বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

৪ দফা দাবিতে আজ মাঠে নামছে বিএনপি    

ছবিঃ সংগৃহীত

চার দফা দাবিতে জনদাবির ব্যানারে আজ থেকে কর্মসূচিতে নামছে বিএনপি। প্রথম দিনে ৯টি জেলায় সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও পতিত ফ্যাসিবাদের নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের ৬৪ জেলায় ১২ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি আট দিনের সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়– আজ প্রথমদিন বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) লালমনিরহাটে সমাবেশে বক্তব্য দেবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিরাজগঞ্জে নজরুল ইসলাম খান, ফেনীতে সালাহউদ্দিন আহমদ, খুলনায় হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, রাজবাড়ীতে আসাদুজ্জামান রিপন, পটুয়াখালীতে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সুনামগঞ্জে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী এবং জামালপুরে থাকবেন যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী-খান সোহেল।

১৭ ফেব্রুয়ারি : যশোরে বক্তব্য দেবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, টাঙ্গাইলে স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, মাদারীপুরে সেলিমা রহমান, চাঁদপুরে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ঠাকুরগাঁওয়ে ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বগুড়ায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, মৌলভীবাজারে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী এবং ভোলায় থাকবেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।

১৮ ফেব্রুয়ারি : কক্সবাজারে বক্তব্য দেবেন করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, পাবনায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, পঞ্চগড়ে ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কুমিল্লা দক্ষিণে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদীন ফারুক, ঝিনাইদহে উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, মানিকগঞ্জে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, হবিগঞ্জে যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এবং নেত্রকোণার সমাবেশে থাকবেন যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

১৯ ফেব্রুয়ারি : নোয়াখালীতে বক্তব্য দেবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিলেটে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কিশোরগঞ্জে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফজলুর রহমান, কুষ্টিয়ায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, শরীয়তপুরে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফরহাদ হালিম ডোনার, পিরোজপুরে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মজিবুর রহমান সরোয়ার এবং রাজশাহীর সমাবেশে থাকবেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

২০ ফেব্রুয়ারি : ঢাকায় সমাবেশ করবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, লক্ষ্মীপুরে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বরিশাল দক্ষিণে স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ময়মনসিংহ দক্ষিণে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ফরিদপুরে ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, চুয়াডাঙ্গায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, নওগাঁয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু এবং কুড়িগ্রামের সমাবেশে থাকবেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম।

২২ ফেব্রুয়ারি : ঝালকাঠিতে সমাবেশ করবেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল আবেদীন, চট্টগ্রাম দক্ষিণে ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আযম খান, ময়মনসিংহ উত্তরে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জয়পুরহাটে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হারুন অর রশিদ, কুমিল্লা উত্তরে এ এইচ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বান্দরবানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আসলাম চৌধুরী, রংপুরে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া এবং নরসিংদীর সমাবেশে থাকবেন যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ।

২৪ ফেব্রুয়ারি : মুন্সীগঞ্জে সমাবেশ করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বরিশাল উত্তরে স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নড়াইলে ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, নাটোরে ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আযম খান, গাইবান্ধায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হারুন অর রশিদ, রাঙামাটিতে যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী-খান সোহেল, মাগুরায় যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ এবং নীলফামারীর সৈয়দপুরের সমাবেশে থাকবেন যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

২৫ ফেব্রুয়ারি : নারায়ণগঞ্জের সমাবেশে বক্তব্য দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গাজীপুরে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চট্টগ্রাম উত্তরে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বাগেরহাটে ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সাতক্ষীরায় ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, দিনাজপুরে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মেহেরপুরে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, নীলফামারীতে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদীন ফারুক, খাগড়াছড়িতে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের সমাবেশে থাকবেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম।

Header Ad
Header Ad

আমি বিপ্লব করে হাসিনাকে লড়াইছি, ৭ দিনের মধ্যে বিপ্লবী সরকারের ডাক দিমু: কাফি

কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বাড়িটির বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

নুরুজ্জামান কাফি ওই গ্রামের এ বি এম হাবিবুর রহমানের ছেলে। হাবিবুর রহমান বলেন, ‘রাতে আমাদের ঘরটিতে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। যে যার মতো করে দরজা ভেঙে আমরা বের হয়েছি। কিছু রক্ষা করতে পারি নাই; সব শেষ হয়ে গেছে। আমাদের পুড়িয়ে মারার জন্যই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা এ নাশকতার তদন্তপূর্বক বিচার চাই।’

এদিকে আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে কাফি জানান,ঘরের বাইরে থেকে দরজা আটকে আমার বাবা- মা, ভাই ভাতিজি সবাই কে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল। আমিতো নতুন বাংলাদেশ গড়তে আন্দোলনের ফ্রন্টে ছিলাম।। অথচ আমার এখন পুরো ঘরটা নাই। স্পষ্ট বলতে চাই। সাত দিন টাইম। যারা জড়িত শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। নইলে সাতদিন পরে রাজপথে একা দাড়াবো।

