শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘উপনির্বাচনকেও সরকার তামাশায় পর্যবসিত করেছে’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ৬টি উপনির্বাচনে বিদ্যমান নির্বাচন-নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি গণঅনাস্থা ও গণহতাশার প্রকাশ ঘটেছে। বিরোধী দলহীন উপনির্বাচনকেও সরকার ও সরকারি দল তামাশায় পর্যবসিত করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, গতকাল অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের ৬টি শুন্য আসনে ৮০ শতাংশ ভোটাররা ভোট দিতে না যেয়ে বিদ্যমান নির্বাচন ও নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি আরও একবার তাদের গণঅনাস্থা ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। বিরোধী দলবিহীন এসব উপনির্বাচনকে সরকার ও সরকারি দল তামাশায় পর্যবসিত করেছে।

তিনি আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দলছুট বিএনপি নেতাকে জেতাতে সরকারি দল এমন কোনো অপকর্ম নেই যা করেনি। বিরোধী দলহীন এসব লোক দেখানো একতরফা নির্বাচনেও তাদেরকে প্রকাশ্যে নানা ধরনের জালিয়াতির আশ্রয় নিতে হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই উপনির্বাচনেও সরকারি দল বিতর্কিত মাগুরার নির্বাচনকে লজ্জা দিয়েছে। বগুড়ায় হিরো আলমের নির্বাচনী ফলাফল প্রমাণ করে যে, প্রচলিত নির্বাচনী তামাশা আর রাজনীতিকদের প্রতি গণঅনাস্থাও ক্রমে বেড়ে চলেছে।

দলের রাজনৈতিক পরিষদের সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, নির্বাচনের নামে এসব তামাশা গণহতাশাকে কেবল প্রলম্বিতই করছে। প্রস্তাবে নির্বাচনী প্রহসনকে অর্থ ও সময়ের অপচয় হিসেবে আখ্যায়িত করে অবিলম্বে এসব তামাশা বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ ভেঙে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনতে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন আরও জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে বিদ্যুতের বাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারিতা হিসেবে আখ্যায়িত করে দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হককের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক পরিষদের সভায় বক্তব্য রাখেন পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, মাহমুদ হোসেন।

এমএইচ/এসজি

Header Ad
Header Ad

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। ছবি: সংগৃহীত

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়ে চলমান আলোচনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান জানিয়েছেন, এটি আসলে নাম পরিবর্তন নয়, বরং পুরোনো ঐতিহ্যে ফেরার প্রচেষ্টা।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। আমরা পুরোনো নাম এবং ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি, যেটা দিয়ে চারুকলার এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের শোভাযাত্রার নাম হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’, যা ১৯৮৯ সালে এই শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার সময়ের মূল নাম। নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে এই আয়োজনের নামকরণ করা হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’, যা পরে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেসকো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান আরও বলেন, এই শোভাযাত্রার মূল বার্তা দুটি। একটি হচ্ছে স্বৈরাচার ও সামাজিক দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং অন্যটি হচ্ছে ঐক্য ও সম্প্রীতির আহ্বান। তিনি বলেন, “আমরা এই দুটি বার্তা একসঙ্গে দিতে চাই।”

চারুকলা অনুষদ ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে এই শোভাযাত্রা আয়োজন করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতাই রক্ষা করে এবার ফেরত যাওয়া হচ্ছে মূল নামে—যা একদিকে ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান, অন্যদিকে সময়োপযোগী বার্তার বহিঃপ্রকাশ।

Header Ad
Header Ad

তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী

তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ টানাপড়েনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে তৃতীয় বিয়ের আইনি ইতি টানলেন টালিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। বহু আগেই ছাদ আলাদা হয়েছিল রোশন সিং ও শ্রাবন্তীর। চলছিল মামলা। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার (৮ এপ্রিল) আদালতের রায়ে আইনিভাবে আলাদা হলেন তারা।

এই বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রোশন সিং নিজেই। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে তিনি জানান, ‘সব কিছু শান্তিপূর্ণভাবেই মিটে গেছে। আমরা ৮ এপ্রিল থেকে আইনি বিচ্ছিন্ন।’ তিনি আরও বলেন, প্রেম ও বিয়ের আগে যেমন তারা একে অপরের জন্য অপরিচিত ছিলেন, বিচ্ছেদের পরও তারা তেমনই থাকবেন।

