‘উপনির্বাচনকেও সরকার তামাশায় পর্যবসিত করেছে’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ৬টি উপনির্বাচনে বিদ্যমান নির্বাচন-নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি গণঅনাস্থা ও গণহতাশার প্রকাশ ঘটেছে। বিরোধী দলহীন উপনির্বাচনকেও সরকার ও সরকারি দল তামাশায় পর্যবসিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গতকাল অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের ৬টি শুন্য আসনে ৮০ শতাংশ ভোটাররা ভোট দিতে না যেয়ে বিদ্যমান নির্বাচন ও নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি আরও একবার তাদের গণঅনাস্থা ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। বিরোধী দলবিহীন এসব উপনির্বাচনকে সরকার ও সরকারি দল তামাশায় পর্যবসিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দলছুট বিএনপি নেতাকে জেতাতে সরকারি দল এমন কোনো অপকর্ম নেই যা করেনি। বিরোধী দলহীন এসব লোক দেখানো একতরফা নির্বাচনেও তাদেরকে প্রকাশ্যে নানা ধরনের জালিয়াতির আশ্রয় নিতে হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই উপনির্বাচনেও সরকারি দল বিতর্কিত মাগুরার নির্বাচনকে লজ্জা দিয়েছে। বগুড়ায় হিরো আলমের নির্বাচনী ফলাফল প্রমাণ করে যে, প্রচলিত নির্বাচনী তামাশা আর রাজনীতিকদের প্রতি গণঅনাস্থাও ক্রমে বেড়ে চলেছে।
দলের রাজনৈতিক পরিষদের সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, নির্বাচনের নামে এসব তামাশা গণহতাশাকে কেবল প্রলম্বিতই করছে। প্রস্তাবে নির্বাচনী প্রহসনকে অর্থ ও সময়ের অপচয় হিসেবে আখ্যায়িত করে অবিলম্বে এসব তামাশা বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ ভেঙে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনতে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন আরও জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে বিদ্যুতের বাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারিতা হিসেবে আখ্যায়িত করে দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হককের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক পরিষদের সভায় বক্তব্য রাখেন পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, মাহমুদ হোসেন।
এমএইচ/এসজি