তিনি বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের আরো বলেন, আমি বিপ্লব করে হাসিনা কে লড়াইছি। ৭ দিনের মধ্যে বিপ্লবী সরকারের ডাক দিমু। আমার ঘরবাড়ি না থাকলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে বলে প্রশ্ন করেন। কাফি আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, জীবন ঝুঁকি রেখে দুই বার কান্না শুনেছি বাবা-মায়ের।

১৬ জুলাই -৫ আগস্টে পালিয়ে থাকা অবস্থায় একবার , আর গতরাতে বসতঘর পুড়ে দেওয়ার পরে আরেক বার। এসময় গ্রামের অসংখ্য মানুষ জড়ো হন।

Header Ad
Header Ad

ভালোবাসা দিবসে ‘তামাশা’ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা ফরিদা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ভালোবাসা দিবস উদ্‌যাপন নিয়ে ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছেন, তাকে ঘিরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘জুলাই-আগস্ট শহীদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এ বছর যেন কোনো ভ্যালেন্টাইন দিবসের তামাশা না হয়।’

ফরিদা আখতারের এই মন্তব্য আসার পরই ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। তাঁর ওই পোস্টের সমালোচনা করে একের পর এক মন্তব্য আসতে শুরু করে। একপর্যায়ে ওই পোস্টের কমেন্ট (মন্তব্য) অপশন বন্ধ হয়ে যায়। তাঁর পোস্টে ৬৯৫টি মন্তব্য এসেছে। শেয়ার হয়েছে ১ হাজার ৬০০। প্রতিক্রিয়া মোট ৭ হাজার ৪০০। এর মধ্যে ‘হা হা’ প্রতিক্রিয়া ৫ হাজার ৭০০।

এই পোস্টের বিষয়ে ফরিদা আখতার বলেন, এখানে সরকারি কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এটা ছিল আমার একটা আহ্বান। একটা শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে এই অনুরোধ আমাকে করা হয়েছিল এবং এটা আমি ফিল করি। আমি মন থেকে ফিল করি, ভ্যালেন্টাইন দিবস আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়। ভালোবাসা দিবস আপনি সারা বছর করতে পারেন। ভ্যালেন্টাইন দিবস নিয়ে আগে থেকেই অনেক সমালোচনা ছিল। এটা আমি স্ট্রংলি ফিল করি, এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়।’

ফরিদা আখতার আরও বলেন, ‘আমরা ফাল্গুন পালন করব, একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করব। কিন্তু এ বছরটা যেহেতু একটা বিশেষ পরিস্থিতি এবং সে পরিস্থিতি আনন্দের নয়; এতগুলো শহীদ ও আহত মানুষের কথা আমরা কোনোক্ষণেই ভুলতে পারি না।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘এই দিনে অনেক কিছু অতিরিক্ত হয়। যেন তামাশা আকারে না করা হয়, তাই আমি আহ্বান জানিয়েছি।’

ফরিদা আখতারের পোস্টে প্রতিক্রিয়ায় একটি মন্তব্য এসেছে এমন, ‘আপা, ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস বহুকাল আগের থেকেই। এবার ৪২ বছর হবে।

‘পুনশ্চ: আমার ভয় হচ্ছে আপা, আপনার এই কমেন্টের ফলে এক সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠী মব করার বৈধতা পেয়ে গেল। এখন কোনো মানুষ যদি তার সঙ্গীকে নিয়ে এই দিবসে ভালোবাসা হিসেবে উদ্‌যাপিত করতে চায়, তাকে “জুলাই গণ–অভ্যুত্থানবিরোধী” বলে পেটানোর ঘটনা ঘটলে, সেই দায়টা কে নিবে?’

তাঁর মন্তব্যের মাধ্যমে এভাবে মবকে উসকানি দেওয়া হয় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ফরিদা আখতার বলেন, ‘এটার সঙ্গে উসকানির কী সম্পর্ক আছে। আমি তো শ্রদ্ধা জানাতে বলেছি। কারও ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। আমার এই মন্তব্যের পর ওদের ওপর কি কেউ আক্রমণ করবে বলে আপনি মনে করেছেন? বাংলাদেশকে অত খারাপ ভাবার তো কোনো অর্থ নেই। যদি মব উসকানি হয়, তবে যারা এই উসকানি করবে, সেটা তাদের দায়দায়িত্ব।’

ওই ফেসবুক পোস্টে আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘কেউ যদি ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করতে চায় আর সরকার বা যেকোনো গোষ্ঠী যদি তাতে বাধা দেয়, সেটাও তো ফ্যাসিবাদী আচরণ আপা।’

আরেকেজন লিখেছেন, ‘জন্ম, মৃত্যু, বিপ্লব, আহত-নিহত হওয়া, সংঘাত, শোক ও আনন্দ—সবই জীবনের অংশ। প্রতিদিনই কেউ না কেউ স্বজন হারাচ্ছে। সিরিয়া, প্যালেস্টাইন, ইউক্রেনে প্রতিদিনই মানুষ মারা যাচ্ছে। এ দেশেও প্রতিদিন শোক করবার মতো ঘটনা ঘটছে। তাই বলে জগতে কেউ আনন্দ করবে না? সারা জীবন কাঁদতে থাকব? শোক ও উদ্‌যাপন পাশাপাশি চলতে পারে বলে মনে করি। যার শোক করবার সে শোক করুক। যার আনন্দ করবার সে আনন্দ করুক। চাপিয়ে দেওয়া কেন?’