রোশন সিং ও শ্রাবন্তীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল আইনি প্রক্রিয়া। জানা যায়, বিচ্ছেদের মামলায় শ্রাবন্তী মাসিক সাত লাখ টাকা খোরপোশ দাবি করেছিলেন, যদিও আদালত পরে সেই দাবিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। এ বিষয়ে রোশন এদিন কিছু না জানালেও, আদালতের রায়ে তারা আলাদা হয়ে যাওয়ায় পুরনো অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল।

 

ছবি: সংগৃহীত

২০১৯ সালের শুরুতে রোশন-শ্রাবন্তীর প্রেম শুরু হয়। পরে তারা পাঞ্জাবে গোপনে বিয়ে করেন এবং কিছুদিন পরেই সেই খবর প্রকাশ্যে আনেন। তবে ২০২০ সালের দুর্গাপূজার আগে থেকেই তাদের দাম্পত্যে ফাটল ধরে। রোশন তখন শ্রাবন্তীর আরবানার ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান।

এদিকে বিচ্ছেদের রায় পাওয়ার পর রোশন সিং নতুন জীবন শুরু করতে প্রস্তুত। তিনি বর্তমানে প্রেমিকা অনামিকার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন এবং তার সঙ্গেই ভবিষ্যৎ গড়ার পরিকল্পনা করছেন।

প্রসঙ্গত, শ্রাবন্তীর এটি ছিল তৃতীয় বিয়ে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে পরিচালক রাজীব বিশ্বাসকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। পরে ২০১৬ সালে মডেল কৃষাণ ব্রজকে বিয়ে করেন, যেটি এক বছরের মধ্যেই বিচ্ছেদে গিয়ে পৌঁছায়। এরপর ২০১৯ সালে রোশন সিংয়ের সঙ্গে তৃতীয়বারের মতো গাঁটছড়া বাঁধেন শ্রাবন্তী। তবে এবার সেই সম্পর্কেও আইনি পরিসমাপ্তি ঘটলো।

Header Ad
Header Ad

৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

দেশের তৃণমূল পর্যায়ের ফুটবলকে জাগিয়ে তুলতে বড় পরিসরের একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত “কুল বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪”-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, খুব শিগগিরই দেশের ৬৪ জেলার অংশগ্রহণে একটি জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। তৃণমূল থেকে প্রতিভাবান ফুটবলারদের তুলে আনতেই এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) একটি কাঠামো তৈরি করতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আসিফ মাহমুদ সজীব বলেন, “জেলা ফুটবল আয়োজনের জন্য আমরা বাফুফেকে একটি কাঠামো ডিজাইন করতে বলেছি। আশা করছি তারা খুব দ্রুতই আমাদের সেই পরিকল্পনা দেবে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই ৬৪ জেলার অংশগ্রহণে আমরা এই টুর্নামেন্ট শুরু করবো।”

ক্রীড়া উপদেষ্টা এ সময় সরকারের ক্রীড়া খাতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বিএসপিএকে ধন্যবাদ এমন একটি আয়োজনের জন্য। এটি খেলোয়াড়দের মধ্যে স্বপ্ন ও অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমরা ক্রীড়াঙ্গনে কাঠামোগত সংস্কারে কাজ করছি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা বিশ্বাস করি, ক্রীড়াক্ষেত্রে বাজেট বৃদ্ধি ও প্রণোদনা নিশ্চিত করতে পারবো।”

উল্লেখ্য, দেশের তৃণমূল পর্যায়ের ফুটবলে দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর কোনো প্রতিযোগিতা না থাকায় নতুন প্রজন্মের প্রতিভা হারিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন ক্রীড়াবিদরা। ক্রীড়া উপদেষ্টার এই ঘোষণাকে অনেকেই ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য
তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী
৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু
অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত
পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক
বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ডলারের বড় পতন, রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ১৪৭ দেশ, বাড়ছে বিশ্বজনমত
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে চীনের পাল্টা জবাব
নারায়ণগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
ফুটবল মাঠ পেরিয়ে হলিউডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
পুলিশের চাকরি পেতে সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন: সারজিস
ড. ইউনূসের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই: সেলিমা রহমান
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া, গণশুনানির প্রস্তুতি শুরু
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন লোগো প্রকাশ
মঙ্গল শোভাযাত্রার নতুন নাম ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’
সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে ‘চোর’ বললেন সিদ্দিকী নাজমুল