কিশোর, বড় জোর ক্লাস এইট/নাইনে পড়তে পারে। দাঁড়ানো লোকজনের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে ঠেলেঠুলে কোনো মতে ওই সিটের কাছে গিয়ে অভিনয় শুরু করল সে।

-বাবাজি, একটু জায়গা পাওয়া যাবে? আমার কোমরে ব্যথা (ল্যম্বেগো)। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে নিষেধ করেছেন ডাক্তার।

বিনয়ের অবতার ছেলেটি সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে বলল,

-বসুন আঙ্কেল, আমি তো সামনের স্টপেজেই নেমে যাচ্ছি।

ছেলেটির মাথায় হাত দিয়ে মিছেমিছি দোয়া করল পাক্কা অভিনেতা তমাল তালুকদার। তারপর ধুপ করে বসে পড়ল তনুকার মুখোমুখি হয়ে।
যাক বাবা বাঁচা গেল! আর পালাতে পারবে না, মনে মনে স্বগতোক্তি করল সে।

পরের স্টপেজে কিশোর ছেলেটাসহ বাকি দুজন পুরুষও নেমে গেলে, তনুকাই প্রথমে কথা বলল-

-আপনি কোনখানে নামবেন?

-আগে বল "আই লাভ ইউ" তারপরে বলছি কোথায় নামব,
হাসতে হাসতে বলল তমাল তালুকদার।

কথাটা শুনে ধমকে উঠল পয়ত্রিশোর্ধ্ব ব্যাচেলর বুড়ি,

- কী ! এতবড় স্পর্ধা! আপনি আমাকে লাভ ইউ বলতে বলছেন!

মিটি মিটি হাসছে চল্লিশোর্ধ বুড়ো এবং একটা চুইংগাম দিতে গেল অগ্নিমূর্তিধারী বয়স্কা সুন্দরীকে। আবার জ্বলে উঠল বিগতযৌবনা নারী,

-আমি কচি খুকি না কি, যে চুইংগাম খাব?

- এ বয়সে যেমন চুইংগাম চোষা মানায় না,
লাভ ইউ বলাও তেমনি শোভা পায় না, তাই না ডার্লিং? হাসতে হাসতে বললেন বয়স্ক ভদ্রলোক।

আবার ক্ষেপে উঠল বিগতযৌবনা।

-কী! আপনি আমাকে ডার্লিং বল্লেন? জানেন আমি কে?

-জানি তো তুমি তনুকা, প্রাইমারি স্কুলের টিচার? এখনো অবিবাহিত, ঠিক আমার মতো।

বিস্ময়াভূত তনুকা!

-কীভাবে জানলেন আমি অবিবাহিত!

-হাহাহা, হাহাহা, দাদরা তাল এর ছয় মাত্রার হাসি দিয়ে বললেন বয়স্ক লোক,

-ফেসবুক চ্যাটিং এ তো তুমিই বলেছিলে গো!

-তারমানে! কে আপনি?

কিচ্ছু বলছে না লোকটা, মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে, হাতে ধরা মোবাইল ফোনে ডায়াল করল। রিং টোন বেজে উঠল তনুকার ফোনে-

তুমি সুন্দরো যদি নাহি হও, তাই বলে কিবা যায় আসে? প্রেমের কী রূপ সেই জানে, সেই জানে, ও গো যে কখনো ভালবাসে-এ-এ-এ, যে কখনো ভালোবাসে।

রিং টোনের গানটা শেষ না হতেই রিসিভ করে হ্যালো বলল সে। উত্তরে মুখোমুখি বসা নির্লজ্জ লোকটার কণ্ঠে ভেসে এল,

-ইয়েস তনুকা, আই লাভ ইউ।

ঝট করে সুইচ অফ করে আনন্দে চেঁচিয়ে উঠল তনুকা

-তুমিই তমাল!

মিষ্টি হাসির সাথে সম্মুখে হ্যাঁ-বোধক মাথা দোলাচ্ছে বয়স্ক তমাল তালুকদার।

আনন্দাতিশয্যে কাঁপতে কাঁপতে ঝট করে উঠে পড়ে, ধ্বপ করে বসে পড়ল তনুকা তমালের পাশে। কণ্ঠরুদ্ধ হয়ে গেল আবেগাতিশয্যে, তবুও কাঁপা কাঁপা স্বরে বলল,

-তুমি এত দুষ্টু কেন! আই লাভ ইউ।

হাতের ব্রিফকেস খুলে প্যাক করা একগুচ্ছ সাদা গোলাপ বের করে, তনুকার দিকে বাড়িয়ে ধরল তমাল। কাঁপা কাঁপা হাতে পুষ্পগুচ্ছ নিয়ে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে উচ্চারণ করল তনুকা,

-থ্যাঙ্ক ইউ।

দু'চোখের কোণে তার আনন্দাশ্রু, শীতের শিশির বিন্দুর মতো চিক চিক করে নাচছে।

প্রকাশ চন্দ্র রায়: কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী।

এসএন

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া