একজন লিখেছেন, ‘ভালেন্টাইন দিবস তো কোনো জাতীয় দিবস না, এইটা ভালোবাসার প্রকাশে সারা বিশ্বের মানুষ ব্যক্তিগত বা সামাজিকভাবে উদ্‌যাপন করে। এই নিয়ে আমাদের ক্রিটিক থাকতে পারে, কিন্তু ব্যক্তিগত পরিসরে ভালোবাসার মতো বিষয়কে উদ্‌যাপনের উপরে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের মরাল পুলিশিংয়ের বৈধতা থাকতে পারে না। এইটা তো জুলুম।’

এসব মন্তব্য নিয়ে ফরিদা আখতার বলছিলেন, ‘এটা যারা করতে চায় (দিবস উদ্‌যাপন) তাদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আমি অবাক হয়েছি। আমি খুব অবাক হয়েছি যে মানুষ এত হীন চিন্তা করতে পারে। শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বললেও রিঅ্যাকশন হয়, এটা আমাদের ধারণার বাইরে। তাহলে এরা কি জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছে, তাদের শ্রদ্ধা করতে চায় না, সেটাই তারা বলুক। এসব মন্তব্যের মাধ্যমে তারা জুলাই ও আগস্টের শহীদদের প্রতি অবমাননা করছে। আমি এখনো মনে করি, আমি যে কথা বলেছি, সেটার মধ্যে আমি আছি।’

 

Header Ad
Header Ad

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৩৭ অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৩৭ অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় চলমান অবৈধ অভিবাসী দমন অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৩৭ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে অভিবাসীদের গ্রেফতার করা হয়।

এক বিবৃতির মাধ্যমে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জেআইএম) মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান বলেছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে সেলাঙ্গর রাজ্যের সারডাং এলাকার পাংসাপুরি তৈমুরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে ৩৭ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

অভিযানের সময় গ্রেপ্তার এড়াতে ছাদ ও পানির ট্যাংকে লুকিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। কেউ কেউ আবার দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানালে দরজা ভেঙে ফেলতে হয়।

অভিযানে বিভিন্ন জাতীয়তার মোট ৮২ জন ব্যক্তির তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয় এবং এর মধ্য থেকে, ১৯ থেকে ৫০ বছর বয়সী মোট ৩৭ জন অভিবাসীকে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযানে শনাক্তকৃত অপরাধের মধ্যে রয়েছে পরিচয়পত্র না থাকা, অতিরিক্ত সময় ধরে বসবাস এবং অন্যান্য অপরাধ। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেপ্তারকৃতরা বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের নাগরিক। তবে, এ অভিযানে কতজন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন, তা জানা যায়নি।

অভিবাসীদের সম্পর্কে জনসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে এই আইন প্রয়োগকারী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। গ্রেপ্তার অভিবাসীরা বৈধ পাস এবং পরিচয়পত্র ছাড়াই অ্যাপার্টমেন্ট ইউনিটগুলোতে বসবাস করে আসছিলেন বলে বিবৃতিতে জানান ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমি বিপ্লব করে হাসিনাকে লড়াইছি, ৭ দিনের মধ্যে বিপ্লবী সরকারের ডাক দিমু: কাফি
ভালোবাসা দিবসে ‘তামাশা’ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা ফরিদা
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৩৭ অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার
বন্দিদের মুক্তি না দিলে গাজায় আবারও যুদ্ধ শুরুর হুমকি নেতানিয়াহুর
দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা
যমুনা সেতুতে আর ট্রেন নয়, আজ থেকে চলবে যমুনা রেল সেতুতে    
৪ দফা দাবিতে আজ মাঠে নামছে বিএনপি    
গুরুতর অপরাধ করতে যাচ্ছে ট্রাম্প: বললেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট  
কোনো ভদ্রলোক আওয়ামী লীগ করে না : মির্জা আব্বাস  
এবার চিটাগাং কিংসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ইয়াশার  
সীমান্তে আইইডি বিস্ফোরণে ২ ভারতীয় সেনা নিহত   
  এ সরকার দায়িত্বহীন, আমিই বিকল্প সরকার করবো: কাফি  
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির ৪ নেতা কারামুক্ত
‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার আরও ৬০৭
অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে চুয়াডাঙ্গায় গ্রেফতার ৯
নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়কের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিলেন শিক্ষার্থীরা
বিরামপুরে স্কাউটস সমাবেশ এর উদ্বোধন
আওয়ামী লীগ নামে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না: ইশরাক হোসেন
ফিক্সিংয়ে জড়িত বাংলাদেশি স্পিনার সোহেলি আক্তার ৫ বছর নিষিদ্ধ
তালিকা থেকে প্রায় ১৬ লাখ মৃত ভোটার বাদ পড়ছে: ইসি আনোয়ারুল