সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ভালোবাসার টান

ইন্টারমিডিয়েটে পড়া নুপুর প্রেমে পড়ে রায়হানের। রায়হান ডিগ্রিতে পড়ে। দুজনের মাঝে গভীর সম্পর্ক। একে অপরকে না দেখে থাকতে পারে না। গোপন অভিসারে মিলিত হয়। বিষয়টা জানতে পারে নুপুরের বাবা। রায়হান খুব গরিব। বাবা দিন মজুর। এমন একটা হাভাতে ঘরের ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে, না তা কিছুতেই সম্ভব না। তাই তড়িঘড়ি করে মেয়ের বিয়ে দেন ব্যবসায়ী সবুজ শিকদারের সঙ্গে।

বধু বেসে চলে যায় নুপুর। স্বামী কক্ষে প্রবেশ করে। নুপুরের গায়ে হাত দিতে যায়। একি! নুপুর ঝাপটা দিয়ে তার হাত সরিয়ে দিয়ে কড়া ভাষায় বলল, ‘ডোন্ট টাচ মি’। সবুজ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, তোমায় টাচ করব না মানে, তুমি আমার বউ না? স্পষ্ট ভাষায় কোনো দ্বিধা ছাড়াই উত্তর দেয় নুপুর, ‘না আমি তোমার বউ না’। তাহলে কার বউ?

রায়হানের বউ। আমি তাকে ভালোবাসি। তাকে ছাড়া আমি অন্য কাউকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারব না। তাহলে আমাকে বিয়ে করলে কেন? বাবা জোর করে তোমার সঙ্গে আমার বিয়ে দিয়েছেন। আমি রাজি ছিলাম না।
এখন কী করবে? আমি রায়হানের কাছে ফিরে যাব।

শোন নুপুর, বিয়ের আগে এসব ভালোবাসাবাসি অনেক হয়। বিয়ের পর এসব মনে রাখতে নেই।তুমি আমার বিবাহিতা স্ত্রী। বিয়ের পর বউয়ের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হওয়াটা আল্লাহ পাকের দেওয়া নেয়ামত। আমি এ নেয়ামত থেকে তোমাকে বঞ্চিত করতে পারব না। তুমি আমার বউ, আমি তোমাকে ভালোবাসব। এসব ফালতু ভালোবাসা ভুলে যাও।
না আমি কিছুতেই রায়হানকে ভুলতে পারব না।
বললে হলো। এসো দুজন মিলে...।
নুপুরকে জড়িয়ে ধরতে চাইলে সে তাকে সরিয়ে দেয়। এমনি ধস্তাধস্তি ও সংগ্রামের মধ্যে পার হলো সারারাত। নুপুরকে ভালোবাসাতো দূরের কথা, টাচও করতে পারল না সবুজ। পরদিনও একই অবস্থা।

নুপুর ভুলতে পারছে না রায়হানকে। আর সবুজ নুপুরের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য ব্যাকুল। রোজ রাতে তাদের মাঝে এক প্রকার যুদ্ধ চলে। সবুজ আর সহ্য করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে শ্বশুরকে ফোন করে সবকিছু জানাই। শ্বশুর জামাইকে বুঝ-ভরসা দেয় ধৈর্য ধারণ করতে বলে।
সবুজের ধারণা সত্যি নুপুর একদিন তাকে ভালোবাসবে। রোজ রাতে বউকে বুঝায়, ভালোবাসতে চায়। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। নুপুর তাকে কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছে না। এভাবে কেটে গেল বিশ দিন। নুপুরের মনে সবুজের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হলো না। তার হৃদয়ের সমস্ত আকাশ জুড়ে আছে রায়হান। সে রায়হানের কাছে ছুটে যায়। খবর পেয়ে ছুটে যান নুপুরের বাবা।

মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে বলেন, নুপুর তুই একি করলি। আমার মান-সম্মান ধুলায় মিশিয়ে দিলি। ফিরে চল মা স্বামীর কাছে। না বাবা আমি যাব না। আমি রায়হানের কাছে থাকব।
পাগলামী করিস না মা। এ সম্ভব না। লোকে শুনলে বদনাম রটাবে।আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারব না।
তবুও আমি যাব না।তুমি চলে যাও।
বাবা অনেক বুঝাল মেয়েকে। কিন্তু মেয়ে কিছুতেই বাবার কথায় সাড়া দিল না। এবার বাবা কৌশলে তাকে রায়হানের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে বাড়ি নিয়ে আসে। তারপর স্বামী সবুজের হাতে তুলে দেয়। সবুজ তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। নুপুরকে একান্ত আপন করে পাওয়ার জন্য জড়িয়ে ধরে। সে তাকে সরিয়ে দিয়ে বলে,
বলেছি না তুমি আমাকে ছোঁবে না। তবুও কাছে আসছ কেন?
বউ, আমি যে তোমার ভালোবাসা ছাড়া থাকতে পারব না।
কিন্তু আমিতো তোমাকে ভালোবাসি না।তবুও জোর করছ কেন?
বউ দেখে নিও, রায়হানের চেয়ে তোমাকে আমি আরও বেশি ভালোবাসব। শুধু একবার ভালোবাসার সুযোগ দাও।
না তোকে আমি ঘৃণা করি। তুই আমার কাছে ঘেঁষবি না।
সবুজ আর থেমে থাকতে পারল না। ক্ষুব্ধ হয়ে উঠল। চোখ রাঙিয়ে বলল, শোন নুপুর, আমি অনেক সহ্য করেছি। আর না। তুই আমার না হলে আর কারও হবি না। আজ তোকে আমি ছাড়ব না।দেখি কে ঠেকায়।

এক প্রকার জোর করে সে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়। নুপুর বাধা দেয়। সে কষে দেয় এক চড়। তারপর এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি মারতে লাগল। নুপুর কাত হয়ে বিছানায় পড়ে যায়। অজ্ঞান হয়ে যায়। সবুজ ভয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। তালা বন্ধ করে দেয়। জ্ঞান ফেরার পর বলে, যেদিন তুই আমাকে ভালোবাসবি, সেদিন এ দরজা খুলব। এর বাইরে না।
তুইও মন দিয়ে শোন, জোর করে, মারপিট করে, বন্দী করে কখনো ভালোবাসা পাওয়া যায় না।ভালোবাসা সম্পূর্ণ অন্তরের অনুভূতি। তা অন্তর দিয়ে অনুভব করতে হয়। আমি মরে গেলেও তোকে ভালোবাসব না।
নুপুর কিন্তু থেমে নেই। বের হওয়ার চেষ্টা...। শেষে গভীর রাতে জানালা ভেঙ্গে রায়হানের কাছে ছুটে যায়। তাকে দেখে রায়হান বলে, নুপুর তুমি আবার কেনো এলে। চলে যাও।
না আমি যাব না।
অযথা জেদ করো না। তোমার বাবা আবার এসে তোমাকে নিয়ে যাবে।
আমি সেই সময় আর তাকে দেব না। আমরা এখনি বিয়ে করব। তুমি বিয়ের ব্যবস্থা কর।
না আমি পারব না।আমার ভয় করে। তোমার বাবা আবার যদি কিছু করে বসে।

রায়হান ভয় করলে চলবে? আমি তোমার ভালোবাসা ছাড়া বাঁচতে পারব না। তোমার মতো অন্তরের অনুভূতি দিয়ে এত ভালো কেউ আমাকে বাসবে না। তোমার অন্তরের ছোঁয়া যে আমার অন্তরে লেগে গেছে। তাই বারবার তোমার ভালোবাসার টানে ছুটে আসি। তবুও যদি না কর, আমি আত্মহত্যা করব। তবুও ওর কাছে ফিরে যাব না। না নুপুর তা কর না। আমি এখনি বিয়ের ব্যবস্থা করছি।

ঠিক সেই মূহূর্তে উপস্থিত হলো সবুজ শিকদার ভিলেন বাহিনী নিয়ে। নুপুরকে নিশানা করে গুলি করল। নুপুরের বক্ষভেদ করল। তাকে বাঁচাতে সামনে দাঁড়াল রায়হান। তাকেও রেহায় দেওয়া হলো না। গুলি তারও বক্ষভেদ করল। দুজনে কাত হয়ে মাটিতে পড়ে গেল। তখনি সবুজ বলল,
বলেছি না তুই আমার না হলে আর কারও হবি না।

কাতরাতে কাতরাতে উত্তর দিলো নুপুর, আমাদের এ জনমে মিলন না হোক,পর জনমে তো হবে। নুপুর আর কথা বলতে পারল না।মারা গেল। পাশাপাশি দুটো লাশ পড়ে রইল। দু পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়ল। পুলিশ সবুজকে ধরে নিয়ে গেল।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে