ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে হারলেন প্রতিমন্ত্রী এনাম ও মুরাদ জং
এনামুর রহমান (বাঁয়ে) সাইফুল ইসলাম (মাঝে), এবং মুরাদ জং ( ডানে)
ঢাকা-১৯ আসনে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলামের কাছে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এবং সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ। পরাজিত দুই প্রার্থীই ছিলেন হেভিওয়েট।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছিলেন। ভোটার বহুল ধামসোনা ইউনিয়নের সাতবারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান তিনি।
সংসদীয় ১৯২ আসনের সহকারী রিটার্নিং কার্যালয় সূত্র জানায়, ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৪,৪১২ ভোট।
ঢাকার সাভার ও আশুলিয়া নিয়ে গঠিত এই আসনে ২৯২ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৬ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৬৫০টি। ৪,০৯১টি বাতিলের পর বৈধ ভোট ছিল ২ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৯টি।
দিনভর শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনি এলাকায় কোথায় কোনো সহিংসতার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলামের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ পেয়েছেন ৭৬,২০২ ভোট। এ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান পেয়েছেন ৫৬,৩৬১ ভোট।
নির্বাচনের পুরো সময় ধরেই জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত ছিল ঢাকা-১৯ আসন। দশ বছর রাজনীতিতে ফিরে চমক জাগিয়েছিলেন তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ। অনেকেই ধারণা করেছিলেন, স্বতন্ত্র মুরাদের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. এনামুর রহমানের। এমনকি নৌকার পরাজয়ও ঘটতে পারে।
তবে ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ঈগল নয়। বরং জয়লাভ করেছেন স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে সংসদ সদস্যের ভোটে আসা সাইফুল ইসলাম।
এ আসনের অপর প্রার্থীরা ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইসরাফিল হোসেন সাভারী আম প্রতীকে ৫৪১ ভোট পেয়েছেন, গণফ্রন্টের নুরুল আমীন মাছ প্রতীকে ১১০ ভোট পেয়েছেন, তৃণমূল বিএনপির মাহবুবুল হাসান সোনালী আঁশ প্রতীকে ২৬৮ ভোট পেয়েছেন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির আইরিন পারভীন কাঁঠাল প্রতীকে ১৮৭ ভোট পেয়েছেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিলন কুমার ডাব প্রতীকে ১৭৭ ভোট পেয়েছেন, বিএনএমের সাইফুল ইসলাম নোঙ্গর প্রতীকে ১৩৭ ভোট পেয়েছেন ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মো: জুলহাস একতারা প্রতীকে ১৬৬ ভোট পেয়েছেন।