বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভালোবাসার টান

ইন্টারমিডিয়েটে পড়া নুপুর প্রেমে পড়ে রায়হানের। রায়হান ডিগ্রিতে পড়ে। দুজনের মাঝে গভীর সম্পর্ক। একে অপরকে না দেখে থাকতে পারে না। গোপন অভিসারে মিলিত হয়। বিষয়টা জানতে পারে নুপুরের বাবা। রায়হান খুব গরিব। বাবা দিন মজুর। এমন একটা হাভাতে ঘরের ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে, না তা কিছুতেই সম্ভব না। তাই তড়িঘড়ি করে মেয়ের বিয়ে দেন ব্যবসায়ী সবুজ শিকদারের সঙ্গে।

বধু বেসে চলে যায় নুপুর। স্বামী কক্ষে প্রবেশ করে। নুপুরের গায়ে হাত দিতে যায়। একি! নুপুর ঝাপটা দিয়ে তার হাত সরিয়ে দিয়ে কড়া ভাষায় বলল, ‘ডোন্ট টাচ মি’। সবুজ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, তোমায় টাচ করব না মানে, তুমি আমার বউ না? স্পষ্ট ভাষায় কোনো দ্বিধা ছাড়াই উত্তর দেয় নুপুর, ‘না আমি তোমার বউ না’। তাহলে কার বউ?

রায়হানের বউ। আমি তাকে ভালোবাসি। তাকে ছাড়া আমি অন্য কাউকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারব না। তাহলে আমাকে বিয়ে করলে কেন? বাবা জোর করে তোমার সঙ্গে আমার বিয়ে দিয়েছেন। আমি রাজি ছিলাম না।
এখন কী করবে? আমি রায়হানের কাছে ফিরে যাব।

শোন নুপুর, বিয়ের আগে এসব ভালোবাসাবাসি অনেক হয়। বিয়ের পর এসব মনে রাখতে নেই।তুমি আমার বিবাহিতা স্ত্রী। বিয়ের পর বউয়ের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হওয়াটা আল্লাহ পাকের দেওয়া নেয়ামত। আমি এ নেয়ামত থেকে তোমাকে বঞ্চিত করতে পারব না। তুমি আমার বউ, আমি তোমাকে ভালোবাসব। এসব ফালতু ভালোবাসা ভুলে যাও।
না আমি কিছুতেই রায়হানকে ভুলতে পারব না।
বললে হলো। এসো দুজন মিলে...।
নুপুরকে জড়িয়ে ধরতে চাইলে সে তাকে সরিয়ে দেয়। এমনি ধস্তাধস্তি ও সংগ্রামের মধ্যে পার হলো সারারাত। নুপুরকে ভালোবাসাতো দূরের কথা, টাচও করতে পারল না সবুজ। পরদিনও একই অবস্থা।

নুপুর ভুলতে পারছে না রায়হানকে। আর সবুজ নুপুরের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য ব্যাকুল। রোজ রাতে তাদের মাঝে এক প্রকার যুদ্ধ চলে। সবুজ আর সহ্য করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে শ্বশুরকে ফোন করে সবকিছু জানাই। শ্বশুর জামাইকে বুঝ-ভরসা দেয় ধৈর্য ধারণ করতে বলে।
সবুজের ধারণা সত্যি নুপুর একদিন তাকে ভালোবাসবে। রোজ রাতে বউকে বুঝায়, ভালোবাসতে চায়। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। নুপুর তাকে কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছে না। এভাবে কেটে গেল বিশ দিন। নুপুরের মনে সবুজের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হলো না। তার হৃদয়ের সমস্ত আকাশ জুড়ে আছে রায়হান। সে রায়হানের কাছে ছুটে যায়। খবর পেয়ে ছুটে যান নুপুরের বাবা।

মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে বলেন, নুপুর তুই একি করলি। আমার মান-সম্মান ধুলায় মিশিয়ে দিলি। ফিরে চল মা স্বামীর কাছে। না বাবা আমি যাব না। আমি রায়হানের কাছে থাকব।
পাগলামী করিস না মা। এ সম্ভব না। লোকে শুনলে বদনাম রটাবে।আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারব না।
তবুও আমি যাব না।তুমি চলে যাও।
বাবা অনেক বুঝাল মেয়েকে। কিন্তু মেয়ে কিছুতেই বাবার কথায় সাড়া দিল না। এবার বাবা কৌশলে তাকে রায়হানের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে বাড়ি নিয়ে আসে। তারপর স্বামী সবুজের হাতে তুলে দেয়। সবুজ তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। নুপুরকে একান্ত আপন করে পাওয়ার জন্য জড়িয়ে ধরে। সে তাকে সরিয়ে দিয়ে বলে,
বলেছি না তুমি আমাকে ছোঁবে না। তবুও কাছে আসছ কেন?
বউ, আমি যে তোমার ভালোবাসা ছাড়া থাকতে পারব না।
কিন্তু আমিতো তোমাকে ভালোবাসি না।তবুও জোর করছ কেন?
বউ দেখে নিও, রায়হানের চেয়ে তোমাকে আমি আরও বেশি ভালোবাসব। শুধু একবার ভালোবাসার সুযোগ দাও।
না তোকে আমি ঘৃণা করি। তুই আমার কাছে ঘেঁষবি না।
সবুজ আর থেমে থাকতে পারল না। ক্ষুব্ধ হয়ে উঠল। চোখ রাঙিয়ে বলল, শোন নুপুর, আমি অনেক সহ্য করেছি। আর না। তুই আমার না হলে আর কারও হবি না। আজ তোকে আমি ছাড়ব না।দেখি কে ঠেকায়।

এক প্রকার জোর করে সে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়। নুপুর বাধা দেয়। সে কষে দেয় এক চড়। তারপর এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি মারতে লাগল। নুপুর কাত হয়ে বিছানায় পড়ে যায়। অজ্ঞান হয়ে যায়। সবুজ ভয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। তালা বন্ধ করে দেয়। জ্ঞান ফেরার পর বলে, যেদিন তুই আমাকে ভালোবাসবি, সেদিন এ দরজা খুলব। এর বাইরে না।
তুইও মন দিয়ে শোন, জোর করে, মারপিট করে, বন্দী করে কখনো ভালোবাসা পাওয়া যায় না।ভালোবাসা সম্পূর্ণ অন্তরের অনুভূতি। তা অন্তর দিয়ে অনুভব করতে হয়। আমি মরে গেলেও তোকে ভালোবাসব না।
নুপুর কিন্তু থেমে নেই। বের হওয়ার চেষ্টা...। শেষে গভীর রাতে জানালা ভেঙ্গে রায়হানের কাছে ছুটে যায়। তাকে দেখে রায়হান বলে, নুপুর তুমি আবার কেনো এলে। চলে যাও।
না আমি যাব না।
অযথা জেদ করো না। তোমার বাবা আবার এসে তোমাকে নিয়ে যাবে।
আমি সেই সময় আর তাকে দেব না। আমরা এখনি বিয়ে করব। তুমি বিয়ের ব্যবস্থা কর।
না আমি পারব না।আমার ভয় করে। তোমার বাবা আবার যদি কিছু করে বসে।

রায়হান ভয় করলে চলবে? আমি তোমার ভালোবাসা ছাড়া বাঁচতে পারব না। তোমার মতো অন্তরের অনুভূতি দিয়ে এত ভালো কেউ আমাকে বাসবে না। তোমার অন্তরের ছোঁয়া যে আমার অন্তরে লেগে গেছে। তাই বারবার তোমার ভালোবাসার টানে ছুটে আসি। তবুও যদি না কর, আমি আত্মহত্যা করব। তবুও ওর কাছে ফিরে যাব না। না নুপুর তা কর না। আমি এখনি বিয়ের ব্যবস্থা করছি।

ঠিক সেই মূহূর্তে উপস্থিত হলো সবুজ শিকদার ভিলেন বাহিনী নিয়ে। নুপুরকে নিশানা করে গুলি করল। নুপুরের বক্ষভেদ করল। তাকে বাঁচাতে সামনে দাঁড়াল রায়হান। তাকেও রেহায় দেওয়া হলো না। গুলি তারও বক্ষভেদ করল। দুজনে কাত হয়ে মাটিতে পড়ে গেল। তখনি সবুজ বলল,
বলেছি না তুই আমার না হলে আর কারও হবি না।

কাতরাতে কাতরাতে উত্তর দিলো নুপুর, আমাদের এ জনমে মিলন না হোক,পর জনমে তো হবে। নুপুর আর কথা বলতে পারল না।মারা গেল। পাশাপাশি দুটো লাশ পড়ে রইল। দু পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়ল। পুলিশ সবুজকে ধরে নিয়ে গেল।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া